বিয়ের বয়স ১৮ বনাম ১৭ বছরের ঐশীর ডজন খানেক বয়ফ্রেন্ড

লিখেছেন লিখেছেন হাবিবুল্লাহ ২১ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৩৮:৫৩ দুপুর



আমাদের দেশে আইন করা আছে যে মেয়েদেরকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেয়া যাবে না। এই আইনের অজুহাতে গ্রামে গঞ্জে অনেক মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। হয়ত মেয়ে এই বিয়েতে রাজিও ছিল। তারপরেও কিছু স্বার্থান্বেষী লোক থানা পুলিশের সাহায্য নিয়ে এই বিয়ে ভাঙ্গতে উঠে পড়ে লেগে যেতে দেখা যায়। পত্রিকায় খবর আসে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে ঠেকানো গেছে। বাবা মা তাদের ১৭ বছরের মেয়ে রহিমাকে জোর করে বিয়ে দিতে যাচ্ছিল। এলাকার যুবক ছলিম উদ্দিনের সাহায্যে পুলিশ এই বিয়ের খবর পায়। এখন মেয়ে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

এই খবর পড়ে অনেক পাঠক মেয়ের বাবা মাকে খুব খারাপ মানুষ ভাবছে। আর এলাকার যুবক ছলিম উদ্দিন আর পুলিশকে ভাবছে ভাল লোক। পরে আসল ঘটনা যা জানা গেল তা এরকম= রহিমা সুন্দরী মেয়ে। স্বাস্থ্যও মোটামুটি ভাল। তার পছন্দের একটি ছেলের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। এলাকার ছলিম উদ্দিন বখাটে ছেলে। সে রহিমাকে কয়েকবার কু প্রস্তাব দিয়েছিল। রহিমা রাজি হয়নি। তাই সে বাল্যবিয়ের অজুহাতে পুলিশের সাহায্য নিয়ে এই বিয়ে ভেঙ্গে দেয়।

ক দিন পরে রহিমা যখন বাড়িতে আসে তখন জানা যায় ছলিম উদ্দিন পুলিশকে টাকা দিয়ে এই বিয়ে ভাঙ্গার ব্যবস্থা করেছে এবং থানা হেফাজতেও সে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমনকি পুলিশের সাহায্যে রহিমাকে ছলিম উদ্দিনও যৌন নির্যাতন করেছে।

এরকম ঘটনা অনেক ঘটে থাকে আমাদের দেশে। বাল্য বিয়ের অজুহাতে উপযুক্ত মেয়েদের বিয়ে থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে সেকুলারপন্থী অনেক মানুষ, অনেক সংস্থা। যার দরুন সমাজে যৌন হয়ারনী, যৌন নির্যাতন, ইভটিজিং বেড়েই চলেছে। সমাজে কিছু কিছু অপরাধ বেড়ে চলেছে শুধু উপযুক্ত মেয়েদের বিয়ে ঠেকিয়ে রাখার কারণে।

১৮ বছরের আগে মেয়েরা বিয়ের জন্য উপযুক্ত নয় বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সত্য হোক বা মিথ্যা হোক বলা হচ্ছে ১৮ এর আগে বিয়ে দিলে মেয়েরা অসুস্থ হবে মরে যাবে ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ১৮ বছরের আগেই মেয়েরা ছেলেদের প্রেম পড়ে যাচ্ছে। শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে। এমনকি গর্ভপাত পর্যন্ত করছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে যে সব সংস্থা বা ব্যাক্তি বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে উঠে পড়ে লেগে থাকে সেই তাদেরকেই আবার দেখা যায় মেয়েদের প্রেম এবং গর্ভপাত ঘটানোর অধিকারের পক্ষে কথা বলতে। অনেকেই আরও একধাপ এগিয়ে গর্ভপাত এর ঝামেলা থেকে বাঁচতে কনডম ব্যবহারের পরামর্শও দিয়ে থাকে প্রকাশ্যে। এদের মতে তুমি ছেলেদের সঙ্গে প্রেম করো, শারীরিক সম্পর্ক কর। তবে খবরদার এখন বিয়ে করবে না।

বাংলাদেশের আইনে মেয়েদের বেলায় ১৮ আর ছেলেদের বেলায় ২১ বিয়ের বয়স ধরা হয়েছে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এর অনেক বছর আগেই ছেলে মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। যার বিয়ের উপযুক্ত হয়েও যারা বিয়ে করতে পারছে না আইনের ভয়ে, তারা বিয়ে বহির্ভূত যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে অহরহ। দেশে যৌন অপরাধ সহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়েই চলেছে একই কারণে।

সেকুলারদের কথা আর কাজে মিল থাকে না। গত ১৪ ই আগস্ট বাবা মাকে খুন করে পুলিশের কাছে ধরা দেয়া ঐশীর বয়স ১৭ বছর। ১ ডজন বয় ফ্রেন্ডের সাথে সে রাত কাটাতো বলে খবরে প্রকাশ পেয়েছে। সেকুলারদের কথা মত তার যদি এখনো বিয়ের বয়স না হয়ে থাকে তাহলে ১ ডজন বয় ফ্রেন্ডের সাথে সে রাত কাটায় কিভাবে? এখানে সেকুলাররা নীরব। তারা ইচ্ছে করেই এমন সব আজগুবি আইন হাজির করে যাতে যুব সমাজ নীতি নৈতিকতা হারিয়ে মাদক আর অনুচিত যৌনাচারের ফাঁদে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। এটাই সারা বিশ্বের সেকুলারদের প্রধান উদ্দেশ্য।

কারো প্রয়োজন হলে সে ১৬ বা ১৭ তে করুক বিয়ে আর যে দেরীতে করতে চাইবে সে পরে করুক। এটাই ছিল উচিত।

বিষয়: বিবিধ

২৪৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File