বিরুধিতা ই একদিন 'আপন' কে জয় করবে,
লিখেছেন লিখেছেন এখনো স্বপ্ন দেখি ২০ মার্চ, ২০১৩, ১১:২৯:২৯ রাত
ইসলামী আন্দোলনের ভাইদের কে বলতে চাই, দেখুন যারা আজ ইসলামী আন্দোলনে এসেছেন আমার বিশ্বাস তাদের ৮০% সরাসরি জামায়াত শিবিরের দাওয়াতে আসেন নি, এসেছেন জামায়াত শিবিরের বিরুধিতা কারিদের বিরুধিতা করতে গিয়ে আপনার আমার কাছে জামায়াত শিবিরের পরিচয়ের মাধ্যমে, ঐ বিরুধিকারিরা ই আজকের জামায়াত শিবির কে এই অবস্থানে আসতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে, তেমনি আজকের এই বিরুধিতা ও জামায়াত শিবির কে সারা বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের বুকে সবার কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে, যার ফল অবশ্যই আমরা পাচ্ছি আর ভবিষ্যতে এই দেশের জন্য ইসলামী আন্দোলনের পথ কে সহজ ও সুন্দর করে দিচ্ছে , ইনশাহ আল্লাহ জামায়াত শিবির আল্লাহর রহমতে ইসলামী আন্দোলনের পথে অনেক দূর এগিয়ে যাবে,
আমি কিভাবে ইসলামী আন্দোলনে আসলাম তার ছোট একটি উদাহরন দেই,
তখন আমি সবে ক্লাস সিক্সে যখন বিদ্যালয়ে যাই তখন নামাজের সময় একজন ভাইকে দেখতাম সব সময় আযান দিতেন, অনেক সময় মাওলানা স্যারকে না পেলে উনি নামাজ পড়াতেন তেমনি বার্সিক পরিক্ষার পর বিদ্যালয়ের বার্সিক মাহফিল ও সিরাত প্রতিযোগিতায় নবীজি (দঃসঃ) জীবনীর উপর আলোচনা প্রতিযোগিতা হত , আর আমাদের ঐ ভাই এই প্রতিযগিতায় পুরুস্কার পেতেন, আর সব চেয়ে বড় বিষয় উনি খুব সুন্দর ও চমতকার ভাবে আলচনা করতেন, তখন সবাই মুগ্ধ হয়ে যেতাম, কিন্তু এই ভাই যে ইসলামী আন্দোলন করতেন জানতাম না, আসলে তখন ও শিবির জামায়াত কি তা জানতাম না বা শুনি নি, তার ও ৫ বছর পর শুনেছি এই দলে নাম,
জন্মের পর থেকে ইসলামী পরিবেশে বেড়ে উঠেছি, আমাদের টিউশনি স্যার( আমাদের গ্রামের ই এক ভাই ) তাবলীগ করতেন, আমাদের গ্রামের অনেক তাবলীগের সাথে জরিত ছিলেন , তাদের মধ্যে থেকে প্রায় সবাই ই রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামিলিগের সার্পোটার, ওরা ব্যক্তি জীবনে ইসলাম আর সামাজিক জীবনে আওয়ামীলীগ ( এখন ও আছেন ) , সেই সুবাদে তাবলীগী আমল বিতি পরতাম, প্রায় প্রতিদিন ফজরের পর এই বইয়ের একটি অংশ পরতাম, আবার সাপ্তাহিক বৈঠকে ও বসতাম, এই তাবলীগের আমির আমাদের এক ভাই উনি ই প্রথম একদিন হঠাত করে শিবির জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বললেন, আর এই ভাবে ই জামায়াত শিবির নাম প্রথম শুনলাম, তখন ক্লাস টেন এ পড়ি, তার কিছু দিন পর হঠাত আমাদের পাশের গ্রামের এক ভাই আমার সাথের অনেক ( আমরা এক সাথে এক বাড়িতে এক বয়সি ১৩ জন চিলাম ) কে নিয়ে একটি প্রোগ্রাম করেন , পড়ে ওদের কাছ থেকে জানতে পারি উনারা ছাত্র মজলিসের সাথে জরিত, আমার সাথের সবাইকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারি উনারা ইসলামী দাওয়াতের চেয়ে শিবির জামায়াত নামাএর দলের বিরুদ্ধে ই বেশি কথা বলেছেন, তাই আমাদের বাড়ির কেউ উনাদের ভাল লাগেনি, ঠিক তখন একদিন আমার এক চাচা আমাদের বলেন একটি প্রোগ্রামে যাওয়ার জন্য, তো আসরের নামাজের পর সবাই প্রোগ্রামে গেল কিন্তু আমি যেতে পারেনি, পরে জানতে পারলাম অনেক প্রশ্ন উত্তরের পর ঐ মিটিংয়ের সবাই সমর্থক ফরন পুরুন করেছে, মাগরিবের নামাজের পর ওদের সাথে দেখা হল মসজিদে, এক ভাগনা আমাকে বুজাল আর তাদের সাথে দেখালাম ২জন ভাই, তাদের মধ্যে থেকে দেখলাম আমার দেখা ক্লাস সিক্সের সময়ের সেই ভাই কে, তখন জানলাম উনি শিবির করেন, এই ভাবে ইসলামী আন্দোলনে আসি,
যে তাবলীগের বিরুধিতা আর ছাত্র মজলিসের কাহিনী শুনে আমরা ইসলামি আন্দোলনে আসি তার জন্য এই বিরুধিতাকে ও ধন্যবাদ দিতে হয়, উনারা বিরুধিতা না করলে আমাদের মধ্য আগ্রহ হতনা শিবির সম্পর্কে জানার, তাই সবাই কে বলতে চাই আজকের এই বিরুধিতা ইসলামি আন্দোলনের জন্য খুব স্বাভাবিক, তাই চিন্তা না করে দোয়া করেন , দেখবানে একদিন এই বিরুধি কারিরা ই ইসলামি আন্দোলন কে গতিশীল করবেন, ইনশাহ আল্লাহ
কারণ কতক্ষন মিথ্যা দিতে সত্য কে ডেকে রাখা যাবে, একদিন না একদিন তা এই আপন বিবেক কে নাড়া দেবে ই, আর তখন সবাই নিজেদের ভুল বুজে এই আন্দোলনে এগিয়ে আসবে ই,
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন