রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজ টা কেন চালু হতে পারল না ?

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১০:২৫:০৬ রাত



২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে শেখ হাসিনা রাঙ্গামাটিতে যেয়ে রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। এই বছরের ১০ জানুয়ারী শেখ হাসিনা নিজে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। বর্বর চাকমা বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের জন্য সরকার রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজের সব ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে। জংলী চাকমা মারমাদের কথা হল শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে তারা কোন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ স্থাপন করতে দিবে না। তো তাদের এই কথার সূত্র ধরেই আমি বলতে চাই যেহেতু আপনাদের কথামত এখনো সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করেনি তাইলে কেন আপনারা কোটার জোরে সমতলের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে পড়াশুনা করছেন ? আপনাদেরও তো উচিত চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়া, কোন সরকারী চাকুরী না করা। আর আপনারা যে বুয়েট মেডিক্যাল ঢাবিতে পড়ছেন তা তো আপনারা কোন মেধার জোরে পড়ছেন না। উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত শতকরা ৫ ভাগ কোটার জোরে আপনারা সব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এমনকি এই কোটার জোরে আপনারা BCS ক্যাডারও হয়ে যাচ্ছেন। যেই যুক্তিতে আপনারা আজ রাঙ্গামাটিতে মেডিক্যাল কলেজটা করতে দিলেন না সেই যুক্তিতে আপনাদেরও তো উচিত এখনি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজেদের ছাত্রত্ব বাতিল করে দেওয়া ও সরকারী চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে নেওয়া। তবে আপনারা যেহেতু একটা বর্বর জাতি তাই আপনারা সহজ সরল বাঙ্গালী জাতির মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছেন। আপনারা একটু চিন্তা করে দেখুন সেই ৮০ এর দশক থেকে বাংলাদেশ সরকার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ক্ষেত্রে ও সরকারী চাকুরীতে উপজাতিদের জন্য শতকরা ৫ ভাগ কোটা রেখেছে। কোটার জোরে বহু উপজাতি এখন BCS ক্যাডার। যেখানে আমরা ভর্তি পরীক্ষায় ৭০ পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে Chance পাই না সেখানে এই চাকমা মারমারা ভর্তি পরীক্ষায় ৩৩ পেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। সরকারী নিয়োগ পরীক্ষায় এই চাকমারা পাস মার্ক পেলেই চাকুরী পেয়ে যায়। সেই ৮০ এর দশক থেকেই চাকমা মারমারা বাংলাদেশটাকে চুষে খাচ্ছে। শেখ হাসিনা রাঙ্গামাটিতে একটা মেডিক্যাল কলেজ করতে চাইল কিন্তু জংলী চাকমা গুলি তা শেখ হাসিনাকে করতে দিল না।

উপজাতিদের কথা হল আমাদের এলাকায় মেডিক্যাল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হলে আমরা আমাদের জমি হারাবো। তো আমি তাদের কে বলতে চাই তারা যে সমতলের এতগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে সেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলি যখন সরকার স্থাপন করেছিল তখন কি সরকার সাধারন মানুষের ভূমি অধিগ্রহন করে নি ? হ্যা করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বহু কৃষক তাদের বসতভিটা জমি বাড়িঘর হারিয়েছে। এই সাধারন মানুষদের ত্যাগের বিনিময়েই আজ বাংলাদেশে এত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। তো আপনারা কেন রাঙ্গামাটিতে নিজেদের জমি ছাড়বেন না মেডিক্যাল কলেজ করার জন্য। শেখ হাসিনা তো আর জোর করে আপনাদের কাছ থেকে জমি ছিনিয়ে নিচ্ছে না। মেডিক্যাল কলেজ করতে ক্ষতিগ্রস্থ সব পরিবারকেই শেখ হাসিনা ক্ষতিপূরন দিবে। আর এই রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজ করতে মাত্র ৫০ টা উপজাতি পরিবারের জমি অধিগ্রহন করবে সরকার। এই ৫০ টা পাহাড়ী পরিবারকেই সরকার তাদের ভূমির আর্থিক মূল্য ও অন্য জায়গায় পূনর্বাসন করে দিবে। এই উপজাতিরা যে কোটার জোরে বুয়েট মেডিক্যাল ঢাবিতে পড়ে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরী করতেও তো হাজার হাজার মানুষ তাদের বসতভিটা হারিয়েছে। আর সেখানে মাত্র ৫০ টা উপজাতি তাদের বসত বাড়ি দিতে রাজি হচ্ছে না। সরকার তাদের বসত বাড়ি অধিগ্রহন করলেও তাদের জমির পুরা দাম ও অন্য জায়গায় তাদের বাড়িঘর করে দিবে। তাই পাহাড়ীদের আপত্তি করার কোন কারন তো কিছু দেখছি না। পদ্মা সেতু করতেও তো বহু মানুষ তাদের বসতবাড়ি হারিয়েছে। কিন্তু দেশের জনমানুষের স্বার্থে তারা ঠিকই তাদের বসত বাড়ি সরকারকে দিয়ে দিয়েছে। আর সরকারও তাদেরকে অন্য জায়গায় পুনর্বাসন করে দিয়েছে। এই চাকমা গুলি আসলেই ছ্যাচড়া। তারা তাদের এলাকায় কোন মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় করতে দিবে না কিন্তু ঠিকই ছ্যাচড়ার মত আমাদের এলাকায় এসে কোটার জোরে বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়বে। লজ্জা বলতে আসলে কিছু নাই এই চাকমা মারমাদের। এই চাকমারা খৃষ্টান মিশনারীদের কে তাদের এলাকায় স্কুল কলেজ হাসপাতাল করতে কোন বাধা দেয় না। খালি আমরাই করতে গেলে ১৪৪ ধারা জারি হয়ে যায়। এই চাকমা মারমা গুলি এখন সব খৃষ্টান হয়ে যাচ্ছে। তারপর এরা ফ্রীতে খৃষ্টান মিশনারীদের স্কুল কলেজে পড়ে। এরপর আবার ৫ ভাগ কোটা। আমরা তেল মাথায় আর কত তেল দিব ? ভারতেও অনেক চাকমা আছে। চাকমারা পার্বত্য চট্রগ্রামকে আলাদা করে তারপর ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরার কিছু অংশ মিলিয়ে একটি স্বাধীন চাকমা রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। আর ঠিক সেই কারনেই চাকমারা চায় না আমরা পার্বত্য চট্রগ্রামে গিয়ে বসবাস করি। চাকমারা খুব লোভী হয়। মাত্র ৩ লাখ টাকা পেলেই চাকমারা এখন খৃষ্টান হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রাম হবে একটি খৃষ্টান রাজ্য।

রাঙ্গামাটি মেডিক্যাল কলেজ তো আর চালু হল না এখন চাকমারা রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতেও সরকারকে বাধা দিচ্ছে। ঠিক একই যুক্তি যে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা কোন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে দিবে না। যেহেতু আমরা রাঙামাটিতে মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে পারলাম না তাই আমাদের এখন উচিত হবে দেশের সব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এই চাকমা মারমাদের কে ঝেটিয়ে বিদায় করা। জংলীরা জংগলে থাকবে কোন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে না। সেই ৮০ এর দশক থেকে চাকমা মারমাদের কে এত এত সুযোগ সুবিধা দিয়েও আমরা তাদের এলাকায় কোন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে পারলাম না তাই আর তাদেরকে এই শতকরা ৫ ভাগ কোটার সুযোগ দেবার কোন মানে হয় না। আপনি এদের কে যত সরকারী চাকুরি বাকুরিই দেন এরা কখনোই তাদের এলাকায় আপনাকে থাকতে দিবে না। হ্যা এই চাকমা মারমারা দেশের সব এলাকাতে জমি বাড়িঘর ফ্ল্যাট কিনতে পারলেও আপনি কখনোই পার্বত্য চট্রগ্রামে যেয়ে এক ছটাক জমিও কিনতে পারবেন না। হোটেল মালকরা জমি কিনতে না পারার কারনে পার্বত্য চট্রগ্রামে পর্যটন ব্যবসা জমজমাট হতে পারছে না। এই উপজাতিদের কথা হল আমরা তোমাদের রক্ত চুষে খাব কিন্তু তোমরা কোন প্রতিবাদ করতে পারবে না। আর যখনই তোমরা আমাদের এলাকায় বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করতে যাবা তখনই আমরা বহির্বিশ্বে বলব বাঙ্গালীরা আমাদের উপর অত্যাচার করছে, বাঙ্গালীরা একটা বর্বর জাতি। বার্মাতে এই চাকমা মারমাদের সহোদর ভাই রাখাইন বৌদ্ধরা আমাদের রোহিংঙ্গা ভাই বোনদের উপর কি পাশবিক নির্যাতনটাই না চালায়। খোদ কক্সবাজারেই ৬ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু হিসাবে আছে। রোহিঙ্গারা আজ পর্যন্ত বার্মার নাগরিকত্ব পাইনি। বার্মার বহু প্যাগোডায় আমাদের রোহিঙ্গা বোনরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সেবাদাসী হয়ে জীবন যাপন করছে। যখন ইচ্ছা বার্মিজ সেনাবাহিনী আমাদের রোহিঙ্গা বোনদের কে তুলে নিয়ে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ইচ্ছা হলে বার্মিজ সেনাবাহিনী আমাদের রোহিঙ্গা বোনদের কে ফেরত দেয় আর না হলে তাদের কে তারা হত্যা করে ফেলে। আমাদের যেই রোহিঙ্গা বোনরা বার্মিজ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে ফিরে আসে তারা সারাজীবন একটা কলংক বয়ে নিয়ে বেড়ায়। নূন্যতম মানবাধিকার বলতে যা বুঝায় তা আমাদের রোহিঙ্গা ভাই বোনরা বার্মার কাছ থেকে পায় না কারন তারা হল সব মুসলমান। সেই তুলনায় চাকমা মারমারা তো বাংলাদেশে জান্নাতে থাকে। কিন্তু এই চাকমা মারমাদের কে আমরা এত এত সুযোগ সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও পার্বত্য চট্রগ্রামে তারা আমাদের কে একটা মেডিক্যাল কলেজ চালু করতে দেয় না। এখন সময় আসছে এই বার্মিজ জানোয়ার গুলিকে একটা উচিত শিক্ষা দেওয়া।

আজ থেকে ৩০ বছর আগেও এই চাকমা মারমারা পাহাড়ে পাহাড়ে ল্যাংটা হয়ে ঘুরে বেড়াত। শেখ হাসিনা শান্তি চুক্তি না করলে এরা এখনো বনে বাদড়ে পরে থাকত। আমরাই এদের কে পোশাক পরা শিখাইলাম, পড়াশুনা শিখাইলাম আর এরা কিনা এখন আমাদের কেই সেটেলার বলে গালিগালাজ করে। চাকমাদের কে পড়াশুনা শিখিয়েছে বাঙ্গালীরাই। ব্রিটিশ পিরিয়ডেও এই চাকমারা ল্যাংটা হয়ে হয়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত। কোটার জোরে বহু চাকমা এখন BCS ক্যাডার হয়ে যাচ্ছে। এরপর তারা বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার করছে। এক সময় এরাই বাংলাদেশ থেকে আলাদা হয়ে বার্মার সাথে এক হয়ে যাবে। দেশের বেশীর ভাগ লোক পার্বত্য চট্রগ্রামের অবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানে না। এরা শুধু কয়েকদিনের জন্য পার্বত্য চট্রগ্রামে যেয়ে পিকনিক করে চলে আসে। আমাদের কে প্রতিবাদী হতে হবে এই চম্পক নগর থেকে বিতাড়িত চাকমাদের বিরুদ্ধে।

বিষয়: বিবিধ

১৮৯৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

302583
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:২৭
সজল আহমেদ লিখেছেন : এইসব ছাগুপাল নুপসুংশু চাকমাগুলার পাছায় লাথি মাইরা মায়ানমার ,চিন পাঠাইয়া দেওয়া উচিত্‍ ।
302603
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৬
হতভাগা লিখেছেন : কোটা প্রথা দেশ বিধ্বংসী একটা প্রক্রিয়া আর এতে আসছে উপজাতিরা যারা আদৈ সাধজারণ মেধায় কষ্মিনকালেও চান্স পেত না ।

চাকমা চুকমারা বাংলাদেশের জন্য ভাল কিছু করে না ।

বাসা বাড়ির চাকর বাকর বানিয়ে রাখা উচিত এগুলোকে।

এরকমই হয় বারিধারা , নদ্দা এলাকা সহ ডিপ্লোম্যাটিক জোনে । সেখানে গৃহ পরিচারিকা্র কাজে এই উপজাতিরাই এগিয়ে ।

বাংলাদেশের ঘরে ঘরে যে গৃহ পরিচারক সমস্যা তা এই উপজাতি দিয়ে মেটানো যায় খুব সহজেই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File