কৃতজ্ঞ হওয়ার মানসিকতা তৈরি হওয়া উচিত ...( Develop an attitude of gratitude)
লিখেছেন লিখেছেন এখনো স্বপ্ন দেখি ১২ জুন, ২০১৩, ০৫:১৪:২৭ বিকাল
জীবনে যা প্রসাদ লাভ করেছেন তার হিসেব করুন, কেবল দুঃখ কষ্টের নয়। সময় মত গোলাপের সুবাস গ্রহন করুন।
কেউ কেউ দুর্ঘটনায় বা অসুখে অন্ধ হয়ে গেলে দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরন দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও সুস্থ মানুষ কি দশ লক্ষ টাকার লোভে অন্ধ হতে চাইবেন। অনেকেই চাইবেন না।
আমাদের যা নেই তা নিয়ে আমাদের অভিযোগ এত সোচ্চার যে আমাদের যা আছে তার দিকে নজর দিতে পারি না। বস্তুতপক্ষে, আমরা যা পেয়েছি তার জন্যই আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
দুঃখকষ্ট নয়, সুখের হিসেব কর- জীবন ভরে যাবে অনাবিল আনন্দে।
কৃতজ্ঞতাবোধ আমাদের জীবন যাত্রার অঙ্গ স্বরুপ হওয়া উচিত। জীবনে যে সমস্ত মানূষ ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছেন তাদের কথা চিন্তা করুন। আমার আপনার পিতা মাতা, শিক্ষক কিংবা অন্য কেউ যারা আমাদের সাহায্য করার জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছেন বা করছেন। তারা সম্ভবত তাদের কর্তব্য করেছেন--- কিন্তু আসলে তারা তার থেকেও বেশি করেছেন।
তারা তাদের সময়, অর্থ, প্রয়াস এবং আরও অনেক কিছু আমাদের জন্য স্বেচ্ছায় ব্যয় করেছেন এবং করছেন। তারা তা করছেন আমাদেরকে ভালোবেসে, আমাদের ধন্যবাদের জন্য বা কৃতজ্ঞতাবোধের জন্য নয়। কোনও এক সময় ব্যক্তি বুজতে পারবে যে তার ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য কতখানি সাহায্যের প্রয়োজন হয়েছিল। সেই কারনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কখনও দেরি হয়না। ভালোবাসাএ জন্য ত্যাগ স্বীকারের প্রয়োজন হয়।
আমরা সবাই ই জানি, ইসা (আঃ) এক সময় দশজন কুষ্ঠ রোগীকে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগমুক্ত করলেন, এবং তিনি পিছন ফিরতেই দেখলেন একজন ছাড়া সকলেই চলে গেছে। সেই একজন তাকে কৃতজ্ঞতা স্বরুপ ধন্যবাদ জানাল। তিনি বললেন,' আমি তো কিছু করিনি।' এখান থেকে আমরা কি শিক্ষা পেলাম-
১) মানূষ অকৃতজ্ঞ।
২) কৃতজ্ঞ ব্যক্তি আসাধারন ব্যক্তি।
৩) ইসা (আঃ) আল্লাহর হুকুমে তাদের নভজীবন দান করার পরও বললেন, ''আমি কিছুই করিনি।''
৪) কৃতজ্ঞতা আসা করা উচিত নয়।
জীবনে অনেক প্রাপ্তি লুকানো সম্পদের মতো--- তাদের প্রকৃত মূল্য আমরা জানি না। এই গুলিকেই বড় করে দেখা উচিত, দুঃখ কষ্টকে নয়।
এখনো স্বপ্ন দেখি, ২/৫/১১...
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন