রাবি অধ্যাপক শফিউল আলমকে কে হত্যা করেছে ?
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৪৫:৩৭ রাত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত অধ্যাপক শফিউল আলমের বাসার তালবদ্ধ রুম থেকে উনার বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্রীকে RAB উদ্ধার করেছে এই খবরটা মনে হয় আমরা সবাই জানি। অধ্যাপক শফিউল আলম ঐ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানিয়ে দিবে এই লোভ দেখিয়ে ঐ ছাত্রীর সাথে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। ছাত্রীটি যেন কোথাও পালিয়ে না যেতে পারে সেইজন্য উনি ঘর থেকে বের হবার সময় ঐ ছাত্রীকে একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রেখে যান। আজকে পেপারে পড়লাম ঐ ছাত্রীর Boy Friend কেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অধ্যাপক শফিউল আলম সব সময় বোরখার বিরুদ্ধে কথা বলতেন। কারন বোরখার বিরুদ্ধে কথা না বললে তো আর নিজ Department এর ছাত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেইসব শিক্ষক সবসময় বোরখার বিরুদ্ধে কথা বলে তারা চায় ছাত্রীরা আমার কাছে পড়া বুঝতে আমার সেমিনার রুমে আসবে তারপর আমি ঐ ছাত্রীকে আরো পড়া বুঝানোর জন্য আমার বেড রুমে নিয়ে যাবো। হিজাব বিদ্বেষী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ব্যক্তিগত চরিত্র যে কতটুকু খারাপ তা অধ্যাপক শফিউল আলমের বাসা থেকে এক ছাত্রীকে উদ্ধারের মাধ্যমে প্রমান হল। ভাবতেই অবাক লাগে এইসব মুক্তিযুদ্ধার চেতনাধারী শিক্ষকরা সব সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ধর্ষনের বিরুদ্ধে কথা বলে কিন্তু আবার সুযোগ পেলে তারাই নিজ Department এর ছাত্রীর সাথে জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। একজন শিক্ষক ক্লাসে আসবে তার পড়া পড়াবে তারপর চলে যাবে। ছাত্রী বোরখা পড়ল না থ্রীপিস পড়ল না বিকিনী পড়ল এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের দেখার বিষয় না। একজন ছাত্রীর পোষাক আশাকের ব্যাপারে উনি কেন নাক গলাবেন ? যেই শিক্ষক ক্লাসে বোরখা হিজাবের বিরুদ্ধে কথা বলে তার উদ্দেশ্যই হল ছাত্রীদের সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করা। বহু মেধাবী ছাত্রী সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে এইসব আকাম কুকাম করতে রাজী না হওয়ায় আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারে নাই। ভার্সিটি গুলার ভিতরের অন্ধকার জগত সম্পর্কে দেশের সাধারন মানুষ জন খুব কমই জানে। দেখেন BBC ও স্বীকার করছে যে ঢাবির মেয়েরা প্রচুর যৌন হয়রানির কবলে আছে। এটা এখন পুরা বাংলাদেশের চিত্র যে মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়েও নিরাপদ না। এগুলি সবই আসলে শাহবাগী চেতনা। কারন যেই শিক্ষকরা মেয়েদের উপর যৌন হয়রানি করে তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধা চেতনার ধারক বাহক। http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2014/11/141120_an_bd_women_harrasment
শফিউল আলম আবার লালন ভক্ত। তো যারা বাউল তাদের ব্যক্তিগত চরিত্র কতটুকু খারাপ সেটা বাউলদের নিয়ে যারা পড়াশুনা করেছেন তারাই জানেন। এই বাউলরা ঘনঘন তাদের সঙ্গী বদলায়। এমনকি কুমারী মেয়েদের রজঃস্রাব পর্যন্ত তারা পান করে। এই বাউলরা কোন বিবাহিত জীবনে যায় না। মহিলা বৈষ্ণবদের সাথে আকাম কুকাম করাই হচ্ছে তাদের জীবনের ভজনা। বাউলরা তাদের সঙ্গিনীকে জায়নামাজ নামে অভিহিত করে। বাউলরা বিশ্বাস করে যে, কুমারী মেয়ের রজঃপান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরী হয়। তাই বাউলদের মধ্যে রজঃপান একটি সাধারন ঘটনা। এছাড়া, বাউলরা রোগমুক্তির জন্য স্বীয় মুত্র ও স্তনদুগ্ধ পান করে। সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য তারা মল, মুত্র, রজঃ ও বীর্য মিশ্রণে প্রেমভাজা নামক একপ্রকার পদার্থ তৈরি করে তা ভক্ষণ করে। একজন বাউলের একাধিক সেবাদাসী থাকে। এদের অধিকাংশই কমবয়সী মেয়ে। কুষ্টিয়ার লালন ফকিড়ের মাজারে গেলেই বুঝা যায় বাউলদের চরিত্র কেমন। তো অধ্যাপক শফিউল আলম যেহেতু লালন ভক্ত তাই তিনিও লালনের আদর্শ অনুসারন করে কোন স্থায়ী বৈবাহিক জীবনে যান নি। অধ্যাপক শফিউল আলম এই পর্যন্ত ৩ বার স্ত্রী বদলিয়েছেন। অধ্যাপক শফিউল আলম প্রথম বিয়ে করেন উনার খালাত বোনকে। শফিউল আলমের পরনারীর প্রতি আসক্তি দেখে তার খালাতো বোন আত্মহত্যা করে। অনেকটা মুক্তমনাদের গুরুজী অভিজিৎ রায়ের ঘরে স্ত্রী রেখে বন্যা আহমেদের সাথে পরকীয়া করার কারনে যেমন অভিজিৎ রায়ের ১ম স্ত্রী আত্মহত্যা করেছিল ঠিক সেরকম। শফিউল আলমের যেই ছেলে ঢাবিতে পড়ে তা তার ১ম স্ত্রীর সন্তান। রাবির এক ছাত্র জানালো আমাকে শফিউল আলমের ১ম স্ত্রী নাকি আত্মহত্যা করেনি। শফিউল আলম তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এরপর শফিউল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কেরানির মেয়েকে বিয়ে করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই তার ওই স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর কিছুদিন আগে শেরপুরের এক মেয়েকে বিয়ে করেন ড. শফিউল। সে মেয়েও তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। পরনারী আসক্তির কারণেই কোনো স্ত্রীই টিকে থাকতে পারেনি শফিউলের সাথে। তাই খুব ভাল ভাবেই বুঝা যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিউল আলম মেয়েলী কারনে খুন হয়েছে। কোন জিহাদী সংগঠন বা জামাত শিবির তাকে হত্যা করে নি। আর ক্লাসে বোরখ হিজাবের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য যদি শফিউল আলম খুন হয় তাইলে তো ঢাবি জাবির অনেক অধ্যাপকই অনেক আগেই খুন হয়ে যাবার কথা। কারন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অধ্যাপক সেই ৮০ এর দশক থেকে ক্লাসে বোরখা হিজাবের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন। কই তারা তো কেউ কোন জিহাদী সংগঠনের হাতে খুন হন নি। তাইলে ২ দিনের অধ্যাপক শফিউল আলম বোরখার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য খুন হয়েছে সেটা কখনোই বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর শফিউল আলম কে হত্যা করার অপরাধে যাদের কে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাদের মাঝে একজন হল পল্লী চিকিৎসক, একজন ফুটপাথে পান বিড়ি সিগারেট বিক্রি করত, একজন তার বাসার জানালা দিয়ে অধ্যাপক শফিউল আলম কে খুন হইতে দেখেছিল। তাই জামাত শিবিরকে ফাঁসাতে পুলিশ যে আবার একটা জজ মিয়ার নাটক শুরু করেছে এটা বুঝাই যাচ্ছে। অধ্যাপক শফিউল আলমের মৃত্যুর ৫ ঘণ্টা পর আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ নামে একটি ভুঁইফোঁড় জিহাদী সংগঠন অধ্যাপক শফিউল আলমের মৃত্যুর দায় স্বীকার করে পরপর কয়েকটা পোস্ট দেয়। সেই সাথে এই পেইজটি শফিউল আলমের বোরখা বিদ্বেষও প্রচার করে। স্বাভাবিক ভাবেই সারাদেশের মানুষ মনে করে অধ্যাপক শফিউল আলমের মৃত্যুর পিছে হয়ত জঙ্গীরা জড়িত। এই আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ পেইজের অপপ্রচারের কারনেই শফিউল আলমের নারী কেলেংকারি ধামাচাপা পরে গিয়েচিল। এই পেইজের মিথ্যা খবরের প্রচারের সূত্র ধরেই পুলিশ দাড়ি টুপি ওয়ালা নিরীহ ১১ জন ব্যক্তিকে হত্যা মামলার আসামী করেছে। ওমা সারাদেশের মানুষ যখন নিশ্চিত অধ্যাপক শফিউল আলম কে জঙ্গীরা হত্যা করেছে এরপর থেকে আর আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ পেইজটি পাওয়া যাচ্ছে না। ভিন্ন নামেও বা একই নামেও আর সেই পেইজের কোন কার্যক্রম চোখে পরছে না। অর্থ্যাৎ খুব ভালভাবেই বুঝা যাচ্ছে আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ পেইজের ঘটনাটা ছিল পুরাই সাজানো। দেশের দাড়ি টুপি ওয়ালা নিরীহ লোকদের কে জঙ্গী বানানোর উদ্দেশ্যেই এই আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ পেইজ টি খুলা হয়েছিল। আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ পেইজটা আওয়ামী লীগই তৈরি করেছে। যেন দেশের ধর্মপ্রান লোকদের কে জঙ্গী বানানো যায়। বিকেলে খুন হবার পর সন্ধায় ফেইজবুক পেইজ খুলে খুনের দায় স্বীকার| আবার রাত ১০ টার মধ্যেই এই বিষয়ে অনলাইন নিউজ| তখনো হয়ত পেইজে ১০০ লাইক পড়েনি| ১০ দিন প্রচারনা চালানোর পরেও খবরে আসার কথা না| ওমা!! পেইজ খোলার ৩ ঘন্টা পরেই খবর প্রচার হয়ে গেল| মুসলিমদের ফাঁসানোর জন্য কত ফন্দি| এখনো আমার মাথায় ধরে না ৩ ঘন্টা পরেই সাংবাদিকরা এই পেইজের খবর পাইলো কেমনে? ফেইসবুকে লাখ লাখ জিহাদী পেইজ আছে। কোন জিহাদী পেইজের খবরই টিভি মিডিয়ায় আসে না। কিন্তু আনসার আল বাংলাদেশ পেইজের খবর যেইভাবে মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে তখনই বুঝা গেছে ডাল ম্যা কুছ কালা হে। খুন করে কে আর খুনের দোষ চাপায় কার উপর। বাংলাদেশে এখন পেশাদার খুনীদের উৎসব চলছে। কারন যেই খুন করুক পুলিশ ধরবে কিন্তু সেই এলাকার দাড়ি টুপি ওয়ালা লোকদের আর যে তার ঘরের জানালা দিয়ে ঐ খুন করাটা দেখেছ তাকে। অদ্ভুদ শুকরণীর পিঠে চলছে এ দেশ ! খালি খুন করার পরার পর আপনি একটা জিহাদী নাম দিয়ে একটি ফেইসবুক পেইজ খুলবেন আর সেই পেইজে বলবেন আমরাই তাকে হত্যা করেছি। ব্যাস বাকী কাজ পুলিশ করবে। চোখের সামনে দিয়ে দেশের বিচার ব্যবস্থাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারছি না। পুলিশের এইসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেই আপনাকে যুদ্ধপরাধী জামাত শিবির ট্যাগ খেতে হবে।
বাংলাদেশ একটি জঙ্গী রাষ্ট্র বলে বিদেশীদের কাছে পরিচয় না করিয়ে দেওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনা শান্তি পাচ্ছে না। বাংলাদেশের সব মানুষ জঙ্গী হয়ে গেছে এটা বলে যেদিন আমেরিকা বাংলাদেশের মাটিতে বিমান হামলা করবে সেদিনই শেখ হাসিনার হৃদয় জুড়বে।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাবতেই অবাক লাগে এইসব মুক্তিযুদ্ধার চেতনাধারী শিক্ষকরা সব সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ধর্ষনের বিরুদ্ধে কথা বলে কিন্তু আবার সুযোগ পেলে তারাই নিজ Department এর ছাত্রীর সাথে জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব যুক্তিপূর্ণ ভাবে ঘটনাটি বিশ্লেষণ করার করার জন্য, সাথে সম্ভাব্য সত্য গুলো সামনে নিয়ে আসার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন