মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান টি কারা ধবংস করেছে ?
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:০৯:৩৬ রাত
রুশ পন্থী ইউক্রেনীয় বিদ্রোহী দ্বারা মালয়শিয়ার একটা বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় আকাশ পথ এখন উত্তাল। সেই সাথে মালয়শিয়া ভিত্তিক সকল এয়ারলাইন্সের ব্যবসাও এখন মুখ থুবড়ে পরেছে। আপনাদের কি মনে আছে গাজায় ইসরাঈলী অভিযান শুরু হবার পর রুশ প্রেসিডেন্ড ভ্লাদিমির পুতিন ইসরাঈলের প্রধানমন্ত্রী বেজ্ঞামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে এই বলে হুমকি দিয়েছিল গাজায় ইসরাঈলী আগ্রাসন থামাতে হবে তা না হলে রুশ-ইসরাঈলের সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।
[তথ্যসূত্র]
ইসরাঈলকে পুতিনের এই হুমকি দেবার প্রতিশোধ হিসাবেই CIA এই মালয়শিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত করল যেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর কোনদিন ইসরাঈলের বিরুদ্ধে কিছু না বলতে পারে। সেই সাথে CIA এক ঢিলে ৩ পাখি মারল একদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কে সারা জীবনের জন্য ইসরাঈলের ব্যাপারে চুপ করিয়ে দিল, ইউরোপ আর মালয়শিয়ার সাথে রাশিয়ার সম্পর্কটা তিতা করাল আবার সেই সাথে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি গাজা থেকে সরিয়ে শুধুমাত্র একটি বোয়িং বিমানের দিকে নিক্ষেপ করাল। বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া এটা CIA এর বহুত পুরানো অভ্যাস। CIA বহুবার এইসব তথাকথিত বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমে তার প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করেছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক যখন আর মার্কিন বলয়ের মাঝে থাকল না ঠিক তখনই আমেরিকা এক তথাকথিত বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক কে হত্যা করে। কোন রাষ্ট্রপ্রধান যখন আমেরিকার সাথে বেশী ঝামেলা করে ঠিক তখনই আমেরিকা এইসব তথাকথিত বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমে তার কথা মেনে না চলা রাষ্ট্রপ্রধানদের কে সরিয়ে দেয়। আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমেরিকার এখন খুব টানাপোড়ন চলছে। মার্কিনীদের সংলাপের আহ্বান কে শেখ হাসিনা নিয়মিত দলিত মথিত করছে। বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক যে এখন শুণ্যের কোঠায় এখন তা আমরা সবাই জানি। অবাক হব না যদি শুনি লন্ডনে পরিবহনরত শেখ হাসিনার বিশেষ বিমানটি ভূমধ্যসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা নিজে থেকে না সরলে আমেরিকা হয়ত শেখ হাসিনাকে এই পাকিস্তানের জিয়াউল হকের মত এই তথাকথিত বিমান দূর্ঘটনার মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে। শেখ হাসিনার উচিত এখন কম বিমানে উঠা। তবে আমি মনে প্রাণে চাই শেখ হাসিনা এই মার্কিন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিক। কারন শেখ হাসিনা এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেই আমি আমার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলাটা থেকে নিস্কৃতি পাব ও থাবা বাবা/রাজীবের হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত নর্থ সাউথের সেই ৬ জন ছাত্র অনিক দ্বীপ রুম্মান নাফিস ইরাদ ও সাদমানরা জেল থেকে মুক্তি পাবে। সত্যিকথা বলতে কি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষই এখন শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করছে। জেল খানায় যেয়ে দেখেন প্রচুর islamist ছেলে ডান্ডাবেড়ী পরে তার জেল জীবন অতিবাহিত করছে। যারা বাইরে আছে তাদেরকেও ১ মাস ২ মাস পর পর কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে দিচ্ছে। আমি নিজেই এই নিয়ে ৮ বার ঢাকার জর্জকোর্টে হাজিরা দিয়েছি। মামলার খরচ জোগাতে জোগাতে অনেক islamist পরিবার এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে। সত্যিকথা বলতে কি ইসরাঈল যেমন ফিলিস্তিনীদের জন্য একটা অভিশাপ ঠিক তেমনি শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের islamist পরিবার গুলির জন্য আল্লাহর একটা গজব। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা শেখ হাসিনাকে ধবংস করুক।
যাই হোক এবার ইসরাঈলের ব্যাপারে কিছু বলি। ছোট বেলায় যখন এশার নামাযের কেরাতে মাঝে মাঝে ইমাম সাহেবের মুখে বনী ইসরাঈল এই শব্দটা শুনতাম আবার বাসায় এসে BBC, voice of america এর খবরে ইসরাঈল শব্দটা শুনতাম তখন খুব অবাক হতাম কোরআনের এই শব্দটাই তো এখন বেতারে বলছে। তখন তো আর এই ইহুদী, বনী ইসরাইল, হযরত মুসা আলাইহিস সাল্লাম এই ব্যাপার গুলি বুঝতাম না। সবচেয়ে কষ্ট লাগে যখন দেখি ছোটবেলায় যেই ফিলিস্তিনীদের দূর্দশার কথা গুলি বেতারে শুনতাম আজও বেতার ফেইসবুক ইন্টারনেটে এই ফিলিস্তিনীদের দূর্দশার কথা গুলি শুনতে হচ্ছে। পৃথিবীতে এত জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হল এত জাতি স্বাধীন হয়ে গেল শুধুমাত্র ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতা টাই আর আসল না। আসলে শুধু ফিলিস্তিনীদের কথা বললে ভুল হবে এই কাশ্মীর চেচনিয়া রোহিঙ্গা ফিলিপাইনের মিন্দানাও এদের কারো দূর্দশাই এখনো মিটে নাই। পূর্ব তিমুর স্বাধীন হয়ে গেলেও এই ফিলিস্তিন কাশ্মীর চেচনিয়া রোহিঙ্গারা স্বাধীন হতে পারে নাই। এর একটাই কারন তারা হল মুসলমান। তারা রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নব্যুয়তের উপর ঈমান আনছে। রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নব্যুয়তের উপর ঈমান আনাই হচ্ছে তাদের সবচেয়ে বড় অপরাধ। আমার যেটা মনে হচ্ছে মালয়শিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটি ইউক্রেন নিজেই ভূপাতিত করেছে রাশিয়াকে চাপে ফেলানোর জন্য। হয়ত গোপনে গোপনে এই বিমানটি ভূপাতিত করার বিনিময়ে ইউক্রেন ও আমেরিকার মাঝে হাজার কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে।
বিশ্ববিখ্যাত সাংবাদিক Paul Joseph Watson প্রমান করছে যে ইউক্রেন সরকারই বিমানটি ভূপাতিত করেছে।
এই টুইন টাওয়ার ধবংস এই আমেরিকায় করছে। মুসলমানরা এই কাজ করে নাই। সামান্য ২ টা বিমানের আঘাতে এত বড় বিল্ডিং ধসে পরার কথা না। twin tower conspiracy লিখে Google এ Search দিলে BBC World News Voice of Americai এর আর্টিকেল আসে যে টুইন টাওয়ারে হামলা খুবই রহস্যজনক। এটা আমেরিকাই করেছে। আফসোস আমাদের মুসলমানদের ভিতরে সচেতনতার অভাব।
এই জায়নাবাদীদের স্বার্থ রক্ষা করতে যেয়েই নিরীহ ২৯৫ জন ব্যক্তির প্রাণহানী হল। এর আগেও মালয়শিয়ার একটি বিমান ভারত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল যার কোন ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় নি। আস্তে আস্তে মালয়শিয়া দেশটার বিমান পরিবহন কে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। কোন উদীয়মান মুসলিম রাষ্ট্রকে এই জায়নাবাদী ইহুদীরা সহ্য করবে না তা বুঝাই যাচ্ছে।
আজকে যদি কোন মুসলিম দেশে এই মালয়শিয়ার বিমানটি বিধ্বস্ত হত তাইলে সেই মুসলিম দেশটিকে বড় মাপের একটা সন্ত্রাসী ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হত। আজকে বলা হচ্ছে ইউক্রেনের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই বিমান টিকে ভূপাতিত করেছে আর যদি কোন মুসলমানরা এই বিমান টিকে ভূপাতিত করত তাইলে বলা হত একটি মুসলিম জঙ্গী গোষ্ঠী এই বিমানটিকে ভূপাতিত করেছে মুসমানরা হচ্ছে জঙ্গী সন্ত্রাসী। ভারতেও কিন্তু অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আছে যেমন উলফা মাওবাদী। এরাও কিন্তু প্রায়ই ভারতের সেনাবাহিনী ও পুলিশ কে হত্যা করে। কিন্তু ভারতের মিডিয়া এদের কে বলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আর কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের কে বলে তারা জঙ্গি গোষ্ঠী। এত গুলি লোক মারার পরেও ইউক্রেনের এই বিদ্রোহি গ্রুপ বা যারা এই কাজ করেছে তারা ঠিকই পার পেয়ে যাবে কারন একটাই তারা মুসলমান নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার লিখা আপনার অভিব্যাক্তি আপনার সহজ সরল ভাবনা - একজন সাধারন মানুষ হিসাবে পড়তে আমার ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন