তসলিমা নাসরিন কেন নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন না ?
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৯ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:৫১:২৪ রাত
মালালার নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর অনেকেই দেখি এই প্রশ্ন করেছেন কেন তসলিমা নাসরিন নোবেল প্রাইজ পেল না। তসলিমা নাসরিন তো মালালার চেয়ে অনেক আগে থেকেই ইসলামের বিরুদ্ধে খেয়ে না খেয়ে প্রচারনা করছে। আসলে তসলিমা নাসরিন কোনদিনও নোবেল প্রাইজ পাবে না। এর কারন হল তসলিমা নাসরিন কে নিয়ে মূল বিতর্কটা শুরু হয় ১৯৯৪ সালের মে মাসে। সেই সময় কলকাতা থেকে প্রকাশিত স্টেটসম্যান পত্রিকায় তসলিমাকে দেখা যায় টপস পরিহিত এবং ধূমপানরত অবস্থায় আল কোরআনের পৃষ্ঠা উলটো দিক থেকে ওলটাতে। স্টেটসম্যান পত্রিকার সেই ইন্টারভিউয়ে তসলিমা নাসরিন কোরআন সংশোধনের ডাক দিয়েছিলেন। যেহেতু তসলিমা নাসরিন প্রকাশ্যে কোরআন কে অবমাননা করেছে তাই নোবেল প্রাইজ কমিটি তাকে এই প্রাইজ দেবার সাহস পাবে না। ঠিক একই কারনে সালমান রুশদিও কখনো নোবেল প্রাইজ পাবে না। আল্লাহর রাসূলকে নিয়ে স্যাটেনিক ভার্সেসের মত এত অশ্লীল বই যে লিখে তাকে কখনোই নোবেল প্রাইজ দেবার মত দুঃসাহস দেখাবে না নোবেল প্রাইজ কমিটি। যদি তসলিমা নাসরিন সালমান রুশদি কখনো নোবেল প্রাইজ পায় তাইলে নরওয়ের অলিতে গলিতে বোমা ফাটবে। তাই পশ্চিমা বিশ্ব কখনোই এইসব চিহ্নিত ইসলাম বিরোধীকে নোবেল প্রাইজ দিবে না। আসলে নোবেল প্রাইজ পায় জাফর ইকবালের মত ব্যক্তিরা। যারা মনে প্রানে নাস্তিক সব সময় পত্রিকায় কলাম লিখে ইসলামী দলগুলির সমালোচনা করে কিন্তু কখনোই সরাসরী আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালিগালাজ করে না। আসলে তসলিমা নাসরিন সালমান রুশদি এগুলা হচ্ছে মাথা মোটা। ওরা নগদে হিট হবার জন্য সরাসরি কোরআন কে সংশোধন করতে হবে, মুসলমানদের নবী শয়তানের কাছ থেকে ওহী পেত এইসব বলা শুরু করেছিল। আসলে এটা তসলিমা নাসরিন সালমান রুশদির দোষ না। তাদেরকে যারা পরিচালিত করে তারাই তসলিমা নাসরিন সালমান রুশদি কে নির্দেশ দিয়েছিল তোমরা এখন ইসলামের বিরুদ্ধে এটা বল সেটা বল।
কয়েকদিন আগে তসলিমা নাসরিন আর আসিফ মহিউদ্দীন যে কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখছিল তারপর তারা নিজ দায়িত্বেই সেটা ইউটিউবে প্রচার করেছিল, তসলিমা নাসরিন আর আসিফ মহিউদ্দীনের এই কার্যক্রমে অনেক মুক্তমনা পর্যন্ত অবাক হয়ে গিয়েছিল। কারন কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখা যে নাস্তিকতা না সেটা একটা ক্লাস 5 এর বাচ্চাও বুঝে। তাইলে তসলিমা নাসরিন আর আসিফ মহিউদ্দীন কেন এরকম কাজ করল ? এর উত্তর হল যেই খৃস্টান মিশনারীরা তসলিমা নাসরিন আর আসিফ মহিউদ্দীন কে ইউরোপের মাটিতে ভাত খাওয়ায় তারাই বলে দিয়েছে তোমরা কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখবা তারপর সেটা ইউটিউবে প্রচার করবা। মূলত আসিফ মহিউদ্দীন আর তসলিমা নাসরিন এরা হল খৃস্টান মিশনারীদের হাতের পুতুল। খৃস্টান মিশনারীরা যেমনে বলে তারা সেমনেই চলে।
আমরা সবাই জানি ইউরোপ আমেরিকায় জীবনযাত্রা খুব ব্যয়বহুল। ইউরোপ আমেরিকায় যারা থাকে তারা উদয়াস্ত পরিশ্রম করে বেঁচে থাকে। কাজ না করলে ইউরোপ আমেরিকায় আপনি না খেয়ে মারা যাবেন। কিন্তু এই আসিফ মহিউদ্দীন তসলিমা নাসরিনরা ইউরোপ আমেরিকায় কোন কাজ করে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই আসিফ মহিউদ্দীন জার্মানীতে একটা ফ্ল্যাট বাড়ির মালিক হয়ে গেছে আর তসলিমা নাসরিনের সুইডেনে একটা বাড়ি আছে আর আমেরিকায় একটা বাড়ি আছে। তাদের এই অর্থের উৎস কোথায় ? তাদের এই অর্থের উৎস হচ্ছে এই খৃস্টান মিশনারীরা। আসলে নাস্তিক হয় কারা। একদম নিচু জাত গরীব ফকিন্নী যারা ২ বেলা ভাত খাইতে পারে না তারাই নাস্তিক হয়। ঘরে চাল নাই তো চল মুসলমানদের নবীকে গালিগালাজ করি। কারন মুসলমানদের নবীকে গালিগালাজ করলেই আমরা ইউরোপের মাটিতে আজীবন ফ্রীতে থাকা খাওয়ার সুযোগ পাবো। সারা পৃথিবীতে ইসলাম কে ধবংস করার জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ হচ্ছে। অনলাইনে যে আমরা এত নাস্তিক দেখি যারা নিজেকে এক্স মুসলিম হিসাবে পরিচয় দেয় তারা হল সব খৃস্টান মিশনারীদের বেতনভূক কর্মচারী। আল্লাহর রাসূলকে গালিগালাজ করেই তাদের সংসার চলে। যতদিন যাবে আমরা আরো মালালা পাবো। কারন বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে খৃস্টানরা অনেক আগেই মুসলমানদের কাছে পরাজিত হয়ে গিয়েছে। তাই মালালা টাইপ নাটক সৃষ্টি করে খৃস্টানরা এখন ইসলামকে পচাঁতে ব্যস্ত।
মালালা কেন ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য কিছু বলে নাই এই নিয়ে দেখি অনেকেই আক্ষেপ করছেন। আরে যেই মেয়ে নিজ দেশে আমেরিকার ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলে নাই সে কেন ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য কিছু বলবে। পাকিস্তানের দেশটার ভিতরে আমেরিকার এই ড্রোন হামলার কারনে এই পর্যন্ত প্রায় ৫০০০ শিশু নিহত হয়েছে। ইমরান খান থেকে শুরু করে পাকিস্তানের অনেক চিন্তাশীল ব্যক্তিই আমেরিকার এই ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এমনকি পাকিস্তানের মাটিতে আমেরিকার এই ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য একবার ইমরান খানকে নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে হেনাস্থাও করা হয়েছিল। [তথ্যসূত্র] কিন্তু এই মালালা কখনোই সোয়াত এলাকা ও ওয়াজিরিস্তানের আমেরিকার এই ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে কিছু বলে নাই। যেই মেয়ে নিজ দেশের শিশু হত্যার বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলে নাই তার কি ঠেকা পড়ছে ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য কথা বলার ? গাজার শিশুদের জন্য হলিউঠের অনেক সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি বিবৃতি দিলেও মালালা তখন মুখে কুলুপ মেরে ছিল। মালালার এই ব্যাপারটায় অনেকে অবাক হলেও যারা এই মালালার উত্থান সম্পর্কে জানে তারা জানেন যে মালালাকে যারা তৈরি করেছে তারাই বলে দিয়েছে তুমি কখনোই মুসলমানদের পক্ষে কিছু বলবে না। তোমার কাজ হচ্ছে মুসলমানরা একটা অসভ্য জাতি মুসলমানরা নারী শিক্ষার বিরোধী এই তত্ত্বকথা প্রচার করা। মালালার সব কিছুই ছিল পূর্ব নিয়ন্ত্রিত। আপনারাই বলেন পাকিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকার একটা ১৩ বছরের মেয়ের পক্ষে কি সম্ভব IELTS 9 পাওয়া ব্যক্তির মত ইংরেজী ভাষায় ব্লগ লিখা ? আর মালালা কিন্তু কোন English medium স্কুলে পড়ত না। আমাদের মতই প্রচলিত হাইস্কুলের শিক্ষায় সে শিক্ষিত ছিল। বাংলাদেশের ক্লাস 7 এর একটা মেয়ের পক্ষে কি সম্ভব ইংরেজী ভাষায় এত প্রাঞ্জল ভাবে ব্লগ লিখা ? মালালার ব্লগ গুলা যারা পড়ছেন তারা তখনোই সন্দেহ করেছে এগুলি মালালার লেখা না। BBC/CNN এর কেউ মালালার নামে এইসব লিখে দিচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
১৬১২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আসলে নাস্তিক হয় কারা। একদম নিচু জাত গরীব ফকিন্নী যারা ২ বেলা ভাত খাইতে পারে না তারাই নাস্তিক হয়। ঘরে চাল নাই তো চল মুসলমানদের নবীকে গালিগালাজ করি। কারন মুসলমানদের নবীকে গালিগালাজ করলেই আমরা ইউরোপের মাটিতে আজীবন ফ্রীতে থাকা খাওয়ার সুযোগ পাবো। সারা পৃথিবীতে ইসলাম কে ধবংস করার জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ হচ্ছে। অনলাইনে যে আমরা এত নাস্তিক দেখি যারা নিজেকে এক্স মুসলিম হিসাবে পরিচয় দেয় তারা হল সব খৃস্টান মিশনারীদের বেতনভূক কর্মচারী। আল্লাহর রাসূলকে গালিগালাজ করেই তাদের সংসার চলে। যতদিন যাবে আমরা আরো মালালা পাবো। কারন বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে খৃস্টানরা অনেক আগেই মুসলমানদের কাছে পরাজিত হয়ে গিয়েছে। তাই মালালা টাইপ নাটক সৃষ্টি করে খৃস্টানরা এখন ইসলামকে পচাঁতে ব্যস্ত।
আপনারাই বলেন পাকিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকার একটা ১৩ বছরের মেয়ের পক্ষে কি সম্ভব IELTS 9 পাওয়া ব্যক্তির মত ইংরেজী ভাষায় ব্লগ লিখা ? আর মালালা কিন্তু কোন English medium স্কুলে পড়ত না। আমাদের মতই প্রচলিত হাইস্কুলের শিক্ষায় সে শিক্ষিত ছিল। বাংলাদেশের ক্লাস 7 এর একটা মেয়ের পক্ষে কি সম্ভব ইংরেজী ভাষায় এত প্রাঞ্জল ভাবে ব্লগ লিখা ? মালালার ব্লগ গুলা যারা পড়ছেন তারা তখনোই সন্দেহ করেছে এগুলি মালালার লেখা না। BBC/CNN এর কেউ মালালার নামে এইসব লিখে দিচ্ছে।
ফারাবী সাহেব আমি আপনার লিখনী থেকেই কিছু উদ্ধৃতি দিয়েছি, এসব উদ্ধৃতি অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য লুকিয়ে আছে। আপনার লিখনীর সাথে আমি শতভাগ একমত পোষন করছি। আল্লাহ আপনাকে হায়াতে তৈয়বা দান করুক। লিখনী শক্তি বৃদ্ধি করুন এবং যথেষ্ট প্রজ্ঞার অধিকারী করুন। আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন