উম্মে কুলসুম ঋতুর আত্মহত্যা ও বাংলার হিন্দু সমাজ

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:০৮:২৮ রাত

কয়েকদিন আগে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে উম্মে কুলসুম নামক এক মুসলমান মেয়ে আত্মহত্যা করেছে এই খবরটা আপনারা পত্র পত্রিকা মিডিয়ার মাধ্যমে সবাই জানেন। উম্মে কুলসুম আত্মহত্যা করেছে খিলগাঁওয়ের এক বখাটে হিন্দু ছেলে ও মাদক ব্যবসায়ী শিমুল চন্দ্র মন্ডল নামক এক হিন্দু ছেলের ক্রমাগত ইভটিজিং ও উম্মে কুলছুমের আত্মহত্যা করার আগের রাতে শিমুল চন্দ্র মন্ডল উম্মে কুলসুম কে ধর্ষন করতে চেয়েছিল সেই কারনে। আপনারা একটু চিন্তা করে দেখুন এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হিন্দুরা কত সাহস পেয়েছে যে এক হিন্দু ছেলে এক মুসলমান মেয়েকে ধর্ষন করতে যায় তাও আবার রাজধানী ঢাকার বুকে। [তথ্যসূত্রঃ http://www.banglamail24.com/news/2014/09/08/id/65384/] আমরা আর হিন্দুদের কত দৌরাত্ম দেখব ? এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে হাজার হাজার হিন্দু এস আই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক থানাতেই এখন ২/৩ টা হিন্দু এস আই দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুদের জনসংখ্যা শতকরা মাত্র ৫ ভাগ। কিন্তু এই ৫ ভাগ হিন্দুই এখন মুসলমান মেয়েদের দিকে হাত বাড়িয়েছে আর আমরা তা চেয়ে চেয়ে দেখছি। অপরাধীর কোন ধর্ম নাই এটা আমিও মানি কিন্তু একটা অপরাধী যখন দেখে সে অপরাধ করলেও রাষ্ট্রযন্ত্র তার কোন বিচার করবে না তখনই সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। শিমুল চন্দ্ররা খুব ভাল করেই জানে এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের ৭ খুন মাফ তাই পরিমল থেকে শুরু করে হিন্দুরা একটার পর একটা অপরাধ করেই যাচ্ছে। আচ্ছা আজকে যদি কোন মুসলিম ছেলের ইভটিজিং এর কারনে কোন হিন্দু মেয়ে আত্মহত্যা করত তাইলে এতক্ষনে অনলাইনে কি পরিমানে আলোড়ন সৃষ্টি হত তা কি আপনারা কখনো ভেবে দেখেছেন ? হিন্দুদের সাথে সাথে নাস্তিক ভেকধারী ইসলাম বিদ্বেষীরাও হইচই করে উঠত যে মুসলমানরা হিন্দু মেয়েদের কে গনীমতের মাল মনে করে, বাংলাদেশে হিন্দু মেয়েদের কোন নিরাপত্তা নাই। আর এই ঘটনার সুযোগে হিন্দুরা রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কেও গালিগালাজ শুরু করে দিত। আর ভারতে যদি কোন মুসলমান ছেলে কোন হিন্দু মেয়েকে ধর্ষন করে বা কোন মুসলমান ছেলের ইভটিজিং এর কারনে কোন হিন্দু মেয়ে যদি আত্মহত্যা করত তাইলে এতক্ষনে ভারতে আরেকটা মুজাফফরবাদ বা গুজরাট শুরু হয়ে যেত। কিন্তু আপনারা দেখুন বাংলাদেশের মুসলমানরা কত সহনশীল শিমুল চন্দ্র মন্ডল উম্মে কুলছুম কে ধর্ষন করার পরেও বাংলাদেশের হিন্দুদের কোন জানমালের ক্ষতি হয় নি। শুধু শিমুল চন্দ্র মন্ডল না ভিকারুননেসার হিন্দু শিক্ষক পরিমল যখন ভিকারুননেসার শত শত মেয়েকে ধর্ষন করেছিল তখনো এই ব্যাপারটা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দিকে মোড় নেয় নি। আপনি হয়ত এখন ২০০১ সালের নির্বাচনের পর হিন্দু নির্যাতনের কথা বলবেন। ২০০১ এর সংসদ নির্বাচনের পর যে ঘটনা গুলি ঘটেছিল তা ছিল রাজনৈতিক। সেই সময় অনেক আওয়ামী মুসলিম পরিবারও ছাত্রদল যুবদলের অত্যাচারের স্বীকার হয়েছিল। আবার এই আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বহু ছাত্রলীগের নেতাকর্মী প্রতিপক্ষ দলের পরিবারের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। আর সেই সময় কয়টা হিন্দু মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিল ? সর্বোচ্চ ২০ টা। আর গুজরাটে আপনারা শুধু ৩০০০ মুসলিম মেয়েকে ধর্ষন করে তারপর আগুনে পুড়িয়ে মেরেছেন।

আসলে হিন্দুরা হচ্ছে একটা জানোয়ারের জাত যাদের হাত থেকে তাদের মা বোন রাও নিরাপদ না। এই হিন্দুদের জন্য আমরা Google এ মা লিখে search দিতে পারি না। প্রত্যেকটা চটি ওয়েবসাইট এই হিন্দুরা চালায়। মা বউদী দিদি কাকীমা এইসব পবিত্র সম্পর্ক গুলাকে নিয়ে হিন্দুরা চটি লিখে। ভারতে এখন কোন মেয়ে একা একা চলাফেরা করতে পারে না। দিল্লীকে এখন বলা হয় ধর্ষনের নগরী। ভারতের ঘরে ঘরে এখন অযাচার চলছে। প্রত্যেকটা চটি ওয়েবসাইটে হিন্দুদের লেখা অযাচার কাহিনীতে ভরপুর। এই ছোটলোকের জাত গুলার জন্য আমরা এখন Google এ মা বোন লিখে Search দিতে পারি না। শিমুল চন্দ্রের বাপ চিত্তরঞ্জন মণ্ডলও বিভিন্ন হত্যা মামলার আসামী ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। বুঝাই যাচ্ছে সব কটা হিন্দুই হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী লম্পট।

কয়েকদিন আগে মাওলানা ফারুকী নিহত হয়েছেন। তসলিমা নাসরিন এই প্রসঙ্গ ধরে বলছেন কোরবানী প্রথার কারনে নাকি মুসলমানরা গলা কাটতে ওস্তাদ। তো আমি তসলিমাকে বলতে চাই ২০০৮ সালে হিন্দুরা উড়িষ্যার অনেক খৃষ্টানকে হত্যা করেছিল। অনেক নানকে শিবসেনা RSS এর কর্মীরা ধর্ষন করেছিল। তখন ভারতে ছিল মনমোহন সিং সরকার। অবস্থা এত খারাপ আকারে ধারন করেছিল যে স্বয়ং পোপ বিজেপী শিবসেনাকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলেছিলেন। তসলিমা কিন্তু তখন ভারতেই ছিল। এইবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে আসামের প্রায় ২০০ মুসলমান শহীদ হয়েছিল বিজেপীর নির্দেশে বোড়ো উপজাতি কর্তৃক। অর্থ্যাত্ ভারতে প্রায়ই শিবসেনা বজরংগী RSS কর্তৃক মুসলমান ও খৃষ্টানদের কে হত্যা করা হয়। যারা ভারতের খবরাখবর রাখেন তারা জানেন যে ভারতে এইসব ডালভাত বিজেপী শিবসেনা কর্তৃক মুসলমান হত্যা। তো এখন তসলিমা নাসরিন কি পারবে বিজেপী শিবসেনা বজরংগীকে একটা গলাকাটা বাহিনী উল্লেখ করে একটা tweet করতে ? আমরা ভাল করেই জানি তসলিমা নাসরিন কখনোই হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে কিছু বলবে না। কারন এই হিন্দুত্ববাদই তসলিমাকে আশ্রয় পশ্রয় দিচ্ছে। আর ফারুকী মারা গেছেন হাইকোর্ট মাজারের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে। ফারুকী হাইকোর্ট মাজার মসজিদের খতীব ছিলেন। মাজারের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এর আগেও বাংলাদেশে বহু খুন খারাপী হয়েছে। তাই ফারুকীর হত্যাকান্ডটা ধর্মীয় না এটা আর্থিক কারনে সংঘটিত হয়েছে।

ভারতে ঝাড়খন্ডে কয়েকদিন আগে মংলী নামে এক হিন্দু মেয়ে একটা কুকুর কে বিয়ে করেছে। এটা নিয়ে দেখলাম মিডিয়ায় অনেক হইচই হচ্ছে। আরে যেখানে ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয়েছিল একটা গাছের সাথে আর সেখানে মংলী তো কোন ছাড় ! আর হিন্দু ধর্মে কুকুর বিড়াল গাছ গাছড়া শুকর ছানা সবার সাথেই বিয়ে করার নিয়ম আছে। ভারতে এটা প্রায়ই হয়। অনেক সময় এটা মিডিয়ায় আসে আবার অনেক সময় এটা মিডিয়ায় আসে না। তসলিমা নাসরিনও এটা নিয়ে লিখছেন তবে খুব সুকৌশলে মংলী যে একটা হিন্দু মেয়ে, কুকুর ছানার সাথে মংলীর বিয়েটা যে হিন্দু রীতিতে হয়েছে এটা তসলিমা নাসরিন এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু ফারুকীর হত্যাকারী ডাকাতদের কে তসলিমা নাসরিন একেবারে মুমিন মুসলমান বানিয়ে দিয়েছে। এই হচ্ছে মুক্তমনা ভেকধারী নাস্তিকদের অবস্থা। মুসলিম নামধারী কোন ব্যক্তির দোষ ত্রুটি এই তসলিমারা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করে কিন্তু হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে একটা কথা বলার সাহসও এই তসলিমাদের নাই। আর এদের কেই কিনা আমরা Free Thinker বলি !

বিষয়: বিবিধ

৩৯৮৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য