সুন্দরবন ধবংশ হতে আর কত দেরী পাঞ্জেরী ?

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১০:৪৫:০৬ সকাল

TigerInSunderban

বিজয়ের মাসে বাঙ্গালী জাতির প্রতি শেখ হাসিনার উপহার হল ৩ লাখ ডিজেল দিয়ে সুন্দরবান ধবংস করা। সুন্দরবনের বাঘ হরিন তো আর নৌকা মার্কায় ভোট দিতে পারে না তাই সুন্দরবনে বাঘ সিংহ না থাকলেও শেখ হাসিনার কোন ক্ষতি হবে না। আর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে তো শেখ হাসিনাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে তাই আগেভাগেই যদি সুন্দরবন ধবংস করে দেই তাইলে তো আর মানুষ সুন্দরবনের ভিতরে এই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কোন কথা বলবে না। কারন বনই যদি না থাকে তাইলে এই পতিত ভূমিতে আমি কয়লা বিদ্যুৎ যা ইচ্ছা উৎপাদন করব এতে কার কি বলার আছে। তাই আওয়ামী লীগের প্রথম পদক্ষেপ হল এই সুন্দরবন ধবংস করে সুন্দরবনের ভূমি ভারতকে ইজারা দেওয়া। আপনারা জানেন সুন্দরবনের ৬০ ভাগ পরেছে বাংলাদেশে আর বাকী ৪০ ভাগ ভারতে পরেছে। সুন্দরবনের ১০০ ভাগই আমরা পেতাম কিন্তু ৪৭ সালে হিন্দুদের বিগার উঠছিল তাই হিন্দুরা কলকাতায় হাজারটা দাঙ্গা করে বাংলা ভাগ করছে। ব্রিটিশরা চেয়েছিল পুরা বাংলা এক রেখে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র করে দিবে অর্থ্যাৎ সিরাজউদ্দৌলার সময় যেই বাংলা ছিল অথবা পুরা বাংলাকেই পাকিস্তানের অধীনে রেখে দিবে। সেই সময় আগরতলার মহারাজ পাকিস্তানের সাথেই থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের হিন্দু ভাই বোনদের ভারত প্রীতি এতই বেশী যে উনারা দিল্লীর দাস হয়ে থাকতে রাজি আছে কিন্তু ঢাকার অধীনে স্বাধীন ভাবে থাকতে রাজী নয়। যার ফলে সুন্দরবনের প্রাণীকুলও ২ ভাগ হল। ভারত কিন্তু তার সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকাও চলতে দেয় না আর বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা তো দূরের কথা। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিন্তু ভারতের সুন্দরবনে না করে বাংলাদেশের সুন্দরবনে করা হবে। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশের সুন্দরবন ধবংস হয়ে গেলেই তো সারা পৃথিবীর সব পর্যটক ভারতের সুন্দরবনে যাবে। আর ঠিক সেই কারনেই হঠাৎ করে এই লাখ লাখ তেল বাংলাদেশের সুন্দরবনের জলাভূমিতে পরল। এটা এখন দিনের আলোর মত পরিস্কার সুন্দরবনের Eco-system/বাস্তুসংস্থান ধবংস হয়ে গেছে। সুন্দরবনে একটি জটিল বাস্তুসংস্থান কাজ করে। এখন কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যাবে তেলের কারনে সুন্দরবনের গাছপালা গুলিতে আর নতুন করে কোন ডালপালা জন্ম নিবে না, হরিণেরা কচি ডালপাতার অভাবে না খেয়ে মারা যাবে, বাঘ হরিণের অভাবে না খেয়ে মারা যাবে আর বাঘ না থাকলে আসতে আসতে সুন্দরবন ধবংস হয়ে যাবে আর বাঘ না থাকলে সুন্দরবনে আর কোন বিদেশী পর্যটকও আসবে না। তাই আমার মনে হয় এই ৩ লাখ ফার্নেস ওয়েল পরার ঘটনাটা হল সাজানো। যেইখানে ভারত পিলখানার নাটক করে ৫৭ জন আর্মি অফিসারকে হত্যা করল, আমাদের BDR কে ধবংস করে দিল সেইখানে ভারতের জন্য সুন্দরবন ধবংস করা কোন ব্যাপারই না। তাই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে এই ডিজেল পরে সুন্দরবনের Eco-system ধবংসের পক্রিয়ায় ভারত জড়িত। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আমরা যেন আর কোন কথা না বলতে পারি তাই ভারত আগে আগেই এই সুন্দরবন ধবংস করে দিবে। সুন্দরবন নিয়ে কোন কথা বলতে গেলেই সরকার বলে যে এত বন বন করলে আমাদের আবার গুহাজগতে ফিরে যেতে হবে। তাই একটা উন্নত রাষ্ট্র হতে হলে আমাদের কে এই বনভূমি উজার করে কলকারখানা বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। কিন্তু এইভাবে যদি বনভূমি উজার করতে থাকি আমরা তাইলে তো এক সময় আমরা অক্সিজেনের অভাবে মারা যাবে। শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে হলে তো গাছপালা লাগবে টাকা পয়সা ডলার দিয়ে তো শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া যাবে না। আর দেশের অর্ধেক মধু আসে সুন্দরবন থেকে। শুধু মধু না আরো অনেক কিছুই আসে সুন্দরবন থেকে। তো সুন্দরবন না থাকলে আপনি টাকা দিয়ে কি এইসব পন্য কিনতে পারবেন ? এইসময় আরেক ভাঁড় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলে কাল তেলে নাকি সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হয় না ! নতুন পরিবেশবিদ আসছে আরকি। জীবনানন্দ দাস একটি কথা বলেছিলেন এই পৃথিবীতে যারা অন্ধ তারাই আজ সবচেয়ে বেশী দেখতে পায়। বাসের এক হেল্পার থেকে শ্রমিক নেতা তারপর নৌ-পরিবহন মন্ত্রী হয়ে শাজাহান খান আমাদের কে পরিবেশ বিজ্ঞানের ছবক দেয়।

BANGLADESH_OIL_SPI_2243121f

দূর্ঘটনার দশ দিন পর বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সুন্দরবন যেয়ে বলছে তেলে নাকি সুন্দরবনের কোন ক্ষতিই হবে না মানে এখন থেকে সুন্দরবনের প্রাণীকূল পানির বদলে তেল খাবে। তেলও এখন থেকে সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থানের একটি অংশ হয়ে গেল। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কথা শুনলে মনে হচ্ছে সুন্দরবনের প্রাণিকুল পানির বদলে তেল খায়। তাই কালো তেলে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না। এই পর্যন্ত মাত্র ২০ হাজার লিটার তেল অপসারন করা হয়েছে। আর বাকী ২ লাখ ৮০ হাজার তেল এখনো সুন্দরবনের ভিতরে মিশে আছে। জোয়ার ভাটার কারনে এই তেল গুলা এখন সুন্দরবনের খালবিল পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। শ্বাসমূলের গাছ গুলির গোডায় পর্যন্ত তেল লেগে আছে। তেল গাছে লেগে থাকলে এই গাছের ডালপালা খেলে হরিণের ক্ষতি হবে এই যুক্তিতে এখন বাঙ্গালী তেল লাগা সুন্দরবনের সব গাছপালাও কেটে ফেলছে। কাট বাঙ্গালী গাছ কাট। না চাইতে আল্লাহ তোমাদের কে এত বড় একটা বন দিছে তাই তোমরা এই সুন্দরবনের কি গুরুত্ব বুঝবা। পৃথিবীর বহু দেশ বনের হাহাকার করে। আর আমরা এতবড় একটা বন পেয়েও সামান্য কিছু পয়সার লোভে তাকে বিরান ভূমিতে পরিণত করলাম। পত্রিকায় পড়লাম এখনো শ্যালো নদীতে ট্রলার চলছে। ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের আওয়াজে সুন্দরবনের পশুপাখি খুব ভয় পায়। এতে তাদের মানসিক সমস্যা হয়। আর যখন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে তখন তো চিমনির ধোয়ায় সব মারা যাবে। তাও আমরা সুন্দরবনের এই ক্ষয়ক্ষতির বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবো না। কারন পুরা দেশ টা হচ্ছে আওয়ামীলীগের করদ রাজ্য। দেশে না এত নৌ বাহিনী, এত পরিবেশ অধিদপ্তর, এত যন্ত্রপাতি তো তারা কেউই কি পারে না সুন্দরবনের পানি থেকে এই তেল গুলি অপসারন করতে ? বিদেশেও তো এই জাতীয় অনেক প্রযুক্তি আছে। তেল তো পানির উপর কয়েকদিন জমাট আস্তরের মত লেগে ছিল। তো তখনো তো পারা যেত খুব সহজেই এই তেলগুলি অপসারন করতে। আর এখন এইসব বলে কি হবে এখন তো পুরা সুন্দরবনেই তেল ছড়িয়ে পরেছে।

সুন্দরবনে গেলে আপনারা এখন দেখবেন সুন্দরবনের পাড়জুড়ে কেউ কালো রঙ করে দিয়েছে। এত কঠিন কাল তেল যা এখন সুন্দরবনের মাটির রংকেই পরিবর্তন করে দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী গাছগুলি তেলে চুপচুপে হয়ে গেছে। আশপাশের বাঘ হরিন গুলি আর নদীতে পানি খেতে আসে না। এরা তো মনে হয় এখন পানির অভাবে মারা যাবে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। সুন্দরবন ধ্বংশের কারণে পরিবেশ ভারসাম্য হীন হয়ে যাবে। যেকোন মূল্যে সুন্দরবন রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব যদিও তা আন্দোলনের মাধ্যমে হোক। সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে প্রতিদিন ১৫০ টা করে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার চলে কিন্তু ভারতের সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে একটি ট্রলারও চলে না। এরপরেও কি বলবেন সুন্দরবন কে ধবংস করা হচ্ছে না। সুন্দরবনকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এগুলি করা হচ্ছে। কারণ, রামপালে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হবে, বিশেষজ্ঞরা বলছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করলে সুন্দরবন ধ্বংস হবে। তাই তারা সুন্দরবনকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে। বিদেশে তেল শোষন করার অনেক জাহাজ আছে, যেগুলো পানি থেকে খুব সহজে তেল অপসারন করতে পারে । সরকার ইচ্ছা করলেই সুন্দরবন কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারত । চটগ্রাম থেকে ক্লিনার ২টা জাহাজ থাকার পরও তা কেন সুন্দরবনে আনা হল না, এই থেকে বুঝা যায় দেশ নিয়া গভীর ষড়যন্ত্র চলতেছে।

child helping2

যেইসব গ্রামবাসী তেল সংগ্রহ করেছিল এখন তারা বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাই স্পষ্টত বুঝা যাচ্ছে এই তেলের সংস্পর্শে সুন্দরবনের যেইসব প্রাণী আসবে তাদেরও বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা যাবে। শেখ হাসিনা আসলে এটাই চাইছিল।

এটা দূর্যোগ না এটা মহাদূর্যোগ। আগামী ৫০ বছরের মধ্যেও সুন্দরবন এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ। আমি তো দেখছি সরকারের কোন আগ্রহই নাই এই তেল অপসারনের ব্যাপারে। এই ৩০ টাকা করে তেল কিনে কয় টাকার তেল অপসারন করা যাবে। পৃথিবীর সেরা রসায়ন বিজ্ঞানীদের সাহায্য চাওয়া উচিত কিভাবে এই তেল অপসারণ করা যায়। সুন্দরবন তো খালি বাংলাদেশের সম্পত্তি না এটা তো একটা বিশ্ব ঐতিহ্য। সরকার বাইরের সাহায্য চাইলে অনেক বড় বড় পরিবেশ বিজ্ঞানী রসায়নবিদ এগিয়ে আসবে আমি নিশ্চিত। এর আগেও এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ২ বার সিমেন্টের

কাঁচামাল বহনকারী ২ টি জাহাজ সুন্দরবনের পশুর চ্যানেলে ডুবে যেয়ে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু সেটা ঐভাবে মিডিয়াতে আসে নাই। অর্থ্যাৎ দুনিয়ার সব বর্জ্য পদার্থ কাঁচামালের ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে সুন্দরবন। দেখেন বিশ্বব্যাংক কিন্তু এই ঘটনায় একদম চুপ। অর্থ্যাৎ বিশ্বব্যাংকও চাচ্ছে এই সুযোগে সুন্দরবন কে দিয়ে কিছু ব্যবসা করে ফেলি। সুন্দরবন ধবংস হলে সবচেয়ে বেশী লাভ হবে এই IMF, বিশ্বব্যাংকদের। কারন তারা তখন সুন্দরবনের সব সম্পদ লুটেপুটে খেতে পারবে। দশ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গায় তখন খালি কলকারখানা আর ইটের ভাটা হবে। সুন্দরবন একটি প্রাগৈতিহাসিক বন। ১৫০০ সালের দিকে পর্তুগীজ কিছু ধর্মযাজক বাংলায় আসছিল। তারা তাদের বিবরনে বলেছিল তারা সুন্দরবনে গন্ডার দেখতে পেয়েছিল। এক সময় সুন্দরবনে চিতাবাঘও ছিল। মোঘল বাদশাহ আকবরও সুন্দরবনে ঘুরতে গিয়েছিল।

ball copy_72133

আমি কোনদিনও খুলনার দিকে যায় নি। কিন্তু শৈশব কাল থেকেই আমার মনের ভিতর সব সময় একটা সুপ্ত ইচ্ছা কাজ করে যে জীবনে একদিন না একদিন আমি সুন্দরবনে যাব। শুধু আমি না বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের হৃদয়েই একটা সুপ্ত স্বপ্ন আছে যে সে তার সারা জীবনের মাঝে একবার হলেও সুন্দরবনে ঘুরতে যাবে। যদি আজকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে সুন্দরবন কে ধ্বংস করা হয় তাহলে যে শুধু সুন্দরবন ধ্বংস হবে তাই নয় বাংলাদেশের প্রত্যেকটা কিশোরের হৃদয়ের আশৈশব কাল থেকে পোষা সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়া একটি স্বপ্নেরও পরিসমাপ্তি ঘটবে। হুমায়ন আহমদ Sir এর “ময়ুরাক্ষী” উপন্যাসটা যারা পড়েছেন তারা জানেন যে এক কিশোরের কল্পনায় ময়ুরাক্ষী নামে একটা নদী ছিল। ঐ কিশোরের যখন মন খারাপ হয়ে যেত তখন সে কল্পনায় তার ময়ুরাক্ষী নদীটির কথা চিন্তা করত। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের হৃদয়েই সুন্দরবন আছে। আজকে যদি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে সুন্দরবন ধ্বংস করা হয় তাহলে আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ের সেই সুন্দরবনটিও ধ্বংস হবে। আর তা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোনদিনও শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করবে না।

বিষয়: বিবিধ

২২৪৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

305545
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দরবন নিয়ে আ্ন্তর্জাতিক বন্যপ্রানি ও পরিবেশ সংরক্ষন গোষ্ঠির হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ও সাহাজ্য আছে। বাংলাদেশে সুন্দরবন ধ্বংস হলে পুরা টাকাটাই দিদির সরকার পাবে!
305562
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:২৭
জেলপেন লিখেছেন : ঠিক বলেছেন! ✔
305598
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৫২
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
306864
০২ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২১
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : দেখার কেউ নাই, খুব খারাফ লাগলো। ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File