জালিমের কারাগারে বন্দী আল্লামা সাঈদীঃ মজলুমকে মুক্ত করা ঈমানী দায়িত্ব!!! আল্লাহর কাছে কি জবাব দেব?
লিখেছেন লিখেছেন নাঈম ০৯ মার্চ, ২০১৩, ১১:৫৫:১৪ সকাল
সারাবিশ্বের বাংলাভাষী মুসলমানদের কাছে একটি প্রিয় নাম আল্লামা সাঈদী। যিনি বিগত কয়েক দশক ধরে মানুষের কাছে ইসলামের সুমহান বাণী পৌঁছে দিতে ছিলেন সদা তৎপর; সফর করেছেন দেশের পর দেশ ও মহাদেশ। মানুষের কাছে পৌছিয়ে দিয়েছেন ইসলামের সুমহান মর্মবানী। ইসলামের সৌন্দর্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ছিলেন সদা ব্যস্ত একজন কর্মচঞ্চল ব্যক্তি। একটিমাত্র মানুষ যার হাতে ইসলামের সুমহান আদর্শের বর্ণনা শুনে হাজার হাজার অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেছেন; ধন্য হয়েছেন নিজেদেরকে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করাতে পেরে, সেই মানুষটি আজ বাংলাদেশে ইসলাম বিদ্বেষী, নাস্তিক্যবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ ধর্মের অনুসারী জালেম সরকারের রোষানলে পড়েছেন। সেকুলার তথা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ইসলামের বাইরের একটা ধর্মের অনুসারী হওয়ায় ইসলাম তাদের কাছে একটা বড় শত্রু হিসেবে আজ পরিগণিত হচ্ছে।
ইসলাম কিংবা অন্য কোন প্রচলিত ধর্মের অনুসারী না হওয়ার কারণে একজন সেকুলার তথা ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিকে যেহেতু মুসলমান কিংবা অন্য কোন ধর্মের লোক বলা যায় না, সেহেতু তাদের ব্যাপারে এটাই হওয়ার কথা ছিল যে, তাদের কাছে কোন ধর্মই শত্রু হিসেবে গণ্য হবে না। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যায় অন্যান্য ধর্ম তাদের কাছে তেমন ফ্যাক্ট না হলেও তাদের আসল শত্রু হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে-ইসলাম ও নিবেদিতপ্রাণ ইসলামিক স্কলারগণ। যুগে যুগে দেখা গেছে ইসলামকে মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দিতে যারা ছিলেন সদা তৎপর ও নিবেদিতপ্রাণ তারাই আবার জালিম স্বৈরাচারী শাসকদের রোষানলে পড়েছেন, সহ্য করেছেন অসহনীয় জুলুম নির্যাতন। এর ফলে তাদের অনেকেই শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করে এ ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাত করেছেন; কুরবানী করেছেন নিজেদের জীবনকে।
বাংলাদেশের জনগণ "আল্লামা সাঈদী"কে একজন নিবেদিতপ্রাণ ইসলামিক স্কলার হিসেবেই চেনে। আমি মনে করি, দেশের ছোটবড় এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে যার কাছে আল্লামা সাঈদী আছেন অপরিচিত ব্যক্তিত্ব। আপামর জনসাধারণের প্রায় সবাই পরিচিত রয়েছে তার নামের সাথে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের মানুষের কাছে সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তিত্বের কোন তালিকা তৈরী করতে গেলে সর্বপ্রথমে যার নাম আসবে তিনি হলেন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদী।
আমাদের দেশসহ বিশ্বের আনাচে কানাচে উপস্থিত হয়ে তিনি ইসলামের বিধানকে মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন এটাই ছিল তার সবচেয়ে বড় অপরাধ। "ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী" নামক অমুসলিমদের জন্য তিনি ছিলেন এক মূর্তিমান আতংক। কারণ, তিনি মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছেন "ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ" মানে হল ধর্মহীনতা। ইসলাম, হিন্দু, ইহুদী ও খৃষ্টান যেমন একেকটি ধর্ম ধর্মনিরপেক্ষতাবাদও তেমনি একটি ধর্মের মত। যার সাথে ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। একজন মুসলিম যেমন কখনও মুসলিম হওয়ার সাথে সাথে খৃষ্টান হতে পারে না তেমনি একজন মুসলিম কখনও ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেনা। তাকে ধর্মনিরপেক্ষ হতে হলে অবশ্যই ইসলাম কিংবা অন্যান্য ধর্ম ছেড়ে দিয়ে ধর্মটির কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে। যার ফলে নাস্তিক্যবাদী সরকার নিজেদের অস্তিত্বের জন্য তাকে হুমকী বলে মনে করছে। তারা মনে করছে এ দেশে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে তাদের সামনে একটিই করণীয় রয়েছে তা হচ্ছে, কুরআনের এ খাদেমকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া যেমনটি চেয়েছিল আবু জ্বাহেল, আবু লাহাব, ফেরাউন, নামরুদ ও হামান প্রমুখ ক্ষমতাসীনরা। তারা এখন কেউ বেচে নেই তবে, বাংলাদেশের সরকার পরিণত হয়েছে তাদের প্রেতাত্মায়। আর এরাই নব্য ফেরাউন, নামরুদ, আবু জাহল হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে।
আল্লামা সাঈদী একজন মুসলিম; সর্বোপরি একজন মানুষ। কোন একজন মানুষ বিপদে পড়লে তাকে বিপদে সাহায্য করা মুসলিম হিসেবে আমার ঈমানী দায়িত্ব। কেউ পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে এমন দেখলে পানি থেকে তাকে উদ্ধার করা আমার দায়িত্ব; হোক সে হিন্দু, খৃস্টান কিংবা অন্য কোন ধর্মের লোক। এ ব্যাপারে ব্যক্তির ধর্মপরিচয়টা মুখ্য নয়। আগে তাকে উদ্ধার করব তারপরই তার ধর্মের ব্যাপারে কথা আসতে পারে। অমুসলিম দের উপর অত্যাচার করলেও সেটা অপরাধ বলে গণ্য করে থাকে ইসলাম। রাসুল (সাঃ) এর কথা অনুযায়ী রাসুল (সাঃ) এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার কাছে অমুসলিম মাজলুমদের পক্ষ হয়ে মুসলিম অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন।
আজ আমাদের একজন মুসলিম ভাই যদি জুলুমের শিকার হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের সবার দায়িত্ব হয়ে যায় তাকে জালেমের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করে যাওয়া। নইলে আল্লাহ তায়ালার কাছে আমরা কিয়ামতের দিন কি জবাব দেব?
একজন সাধারন মুসলিমই নন বরং এ দেশের একজন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ধর্মনিরপেক্ষ, নাস্তিক্যবাদী ও ইসলাম বিদ্বেষী সরকারের রোষানলে রয়েছেন। এদেশে কি এমন কোন মুসলমান নেই যারা ইসলাম বিদ্বেষীদের বিষদাত ভেংগে দিয়ে তাদেরকে মুক্ত করে আনবে?? হ্যা, এমন লোক আমাদের দেশে অনেক আছে।
বাংলাদেশের কয়েক লক্ষ ইসলামপ্রিয় জনতা যদি জালেম সরকারের বিরুদ্ধে রাজধানীর রাস্তায় নেমে যায় তাহলে, জালেম সরকারের শেষ রক্ষা হবে না এটা নিশ্চিত। তাদের সামনে তখন ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পালানো ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।
পক্ষপাত দোষে দুষ্ট ট্রাইব্যুনাল আল্লামা সাইদীর বিরুদ্ধে অবিচারমুলক রায় দিয়ে পুরো বিচার ব্যবস্থাকেই কলঙ্কৃত করে ফেলল। কেননা, এর আগেই স্কাইপী ক্যালেঙ্কারীতে প্রমাণিত হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো শুধুমাত্র তাদেরকে শায়েস্তা করার জন্যই দায়ের করা হয়েছে। কারণ, তাদেরকে দুনিয়া থেকে উৎখাত করতে না পারলে ভোটের রাজনীতিতে সেকুলার সরকারের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। হয়ত আল্লামা সাঈদী যদি কোন রাজনীতিতে না জড়াতেন তাহলে তার বিরুদ্ধে নাস্তিক্যবাদী সেকুলার সরকার কোন প্রকার একশনে যেত না। আর আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সাপোর্ট করলে তো আর কোন কথাই ছিল না। তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধী দিতেও কার্পণ্য করত না তারা।
আমি একজন মুসলমান। আমার দায়িত্ব হচ্ছে ইসলামের প্রতি পুরোপুরি আত্মসমর্পন করা। ইসলাম আমাকে শেখায় কেউ অত্যাচারিত হলে ক্ষমতানুযায়ী তাকে অত্যাচার থেকে মুক্ত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। আর সে কাজটা করতে গিয়ে আমার মৃত্যু হলে আল্লাহ তায়ালা শাহাদাত হিসেবে কবুল করে নিবেন।
অনেকে হয়ত প্রশ্ন করবেন কেন তার জন্য মানুষ রাস্তায় গিয়ে অকারণ জীবন দেবে? এটা কি আত্মহত্যা বলে গণ্য হবে না? আমি বলব, এটাকে যদি আত্মহত্যা বলা হয় তাহলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জিনিসটাকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে সারা বিশ্বে "জোর যার মুল্লুক তার" নীতিকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। আজ থেকে আর কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যাবে না। কিন্তু, এটা কি সমর্থনযোগ্য? আমরা জানি অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে জালেমরা সে অন্যায় করতেই থাকবে। কিন্তু, ইসলাম আমাদেরকে শেখায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য। অন্যায়কে প্রতিরোধ কিভাবে করা হল সেটার উপরেই একজন মুসলিমের ঈমানের পরিমাণ নির্ধারিত হবে।
হাদীস শরীফে নির্দেশ দেয়া হয়েছে-"হাত কিংবা শক্তি দ্বারা অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ার জন্য; তাতে যদি সক্ষম না হয় তাহলে মুখ দিয়ে এবং তাতেও যদি ব্যক্তি সক্ষম না হয় তাহলে অন্তর দ্বারা। আর এটাই ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর।"
কিন্তু, প্রতিবাদ প্রতিরোধই যদি না করা হয় বা প্রতিবাদে সমর্থন না জানানো হয় তাহলে তার ঈমান কতটুকু থাকতে পারে? অন্ততঃ সর্বনিম্ন পর্যায়ের ঈমানও তো থাকতে পারে না।
অন্যায়ভাবে একজন লোক হত্যার শিকার হবে এবং অন্যরা প্রতিবাদ মুখর হবে না এটা কেমন করে হতে পারে??? অবশ্যই মুসলমানদেরকে প্রতিবাদ করতে হবে। জালেমদের বিষদাত ভেংগে দিতে হবে তাদেরকে সুযোগ দেয়া যাবে না।
আর অন্যায়ের প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করতে গিয়ে যদি আঘাত আসে তাহলে ব্যক্তি শহীদ বলে গণ্য হবে।এছাড়া আত্মরক্ষা করার জন্য প্রয়োজন পরিমাণে শত্রুকে আঘাত করতেও ইসলাম নিষেধ করে না।তবে,সতর্ক থাকতে হবে যেন,শত্রুকে প্রহার করে,তার হাত পা ভেংগে দিয়ে কিংবা তার অংগহানি করে তাকে যদি নিবৃত্ত করা যায় তাহলে,তাকে হত্যা করা ঠিক হবে না।উল্লেখ্য যে,প্রয়োজন পরিমাণে শত্রুকে আঘাত করার অনুমতি ইসলামে আছে আত্মসমর্পনের শর্তে।
আমরা জানি রাসুল (সাঃ) যখন জানতে পারলেন মক্কার কুরাইশরা হুদায়বিয়া সন্ধি চুক্তি ভংগ করে যখন রাসুল (সাঃ) এর মিত্র একটা অমুসলিম গোত্র (বনী খোজাআকে) হামলা করতে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করল এবং তারা রাসুল (সাঃ) এর কাছে সাহায্য চাইল। তখন রাসুল (সাঃ) মক্কার কুরাইশদেরকে সন্ধি ভঙ্গের জন্য উচিত শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যেই মক্কাবিজয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলেন। যার ফলশ্রুতিতে মক্কাবিজয়ের ঘটনা সংঘটিত হল।
এছাড়া আমরা যদি মুতা' যুদ্ধের দিকে খেয়াল করি তাহলে এর কারণ হিসেবে দেখতে পাই, ওই এলাকার শাসক "হারেস বিন উমায়ের" নামক রাসুল (সাঃ) এর একজন দুতকে হত্যা করেছিল। রাসুল (সাঃ) নিউজটা জানতে পেরে অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান প্রেরণ করেছিলেন।
অপরদিকে হুদায়বিয়াতে পৌঁছে রাসুল (সাঃ) যখন জানতে পারলেন, কুরাইশরা হযরত উসমান (রাঃ) কে হত্যা করেছে তখন তিনি সাহাবীদের কাছ থেকে শপথ নিলেন, আমরা তাদের সাথে লড়াই করব। তাদেরকে মানুষ হত্যা করার কারণে উচিত শিক্ষা দেয়া হবে।
রাসুল (সাঃ) এর একটা হাদীসে এসেছে—
قَالَ رَبُّكَ: وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَأَنْتَقِمَنَّ مِنَ الظَّالِمِ فِي عَاجِلِ أَمْرِهِ، أَوْ فِي آجِلِهِ، وَلَأَنْتَقِمَنَّ مِمَّنْ رَأَى مَظْلُومًا يُظْلَمُ، فَقَدَرَ أَنْ يَنْصُرُهُ، فَلَمْ يَفْعَلْ لَهُ "
অর্থাৎ, তোমার রব বলেছেন, আমার সম্মানের কসম! আমি অবশ্যই জালিমের কাছ থেকে আগে হোক কিংবা পরে হোক প্রতিশোধ নেব। আর আমি তাদের থেকেও প্রতিশোধ গ্রহন করব যারা কাউকে মাজলুম অবস্থায় জুলুমের শিকার হতে দেখেছে অথচ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তাকে সাহায্য করেনি।(মুসায়িল আখলাক;হাদীস নং-৬২৩)
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা অত্যাচারের শিকার ব্যক্তিদেরকে সাহায্য করার জন্য নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا (75)
অর্থাৎ, তোমাদের কি হয়েছে? কেন তোমরা আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় সংগ্রাম করছ না? অথচ, দুর্বল পুরুষ, মহিলা ও শিশুরা বলছে, হে আল্লাহ!! আমাদেরকে এ জালেমের জনপদ থেকে বের করে নাও। আর আমাদের জন্য তোমার পক্ষ থেকে অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাঠাও। (সুরা নিসাঃ ৭৫)
একজন আলেমের মর্যাদা একজন সাধারণ ব্যক্তির চেয়ে অনেক বেশী। শয়তান সাধারণ অনেক লোকের চেয়ে আলেমদেরকে বেশী ভয় করে থাকে। কারণ, একজন আলেম ইসলামের বিধিবিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে তাদেরকে ইসলামের অনুসারী হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস পাচ্ছেন।
অতএব, সংগত কারণেই বাংলাদেশের ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিক্যবাদী সেকুলার ধর্মের অনুসারী সরকার ইসলামিক স্কলারদেরকে হত্যার একটা মিশন বাস্তবায়ন করতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক!!
কিন্তু, বাংলাদেশের মুসলমানরা জীবিত থাকতে তাদের চোখের সামনে একজন ইসলামিক স্কলারের জীবনকে নিয়ে নাস্তিক্যবাদী ইসলামবিদ্বেষী সরকার খেলা করবে এটা কি মেনে নেয়া যায়? প্রয়োজনে মুসলিম জনতা যদি রাস্তায় নেমে এসে ইসলামিক স্কলার ও মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দী মুক্ত করে আনে সেটাই হবে একজন মুসলিমের ঈমানী দায়িত্বের অংশ।
তাই, এখনই ইসলামি দলগুলোর উচিত হবে একজন মাজলুমের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। তাদেরকে রাজপথে এমন কর্মসুচী দিতে হবে যেন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী সরকার ইসলাম ও ইসলামিক স্কলারদের বিরুদ্ধে কোন কিছু করার সাহস না করে। অন্যথায় ইসলামি দলগুলোকেও আল্লাহ তায়ালার দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। কেননা, তাদেরও এখন এমনটি করার ক্ষমতা রয়েছে।
গত ৩/৪ দিনে ইসলামী দলগুলো যেভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে সেগুলো যদি আরও কয়েকদিন কনটিনিউ হয় এবং নাস্তিক্যবাদী সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত হরতাল, অবরোধের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাহলে নাস্তিক্যবাদী ইসলাম বিদ্বেষী সরকার ক্ষমতা থেকে যেতে আর দেরী হবে না।
সম্মানিত ভাইয়েরা! আল্লাহ তায়ালা যদি কখনও আমাদেরকে প্রশ্ন করেন, একজন ইসলামিক স্কলারকে তোমাদের সামনে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হল তোমাদের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন তোমরা তার প্রতিবাদ করলে না? তোমরা দেশটাকে অচল করে দিয়ে তাকে বের করে আনতে পারতে কিন্তু, কেন করলে না? আল্লাহ তায়ালার সে প্রশ্নের আমরা কি জবাব দেব? সে প্রশ্নের জবাব কি আমরা রেডি করতে পেরেছি?
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন