লতিফ সিদ্দিকী + তসলিমা নাসরিন
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ১৩ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:২৯:০২ দুপুর
মুসলমানদের হজ্জ নিয়ে কটুক্তি ও রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ডাকাতদের সহযোগী বলা নিয়ে সাবেক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর এই কথায় হয়ত অনেকেই অবাক হচ্ছেন। কিন্তু যারা পেপার পত্রিকা পড়েন তারা জানেন যে টাঙ্গাইল-৪ আসনের এমপি কাদের সিদ্দিকীর ভাই লতিফ সিদ্দিকী বহু আগে থেকেই সুযোগ পেলেই ইসলাম ধর্ম কে কটাক্ষ করে আসছেন। একবার জয়পুরহাটের জনসভায় লতিফ সিদ্দিকীর বক্তৃতা চলাকালে আসরের আযানের সময় হলে এই লতিফ সিদ্দিকী তখন বলে মোল্লা মৌলভীর কোন কাজ নাই তারা সারাদিন মসজিদে থাকে। ধর্ম আফিমের ন্যায় ক্ষতিকর কার্ল মার্কসের সেই উক্তিটিও উনি এক জনসভায় বলেছেন। অর্থ্যাত্ লতিফ সিদ্দিকী বহু আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করে আসছেন। আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সেই উক্তিটির কথাও হয়ত আপনাদের মনে আছে আমি হিন্দুও না আমি মুসলমানও না । লতিফ সিদ্দিকী যেভাবে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ডাকাতদের সহযোগী বলেছে এতে বুঝাই যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন মন্ত্রী সভার বৈঠক চলে তখন মন্ত্রীরাও এরকম খোলাখুলী ভাবে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা বলে। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠকেও হয়ত ইসলাম ধর্ম নিয়ে এইভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে কটাক্ষ করে কথা বলে তাই লতিফ সিদ্দিকী খুব ঠান্ডা মাথায় সবার সামনেই রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ডাকাতের বংশধর বলেছেন। আসলে আওয়ামী লীগের প্রতিটা মন্ত্রীই লতিফ সিদ্দিকীর মত এক একটা কট্টর নাস্তিক। মাঝখান দিয়ে লতিফ সিদ্দীকি মুখ ফসকে তার মনের কথা বলে দিল।
লতিফ সিদ্দিকী রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে যে কথাগুলি বলেছে আসুন তো দেখি ইতিহাসের কষ্টিপাথরে সে কথা গুলি কতটুকু সত্য। প্রথম কথা হল হজ্জ শুরু হয়েছিল হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লামের সময় থেকে। হজ্জ কখনোই রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুরু করেন নি। আর মক্কার কুরাইশ বংশের লোকেরা ডাকাত ছিল না। তারা ছিল বনিক বা ব্যবসায়ী। কোরাইশরা ব্যবসার উদ্দেশ্যে সারা আরব ঘুরে বেড়াত। তখন আরবের সব গোত্র এমনকি ডাকাতরাও কুরাইশদের কে সম্মান করত কারন তারাই আল্লহর ঘর কাবা ঘরের রক্ষনাবেক্ষন করত। আল কোরআনের সূরা কুরাইশেও এই কথা উল্লেখ আছে যে কাবা ঘরের রক্ষনাবেক্ষন করার কারনেই কুরাইশরা ডাকাতদের হাত থেকে নিরাপদ থাকে। আর লতিফ সিদ্দিকী কুরাইশদের কেই ডাকাত বানিয়ে দিয়েছে। আরে কুরাইশরা যদি ডাকতই হত তাইলে কি সারা আরব থেকে লোকেরা মক্কায় হজ্জ করত আসত ? কেউ কি জেনেশুনে ডাকাতদের ডেরায় প্রবেশ করবে ? শেখ হাসিনা কি সব মন্ত্রী বানায় যাদের ইতিহাস সম্পর্ক নূন্যতম জ্ঞানও নাই। আর হাজরে আসওয়াদ পাথরে চুমা খাওয়া নিয়েও অনেকের মাঝে অনেক ভুল ধারনা আছে। হজরে আসওয়াদ পাথরে চুমা খাওয়া ফরজ ওয়াজীব এমন কি সুন্নতও নয়। এটা নফল। কেউ হজরে আসওয়াদ পাথরে চুমা না খেলেও তার হজ্জ আদায় হয়ে যাবে। এই হজরে আসওয়াদ পাথরটা হযরত আদম আলাইহিস সাল্লাম জান্নাত থেকে নিয়ে এসেছেন বলে আমরা মুসলমানরা এই পাথরটাকে ভালবাসি। ব্যাস আর কিছু না।
দেশের সকল ইসলামী দলের নেতাকর্মীদের উচিত ঢাকা এয়ারপোর্ট ঘেরাও করে লতিফ সিদ্দিকী যেদিন দেশে আসবে ঠিক সেদিনই তাকে হত্যা করা। আর টাঙ্গাইল বাসীদের কে অনুরোধ করছি লতিফ সিদ্দিকীর বাসা বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতে। ভাবতে অবাক লাগে এরকম লোককেই কিনা আমরা আমাদের জনপ্রতিনিধি বানিয়েছিলাম। শাহবাগ থেকে যে বারবার বলা হত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হল মুক্তচিন্তা, মুক্তমন মানসিকতা এখন লতিফ সিদ্দিকীর রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে কটাক্ষ করে এই উক্তি করার পর আমরা তা বুঝতে পারলাম। এইসব মামলা মোকাদ্দমা করে আমরা লতিফ সিদ্দিকীর কোন ক্ষতি করতে পারব না। আল্লাহর রাসূলকে নিয়ে চরম মিথ্যাচার করার জন্য এই লতিফ সিদ্দিকীকে প্রকাশ্যে রাজপথে হত্যা করতে হবে। এয়ারপোর্ট ঘেরাও ছাড়া এখন আর কোন উপায় নাই। লতিফ সিদ্দিকী যেদিন বিমান বন্দরে আসবে সেদিনই তাকে হত্যা করতে হবে।
অনেকেই বলে অনলাইনে প্রতিবাদ করে কি হবে ? কিন্তু এবার লতিফ সিদ্দিকীর যে মন্ত্রীসভা থেকে অব্যহতি হল এটা কিন্তু আমাদের অনলাইনের লেখালেখির দ্বারাই। অনলাইন মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হবার পরেই কিন্তু প্রিন্ট মিডিয়ায় লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপারটা এত গুরুত্ব দিয়ে প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছে। মুসলমানদের সব পক্ষই কিন্তু লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কথা বলেছে। সরকার লতিফ সিদ্দিকীর কোন বিচার করবে না। শুধু তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেওয়া ছাড়া। যা করার আমাদের কেই করতে হবে। অনেকেই নাকি এখন লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য প্রত্যাহার চাচ্ছে। মানে লতিফ সিদ্দিকী যদি এখন তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে তাইলেই তার সকল অপরাধ মাফ !
তসলিমা নাসরিন লতিফ সিদ্দিকী কে সমর্থন করেছে এই খবরটা আপনার পত্র পত্রিকা মারফত ও তসলিমা নাসরিনের status Tweet থেকে জানতে পেরেছেন। যেই তসলিমা নাসরিন সুকুমারী ভট্টাচার্যের বইয়ের লাইনের পর লাইন চুরি করে আনন্দ পুরস্কার পেয়ে ফেলে সে তো আরেক চোর লতিফ সিদ্দিকী কে সমর্থন করবেই এতে অবাক হবার কি আছে। চোরে চোরে মাসতুতু ভাই। লতিফ সিদ্দিকী কিন্তু তার ঐ বক্তৃতায় এই কথাও বলেছে উনি ৪ লাখ টাকার কমে ঘুষ খান না। কেউ ১/২ লাখ টাকা ঘুষ দিলে লতিফ সিদ্দিকী তার কাজ করে দেন না। তসলিমা নাসরিন যেহেতু লতিফ সিদ্দিকীর কথা গুলা কে সমর্থন করেছে তাই আমরা ধরে নিতে পারি তসলিমা নাসরিন লতিফ সিদ্দিকীর দুর্নীতি ও চৌর্যবৃত্তি কেও সমর্থন করেছে। পাটমন্ত্রী থাকার সময় এই লতিফ সিদ্দিকী যে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে তা তো আমরা এখন সবাই জানি। প্রথম আলো পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে লতিফ সিদ্দিকীর এই দুর্নীতির খবর ছাপা হচ্ছে। আশা করি তসলিমা নাসরিন অতিশীঘ্র লতিফ সিদ্দিকীর সাফাই গেয়ে এই ঘোষণা দিবে মন্ত্রনালয়ে চাকরি করলে একটু একটু দুর্নীতি সবাই করে। তাই লতিফ সিদ্দিকীর এই দুর্নীতি ধর্তব্য না। আমেরিকায় তসলিমা নাসরিনের একটা বাড়ি আছে। আশা করি লতিফ সিদ্দিকী এখন থেকে ঐ বাড়িতে থাকবে। এই নাস্তিক গুলাই কিন্তু আমাদের কে সততা শিখাইতে আসে। কিন্তু এখন আপনারা দেখেন শুধুমাত্র ইসলাম বিদ্বেষীতার কারনে এরা কিরকম ভাবে লতিফ সিদ্দিকীর দুর্নীতিকেও support করছে। আমার সবচেয়ে বিরক্ত লাগছে এই লতিফ সিদ্দিকী কে নিয়ে হিন্দুদের লাফালাফি দেখে। এই লতিফ সিদ্দিকী হিন্দুদের অনেক জমিজমা দখল করেছে। টাঙ্গাইলের অনেক হিন্দুই লতিফ সিদ্দিকীর অত্যাচারে ভারতে চলে গেছে। কিন্তু হজ্জ ও আল্লাহর রাসূল কে নিয়ে কটুক্তি করার জন্য লতিফ সিদ্দিকী এখন হিন্দুদের কাছে নতুন দেবতা। হয়ত অতী শীঘ্র হিন্দুরা লতিফ সিদ্দিকীর মূর্তি বানিয়ে তার পূজা শুরু করে দিবে। অর্থ্যাৎ এই হিন্দু ও নাস্তিক গুলির কাছে চোর ডাকাত পরের জমি দখলকারী ভূমি দস্যু এইসব ব্যক্তিরাও ভাল যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালিগালাজ করে। যেইভাবে মুক্তমনারা দূর্নীতিবাজ লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে কথা বলছে তাতে বুঝাই যাচ্ছ এরা আসলে মুক্তমনা না এরা হচ্ছে মিথ্যামনা।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন