মুস্তফার হত্যাকাণ্ড ও ভারতের মুসলিম সমাজ

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:৩৩:৫৯ দুপুর



ঈদের পরের দিন ভারতের হায়দারবাদের সিদ্দিকনগরে মুস্তফা নামে মাত্র ১১ বছরের এক মুসলিম শিশুকে ভারতের সেনাবাহিনীর ২ সদস্য বলাৎকার করে তারপর তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারে। মুস্তফার বাড়ি ছিল হাইয়দারবাদের মেহদিপাটনাম ক্যান্টনমেন্টের এলাকার সাথে। ১১ বছরের ছোট্ট বালক মাদ্রাসা ছাত্র সাইয়্যিদ মুস্তফা, ঈদের পরের দিন খেলাধূলা করছিলো ভারতের হায়দারাবাদের একটি রাস্তায়। এমন সময় পাশ্ববর্তী মেহদিপাটনাম ক্যান্টনমেন্টের ক্যাম্প থেকে দুইজন সেনা সদস্য বেরিয়ে আসে এবং মুস্তফাকে ডেকে বলে: "এই বাবু, পাশের দোকান থেকে দুই প্যাকেট ম্যাচ আর কিছু চকলেট কিনে নিয়ে আসো তো।" চকলেট নিয়ে আসার কথা বলে তারা মূলত মুস্তফাকে লোভ দেখায়। ছোট্ট বালক সাইয়্যিদ মুস্তফা সরল বিশ্বাসে ম্যাচ আর চকলেট কিনে ক্যান্টনমেন্টের ক্যাম্পের সীমানায় প্রবেশ করে এবং সেনা সদস্যদের দেয়ার জন্য এগিয়ে যায়। ম্যাচ আর চকলেট হাতে পাওয়া মাত্র ঐ দুই সেনাসদস্য মুস্তফাকে বলাৎকার করে এবং বলাৎকার করার শেষে হাসতে হাসতে মুস্তফার শরীরে কেরসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়, যেন শিশু বাচ্চাটি তাদের কাছে একটি খেলনা মাত্র। অসহ্য যন্ত্রনা আর ভয়ে চিৎকার করতে থাকে মুস্তফা। "বাঁচাও ! বাঁচাও !" এলাকাবাসী চিৎকার শুনে ছুটে আসে এবং শরীরের আগুন নেভায়। কিন্তু ইতিমধ্যে মুস্তফার শরীরের ৯০ ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। ধরাধরি করে মুস্তফাকে নিয়ে যাওয়া পাশ্ববর্তী হাসপাতালে। শরীরে প্রচণ্ড যন্ত্রনা নিয়েও মুস্তফা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পুরো ঘটনার বিবরণ দেয়। মৃত্যুর আগে প্রচন্ড যন্ত্রণা নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছে সাইয়্যিদ মুস্তফা: https://www.youtube.com/watch?v=xExVxRrGipE



মুস্তফার মামলার IO/Investigating Officer Inspector রবীন্দর স্বীকার করেছেন যে মুস্তফা বলাৎকারের স্বীকার হয়েছে। যে ২ জন আর্মী অফিসার মুস্তফাকে বলাৎকার করেছে তারা সমকামী। কারন সমকামী ব্যক্তিরাই শিশুদের কে চকলেটের লোভ দেখিয়ে কাছে টানে। তবে ভারতের সেনাবাহিনী বিবৃতি দিয়েছে মুস্তফার হত্যাকান্ডে কোন ভারতীয় সেনাবাহিনী জড়িত না। কিন্তু আপনারা Youtube এর ঐ ভিডিওতেই দেখতে পারছেন যে মুস্তফা মৃত্যুর আগে বলে গিয়েছে ২ জন আর্মী তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। সমকামীরা হল সব প্রচন্ড শিশুকামী। সারা পৃথিবীতে শিশুদের উপর যারা অত্যাচার করে শিশুদের কে যারা বলাৎকার করে তারা হল সব Gay. এই কয়েকদিন আগেই ঢাকার উত্তরা থেকে আবু ওবায়েদ কাদের নামে এক আলজেরীয় নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে যে জুবায়ের নামে এক ১৭ বছরের কিশোরকে বলাৎকার করে তারপর তাকে হত্যা করেছে। যারা সমকামিতার পক্ষে কথা বলে তারা আসলে চাচ্ছে আমাদের ভাই সন্তানরাও যেন এরকম ভাবে বলাৎকারের শিকার হয়।

ক) মুস্তফার ঘটনার পুরা বিবরণ পড়তে এই লিংকে যান: http://twocircles.net/2014oct14/1413297254.html

খ) পুরো শরীর পুড়ে গেছে মুস্তফার : https://www.youtube.com/watch?v=MSGaUF9ttu8



গ) মুস্তফার নামাজের জানাজায় লাখো মানুষের ভিড় : https://www.youtube.com/watch?v=Quh0mVb_t6E





মুস্তফার হত্যাকান্ড সংঘঠিত হবার পর মুস্তফার পিতা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন। যেহেতু মুস্তফা একটি মুসলমান ছেলে তাই মুস্তফার মৃত্যুর পর ১ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করে নি। বাংলাদেশের পত্র পত্রিকাতেও মুস্তফার খবরটি আসে নি। পাকিস্তান আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকার খবর নিয়ে যারা নিয়মিত লেখালেখি করে তারাও মুস্তফার জন্য একটি status ও প্রসব করে নি। বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়মিত Update যেই মহিলা ভারতবাসীকে জানায় সেই তসলিমা নাসরিনও মুস্তফার জন্য কোন tweet করেনি কারন মুস্তফা একজন মুসলমান। আর মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নাই। আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক মুক্তমনাকেই অনুরোধ করেছিলাম আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া মুস্তফার জন্য কিছু লিখতে কিন্তু পাছে মুস্তফা কে নিয়ে কিছু লিখলে যদি আর হিন্দুরা আমার status এ Like না দেয় এই ভয়ে কোন মুক্তমনাই মুস্তফাকে নিয়ে কিছু লিখে নাই। কিন্তু সুদূর ইরাক সিরিয়ার isiL কে নিয়ে লেখা কিন্তু মুক্তমনা রুপী নাস্তিকদের বন্ধ হচ্ছে না। কারন ইসলাম কে পচিয়ে না লিখলে তো আমাদের প্রভু খৃস্টান মিশনারীরা আমাদের অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দিবে।

আমরা শুধু পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ধর্ষনের কাহিনী জানি কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী যে কাশ্মীরে আমাদের ৩ লাখ বোনকে ধর্ষন করেছিল সেই ইতিহাস আমরা জানি না। কাশ্মীরে এখনো প্রতিনিয়ত আমাদের মুসলিম বোনেরা ধর্ষিত হচ্ছে। আপনার ঘরে জঙ্গী আছে এই কথা বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরের যে কারো ঘরে ঢুকে যায় তারপর সেই ঘরে কোন যুবতী মেয়ে থাকলে তাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধর্ষন করে। প্রায়ই কাশ্মীরের ঝিলম নদীর তীরে আমাদের অনেক বোনের উলঙ্গ মৃতদেহ পাওয়া যায়। আমাকে যদি জিজ্ঞাস করা হয় কার অনুপ্রেরনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই ২ সদস্য মুস্তফাকে বলাৎকার করে তারপর তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে আমি বলব তারা তাদের এই কাজের অনুপ্রেরনা পেয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে। এই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই তো ২০০২ সালে গুজরাটে আমাদের ৩০০০ বোনকে হিন্দুরা ধর্ষন করে তারপর আগুনে পুড়িয়ে মারে। যেইখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই মেয়েদের কে ধর্ষন করে তারপর আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় সেখানে দেশের বাদবাকী হিন্দুরা তো মুসলমানদেরকে আগুনে পুড়িয়ে মারবেই। এতে আর অবাক হবার কি আছে !

পত্রিকায় একটা News আসছে হায়দারবাদে নাকি সাদিক নামে ১১ বছরের এক মুসলিম শিশুকে ১ দিনের জন্য ডামি পুলিশ কমিশনার বানানো হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে মুস্তফার ঘটনাটা আড়াল করতেই তারা সাদিক কে একদিনের জন্য এই ডামি পুলিশ কমিশনার বানিয়েছে। খবরটার লিংক এখানে http://ndtv.com/article/india/terminally-ill-boy-is-hyderabad-police-chief-for-a-day-607134

আপনারা দেখবেন ১ মাস পর সবাই মুস্তফার ঘটনাটা ভুলে যাবে। আর মুস্তফা হত্যাকান্ডের কোন বিচার হবে না। হিন্দুরা এখন ইসরাঈলের মত হতে চাচ্ছে। তাই আগে ভাগেই শিশুদের পুড়ানোর অভ্যাস করছে। এতবড় একটা ঘটনা ঘটল কিন্তু বিশ্ব মিডিয়ায় এটা নিয়ে একটু আলোড়নও হল না। BBC, CNN তো দূরের কথা বাংলাদেশের প্রথম আলো যুগান্তরেও তা আসল না। ভারতে না কত বড় বড় গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করে। তো তারা পারে না কে মোস্তফাকে হত্যা করেছে সেটা বের করতে। কিন্তু তারা কখনোই মুস্তফার খুনীদের বিচার করবে না। কারন মুস্তফা একজন মুসলমান।

বিষয়: বিবিধ

২০৭০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

278332
২৬ অক্টোবর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৭
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : ওরা কুত্তাদেরকে যতটুকু দাম দেয়, মুসলমানদের ততটুকুও দেয় না।
278378
২৬ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এটাই তথাকথিত মিডিয়া। মালালা কে নিয়ে এত প্রচার অথচ আমিই ঘটনাটি প্রথম শুনলাম। মুস্তাফার মৃত্যু যেন মৃত্যুই নয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File