নিজেকে নিজেই পরীক্ষা করুন, আপনার মূল্যবোধ কেমন. (Judge you, one self....How is your value system)..... মামা টেস্ট ( MAMA TEST) বা বাবা টেস্টের মাধ্যমে ( BABA TEST)
লিখেছেন লিখেছেন এখনো স্বপ্ন দেখি ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৬:২৮:৪৭ সকাল
একটি শিশুর জন্ম হলে কারা আনন্দ করেন? পিতা-মাতা, আত্মিয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্দব। কিন্তু শিশুটি কাঁদে। আমরা যখন মারা যাই ঠিক তখন ঠিক উল্টোটাই হওয়া উচিত। আমাদের আনন্দ হবে এই ভেবে যে, আমরা পৃথিবীকে কিছু অবদান রেখে যাচ্ছি; এবং যে অবস্তায় পৃথিবীকে দেখেছিলাম, তার থেকে ভালো অবস্তায় রেখে যাচ্ছি। সবাই এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করুক যে , পৃথিবী একটি সৎ ব্যক্তিকে হারিয়ে দরিদ্রতর হয়ে গিয়েছে।
সমস্ত কাজের অর্থ মুল্য নির্ধারন করা যায় না। আমাদের মাতা-পিতা যখন আমাদের শিশু অবস্তা থেকে বড় করেন , তখন তারা অর্থ মুল্য প্রত্যাশা করেন না। অনেক অর্থবান ব্যক্তি কিন্তু মনের দিক থেকে দরিদ্র। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, আমাদের অর্থ সম্পদ থাকবে, কিন্তু মানসিক দিক থেকেও ধনী হবো।
অর্থের প্রভাব যখন প্রবল হয়, তখন সত্যের কন্থস্বর শোনা যায় না। জীবনে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, উপার্জন না করে লোকে অর্থ পেতে চায়। অর্থ উপার্জন করা অপেক্ষাকৃত সহজ কিন্তু অর্থ রাখা কঠিন।
কঠোর শ্রম মানুষকে অর্থের মূল্য সম্পর্কে সচেতন করে। এই কারনেই অল্পবয়সীদের পিতা-মাতার পক্ষে তাদের সন্তানদের এই শিক্ষা দেওয়া খুব গুরুত্বপুর্ন। নতুন প্রজন্মকে যারা আমাদের উত্তারাধিকারী হয়েছে অথচ সম্পদের অর্থ বোজেনি, তাদের জন্য দুঃখ হয়। শিক্ষা না পাওয়ার ফলে নতুন প্রজন্মের তরুণ সমস্ত কিছু অর্থমূল্যে নির্ধারন করে। তারা ভাবে যে সব জিনিসই কেনা যায় বা বিক্রয় করা যায়- অবশ্যই এটা সত্য নয়। মূল্যবোধে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের কোন অর্থমূল্যে কেনা যায় না, এবং তারাও তাদের ওপর কোনও মূল্য আরোপ করেন না।
লোকে বিবেককে বিসর্জন দিয়ে রাতারাতি সাফল্য লাভ করতে চায়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। সত্যিকারের মূল্যবোধ অমূল্য। যখন অর্থের বিনিময়ে মূল্যবোধকে নষ্ট করা যায় বা ক্রয় করা যায়, তখন মূল্যবোধ অর্থহীন হয়ে যায়। কোনও আর্থিক লাভের দ্বারা এই ক্ষতিপুরুণ করা যায় না।
আসলে অনেক দিন থেকে লেখতে ভাল লাগতে ছিলনা। কিন্তু লেখারতো অনেক কিছুই আছে। আজ আমার মনে একটি চিন্তা উধয় হয়েছে, যে আমরা সব সময় শুদু মুল্যবোধ নিয়ে অনেক চিন্তা করে থাকি, তবে কিভাবে বুজতে পারব আমাদের মুল্যবোধ এর অবস্থান আমাদের মাঝে কটটুকু আছে, তা একবার ও চিন্তা করিনা। আজ আমার মনে একটি পরীক্ষা ভর করেছে, আর তা হলঃ
আমাদের মূল্যবোধের ব্যবস্থাটিকে কি ভাবে পরীক্ষা করবেন?
আমার বিশ্বাস দুঃভাবে করা যায়। চূড়ান্ত যে পরীক্ষা তার নাম হল, ‘’MAMA TEST’’ (মা পরীক্ষা) ।
আপনি যখন যে কাজ করেন বাড়িতে কিংবা কর্মস্থলে, একা কিংবা অন্য কারো সঙ্গে সেই কাজ সম্পর্কে যদি মুল্যবোধের প্রশ্ন ওঠে--- তাহলে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘আমার মা যদি এখন আমি এখন যে কাজ করছি তাই দেখতেন, তাহলে কি তিনি আমার সম্পর্কে গর্বিত হতেন আথবা লজ্জায় তার মাথা হেঁট হোতো’’? আতে আপনার মুল্যভোধ তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি এই MAMA পরীক্ষায় পাশ করেন এবং অন্য পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন, তাহলে আপনার মুল্যবোধের পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছেন বলে মনে করতে পারেরেন।
কিন্তু যদি আপনি ‘MAMA TEST ‘ এ অকৃতকার্য হন কিন্তু অন্য পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন, তাহলে ও আপনার মুল্যবোধের বিপর্যস্ত বলে ধরে নিতে হবে ।
এই পরীক্ষাটির পুনরাবৃত্তি করা প্রয়োজন। এ সম্পর্কে চিন্তা করুন। যখনই মুল্যবোধের ওপর কোন নির্দিষ্ট ধারনা পাওয়ার দরকার হবে, তখন নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘ আমি যা করছি তা যদি মা দেখতেন তাহলে তিনি গর্বিত হতেন , না লজ্জায় মাথা নত করতেন। আপনার দিধা-দ্বন্ধের মেঘ কেটে যাবে এবং আপনার জবাব পেয়ে যাবেন’’।
যদি মাতৃ পরীক্ষায় উত্তীর্ন না হন তাহলে আর একটি পরীক্ষা করা যায়, তার নাম ‘’BABA TEST’’ (বাবা পরীক্ষা) ।
যখন যেখানে যা কিছু করছেন সেই সময় নিজেকে প্রশ্ন করুন, ‘ যদি আমার ছেলেরা আমাকে এই কাজে করতে দেখত, তাহলে কি, তাদের এই কাজ দেখাতে পারতাম, অথবা লজ্জিত বোধ করতাম’?
ঠিক আগের মতো আপনার সন্দেহের মেঘ, আপনার মন থেকে দ্রুত সরে যাবে এবং আপনি প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন। যদি এই দুটি পরীক্ষা মানুষের মুল্যবোদ্গের সমস্যাতিকে পরিষ্কার করতে না পারে, তাহলে সেই ব্যক্তি মনূষ্যপদবাচ্য হওয়ার অনুপযুক্ত, তার বিবেক বলে কিছু অবশিষ্ট নেই।
যখন আমাদের মূল্যবোধের ধারনা খুব স্পষ্ট নয়, তখন আমরা যা চাই তা পাওয়া গেলেও সেটি বড় রকমের হতাশার দুঃখে পর্যবসিত হতে পারে।
তাই আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে সঠিক মূল্যবোধ সম্পন্ন হিসেবে গড়তে চাইলে, সবার আগে এই ‘আমাকে’ আমার মুল্যবোধের পরিবর্তন করা দরকার।
'মানুষ যা পেয়েছে, তার জন্য তাকে সম্মান জানানো হয় না, মানুষ পৃথিবীকে যা দিয়েছে তার জন্যই তার সম্মান।
( বর্তমান সময় যদি আমাদের এই ' উন্নত নৈতিক মূল্যবোধ ' বিষয়ে ট্রেনিং দেয়া হত তাহলে আজ আমাদের সমাজের অনেক অনাচার, হত্যা, খুন রাহাজানি, ধর্ষন , কমে যেত, অনেক সুখী সমৃদ্ধ একটি জাতি হিসেবে আমরা এগিয়ে যেতাম,
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন