ইউরোপ আমেরিকা হিন্দু নাস্তিকদের কে কিভাবে মূল্যায়ন করে ?

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:৩০:৫১ রাত



অভিজিৎ রায়



প্রবীর ঘোষ

আসিফ মহিউদ্দীনের সাথে সেদিন আমার অনেক Chat হল। আসিফের সাথে আমার প্রায়ই Chat হয়। তো কথার ফাঁকে আমি আসিফ কে জিজ্ঞাস করলাম সুব্রত শুভকে কেন জার্মানী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। সুব্রত শুভ হচ্ছে সরকার কর্তৃক যে ৪ জন নাস্তিক ব্লগার গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের মাঝে একজন। সুব্রত ঢাবিতে বাংলায় পড়ে ও জগন্নাথ হলে থাকে। ঢাবির একজন ছাত্র হিসাবে সুব্রতর তো অনেক আগেই জার্মানী চলে যাবার কথা যেহেতু সুব্রতও আসিফের মত একই মামলায় আড়াই মাস জেল খেটেছে। তখন আসিফ আমাকে বলল ইউরোপ আমেরিকায় হিন্দু নাস্তিকদের কোন বেইল না। ইউরোপীয়রা ভাবে হিন্দুরা নাস্তিক হয় ইসলাম ধর্ম কে গালিগালাজ করার জন্য। হিন্দু নাস্তিকদের কে কখনোই ইউরোপ আমেরিকার মিডিয়া লাইম লাইটে আনে না। তখন আমি চিন্তা করে দেখলাম আসলেই তো অভিজিত্‍ রায়, প্রবীর ঘোষ আজ পর্যন্ত কোন আন্তর্জাতিক এওয়ার্ড পায় নি, ইউরোপের কোন পত্রিকায় অভিজিত্‍ রায়, প্রবীর ঘোষের কোন ছবিও ছাপা হয় নি। কিন্তু আসিফ অভিজিত্‍ রায়ের হাটুসম বিদ্যার অধিকারী হয়েও এই বয়সে কয়েকটা আন্তর্জাতিক এওয়ার্ড পেয়ে ফেলেছে, অক্সফোর্ডে বক্তৃতা দিয়ে এসেছে, জার্মানীর জাতীয় পত্রিকায় আসিফ মহিউদ্দীনকে নিয়ে প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ১ যুগ ধরে নিরলস ভাবে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে, কয়েকটি বই বের করেও অভিজিৎ রায় আজ পর্যন্ত একটা এওয়ার্ডও পায় নি। এই কথা শুধু অভিজিৎ রায় না এটা প্রবীর ঘোষের জন্যও প্রযোজ্য। প্রবীর ঘোষ সেই ৬০ এর দশক থেকে নাস্তিকতার পক্ষে কলম ধরেছে। প্রবীর ঘোষের জন্ম ১৯৪৫ সালে। তো সেই হিসাবে উনার বয়স এখন ৭০ এর কাছাকাছি। প্রবীর ঘোষ কলকাতাভিত্তিক ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির প্রধান। অলৌকিক নয় লৌকিক( ৫ খন্ডে সমাপ্ত),আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না,

এই বই গুলি প্রবীর ঘোষই লিখেছেন। যারা নাস্তিকতা নিয়ে পড়াশুনা করেছেন তারা জানেন যে প্রবীর ঘোষ নাস্তিকতা বিষয়ে উপমহাদেশের একজন প্রথম শ্রেণীর লেখক। কিন্তু এই প্রবীর ঘোষও আজ পর্যন্ত একটাও Free Thinker Movement জাতীয় এওয়ার্ড পায় নি, যেই ডয়চে ভলে যারা সারা পৃথিবীতে নাস্তিকতাকে প্রমোট করে এই ডয়চে ভলেও জার্মান ভাষায় প্রবীর ঘোষ, অভিজিৎ রায় কে নিয়ে কোন রিপোর্ট ছাপায় নি। আসিফ মহিউদ্দীনের সাথে আরেকজন নাস্তিক ব্লগার রাসেল পারভেজ তাকে কিন্তু ডয়চে ভলে গত বছর সেরা ব্লগার হিসাবে মননোয়ন দিয়েছিল। কিন্তু সুব্রত শুভকে নিয়ে আজ পর্যন্ত ডয়চে ভলে একটা প্রতিবেদনও ছাপায় নি সেরা ব্লগার হিসাবে মননোয়ন দেওয়া তো দূরের কথা। কিন্তু সুব্রত শুভ ও রাসেল পারভেজ একই মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিল। তো রাসেল পারভেজ কে যদি ডয়চে ভলে সেরা ব্লগার হিসাবে মননোয়ন দিতে পারে তাইলে সুব্রত শুভ কি দোষ করল ? রাসেল পারভেজ আমেরিকায় পড়াশুনা করেছে আর তার স্ত্রী আমেরিকায় থাকে তাই রাসেল পারভেজ কে ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না। রাসেল পারভেজ অনেক আগে থেকেই আমেরিকায় আসা যাওয়া করে। তবে রাসেল পারভেজ কে ডয়চে ভলে গত বছর সেরা ব্লগার হিসাবে মননোয়ন দিয়েছিল।

তাহলে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারছেন যে এইসব হিন্দু নাস্তিকদের কে ইউরোপ আমেরিকা কোন গনায় ধরে না। হিন্দুরা যদি সারাদিন আল্লাহর রাসূলকে গালিগালাজ করতে করতে মারাও যায় তাও এই হিন্দু নাস্তিক ব্লগারদেরকে নিয়ে কখনোই পশ্চিমা মিডিয়া কোন খবর ছাপাবে না। আচ্ছা আপনারাই বলেন তসলিমা নাসরিনের জায়গায় গীতা রানী দাস বা পূরবী চাকমারা যদি এইসব কথা বলত তাইলে কি তাদের কে কখনো সুইডেনের নাগরিকত্ব, এত গুলি সম্মান সূচক পিএইচডি ডিগ্রী দিত ? বা ভারতের সালমান রুশদীর জায়গায় অরুন চক্রবর্তী নামে কেউ যদি স্যাটেনিক ভার্সেস বইটা লিখত তাইলে কি এই অরুন চক্রবর্তী কে ইংল্যান্ড কখনো তাদের দেশে নাগরিকত্ব দিত ? সালমান রুশদীকে ইংল্যান্ড শুধু নাগরিকত্বই না ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় সাহিত্য পুরস্কার বুকার পুরস্কার পর্যন্ত দিয়েছে। সালমান রুশদীকে ইংল্যান্ড সরকার বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে বাচিয়ে রাখে। তসলিমা নাসরিন, সালমান রুশদী দ্বীন ইসলাম কে কটাক্ষ করে যেই কথাগুলি বলেছে এইরকম কথা বহু আগে থেকেই অনেক হিন্দু বৌদ্ধ প্রতিদিন বলে আসছে। কিন্তু পশ্চিমা মিডিয়া কখনোই তাদের কথা গুলি লাইম লাইটে নিয়ে আসে নাই। কারন হিন্দু বৌদ্ধরা হচ্ছে প্যাগান, তারা তো ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলবেই। যারা সারাদিন দূর্গা পূজা, গনেশ পূজা, শিব লিঙ্গ ( শিবের Penis ), নুপংসুক বনবাসী গৌতম বুদ্ধের পূজা করে তারা তো নবী রাসূলদের বিরুদ্ধে কথা বলবেই এতে অবাক হবার কি আছে। আর হিন্দুধর্মে কিন্তু নাস্তিকতা বৈধ এমনকি নাস্তিকতাকে হিন্দু ধর্মের সর্বোচ্চ দর্শন বলা হয়। দূর্গা কালী লক্ষী শিব উনারাও বিভিন্ন শক্তির পূজা করে যেই শক্তি গুলা এই মহাবিশ্ব চালায়। ঋকবেদে নাস্তিকতার পক্ষে অনেক উক্তি আছে। প্রমাণ দেখুন http://www.en.wikipedia.org/wiki/Atheism_in_Hinduism এই কারনেই হয়ত অভিজিৎ রায় প্রবীর ঘোষ আজ পর্যন্ত ইউরোপের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেবার সুযোগ পায় নি। তবে এটা ঠিক প্রবীর ঘোষ কোন ইসলাম বিদ্বেষী না। প্রবীর ঘোষ সারা জীবন হিন্দু ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়ে গেছে। এমনকি প্রবীর ঘোষ কাশ্মীর নিয়ে এই বইটাও লিখেছেন Struggle for Freedom in Kashmir: A Historical Document

কিন্তু যখন একজন মুসলমান ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলবে, আল্লাহর রাসূলকে গালিগালাজ করবে আর তাদের এই গালিগালাজ গুলি যখন মিডিয়ায় আসবে তখন সমগ্র মুসলিম বিশ্ব নড়েচড়ে উঠবে। সালমান রুশদী যখন স্যাটেনিক ভার্সেস বইটা লিখেছে তখন সমগ্র মুসলিম বিশ্ব একযোগে প্রতিবাদ করেছে, শিয়া সুন্নীর বিবাদ ভুলে ইরানের আয়াতুল্লাহ খোমেনি পর্যন্ত সালমান রুশদীর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কোন হিন্দু বৌদ্ধ যদি স্যাটেনিক ভার্সেস বইটা লিখত তাইলে এটা কখনো বিশ্ব মিডিয়াতেও আসত না আর আসলেও আমরা মুসলমানরা এই ব্যাপারটাকে এত সিরিয়াসলি ভাবে নিতাম না। নাস্তিকতার পিছে খৃস্টান বিশ্ব কোটি কোটি ডলার খরচ করছে। নাস্তিকতা চর্চা হল এখন আমেরিকার একটা বিনিয়োগ। আর এই বিনিয়োগের মূল উদ্দেশ্যই হল মুসলমানদের ঈমান ধবংস করা। আর মুসলমানদের ঈমান ধবংস করতে হলে আমাদের কে মুসলিম নামধারী ও মুসলিম ঘরে জন্ম নেওয়া কিছু কুলাংগার লোভী টাইপ ব্যক্তিদের কে ভাড়া করতে হবে। একটা ছেলেকে ইউরোপে নিয়ে যাওয়া, তাকে ইউরোপে স্থায়ী করতে, তারপর তাকে প্রতি মাসে মাসে একটা ভাতা দেওয়া এতে অনেক অর্থ খরচ হয়। এই অর্থ খরচটা যদি খৃস্টান বিশ্ব কোন হিন্দু বৌদ্ধের পিছে করে তাইলে তো তাদের এক পয়সাও লাভ হবে না। কারন কোন হিন্দু বৌদ্ধ ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কি বলছে সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যাথা নাই। কিন্তু একটা মুসলিম ছেলে যখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালিগালাজ করে তখন আমরা আর চুপ থাকতে পারি না। এই পৃথিবীর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত ইউরোপীয় মিডিয়া কোন হিন্দু বৌদ্ধ নাস্তিককে লাইম লাইটে আনে নাই। যেখানে আসিফ মহিউদ্দীন পরপর ২ বার ডয়চে ভলের সেরা ব্লগার হয়ে যায়, রাসেল পারভেজও ডয়চে ভলের সেরা ব্লগার হিসাবে মননোয়ন পায় কিন্তু তাদের সাথে জেল খাটা সুব্রত শুভর দিকে ডয়চে ভলে একটু ফিরেও তাকায় না। কিন্তু একজন হিন্দু হিসাবে এমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কিন্তু উচিত ছিল অনেক আগেই সুব্রত শুভকে বাইরে নিয়ে যাওয়া। কারন বাংলাদেশে হিন্দুরা এমনেই অনেক চাপে থাকে। কিন্তু শুধু হিন্দু বলেই সুব্রত শুভ, অভিজিৎ রায়, প্রবীর ঘোষের প্রতি তাদের কোন আগ্রহ নাই। পশ্চিমা জনগনের এই সাম্প্রদায়িক মনোভাবের তীব্র নিন্দা জানাই। তাই আমি এখন হিন্দুদের কে বলছি আপনারা এইসব বাদ দেন। আপনারা যেই আশায় আছেন সেটা কখনোই পূরন হবে না। যেইখানে আপনাদের বাপ প্রবীর ঘোষ কেই ইউরোপে নিল না সেইখানে আপনাদের কে কে ইউরোপে নিবে ? আপনারা মরে গেলেও কখনো ইউরোপের ভিসা পাবেন না। ২ মাস জেল খাটা ঢাবির ছাত্র সুব্রত শুভকেই যেখানে এমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জার্মান নেয় নি সেখানে আপনাদের আর কোন ভাত নাই। ইহুদী খৃস্টানরা আপনাদের সামনে একটা মুলা ঝুলিয়ে রেখেছে। যদিও এই মার্কিন ভিসা নামক মুলাটা আপনারা কখনোই হাতের নাগালে পাবেন না তবুও এই মুলার লোভেই আপনারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালিগালাজ করে যাচ্ছেন।

তাই হিন্দু ভাইদের কে বলছি আপনারা এইসব নাস্তিকতা চর্চা বাদ দিয়ে সৃজনশীল কিছু করুন। আশা করি এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে আপনারা সমাজ সংসারে অনেক সম্মান পাবেন। সৃজনশীল কাজ বুঝাইতে আমি হিন্দুদের কে সত্যজিৎ রায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুসরণ করতে বলছি। সত্যজিৎ রায় যেমন পথের পাঁচালি সিনেমা করে আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন সেরকম। হিন্দুদেরও উচিত এইসব বাদ দিয়ে নাটক সিনেমা চলচিত্রে মনোনিবেশ করা। তাদের কে সেখানেই মানাবে ভাল।

বিষয়: বিবিধ

২৮৭৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

291879
০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪৪
শাফিউর রহমান ফারাবী লিখেছেন : ফেইসবুকে তো অনেক হিন্দু ছেলেই মুসলিম নাম ব্যবহার করে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে গালিগালাজ করে। কিন্তু আমরা সবাই জানি তাদের এই নাম গুলি ফেইক। আসিফ যেমন তার নিজের আসল নাম ছবি ব্যবহার করে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে গালিগালাজ করে এরকম ভাবে কেউ যদি করতে পারে তাইলে সে জার্মান ভিসা পাবে। তবে শর্ত হল তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম হিন্দু বৌদ্ধদের মত হলে চলবে না।
291943
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : - তারা ইসলাম ধর্মের মধ্যে জন্মগ্রহণ কারী সেই সব চালাক মানুষগুলোকে গ্রহন করে, যারা ইসলামী সমাজের রীতিনীতি ও চিন্তার সাথে গভীর ভাবে সম্যক অবহিত।

- তারা ইসলাম ধর্মের সরাসরি বিপক্ষে না গিয়ে ইসলাম ধর্মের কল্যানে সংস্কারক হিসেবে নিজেদের অভিমত তুলে ধরবে।

- তারা ইসলাম ধর্মের গভীর অনুভুতিকে সরাসরি আঘাত না করে ইসলামী সাংস্কৃতির ছোট বিষয় গুলোকে হেয় ও তামাশা পুর্ন করে উপস্থাপন করার দক্ষতা রাখে যাতে করে মুসলমানদের মধ্য থেকেই কিছু অনুসারী জুঠে যায়। মূলত এটাই তাদের লক্ষ্য।

- তারা গালাগালি করবেনা বটে তবে তুখোর সমালোচক হবে, এই পাণ্ডিত্যকে যথেষ্ট মূল্যায়ন করে।

উপরোক্ত গুণ গুলো তাসলিমা, রুশদী, দাউদ হায়দার দের ভাল ছিল ওরা বুড়ো হয়ে গেছে, নবীন অনুসারীদের জন্য নবীন নেতা দরকার তাই আসিফদের কোরবানীর খাসির মত কদর বেড়েছে।

আপনি ঠিকই ধরেছেন, হিন্দু, বৌদ্ধদের তারা সে গুরুত্ব দেবেনা কেননা তারা বিরোধীতা করে শুধুমাত্র চিত্তের হিংসা প্রশমিত করার জন্য। যেটা দিয়ে তাদের কাজ নাই।

এই ব্লগেও কয়েকজন এমন আছে, তারা ব্লগে ঢুকার আগে চিন্তা করে কিভাবে আল্লাহকে কষে গালাগাল করা যায়! সে জন্য বুঝাই যায় এরা হল তারাই যাদের মন্তব্য, গালাগালে কোন প্রভাব পড়েনা, কেননা সে নিজেও উপলব্ধি করার মত কোন কিছুর সাথে প্রভাবিত নয়। অনেক ধন্যবাদ
291999
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অর্থনৈতিব বা সাংস্কৃতিকভাবে হিন্দ বা ভারতিয়রা ইউরোপিয় দের জন্য কোন হুমকি নয়। তাই তাদের বিশেষ প্রয়োজন ও নাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File