ন্যায় বিচার বঞ্চিত কামরুজ্জামান
লিখেছেন লিখেছেন রকিব ইসলাম ০৯ মে, ২০১৩, ০৩:৪৫:০৩ দুপুর
তৃতীয় চার্জ ও তার জবাব.........
চার্জ ৩ (গণহত্যা) - অভিযোগঃ বিধবা পল্লি সোহাগপুরে পাক সেনাদের হামলায় কামারুজ্জামানের ভুমিকার অভিযোগ করা হয়েছে। ২৫শে জুলাই ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মি এবং তাদের স্থানীয় দোসররা সীমান্তবর্তী সোহাগপুর গ্রামে ঝটিকা আক্রমন চালায়, অনেক মহিলাকে ধর্ষণ করে এবং অন্তত ১২০ জনকে হত্যা করে।
জবাব - প্রসিকিউশন তিন জন বিধবাকে মামলার সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করে যারা ক্যামেরা ট্রায়ালে তাদের প্রামানিক সাক্ষ্য প্রদান করেন। হোসেনা বেওয়া, যার স্বামী পাকিস্তানি আর্মির আক্রমণে নিহত হন তিনি দাবি করেন, "স্থানীয় বড়দের কাছে তিনি শুনেছেন কামারুজ্জামান পাক আর্মিদের গ্রামে নিয়ে আসে, এবং হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন।" হাফিজা বেওয়া, আরেকজন বিধবা একইভাবে ঘটনার সময় কামারুজ্জামানে ঘটনার সময় উপস্থিত থাকার দাবি করেন । কিন্তু তিনি তদন্ত কর্মকর্তার সাথে সামনাসামনি সাক্ষ্য দানের সময় এমনটি দাবি করেননি। করফুলি বেওয়া, আরেকজন বিধবা "গ্রামের বড়দের কাছে কামারুজ্জামানের জড়িত থাকার ব্যাপারে শুনেছেন।" কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া সাক্ষাতকারে কামারুজ্জামানের জড়িত থাকা কথা বলেননি। যা একটি বড় অসংগতি।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, "সোহাগপুরের বিধবা কন্যারা" নামে একটি বইয়ে সোহাগপুরের গণহত্যার বর্ননা দেয়া হয়েছে। সেখানে করফুলি বেওয়া সহ অনেক বিধবারই সাক্ষাতকার প্রকাশ করা হয় যেখানে কামারুজ্জামানের কথা একবারও বলা হয়নি।
কিন্তু এর বিপরীতে ডিফেন্স টিম অনেক শক্ত এবং গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য হাজির করেছে। এদের একজন সাক্ষী একটা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য যিনি পাকিস্তানি আর্মির হামলায় তার পরিবারসহ সব হারিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, কামারুজ্জামান এই রকম কোন ঘটনার সাথে বিগত ৪০ বছর জড়িত ছিল না; তিনি আরো উল্লেখ করেন, গ্রামবাসী ভাল করেই অবগত আছে যে সরকার মিথ্যা সাক্ষীদের টাকা দিয়ে অভিযুক্তের বিরদ্ধে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করছে।
এই অভিযোগ প্রমাণে প্রসিকিউশন সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, কেননা এটি ভিত্তিহীন ও কল্পিত অভিযোগ।
বিষয়: বিবিধ
১৫২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন