বৈজ্ঞানিক জার্নালে আল কোরআনের সত্যতা স্বীকার !
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:৩৩:৫২ রাত
International Journal of Cardiology তে "The heart and cardiovascular system in the Qur'an and Hadeeth" নামে একটি বৈজ্ঞানিক জার্নাল প্রকাশ হয়েছে। কোরআন হাদীসে হৃদপিন্ড ও রক্ত সঞ্ঝালন প্রক্রিয়া সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা যে আধুনিক বিজ্ঞান সমর্থন করে সেই বিষয় নিয়েই এই জার্নাল টা লেখা হয়েছে। যারা মেডিক্যাল সায়েন্সে পড়াশুনা করেন তারা জানেন যে The International Journal of Cardiology- একটি বিখ্যাত জার্নাল। এই জার্নালটা Elsevier নামক প্রকাশনা সংস্থা থেকে বের হয়। “The heart and cardiovascular system in the Qur'an and Hadeeth” এই জার্নালটা লিখেছেন Marios Loukas, Yousuf Saad, R. Shane Tubbsb, Mohamadali M. Shojac। এর মাঝে Marios Loukas আমেরিকার St. George’s University-এর Anatomical Sciences এর প্রফেসর হিসাবে কর্মরত আছেন। প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীদের দাবি অনুযায়ী তাদের ধর্মগ্রন্থে নাকি অনেক বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে ! এমনকি হিন্দু পরিবারের রায়-পাল অভিজিৎ রায় নামের 'মুক্তমনা/নাস্তিক' দাবিদারদের দাবি অনুযায়ী ইসলামের চেয়ে হিন্দু ধর্মে নাকি অনেক বেশি বিজ্ঞান আছে ! হৃদপিন্ড ও রক্ত সঞ্ঝালন সম্পর্কে কোরআন হাদীস যা বলে সেটা যে ঠিক তা নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে পেপার প্রকাশিত হয়ে বিজ্ঞানের সাথে যে কোরআনের কোন বিরোধ নেই তা প্রমান হল। পৃথিবীর আর কোন ধর্মগ্রন্থের উপর ভিত্তি করে কোন লেখা কখনোই কোন বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ হয় নি। The International Journal of Cardiology তে এই নিবন্ধটা প্রকাশ পাবার সাথে সাথেই মুক্তমনা ব্লগের মালিক অভিজিৎ রায় চিল্লাচিলী শুরু করে দিয়েছিল। কারন এইসব মুক্তমনারা সারাদিন দাবী করে কোরআনে নাকি বিজ্ঞান নাই কোরআন নাকি সেকেলে। কিন্তু অভিজিৎ রায়দের মুখে থুথু মেরে এই পৃথিবীর প্রথম শ্রেনীর বিজ্ঞানীরা স্বীকার করে নিল হৃদপিন্ড ও রক্ত সঞ্ঝালন প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোরআন হাদীস যা বলে তার সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের কোন বিরোধ নেই। একমাত্র ইসলাম ধর্ম ছাড়া আর কোন ধর্মেই ভ্রুন, মানব শিশুর উৎপত্তি সম্পর্কে বলা নাই। এর আগেও কানাডার অধ্যাপক ডঃ কিথ মুর কোরআন ও ভ্রুন বিদ্যার উপর একটি বই লিখে প্রমান করেছেন আজ থেকে ১৪০০ বছর আগেই কোরআনে আধুনিক ভ্রুনবিদ্যা সম্পর্কে বলা হয়েছে। “The heart and cardiovascular system in the Qur'an and Hadeeth” এই জার্নালটা এখানে http://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S016752730900566X প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু Elsevier এর নিবন্ধিত মেম্বার ছাড়া আর কেউ সেটা পড়তে পারে না। আর তাদের জার্নালে আপনাকে নিবন্ধিত হতে হলে বছরে ২০০ ডলার খরচ করতে হবে। তবে slide share এর সৌজন্যে আপনারা এই লিংক http://www.slideshare.net/kingabid/the-heart-and-cardiovascular-system-in-the-quran-and-hadeeth এ যেয়ে সেটা ফ্রীতে পড়তে পারবেন। ডাক্তারদের কে অনুরোধ করছি এই নিবন্ধটি বাংলায় অনুবাদ করতে যেন সব মুসলমানরা কোরআনের বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারনা পায়।
The Brain and Heart Miracle in the Noble Quran Confirmed by Science এই আর্টিকেলটাও পড়তে পারেন http://www.answering-christianity.com/mahir/brain_heart_miracle.htm এটা অনেক বড় একটা খবর। কিন্তু বাংলাদেশের লোকেরা এটা জানেও না। একটা প্রথম শ্রেণীর বৈজ্ঞানিক জার্নালে কোরআনের বৈজ্ঞানিক সত্যতাকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে এটা যেন তেন কথা না। আমি ঐ জার্নালের একটা অংশ অনুবাদ করেছি। তা হল সেখানে সূরা হাক্কাহর ৪৬ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আয়াতটা আমরা দেখি ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِينَ এখানে আল ওয়াতীন মানে হল Life artery যেটাকে মেডিক্যালের ভাষায় বলা হয় aorta এই আয়াতের অনুবাদটা হল এবং তার হৃদপিন্ডের ধমনী ছিন্ন করে ফেলতাম। হৃদপিন্ডের ধমনী Aorta যা হৃপিন্ডের বাম প্রকোষ্ঠ থেকে শুরু হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালিত করে। এই ধমনী বিচ্ছিন্ন হলে কেউ বাঁচতে পারে না। Aorta সম্পর্কে মানুষ জানছে এই কিছুদিন হল আর সেটা আল কোরআনে ১৪০০ বছর আগেই বলে দেওয়া হয়েছে। এই পৃথিবীর প্রথম শ্রেণীর সব বিজ্ঞানীরাই ইহুদী ও খৃষ্টান পরিবার থেকে উঠে আসা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই উনারা সবাই উনাদের ধর্মগ্রন্থ তালমুদ ও বাইবেল সম্পর্কে জানে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ইহুদী বা খৃষ্টান বিজ্ঞানীই তালমুদ বা বাইবেলের উপর ভিত্তি করে কোন বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লিখে নাই। আর বৈজ্ঞানিক জার্নালে সেটা প্রকাশ হওয়া তো দূরের কথা। তাওরাত যাবুর ও ইঞ্জিলে হয়ত বিজ্ঞানের অনেক তথ্য সম্পর্কে বলা ছিল কিন্তু এই ইহুদী খৃষ্টানরা তাওরাত যাবুর আর ইঞ্জিল কে এত বিকৃত করছে যে এখন এগুলিতে কোন সত্য কথাই খুঁজে পাওয়া যায় না। খোদ খৃষ্টানদের ভিতরেই বাইবেলের ৩৩ টা সংস্করন প্রচলিত আছে। বাইবেলের এক সংস্করনের সাথে আরেক সংস্করন মিলে না। ক্যাথলিকদের বাইবেল একটা আবার ব্যাপ্টিসদের বাইবেল আরেকটা।
বিষয়: বিবিধ
২৬৬০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
এরপরে আমাদের আলোচনার বিষয় ইসলামের আলোকে জীববিদ্যা বা বায়ুলজি। সাথে হালকা সাইকুলজিও থাকিবে।
তথ্য ১:
সঙ্গম কালে ইনশাল্লাহ বা আল্লা চাহে তো বলিলে পুত্র সন্তান জন্ম নিবে।
(Sahih Bukhari 4:52:74)
এতে কী সুবিধা হবে, বলেন দিখি ভাইসাবেরা? আল্লার রাস্তায় জিহাদি পাওয়া যাইবে গণ্ডায় গণ্ডায়।
তথ্য ২:
মায়ের পেতে সন্তান প্রথম ৪০ দিন বীর্য হিসাবে থাকে, তার পরের ৪০ দিন রক্তের জমাট গোলা হিসাবে থাকে তার পরের ৪০ দিন মাংসপিণ্ড হিসাবে থাকে।
(Sahih Bukhari 4:54:430)
দ্বীনের নবী আসলেই একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
তথ্য ৩:
গর্ভ ধারণের ৮০ দিন পড়ে গর্ভের শিশু পুরুষ না মহিলা তা নির্ধারিত হয়।
(Sahih Bukhari 8:77:594)
আর নাস্তিক বিজ্ঞানীরা বলে বেড়ায়, গর্ভধারণের সময় নাকি ছেলে বাচ্চা না মেয়ে বাচ্চা, তা নির্ধারিত হয়ে যায়। যতসব মূর্খ বিজ্ঞানীর দল। আপনারাই বলেন, আল্লা-রাসুলের থেকে বেশি কি কারো পক্ষে জানা সম্ভব?
তথ্য ৪:
কেহই জানে না গর্ভস্থ শিশু ছেলে না মেয়ে।
(Sahih Bukhari 2:17:149)
আলট্রাসাউন্ড টেকনোলজি আসলে শয়তানের হাতিয়ার। ইমান আকিদা থেকে দুরে সরানোর জন্য নাস্তিক বিজ্ঞানীরা এসব বানিয়েছে।
তথ্য ৫:
জন্মের পরে শিশু কাঁদে যদি শয়তান এসে তাকে স্পর্শ করে।
(Sahih Bukhari 4:54:506)
জন্মের পড়ে আমি কান্দি নাই দেইখা যে ডাক্তার আমার পাছায় থাবড়া মাইরা কান্দাইছিল, সেইটা ছিল আসল শয়তান।
তথ্য ৬:
জন্মদাগ হয় অভিশাপ থেকে, জাদু টোনা থেকে।
(Sahih Bukhari 7:71:635)
আল্লা-খোদার নাম নেয়ার পরেও এই অবস্থা কেনে হয়?? জবাব দাও হে রাব্বুল আলামিন।
তথ্য ৭:
হাই তোলা শয়তানের কারসাজি। আর কেউ যদি হাই তোলার সময় শব্দ করে শয়তান নাকি খিকখিক করে হাসে।
(Sahih Bukhari 4:54:509)
ঘুম পাড়ানি মাসিপিসিরা কি তাইলে আসলে শয়তান? :
সুবহানাল্লাহ! খবরটি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ৷
আরও একটা academic পেপার আছে,
মানুষের অসুখ ও এর সমাধান in Holy books (mainly Quran).
যখন ইসলাম সম্পর্কিয় পোষ্ট দিবেন তখন কিছু নাস্তিকদের ঐ পোষ্টের জন্য ব্লক করে দেয়া উচিত, এরা মিথ্যা কথা ছড়ায়। এরা যেসব রেফারেন্স দেয় তা আধিকাংশ সময় খুঁজে পাওয়া যায় না বা আংশিক কথা তুলে দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। এতে সাধানর মানুষেরা সহজেই বিভ্রান্ত হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন