ধর্ষন প্রমান করতে ইসলামী শরীয়াতে কি ৪ জন সাক্ষী লাগে ?

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ১০ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:২০:০৫ রাত

আমাদের অনেকের মাঝেই একটা ভুল ধারনা আছে যে ইসলামে ধর্ষন প্রমাণ করতে ৪ জন সাক্ষী লাগে। ইসলামে ধর্ষন প্রমাণ করতে ৪ জন সাক্ষী লাগে না। ছেলে মেয়ের জেনা বা স্বেচ্ছায় একজন ছেলে ও একজন মেয়ে যদি যৌণ সম্পর্কে লিপ্ত হয় যেটাকে ইসলাম ব্যভিচার বলেছে সেই ব্যভিচার প্রমাণ করতে ইসলামে ৪ জন সাক্ষী লাগে। কোন ইসলামী রাষ্ট্রেই ধর্ষন প্রমান করতে ৪ জন সাক্ষী চায় না। ইসলামে ধর্ষন কিভাবে প্রমান করা হয় ও ধর্ষিতার ব্যাপারে ইসলামের মনোভাব কি এই সম্পর্কে হাদীসে কি বলে তা আমরা দেখি। সাহাবী ওয়ায়েল ইবনে হুাজর (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর যুগে জনৈকা মহিলা মসজিদে ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হন। একজন লোক তাকে একা পেয়ে কাপড়ে ঢেকে নেয় এবং তাকে ধর্ষণ করে। মহিলা চিৎকার শুরু করলে লোকটি চলে যায়। সেখান দিয়ে মুহাজিরদের একদল লোক যাচ্ছিলেন। মহিলাটি তাদেরকে বললেন যে, ঐ লোক আমার সাথে এরূপ আচরণ করেছে। তখন লোকেরা তাকে ধরে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকটে নিয়ে আসলে মহিলাটি তার ধর্ষককে চিনতে পারে। এরপর রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ মহিলাকে বললেন, তুমি চলে যাও। আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন। অতঃপর রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ ধর্ষণকারী পুরুষকে রজম করার আদেশ দিলেন (আবুদাঊদ হা/৪৩৭৯; তিরমিযী হা/১৪৫৪, মিশকাত হা/৩৫৭২, হাদীছটি হাসান, ‘হুদূদ’ অধ্যায়)।

এখানে কিন্তু রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ মহিলাকে বলেননি তুমি তোমার ধর্ষন প্রমান করার জন্য ৪ জন সাক্ষী নিয়ে আস। বরং রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ মহিলার সাক্ষ্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ধর্ষককে পাথর মেরে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এটা তো

একটা অসম্ভব ব্যাপার যে ৪ জন সাক্ষী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে মহিলাটি ধর্ষিত হচ্ছে কিন্তু তারা কেউই এগিয়ে আসবে না। তাই ধর্ষনের ব্যাপারে ৪ জন সাক্ষী জোগাড় করা একটা অসম্ভব ব্যাপার। বরং রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই হাদীস থেকে আমরা দেখতে পাই ধর্ষিতা মহিলার সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ ধর্ষককে পাথর ছুড়ে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে কোন মেয়ে ধর্ষিত হলে সেটা প্রমান করার জন্য তার ৪ জন সাক্ষী জোগাড় করার কোন দরকার নাই আর এটা সম্ভবও না। আর এই হাদীসেই স্পষ্ট রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ ধর্ষিতা মহিলাকে কিছু বলেননি। ধর্ষনের ক্ষেত্রে ধর্ষিতা মহিলার যে কোন দোষ নাই এটা কোরআন দ্বারাই প্রমানিত। ধর্ষন বলতে বুঝায় যখন কোন মহিলাকে ব্যভিচারে বাধ্য করা হয়। সূরা নুরের ৩৩ নং আয়াতে বলা আছে - " তবে কেউ যদি তাদেরকে বাধ্য করে সে ক্ষেত্রে জবরদস্তির পর আল্লাহ তো তাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। " সূরা নুরের এই আয়াত দ্বারাই বুঝা যাচ্ছে যখন কোন মহিলাকে ব্যভিচারে বাধ্য করা হয় অর্থ্যাৎ যখন তাকে ধর্ষন করা হয় তখন তার উপর কোন হদ আসে না।

ধর্ষনের ব্যাপারে আরেকটা হাদীস আছে তিরমিযীতে। আলী ইবনু হুজর (রহঃ) আবদুল জাববার ইবনু ওয়াইল ইবনু হুজর, তার পিতা ওয়াইল ইবনু হুজর রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে এক মহিলাকে ব্যভিচারে বাধ্য করা হয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ মহিলার ‘হদ’ রহিত করে দিয়েছিলেন। আর যে পুরুষ তাকে ভোগ করেছিল তার উপর হদ প্রয়োগ করেছিলেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন গ্রন্থঃ জামে তিরমিজী , অধ্যায়ঃ ১৭/ দন্ডবিধি হাদিস নাম্বারঃ 1459]

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বুখারী শরীফের ১০ খন্ড পৃষ্ঠা ৩০৬ তে ২৯১২ অনুচ্ছেদে সূরা নূরের ৩৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে হযরত ওমরের খিলাফত কালে সরকারী মালিকানাধীন এক গোলাম একটি দাসীর সাথে জোর জবরদস্তিমূলকভাবে যিনা করে। হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু উক্ত গোলামকে কশাঘাত করলেন ও নির্বাসন দিলেন। কিন্তু হযরত ওমর ঐ দাসীকে কোন শাস্তি দিলেন না। [ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, গ্রন্থঃ সহীহ বুখারি (ইফা) অধ্যায়ঃ ৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা, হাদিস নাম্বারঃ 6485] তাই ধর্ষিতাকে যে কোন শাস্তি দেওয়া হবে না এটা আল্লাহর রাসূলের হাদীস থেকেই স্পষ্ট। কারন এক্ষেত্রে ধর্ষিতা হচ্ছে মজলুম। আর মজলুমের উপর কোন হদ প্রয়োগ হবে না।

তবে কোন মেয়ে যদি মিথ্যা ধর্ষনের অভিযোগ করে কাউকে ফাঁসাতে চায় সেক্ষেত্রে কাজী/বিচারক পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে। হযরত ইউসুফ আলাইহিস সাল্লামের এর উপর যখন জুলেখা মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ তুলে তখন হযরত ইউসুফ আলাইহিস সাল্লামের জামা পিছন দিক থেকে ছিড়া ছিল এই বিবেচনায় হযরত ইউসুফ আলাইহিস সাল্লাম কে নির্দোষ ঘোষনা করা হয়েছিলো। এই ঘটনা কিন্তু কোরআনেই বর্নিত আছে। অর্থ্যাৎ কোরআন থেকেই বুঝা যাচ্ছে ধর্ষণ একটা প্রমাণযোগ্য কেস। আর ব্যভিচার হচ্ছে একটি সাক্ষীভিত্তিক কেস। সাক্ষী না থাকলে ব্যভিচারের কেসে আগে তেমন কিছু করা যেতনা কিন্তু এখন যেহেতু অনেক সায়েন্টিফিক মেথড আছে যেমন DNA Test সেক্ষেত্রে কোনটা ধর্ষন ও কোনটা ব্যভিচার সেটা খুব সহজেই প্রমান করা যাবে। তাই রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস ও সূরা ইউসুফ থেকে আমরা বুঝতে পারি ধর্ষন প্রমান করতে কখনোই ৪ জন সাক্ষীর প্রয়োজন পরে না। আল কোরআনে সূরা নূর, সূরা নিসা কোথাও ধর্ষন শব্দটার কথা উল্লেখ নাই। কোরআনে শুধু ব্যভিচারের উল্লেখ আছে। আর ব্যভিচার প্রমান করতে ৪ জন সাক্ষীর কথা সূরা নিসার ১৫ নাম্বার আয়াতে বলা আছে। কিন্তু সূরা নিসার ১৫ নম্বর আয়াতে শুধু ব্যভিচার প্রমান করতে ৪ জন সাক্ষীর কথা বলা হয়েছে। এখানে ধর্ষনের ব্যাপারে কিছু বলা নাই। ধর্ষনের ব্যাপারে শুধু হাদীসে বলা আছে যেটা আমি আগেই উল্লেখ করেছি।

তবে আল কোরআনে ব্যভিচারের শাস্তি হিসাবে কিন্তু পাথর মারার কথা উল্লেখ নাই। আল কোরআনের সূরা নূরে ব্যভিচারের শাস্তি হিসাবে ১০০ বেত্রাঘাতের কথা বলা হয়েছে তাও এরকম ভাবে বেত্রাঘাত করতে বলা হয়েছে যেন এই বেত্রাঘাতের আঘাত মাংস পর্যন্ত না যায়। সূরা নূরের ২ নং আয়াতের جْلِدُ শব্দ দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে বেত্রাঘাতের আঘাত যেন শুধু চামড়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। যারা বলে ব্যভিচারের শাস্তি পাথর মেরে হত্যা করা তাদের এই কথাটা কিন্তু কোরআন দ্বারাই ভুল প্রমান করা যায়। সূরা নিসার ২৫ নম্বর আয়াতে কোন ক্রীতদাসী ব্যভিচার করলে তাকে অর্ধেক শাস্তি দিতে বলা হয়েছে। “ আর তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাসী সধবাদের বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, তারা যেন তোমাদের (মা-মালাকাত-আইমানুকুম) ডান হাতের অধিকারভুক্ত বিশ্বাসী যুবতী 'যুদ্ধবন্দিনীদেরকে/ ইসলামপূর্ব দাসিদেরকে' বিয়ে করে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছেন। তোমরা তো একে অন্য থেকে, অতএব তাদেরকে তাদের অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে বিয়ে কর, আর নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর; বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য- অশ্লীল পাপাচারী হিসেবে নয় কিংবা রক্ষিতা রূপে গ্রহণ করার জন্যও নয়। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি তারা অশ্লীল পাপাচারে লিপ্ত হয়, তবে তাদেরকে স্বাধীন সধবাদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। ’’ [ সূরা নিসা- ২৫ ] এখন বিবাহিত ব্যভিচারিণীর শাস্তি যদি পাথর মেরে হত্যা করা হয় তাইলে সেক্ষেত্রে বিবাহিত ক্রীতদাসীকে কিভাবে অর্ধেক মৃত্যদন্ড দিবেন ? আর সূরা নূরের ২ নাম্বার আয়াতের কোথাও তো বিবাহিত অবিবাহিত এই শব্দটা নেই। আর যেহেতু কোরআনের কোথাও ব্যভিচারের শাস্তি হিসাবে পাথর মারার কথা উল্লেখ নাই তাই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে ব্যভিচারের শাস্তি হচ্ছে শুধু ১০০ বেত্রাঘাত। তবে কিছু হাদীসে পাওয়া যায় রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যভিচারের শাস্তি হিসাবে ব্যভিচারীকে পাথর মেরে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর কারন হল প্রথমে বিবাহিত ব্যভিচারীকে পাথর ছুড়ে হত্যা করার বিধান নিয়ে আল্লাহর হুকুম নাযিল হয়েছিল। পরে তা মানসুখ হয়ে যায়। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ আমরা মদিনায় উপিস্থিত হলাম। তখন উমর (রাঃ) ভাষণ প্রসঙ্গে বললেনঃ আল্লাহ তাআলা মুহাম্মাদ -কে সত্য বানী দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তন্মধ্যে ‘রজম’ (তথা পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা)-এর আয়াতও রয়েছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা) অধ্যায়ঃ ৮৫/ কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারন | হাদিস নাম্বার: 6824] বুখারী শরীফের এই হাদীসেই কিন্তু বলা আছে রজম নিয়ে কোরআনের আয়াত নাযিল হয়েছিল। কিন্তু পরে রজমের আয়াত মানসুখ হয়ে যায়।

ইসলামের অনেক নির্দেশই যে রহিত বা মানসুখ হয়েছে এটা সূরা বাকারার ১০৬ নং আয়াতেই বলা হয়েছে। “আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?” [ সূরা বাকারা-১০৬]

সূরা বাকারার ১০৬ নং আয়াতে নসখ শব্দটা আছে। আর নসখ মানে বিধিবিধান দূর করা বা রহিত করা। এ কারনেই হাদীস ও কোরআনের পরিভাষায় এক বিধানের স্থলে অন্য বিধান প্রবর্তন করাকে নসখ বলে। অন্য নবীদের আমলেও নসখ ছিল।মুসলিম শরীফের একটা হাদীস আছে এমন নবুওয়ত কখনোই ছিল না যাতে নসখ ও পরিবর্তন করা হয় নি।

অর্থ্যাৎ বিবাহিত ব্যভিচারীকে পাথর ছুড়ে হত্যা করার বিধান আগে ছিল পরবর্তীতে সূরা নূরের ২ নং আয়াত নাযিল হবার মাধ্যমে তা মানসুখ হয়ে যায়। আল কোরআনে হত্যার মত শাস্তি দেয়ার কথা উল্লেখ আছে শুধু দুটি কারণে এক, হত্যার বদলে হত্যা দুই, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাঃ বিরুদ্ধে যুদ্ধ তথা রাষ্ট্র ও সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীকে হত্যা। কিন্তু ব্যভিচারের শাস্তি হিসাবে আল কোরআনে কোথাও পাথর ছুড়ে হত্যা করার বিধান নাই, বরং আল কোরআনে ব্যভিচারের শাস্তি হিসাবে ১০০ বেত্রাঘাতের কথা বলা হয়েছে। তাই ব্যভিচারের শাস্তি ১০০ বেত্রাঘাত এটাই শেষ কথা। আর ব্যভিচারের শাস্তি যদি হত্যা হয় তাইলে আপনি কোন ব্যভিচারী ক্রীতদাসকে কিভাবে অর্ধেক হত্যা করবেন ? কারন আল কোরআনে বলা হয়েছে কোন ক্রীতদাস ব্যভিচার করলে তাকে অর্ধেক শাস্তি দিতে হবে। আর আল কোরআনের কোথাও ব্যভিচারের শাস্তি নিয়ে যেই আয়াত গুলি নাযিল হয়েছে সেখানে কোথাও অবিবাহিত শব্দটি নেই।

কোরআনে ব্যভিচারিণীদের শাস্তি হিসাবে প্রথমে তাদের কে গৃহবন্দী করে রাখার নির্দেশ এসেছিল। আল কোরআনের সূরা নিসার ১৫ নং আয়াতে ব্যভিচারিণীদের শাস্তি হিসাবে পরবর্তীতে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে কি ধরণের শাস্তির নির্দেশ দেয়া হবে তার জন্য অপেক্ষা করতেও বলা হয়েছে। “ আর তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যারা অশ্লীল পাপাচারে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জনকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য পথ করে দেন। ” [ সূরা নিসা-১৫]

এর পরবর্তীতে সূরা নূরের ২ নং আয়াত নাযিল হলে ব্যভিচারিণীকে গৃহবন্দী না বরং ব্যভিচারী পুরুষ ও ব্যভিচারী স্ত্রী উভয়কেই ১০০ বেত্রাঘাত করতে বলা হয়েছে।

“ব্যভিচারিণী (পর-পুরুষের সাথে অবৈধ যৌন সঙ্গম-কারী) নারী এবং ব্যভিচারী (পরনারীর সাথে অবৈধ যৌন সঙ্গম-কারী) পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর করতে গিয়ে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। ” [ সূরা নূর-২ ] তবে ব্যভিচারিণী যদি অন্তঃসত্ত্বা হয় তাইলে সূরা নিসার ১৫ নং আয়াত মতে তাকে গৃহবন্দী করে রাখতে হবে। শুধু তাই নয় ব্যভিচারী স্ত্রী পুরুষ যদি তওবা করে তাইলে তাদেরকে ক্ষমা করার কথাও বলা হয়েছে। " তোমাদের মধ্য থেকে যে দুইজন সেই অশ্লীল পাপাচারে লিপ্ত হয়, তাদের উভয়কে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু। " [সূরা নিসা-১৬]

সূরা নিসায় ১৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে ব্যভিচারী নারী পুরুষ যদি তওবা করে তাইলে তোমরা হাত গুটিয়ে নাও। অর্থ্যাৎ তারা তওবা করলে আর তোমরা তাদেরকে বেত্রাঘাত করতে পারবে না। এরপরে এটাও বলা হয়েছে ব্যভিচারী নারীর সাথে ব্যভিচারী পুরুষের বিয়ে পরিয়ে দাও। এখানে উল্লেখ্য যে ব্যভিচারী নারী পুরুষকে এক সাথে তওবা করতে হবে। আর ধর্ষনের ক্ষেত্রে তো ধর্ষিতার কোন দোষ নাই। ধর্ষিতা তো মজলুম। তাই সে তওবা করবে কেন। তাই খুব ভালভাবেই বুঝা যাচ্ছে এখানে কোরআন শুধু ব্যভিচারের কথা বলেছে। ধর্ষনের কথা না। তাই ব্যভিচারী স্ত্রী পুরুষ তওবা করলে কাজী তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। তওবা করার পর ব্যভিচারী/ ব্যভিচারিণীদেরও বিয়ে করে বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছে আল কোরআন। সূরা নূরের ৩ ও ২৬ নং আয়াতে স্পষ্ট বলা আছে ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীদের বিয়ে করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তবে যারা ব্যভিচারী/ ব্যভিচারিণী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে তাদেরকে বিয়ে করা বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীর জন্য হারাম করা হয়েছে। কারণ ব্যভিচারী/ ব্যভিচারিণীদের চাওয়া পাওয়া ও আচরণের সাথে মুমিনরা কখনই খাপ খাওয়াতে পারবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারাও তওবা করে কথায় ও কাজে সত্যিকার মুমিন হতে পারছে। কোরআনেই বলা আছে ব্যভিচারী পুরুষ শুধু ব্যভিচারী স্ত্রীকেই বিয়ে করবে।

সূরা নূরের ৩ ও ২৬ নং আয়াতটা আমরা একটু দেখি

২৪ নং সূরা আন-নূর (মদীনায় অবতীর্ণ ক্রম-১০২)

০৩: অর্থ- ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা (অংশী-বাদি) নারী ছাড়া অন্য কোন ভাল নারীকে বিয়ে করবে না এবং ব্যভিচারিণী নারী কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষ ছাড়া অন্য কোন ভাল পুরুষকে বিয়ে করবে না, এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।

২৬: অর্থ- দুশ্চরিত্রা নারীকুল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।

এখন ব্যভিচারী/ ব্যভিচারিণী কে যদি পাথর মেরে হত্যাই করে ফেলা হয় তাইলে তারা তওবা করবে কখন আর তাদের বিয়ে হবে কখন ? লাশের সাথে কি কারো বিয়ে হয় বা লাশ কি তওবা করে ? আল্লাহতায়ালা আল-কোরআনের বিভিন্ন স্থানে একই বক্তব্য ও বিধান একাধিকবার রিপিট করেছেন। কিন্তু ব্যভিচারের জন্য পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদন্ড দেবার কথা কি একটিবারও বলা হয়েছে? এ ধরনের একটি সাংঘাতিক শাস্তির বিধান তো অন্তত একবার স্পষ্টভাবে কোরআনে উল্লেখ থাকার কথা।

সূরা নিসার ১৫ নং আয়াতে যে نِسَآئِكُمْ শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে এর মানে হল তোমাদের স্ত্রী। সূরা বাকারার ১৮৭ নং আয়াতেও نِسَآئِكُمْ শব্দ দ্বারা নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে বুঝানো হয়েছে। أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَآئِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। [ সূরা বাকারা-১৮৭ ]

আবার সূরা নিসার ২৫ নং আয়াতে الْمُحْصَنَاتِ শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে الْمُحْصَنَاتِ শব্দটার মানেও কিন্তু বিবাহিত স্ত্রী। তাই সূরা নিসার ১৫ ও ২৫ নং আয়াতে যেই মহিলাদের কথা বলা হয়েছে তারা যে সব বিবাহিত মহিলা এতে কোন সন্দেহ নাই। সূরা নূরের ৮ নং আয়াতেও কিন্তু বিবাহিত স্ত্রী শব্দটা স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে।

আর সূরা নূর পড়লেই বুঝা যায় এখানে ব্যভিচারিণী বলতে বিবাহিত ব্যভিচারিনী কেই বুঝিয়েছে। তাই কোরআন মতেই বিবাহিত অবিবাহিত সব ব্যভিচারের শাস্তি ১০০ বেত্রাঘাত।

আর বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি যদি মৃত্যুদণ্ড হয় তখন কোন বিবাহিত ক্রীতদাস যদি ব্যভিচার করে তাইলে আপনি সেই বিবাহিত ক্রীতদাস কে কিভাবে অর্ধেক মৃত্যুদণ্ড কিভাবে দিবেন ? কারন কোরআনেই বলা আছে কোন ক্রীতদাস ব্যভিচার করলে সে অর্ধেক শাস্তি পাবে। কোরআন তো ভুল হতে পারে না। এর উত্তর টা হল রজমের বিধান আগে নাযিল হয়েছিল কিন্তু তা পরে রহিত হয়ে যায়। ইবনে মাজাহ শরীফেরও একটা হাদীস আছে রজমের বিধান নিয়ে একটা আয়াতও নাযিল হয়েছিল। কিন্তু পরে তা মানসুখ হয়ে যায়। আশা করি ব্যাপারটা এখন বুঝতে পেরেছেন।

রজমের শাস্তি নিয়ে একটা হাদিস আমরা দেখি

আবূ কুরায়ব (রহঃ) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মায়ায রাদিয়াল্লাহু আনহ রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এলেন এবং বললেন যে, তিনি যিনা করে ফেলেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তিনিও ঐ দিকে গিয়ে বললেন যে, তিনি যিনা করে ফেলেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তিনিও সেই দিকে গিয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ তো যিনা করে বসেছে। চতুর্থবারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলেন। অনন্তর তাকে ‘‘হাররা’’-এর দিকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল এবংপাথর ছুড়ে রজম করা (শুরু) হল। পাথররের আঘাত যখন তাকে স্পর্শ করল তিনি দৌড়ে পালাতে শুরু করলেন। এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে তিনি দৌড়ে যাচ্ছিলেন। ঐ ব্যক্তির হাতে ছিল একটি উটের চোয়াল। তা দিয়ে সে তাকে আঘাত করে এবং অজানা লোকেরাও তাকে আঘাত করেন। শেষে তিনি মারা যান। পরে লোকেরা রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এই কথার আলোচনা করেন যে, পাথরের আঘাত ও মৃত্যুর স্পর্শ পেয়ে মাইয পালাতে গিয়েছিলেন। তখন রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে তোমরা কেন ছেড়ে দিলে না? এই হাদীসটি হাসান। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন | জামে তিরমিজী অধ্যায়ঃ ১৭/ দন্ডবিধি | হাদিস নাম্বার: 1434]

মায়াযের এই হাদিসটায় আমরা দেখি আল্লাহর রাসূল প্রথমে মায়াযের জিনা করেছে এই কথাটাকে ধর্তব্য মনে করেননি। এরপর মায়াযের জোরাজুরিতে যখন আল্লাহর রাসূল তাকে রজমের শাস্তি দেবার হুকুম দিলেন তখন মায়ায পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু লোকেরা ওকে ধরে মেরে ফেলল। তখন আল্লাহর রাসূল ঐ লোকদের কে বললেন তোমরা তাকে যেতে দিলে না কেন ? এই হাদীস দ্বারা কিন্তু স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে আল্লাহর রাসূল রজম করতে আগ্রহী ছিলেন না।

আমরা হাদিস থেকে যত গুলো রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক রজম করার ঘটনা দেখি তাতে সকল ঘটনার অপরাধীরা তারা নিজ থেকে পবিত্র হতে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে অনেক অনুরোধ করার পর তাদেরকে রজম করা হয়েছিল। যিনাকারী কে ঘর থেকে ধরে এনে রজম দেয়া হয়নি। আর তাদের একান্ত ইচ্ছার কারনেই নবীজি তাদের কে রজম করেছিল। হাদীসে রজমের যেই ঘটনা গুলি আসছে এতে অপরাধী সাহাবীরা নিজেরাই রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে পবিত্র হতে চেয়েছেন। রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কে ঘর থেকে ধরে নিয়ে আসেন নি। তারপরও রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে তওবা করতে বলেছে বা রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এরপরেও যখন তারা রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বারবার অনুরোধ করেছে তখন রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের উপর রজমের শাস্তি দিয়েছেন। আর এই ঘটনা গুলি হয়ত সূরা নূরের আয়াত নাযিল হবার আগে হয়েছিল।

রোমান সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ শুরু হবার আগে মায়ায বিন জাবাল রোমান সেনাবাহিনীকে বলছিল if he commits adultery, we shall flog him..” (P. 106; Haqeeqat-e-Raj’m) অর্থ্যাৎ কেউ ব্যভিচার করলে আমরা তাকে বেত্রাঘাত করি। শুধু তাই নয় হযরত ঊমরও এক বিবাহিত নারীকে ব্যভিচারের দায়ে ১০০ বেত্রাঘাত করেছিলেন। সেই বিবাহিত মহিলাকে হযরত উমর রজম করেননি। [তথ্যসূূত্র]

বুখারী শরীফ যেটাকে ইমাম বুখরীর মানহায বলা হয় সেই বুখারী শরীফের হুদুদ অধ্যায়েও কিন্তু রজমের ঘটনা নেই। বরং বুখারী শরীফের অন্যান্য বিভাগ যেমন খোদাদ্রোহী তালাক এইসব অধ্যায়ে রজমের ঘটনা বর্নিত আছে।

তবে কোরআনের কোথাও যেহেতু ধর্ষনের শাস্তির ব্যাপারে কিছু বলা নাই তাই ধর্ষনের ব্যাপারে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশই শিরোধার্য। আর রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধর্ষককে পাথর ছুড়ে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন

বিজ্ঞান, যুক্তিবাদ, নাস্তিক্যতাবাদ ও ইসলাম; এখন আপনি কোনটার প্রতি ঈমান আনবেন ?

মদীনার ইহুদীদের প্রতি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহানুভবতা

গৌতম বুদ্ধ কি কখনো মানবজাতির আদর্শ হতে পারে ?

যুদ্ধবন্দী নারী প্রসঙ্গে নাস্তিকদের অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব

আরজ আলী মাতুব্বরের যুক্তি খন্ডন, ৫ম পর্ব

ইসলামের ইতিহাসের প্রথম শহীদ হযরত সুমাইয়া বিনতে খুব্বাত রাযিয়াল্লাহু আনহা

সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস রাম লক্ষন রাবন কিংবা রাম মন্দির ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া আর কিছুই না

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব

মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তার আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে

আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান

আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে" এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ?

বিষয়: বিবিধ

২৫৮৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

283031
১০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
হতভাগা লিখেছেন : সাধারনত এসব ধর্ষন কখনও ৪ জন আশেপাশে থাকে না । থাকলেও এরা ধর্ষকের পক্ষেও বলবে কারণ তারাও একই কাজ করেছে পালাক্রমে।

ক্বুরআনের কোন এক সূরায় বলা আছে - যে মহিলা আল্লাহর নামে ৪ বার কসম করে বলবে যে যে সে সত্যবাদি , এবং পুরুষটি মিথ্যাবাদি , ৫ম বারে বলবে যে যদি তার কথা মিথ্যা হয় তাহলে তার উপর আল্লাহর গজব পড়বে ।

অনুরুপভাবে পুরুষদের ক্ষেত্রেও ।
১০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৫
226345
শাফিউর রহমান ফারাবী লিখেছেন : এই আয়াত গুলি শুধু ব্যভিচারের ক্ষেত্রে।
১১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:১০
226404
হতভাগা লিখেছেন : এসব ক্ষেত্রে যখন দুই পক্ষই উইন-উইন সিটুয়েশনে থাকে তখন কেউ কিছু বলে না ।

আর যখন মেয়েটি দেখে যে সে লুজার হয়েছে তখনই এটা হয়ে যায় ধর্ষন ।

লুজার হলেও ছেলেটির কোন সুযোগ থাকে না মেয়েটির উপর অভিযোগ আনার । বরং সে মেয়েটির অভিযোগ ডিফেন্ড করে ।
283035
১০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো
আমি একটি মতামত এ পড়েছি যে পারিপার্শ্বিক সাক্ষের ভিত্তিতে বেত্রাঘাত বা অন্য শাস্তি হবে রজম নয়। আর এই শাস্তির ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে অনেক অপপ্রচার চলছে। বাংলাদেশে যেগুলি ধর্ষন এর মামলা হয় তার ৫০ শতাংশই মিথ্যা ও সাজান।
283069
১১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১৯

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : মধ্যযূগীয় ইসলামের বর্বর আইন নিয়ে ধুনপুন?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File