আওয়ামীলীগ নামের ধর্ম বিদ্বেষীদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অপারেশন !!!
লিখেছেন লিখেছেন এখনো স্বপ্ন দেখি ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:২১:০২ বিকাল
কখনো কোন ধর্মপ্রাণ লোক অন্য ধর্মের লোকদের কে নির্যাতন করতে পারে না,
যারা ধর্ম কর্ম করেন তারা নিশ্চয় জানেন অন্যধর্মের লোকদের তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী কাজ করতে কখন বাধা দেয়ার সুযোগ নেই, অবশ্যই প্রয়োজনে তাদের কে সাহায্য করতে হবে,
সেই ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি বাংলাদেশ নামের এই বদ্বীপে কখনো কোন ধর্মিয় হানাহানি হয়নি, সবাই এক সাথে মিলে একই সমাজের অধিনে বাস করেছি, কিন্তু কোন দিন ও অধর্মিয় কোন কাজ কেউ করেনি, একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করে ই ভ্রাতৃত্ব বোধ নিয়ে ই চলা ফেরা করে আসছি,
তাহলে কেন ইদানিং দেখা যায় সকল ধর্মের মানুষ একে অপরকে অবিশ্বাস করে, একজন আরেকজন কে হত্যা ও করে যাচ্ছে, বাড়ি ঘর জ্বলিয়ে দিচ্ছে ?
কারা এসব করছে ?
তারা কি আদৌ কোন ধর্মিয় বিশ্বাসী জাতি নাকি সকল ধর্মের বিদ্বেষী কোন অধর্মিয় গুষ্টি?
কেন কোন নির্দিষ্ট সময়ে ই একটি নির্দিষ্ট ধর্মের লোকদের উপর আক্রমন?
কেন খেলাতে হারার কারনে হিন্দু ধর্মের নামে মুসলিম ছেলেদের কে হত্যা ?
দেশে তো কোন ধর্মিয় হাঙ্গামা না থাকার পর ও কেন রাজনৈতিক বলি হতে হচ্ছে ধর্মিয় গুষ্টি ?
তাহলে কি আমরা ধরে নেবো যে একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং বাস্তবিক সমস্যা কে গোপন করার জন্য ই সময়ে সময়ে একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী গুষ্টি ধর্মের নামে নির্যাতন করে তাদের আদর্শিক শত্রুর উপর দোষ চাপাচ্ছে?
বাড়ি ঘর শুধু পুড়ে যায় , কিন্তু কেউ মারা যায় না, আবার সেই ধর্ম বিদ্বেষী গুষ্টি তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া দিয়ে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা ই সবার মনে সন্দেহ আরো গণীভূত হয়ে যায়, তারা শুদু বাড়ি ঘরের জ্বালানো অংশ দেখায় , তাদের বানানো কথা অনুযায়ী ইন্টার্ভিউ দেখায় কিন্তু, কারা এটা করেছে তাদের বিষয় স্পষ্ট কিছু না বলে তোতা পাখির মত ধর্মপ্রাণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়, তারা এটা কখন বলে না কেন এই নির্যাতন? কারা এতে লাভবান? কাদের কারনে এটা হচ্ছে ? কেন ভারতীয় হিন্দুদের জন্য বাংলাদেশী হিন্দুরা বলি হচ্ছে ?
এসব কিছুর সমধান না হয়ে ই যখন দেখি বর্তমান হানাদার সরকার ঘটনা ঘটার আগে ই রেডি হয়ে থাকে কিভাবে তার আদর্শিক বিরুধিকে দোষী বানিয়ে সারা বিশ্বে জঙ্গি বানানোর যায়, তখন বলে বাধ্য যে, নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গের মত সরকার নিজে ই এই হীন কাজ করে নিরপরাধ মানুষ কে নির্যাতন করে যাচ্ছে, সরকার চাচ্ছে জামায়াত শিবিরের নামে এই হীন কাজ চালিয়ে বর্তমান সরকার বিরুধি বিশ্ব জনমত কে অন্যদিকে সরিয়ে নিতে, জামায়াত কি এতো বোকার (!) দল যে তারা এটা বুজে না যে সরকার কি চাচ্ছে? আর জামায়াতের রাজনৈতিক ইতিহাসে কখনো কোন ধর্মিয় জাতির উপর নির্যাতনে রেকর্ড নেই, সেই জামায়াত এমন একটি সময় এমন কাজ করে নিজের পায়ে কুড়াল মারবে? এই সহজ হিসেব করার জন্য সারা বিশ্বে মানুষ কে গভেষক হওয়ার দরকার নাই , তাই সবাই ই জানে কারা আগুন দেয়, মানুষ মারে এবার তা অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়, তা হচ্ছে আওয়ামী নামের ধর্ম্নিরপেক্ষতার আবরনে সকল ধর্ম বিদ্বেষী সন্ত্রাসী গুষ্টি।
তাই এই ধর্ম বিদ্বেষী গুষ্টি কে বলব, এমন কাজ কথা থেকে বিরত থাকতে, না হলে এই নির্যাতিত জাতি ই একদিন তার হিসেবে নেবে, তখন সকল ধর্মিয় মানুষ এক হয়ে এই ধর্ম বিদ্বেষীদের ইতিহাসের আস্তাকুরে ছুড়ে ফেলবে,
আসুন। আওয়ামিলীগের কিছু আমলনামা দেখে নেয়া যাক। আমার হিন্দু পাঠকগণ একটু মনোযোগ দিয়েই পড়বেন। নিচের প্রতিটা ঘটনাতেই কমবেশি জামাতকে দোষারোপ করা হয়েছে বিভিন্ন সময়। যদিও সত্য ও বাস্তবতা বলেছে ভিন্ন কথা। আসুন। টিনের চশমটা খুলে আমরা কিছু খবর পড়ে আসি।
১) ২ মার্চ ২০১৩
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নূরুন্নবী নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে সংখ্যালঘু জনৈক নারু বাবুর বাড়িতে আগুন দিয়ে জামায়াত-শিবির কর্মীদের দোষারোপ করে। এ নিয়ে বিতর্কের একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতার পিটুনির শিকার হয়ে মারা যায় সে।
লিঙ্কঃ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/03/02/190233#.UswrqqhWMV0
২) ০৫ মার্চ ২০১৩
বগুড়ার শেরপুরে যুবলীগের নেতৃত্বে স্থানীয় শহীদিয়া আলীয়া মাদরাসা শহীদ মিনার ভাঙচুরের সময় এলাকাবাসী এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে। তার নাম তবিবুর রহমান টিপু।
লিঙ্কঃ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/03/06/190770#.UswrMKhWMV0
৩) ১৩ মার্চ, ২০১৩
মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে 'সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের হাত থেকে রক্ষা পেতে টাঙ্গাইলের ১৩ হিন্দু পরিবারের থানায় আশ্রয়' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরসভার চন্দবাড়ি গ্রামের হিন্দু পরিবারের সদস্যরা একদল সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের হাতে এখন জিম্মি। সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে নানা অত্যাচার-নির্যাতনের পর এখন তাদের গ্রামছাড়া করার পাঁয়তারা করছে।
লিঙ্কঃhttp://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDNfMTNfMTNfMF8wXzNfMjU5MTc=
৪) ৬ এপ্রিল ২০১৩
নাটোরের উত্তরা গণভবনের ভিতরে প্যালেস ভবনের সামনে একটি মূর্তি ভাঙচুরের সময় ৩ ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। আটক ওই তিন ছাত্র আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরিবারের সদস্য। গতকাল বিকালে তাদের হাতেনাতে আটক করে সন্ধ্যার দিকে পুলিশে হস্তান্তর করে গণভবন কর্তৃপক্ষ।
লিঙ্কঃ http://mzamin.com/old_archive/oldarchive_details.php?nid=NTA4Nzc=&ty=MA==&s=Mjc=&c=MQ==&seco=MjAxM3w0fDE2fDA=
৫) ২১ নভেম্বর ২০১৩
বরিশাল নগরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী নৌকায় করে সদর উপজেলার চরকাউয়ায় গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়ি ও মন্দিরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানেও এমন কয়েকজনের নাম জানা গেছে, যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যে খুনের ঘটনার জের ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই পরিবারগুলো হামলার শিকার হয়েছে সেই পারভেজের ভাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি খুনের ঘটনার পর ওই রাতে চরআইচা এলাকায় ছাত্রলীগের একজন নেতাও গিয়েছিলেন। সেখানে হামলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিঙ্কঃ http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2013/11/21/23299
৬) ৬ ডিসেম্বার ২০১৩
খুলনা মহানগরীর নয়াবাটি এলাকায় রেল লাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলার সময় মেহেদী হাসান জাহাঙ্গীর (২৬) নামের এক যুবলীগ নেতাকে হাতে নাতে ধরে এলাকাবাসী গণপিটুনী দিয়ে পুলিশী সোপর্দ করেছে।
লিঙ্কঃ http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=133650
৭) ১৫ ডিসেম্বার ২০১৩
সাতক্ষীরার দেবহাটায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে পালানোর সময় এক যুবলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
লিঙ্কঃ http://rtnn.net/newsdetail/detail/1/4/75020#.Uswk56hWMV1
৮) ১৫ ডিসেম্বার ২০১৩
প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সেনবাগ উপজেলা কাবিলপুর গ্রামের বাড়িতে হামলার প্রস্তুতিকালে পেট্রোল বোমাসহ তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আটক করা হয়েছে।
লিঙ্কঃ http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/1/4/75023#.Uq3LbdIW1IE
৯) ১ জানুয়ারী ২০১৪
বাসে পেট্রল ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মাগুরা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ
লিঙ্কঃ http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2014/01/01/37103#sthash.jzqDf3Kg.dpuf
১০) ৭ জানুয়ারী ২০১৪
নির্বাচনী সহিংসতা দেখিয়ে সরকারি অনুদান পাবার আশায় বগুড়ার শাজাহানপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক প্রধান শিক্ষক।
লিঙ্কঃ http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/1/4/76215#.Uswa1ahWMV0
জয় বাংলা
আরো ৫ বছরের জন্যে ঠ্যালা সামলা...
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন