মুক্তচিন্তা কি আসলেই মুক্ত?
লিখেছেন লিখেছেন হাবিবুল্লাহ ১৯ মার্চ, ২০১৪, ০২:১৫:২২ দুপুর
উইকিপিডিয়া অনুযায়ী মুক্তচিন্তা (ইংরেজি : Free thought) হলো এক ধরনের দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি যা বলে যে বিজ্ঞান, যুক্তিবিদ্যা এবং যুক্তির আলোকে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত; মতামত গঠনের ক্ষেত্রে প্রথা, অন্ধ বিশ্বাস এবং কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। সচেতনভাবে মুক্তচিন্তার প্রয়োগকে বলে মুক্তচিন্তা এবং এর অনুশীলনকারীদের বলে মুক্তমনা। মুক্তচিন্তা বলতে সাধারণত বোঝানো হয় চিন্তার গতিকে কোনো শর্তের সীমানায় আবদ্ধ না করা, সীমাবদ্ধতার বাইরে গিয়ে চিন্তা করার স্বাধীনতা, বাধা-বন্ধন ছাড়া চিন্তার গতিকে ছেড়ে দেয়া। বাধাহীন চিন্তা করা। কোনো নিয়মের অধীনে চিন্তাকে আটকে না রাখা এবং বাধাহীনভাবে তা বাস্তবায়ন করার সুযোগ থাকা।
আবার মুক্তচিন্তা বলতে ধর্মের বিপক্ষে অবাধ স্বাধীনতাকেও অনেকে বুঝে থাকেন। তারা মনে করেন, মুক্তচিন্তা একটা ভালো জিনিস অথচ এই ভালো জিনিসটার অনুমতি নেই ধর্মে। কারণ তাদের মতে ধর্মে মুক্তচিন্তার অনুমতি থাকলে ধর্মের অসারতা প্রকাশ হয়ে পড়বে, তাই ধার্মিক ব্যক্তিরা মুক্তচিন্তাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে থাকেন। এসব যারা ভাবেন তাদের কাছে ধর্মের ব্যাখ্যাটাও বড় অদ্ভুত। তারা মনে করেন ধর্ম হচ্ছে কিছু বুদ্ধিমান মানুষের বানানো কিছু নিয়ম-কানুন, যা নির্বোধ মানুষগুলোর ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এই ধারণা পোষণকারীরা নিজেদের নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। নাস্তিক না হলেও ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেও কিছু মুক্তমনা আছে যারা মনে করে যেহেতু তাদের ধর্ম শুধু কিছু পূজা আর অনুষ্ঠানসর্বস্ব, তাই তাদের ধর্মে মুক্তচিন্তায় বাধা নেই। কিন্তু সত্য কথা হলো ধর্ম কোনো মানুষের বানানো নিয়ম নয়। অন্তত ইসলাম ধর্ম মানুষের বানানো কিছু নিয়মের নাম নয়। ইসলাম হচ্ছে মানবজাতির জন্য আল্লাহর প্রেরিত জীবনবিধান। আর মুক্তচিন্তা মানে যদি হয় যা তা চিন্তা, তাহলে তা ইসলাম তো সমর্থন করবেই না বরং কোনো সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষের পক্ষে তা সমর্থন করা সম্ভব নয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। সূরা বনি ইসরাইল=৩৬
এবার দেখা যাক মুক্তচিন্তা কি আসলেই মুক্ত? নাকি তা লিখিত বা অলিখিত কোনো অধীনতার বেড়াজালে শৃঙ্খলিত? কয়েক বছর আগে মাসিক আত তাওহিদে আল্লামা তকি ওসমানী সাহেবের একটি লেখা পড়েছিলাম এই বিষয়টির ওপর। অনুবাদকের নাম এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। লেখাটি হুবহু মনে না থাকলেও মোটামুটি লেখার বিষয় ছিল এরকম। একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে পাকিস্তানে মুক্তচিন্তা বিষয়ে জরিপ চালানোর কাজ করা হচ্ছে। আল্লামা তকি ওসমানী সাহেব যেহেতু বড় মাপের একজন আলেম আবার সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিও, তাই সেই সংস্থার এক অফিসার আল্লামা তকি ওসমানী সাহেবের সাক্ষাত্কার নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন। অফিসার একদিন আল্লামা তকি ওসমানী সাহেবের কাছে উপস্থিত হলেন এবং তার জরিপের বিষয়টি খুলে বলে তার সাক্ষাত্কার নিতে চাইলেন। আল্লামা তকি ওসমানী সাহেব বললেন, পাকিস্তানের সব মানুষের সাক্ষাত্কার নেয়া আপনাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। হাতে গোনা কিছু মানুষের সাক্ষাত্কার নিয়ে তা পাকিস্তানিদের মত বলে চালিয়ে দেবেন। এটা সমর্থন করা যায় না। তাই আমি আপনার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেব না। তবে আপনি যদি পারেন আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন।
অফিসার বললেন আপনি প্রশ্ন করুন, আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। মাওলানা তকি ওসমানী সাহেব বললেন, আচ্ছা আপনি যে মুক্তচিন্তার কথা বলছেন তা কি একেবারেই মুক্ত? নাকি তাতে কোনো শর্ত বা বাধা আছে? অফিসার বললেন, একেবারেই মুক্ত। কোনো শর্ত বা বাধা নেই। মাওলানা তকি ওসমানী সাহেব বললেন, আচ্ছা কেউ যদি চিন্তা করে যে ধনী মানুষদের সম্পদগুলো জোর করে কেড়ে নিয়ে তা গরিব মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া উচিত, তাহলে এই চিন্তাকে আপনারা সমর্থন করবেন? অফিসার বললেন—না, এটা সমর্থন করা যাবে না। কারণ এতে যার সম্পদ কেড়ে নেয়া হবে তার ক্ষতি হচ্ছে। চিন্তা এমন হতে হবে যাতে কারও ক্ষতি না হয়।
মাওলানা তকি ওসমানী সাহেব বললেন, আপনি একটু আগে বলেছিলেন চিন্তা একেবারেই মুক্ত, কোনো শর্ত বা বাধা নেই। কিন্তু এখন আপনি একটি শর্ত জুড়ে দিলেন যে, ‘চিন্তা এমন হতে হবে যাতে কারও ক্ষতি না হয়।’ আর লন্ডন, আমেরিকায় বসে আপনারা আপনাদের সুবিধা মতো এরকম আরও অনেক শর্ত জুড়ে দেবেন। তারপরও সেটার নাম দেবেন মুক্তচিন্তা? অফিসার বললেন, আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমি পরে একসময় এসে দিয়ে যাব। কিন্তু সেই যে তিনি গেলেন আর ফিরে আসেননি। এই হলো মুক্তচিন্তার আসল চেহারা। মুখে বলবে মুক্তচিন্তা আবার বিশ্ব-মোড়লদের ইচ্ছানুযায়ী বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেবে।
অনেকেই আবার নিজেদের মুক্তমনা ভাবতে পুলকিত বোধ করেন। তারা মনে করেন ধর্ম মুক্তচিন্তার পথে বাধা। তাই তারা ধর্মের বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত। চিন্তা যদি মুক্তই হয় তাহলে সেটা কখনও সৃজনশীল আবার কখনও ধ্বংসাত্মক হতে পারে। ভালোও হতে পারে আবার মন্দও হতে পারে। যা কিছু ভালো তাকে ধর্ম সমর্থন করে থাকে। আর যা ভালো নয় তাকে ধর্ম সমর্থন করে না। সেটা মুক্তচিন্তা হোক বা অন্য কিছু হোক।
মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীন। একথা বলে অনেকেই মুক্তচিন্তার পক্ষে যুক্তি দিতে চাইবেন হয়তো। আসলে মানুষের স্বাধীনতারও একটা সীমা আছে। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, নিশ্চয় তুমি তো ভূপৃষ্ঠকে কখনোই বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনোই পর্বতপ্রমাণ হতে পারবে না। সূরা বনি ইসরাইল=৩৭। নিয়ন্ত্রণহীনতা কি মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে? না, আনে না। যদি আনত তাহলে সন্তানের চলাফেরা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছে কিনা তা নিয়ে বাবা-মার চিন্তা হতো না। মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দেশে এত রকমের আইন-কানুন থাকত না। যেহেতু সন্তানের ওপর বাবা-মার শাসন এবং দেশের জন্য আইন-কানুন মানুষের কল্যাণের জন্য বলেই স্বীকৃত, তাহলে বোঝা গেল নিয়ন্ত্রণহীনতা মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। আবার নিজেদের মুক্তমনা বা ফ্রি মাইন্ড হিসেবে প্রচার করে অনেক সময় অনৈতিক সুযোগ লাভ করতে চায় অনেকে। অশ্লীলতা আর বেপর্দার প্রতি উত্সাহিত করার জন্যও মুক্তচিন্তার স্লোগান আওড়ানো হয়। এতেও বোঝা যাচ্ছে যে ফ্রি মাইন্ড বলেন আর মুক্তচিন্তা বলেন, এসব সাধারণত ভালোর চেয়ে খারাপই বেশি জন্ম দিয়ে থাকে।
মুক্তচিন্তার ধারক-বাহকরা কখনও মুক্তচিন্তার নামে আবার কখনও বাক স্বাধীনতার নামে এমন সব কর্মকাণ্ড করেন যা রীতিমত সারা বিশ্বে সন্ত্রাসের জন্ম দেয়। কিছু দিন আগে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তি ইউটিউবে একটি ভিডিও ছেড়েছে। তাতে ইসলাম ধর্মকে চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে। এই ভিডিও প্রচারের পর বিভিন্ন মুসলিম দেশে এর প্রতিবাদে মিছিল-মিটিং হয়েছে। এই মিছিল দমন করতে গিয়ে পুলিশ ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে পাকিস্তানে। সেই ভিডিও সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয় না। তাই এই ভিডিও তারা বন্ধ করবেন না। যদিও তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন এই ভিডিও তৈরি করা ঠিক হয়নি। এরকম বক্তব্য আরও অনেক নেতা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এটা নাকি মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
মত প্রকাশের যে স্বাধীনতার কথা তারা বলছেন, সেটা কি সবার বেলায় সমান? নাকি ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা হলেই শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে তাতে সমর্থন দেয়া হয়? খারাপের পরিবর্তে খারাপ এ নীতি আমরা সমর্থন করি না। তাই খ্রিস্টান ধর্মের অবমাননা করে কেউ এর প্রতিবাদ করুক তা আমরা চাই না। তবে জানতে ইচ্ছে করে কেউ যদি খ্রিস্টান ধর্মকে অবমাননা করে এরকম একটি ভিডিও প্রচার করে, তখনও কি মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে সেই ভিডিওকে সমর্থন দেয়া হবে? নাকি শুধু ইসলাম অমাননা হলেই শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে অপরাধীকে সুযোগ দেয়া হয়?
স্বাধীনতা ভালো জিনিস যখন এর সীমা নির্ধারিত থাকে। স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতা যেমন কাম্য নয়, তেমনি নিয়ন্ত্রণের নামে স্বাধীনতা হরণ করাও অন্যায়। এই দুয়ের মধ্যে মধ্যপন্থাই হচ্ছে গ্রহণযোগ্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন : এমনিভাবে আমি তোমাদের মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমণ্ডলীর জন্য এবং যাতে রাসুল সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের জন্য। সূরা বাকারা = ১৪৩
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে যেভাবে ভালো আর মন্দ দু’রকম কাজ করার ক্ষমতা দিয়েছেন ঠিক সেভাবে তিনি ভালো আর মন্দ চিন্তা করার ক্ষমতাও দিয়েছেন। আর কে কি চিন্তা করছে না করছে সেটাও আল্লাহ তায়ালা ভালোভাবেই জানেন। কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, অন্তরের বিষয় সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। আবার ভালো-মন্দ চিন্তার জন্যও আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। সূরা বনি ইসরাইল = ৩৬
অন্য আয়াতে আছে, যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। সূরা বাকারা = ২৮৪
এখন একটি প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলো অনেক সময় আমাদের মনে এমন কিছু চিন্তা আসে যা আমাদের ইচ্ছাধীন নয়, এর জন্য যদি শাস্তি পেতে হয় তাহলে তো বাঁচার উপায় নেই। এর জবাব হচ্ছে, যা মানুষের ইচ্ছার বাইরে তার জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে না। চিন্তার বেলায়ও সেটা প্রযোজ্য। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যে অন্যায় চিন্তাটা অনিচ্ছাকৃতভাবে এসে যাচ্ছে তাতে মনের মাধুরী মিশিয়ে রঙিন কল্পনার জগতে ঘুরে বেড়ানো এবং তাকে দীর্ঘায়িত করা মানুষের ইচ্ছাধীন বিষয়। এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। অন্যায় আর অনুচিত চিন্তা মনে এলে তা ঝেড়ে মুছে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। তারপরও যা মানুষের ইচ্ছাধীন নয় তজ্জন্য দুশ্চিন্তা না করাই ভালো। পরের আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোনো কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার ওপর বর্তায় যা সে করে। সূরা বাকারা = ২৮৬। এতে বোঝা যায়, যা মানুষের ইচ্ছাধীন নয় তার জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে না।
চিন্তা করার শক্তি মানুষের মধ্যে আছে বলেই অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের মর্যাদা বেশি। কোরআন মজিদে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করতে বলেছেন। চিন্তাশীল ব্যক্তিদের প্রশংসা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয় আসমান ও জমিন সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য। সূরা আলে ইমরান = ১৯০। পরের আয়াতে আছে; যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা-গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সব পবিত্রতা তোমারই, আমাদের তুমি দোজখের শাস্তি থেকে বাঁচাও। সূরা আলে ইমরান = ১৯১।
এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, চিন্তার অনেক মূল্য আছে। চিন্তা করা ভালো। কিন্তু যে কোনো রকমের চিন্তাকে ভালো বলা হয়নি। উল্লিখিত দুটি আয়াতের দিকে দৃষ্টি দিলে বোঝা যায় যে, যে চিন্তা মানুষকে আল্লাহর পরিচয় পেতে সাহায্য করে তাই প্রশংসনীয়। মুক্ত হলেই কোনো কিছু ভালো হবে তা ঠিক নয়। যেমন দড়ি ছাড়া গরু মানুষের ফসল নষ্ট করে। পিতা-মাতার শাসনবিহীন সন্তান উচ্ছন্নে যায়। শাসনবিহীন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা থাকে না। সুতরাং চিন্তার ক্ষেত্রেও মুক্তচিন্তা মানুষকে খারাপের দিকে ধাবিত করে। তাই আমাদের জেনে রাখা উচিত যে মুক্তচিন্তা নয় বরং ভালো চিন্তাই প্রশংসনীয়।
দৈনিক আমারদেশ ১৯ ই মার্চ ২০১৪
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৫ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন