মিউজিক ব্লগ ৯: হ্যাক হয়ে গেছে মাইকেল জ্যাকসন
লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ শামীম ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩, ১০:৩১:৫৩ রাত
হ্যাকার জেমস মার্ক তার টুইটারে এমন স্টাটাস দিল, “মিশ্র প্রতিক্রিয়া! আমি সার্ভারে ঢুকতে পেরেছিলাম, আমি বিচারকের উদারতার জন্য কৃতজ্ঞ, আর সনির কাছে দুঃখিত – ইস! আমি যদি এগিয়ে যেতাম আর জীবনটা গড়ে তুলতে পারতাম”।
ঠিক তাই, জেমস মার্ক আর জেমস ম্যাককর্মিক নামের দুই হ্যাকার বাসায় বসে সনি মিউজিক এন্টারটেইনমেন্ট এর সার্ভার এ ঢুকে পড়ে আর লুটেপুটে নেয় ৮০০০ এর মত ফাইল। কি ছিল ওই ফাইলগুলো? সনি ও অন্যান্য খবরে জানা যায় সেখানে ছিল মাইকেল জ্যাকসনের অপ্রকাশিত কিছু গান (প্রায় ৮টির মত ট্র্যাক!!) শুধু তাই নয় আরো ছিল বেয়নস, এলভিস প্রিসলি, ব্রিটনী স্পেয়ারস এর ট্র্যাক আর এছাড়াও বিবিসি আর টেলিগ্রাফ পত্রিকার কিছু এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
এই কেইসটার মজা হল, ২০১১ সালে তারা হ্যাক করলেও সনি এটা বুঝে উঠতে উঠতে ২০১২ সাল লাগিয়ে দিয়েছে। তবে একটা রায় বেরিয়েছে যে হ্যাকারদ্বয় ১০০ ঘন্টায় কমিউনিটি সাইটে কোন আপলোড বা বিক্রি করলে তা সরিয়ে ফেলবে ও ১ বছরের জন্য ইন্টারনেট একসেস হতে নিষিদ্ধ থাকবে।
সনি মিউজিক বলছে তাদের সাত বছরের কন্ট্রাক্ট করা এই সম্পদগুলোর আনুমানিক মূল্য হবে ২৫০ মিলিয়ন ডলার, আর যেহেতু মাইকেল জ্যাকসনের আনরিলিজড ট্র্যাক সেহেতু এগুলো অমূল্য। কিন্তু আরো মজার বিষয় হল হ্যাকাররা বলছে – এমনকি সনিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে এই বলে যে – যে অপ্রকাশিত ট্রাকগুলো মাইকেল জ্যাকসনের বলছে ওগুলো কখনই মাইকেলের কন্ঠ নয়। বরং কাকে না কাকে ধরে এনে সময় বুঝে ট্র্যাক ছেড়ে বিপুল অর্থা হাতিয়ে নেবার ফন্দি আঁটছে সনি। তারা হ্যাক করেছে স্বীকার করছে কিন্তু তা আরেকটি বড় জালিয়াতিকে বন্ধ করার জন্য।
ক্রাউন প্রসেকিউশন সার্ভিসের প্রধান গ্রেগর ম্যাকগিল অনেকটা আসামীদের পক্ষ বিপক্ষ করে বললেন যে হ্যাকাররা মাইকেলের অন্ধ ভক্ত বলেই তাদের মুল আকর্ষণ থাকে সনি মিউজিকের দিকে কারণ শেষ কিছু ট্রাকের কাজ মাইকেল ওখানেই সেরেছেন। তারা কপিরাইট করা ওই ফাইলগুলো শেয়ার করা বিক্রি করার মত কাজে পদক্ষেপ নিয়ে নিচ্ছিল। সব মিলিয়ে ম্যাকগিলের কথা তারা সহজ কথায় একটা কম্পিউটার সিস্টেমে ঢুকেছে এবং এমন কিছু মিউজিক ফাইল নিয়েছে যেগুলো তাদের না। সুতরাং তারা অন্যায় করেছে।
ওই ৮০০০ ফাইল গুলো ছিল ওয়েভ ফাইল। কিছু সমাপ্ত অসমাপ্ত অডিও ট্র্যাক, কিছু আর্টওয়ার্ক, আর কিছু ভিডিও ক্লিপস। সবই মাইকেল জ্যাকসনের নয় অন্য অনেক শিল্পীরও ছিল। এদিকে সোকা বা সিরিয়াস এন্ড অর্গানাইজড ক্রাইম এজেন্সী তদন্ত করে চলেছে এই ফাইলগুলো নিয়ে। তারা এগুলো নাড়াচাড়া করে বুঝেছে এগুলো মিক্স করার জন্য বা ওভারডাব করার মত ফাইল। তবে মাইকেল এর কন্ঠ না কার কন্ঠ এসব নিয়ে একটা টু শব্দ করতে চাইছে না সনি এন্টারটেইনমেন্ট।
তাহলে সন্দেহ কিন্তু থেকেই গেল, ব্যাপারটা কি?
তথ্যঃ ইয়াহু, গুগল, রিঅর্বিট, গার্ডিয়ান, এপি।
http://www.facebook.com/pages/wOwi/133782376650198?ref=hl
হ্যাকার জেমস মার্ক তার টুইটারে এমন স্টাটাস দিল, “মিশ্র প্রতিক্রিয়া! আমি সার্ভারে ঢুকতে পেরেছিলাম, আমি বিচারকের উদারতার জন্য কৃতজ্ঞ, আর সনির কাছে দুঃখিত – ইস! আমি যদি এগিয়ে যেতাম আর জীবনটা গড়ে তুলতে পারতাম”।
ঠিক তাই, জেমস মার্ক আর জেমস ম্যাককর্মিক নামের দুই হ্যাকার বাসায় বসে সনি মিউজিক এন্টারটেইনমেন্ট এর সার্ভার এ ঢুকে পড়ে আর লুটেপুটে নেয় ৮০০০ এর মত ফাইল। কি ছিল ওই ফাইলগুলো? সনি ও অন্যান্য খবরে জানা যায় সেখানে ছিল মাইকেল জ্যাকসনের অপ্রকাশিত কিছু গান (প্রায় ৮টির মত ট্র্যাক!!) শুধু তাই নয় আরো ছিল বেয়নস, এলভিস প্রিসলি, ব্রিটনী স্পেয়ারস এর ট্র্যাক আর এছাড়াও বিবিসি আর টেলিগ্রাফ পত্রিকার কিছু এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
এই কেইসটার মজা হল, ২০১১ সালে তারা হ্যাক করলেও সনি এটা বুঝে উঠতে উঠতে ২০১২ সাল লাগিয়ে দিয়েছে। তবে একটা রায় বেরিয়েছে যে হ্যাকারদ্বয় ১০০ ঘন্টায় কমিউনিটি সাইটে কোন আপলোড বা বিক্রি করলে তা সরিয়ে ফেলবে ও ১ বছরের জন্য ইন্টারনেট একসেস হতে নিষিদ্ধ থাকবে।
সনি মিউজিক বলছে তাদের সাত বছরের কন্ট্রাক্ট করা এই সম্পদগুলোর আনুমানিক মূল্য হবে ২৫০ মিলিয়ন ডলার, আর যেহেতু মাইকেল জ্যাকসনের আনরিলিজড ট্র্যাক সেহেতু এগুলো অমূল্য। কিন্তু আরো মজার বিষয় হল হ্যাকাররা বলছে – এমনকি সনিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে এই বলে যে – যে অপ্রকাশিত ট্রাকগুলো মাইকেল জ্যাকসনের বলছে ওগুলো কখনই মাইকেলের কন্ঠ নয়। বরং কাকে না কাকে ধরে এনে সময় বুঝে ট্র্যাক ছেড়ে বিপুল অর্থা হাতিয়ে নেবার ফন্দি আঁটছে সনি। তারা হ্যাক করেছে স্বীকার করছে কিন্তু তা আরেকটি বড় জালিয়াতিকে বন্ধ করার জন্য।
ক্রাউন প্রসেকিউশন সার্ভিসের প্রধান গ্রেগর ম্যাকগিল অনেকটা আসামীদের পক্ষ বিপক্ষ করে বললেন যে হ্যাকাররা মাইকেলের অন্ধ ভক্ত বলেই তাদের মুল আকর্ষণ থাকে সনি মিউজিকের দিকে কারণ শেষ কিছু ট্রাকের কাজ মাইকেল ওখানেই সেরেছেন। তারা কপিরাইট করা ওই ফাইলগুলো শেয়ার করা বিক্রি করার মত কাজে পদক্ষেপ নিয়ে নিচ্ছিল। সব মিলিয়ে ম্যাকগিলের কথা তারা সহজ কথায় একটা কম্পিউটার সিস্টেমে ঢুকেছে এবং এমন কিছু মিউজিক ফাইল নিয়েছে যেগুলো তাদের না। সুতরাং তারা অন্যায় করেছে।
ওই ৮০০০ ফাইল গুলো ছিল ওয়েভ ফাইল। কিছু সমাপ্ত অসমাপ্ত অডিও ট্র্যাক, কিছু আর্টওয়ার্ক, আর কিছু ভিডিও ক্লিপস। সবই মাইকেল জ্যাকসনের নয় অন্য অনেক শিল্পীরও ছিল। এদিকে সোকা বা সিরিয়াস এন্ড অর্গানাইজড ক্রাইম এজেন্সী তদন্ত করে চলেছে এই ফাইলগুলো নিয়ে। তারা এগুলো নাড়াচাড়া করে বুঝেছে এগুলো মিক্স করার জন্য বা ওভারডাব করার মত ফাইল। তবে মাইকেল এর কন্ঠ না কার কন্ঠ এসব নিয়ে একটা টু শব্দ করতে চাইছে না সনি এন্টারটেইনমেন্ট।
তাহলে সন্দেহ কিন্তু থেকেই গেল, ব্যাপারটা কি?
তথ্যঃ ইয়াহু, গুগল, রিঅর্বিট, গার্ডিয়ান, এপি।
http://www.facebook.com/pages/wOwi/133782376650198?ref=hl
বিষয়: বিবিধ
১২০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন