তসলিমা নাসরিনের জীবনে কি কোন হিন্দু পুরুষ এসেছিল ?
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:৩৫:২৯ রাত
হিন্দুদের একটা বদভ্যাস হল যারাই ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলবে হিন্দুরা তাদেরকেই দেবদেবীর আসনে বসিয়ে দিবে। যেহেতু তসলিমা নাসরিন বহুদিন ধরে ইসলাম ধর্মের বিপক্ষে লেখালেখি করছেন তাই তসলিমা নাসরিন বহু আগ থেকেই হিন্দুদের কাছে একজন দেবীর আসন পেয়েছেন। সনাতন ধর্মের এত দেবদেবী থাকা সত্ত্বেও বিংশ শতাব্দীর একজন নব্য দেবী হল তসলিমা নাসরিন। আচ্ছা যেই হিন্দুরা তসলিমা নাসরিনের এত পূজা করে আমরা এখন একটু দেখি তো এই তসলিমা নাসরিন কতটুকু হিন্দু পুরুষ প্রেমিক। তসলিমা নাসরিনের মোট ৩ জন Husband ছিল। কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম ও সাংবাদিক মিনার মাহমুদ। এদের মাঝে কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা “পারলৌকিক মুলো” কবিতাটায় মুসলমানদের আখিরাত বিশ্বাসকে চরম ভাবে কটাক্ষ করা হয়েছে। রুদ্র ছাড়া তসলিমার বাকী ২ সাংবাদিক স্বামী উনারা কেউই নাস্তিক ছিলেন না। উনারা ২ জনই মুসলমান ছিলেন। এছাড়া তসলিমা নাসরিন অনেক পুরুষের সাথেই লিভ টুগেদার করেছেন বা শয্যাসঙ্গী হয়েছেন। তসলিমা নাসরিনের “ক” বইটি পড়লে জানা যায় বর্তমান কালের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের সাথেও তসলিমা নাসরিনের বেশ কয়েকবার দৈহিক সম্পর্ক হয়েছিল। উনার ফরাসী প্রেমিক উপন্যাসটা পড়েও বুঝা যায় এক ফ্রান্সের নাগরিকের সাথে উনার বেশ কিছুদিন লিভ টুগেদার হয়েছিল। তাছাড়া এই ফরাসী প্রেমিক উপন্যাসেও উনার লেসবিয়ান হবার কথা বলা আছে। তীব্র পুরুষ বিদ্বেষের কারনে তসলিমা নাসরিন একবার লেসবিয়ান হয়েছিলেন। অর্থ্যাত্ অনেক পুরুষের সাথে যে উনার দৈহিক সম্পর্ক হয়েছিল তাদের নামধাম কোন রাখঢাক ছাড়াই তসলিমা নাসরিন প্রকাশ করেছেন। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তসলিমা নাসরিনের লেখায় আজ পর্যন্ত কোন হিন্দু পুরুষের সাথে উনার কোন শারিরীক সম্পর্ক হয়েছিল কিনা তা জানা যায় না।
১৯৯৪ সালের পর থেকেই তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশ ছাড়া। বাকী সময়টা উনি ইউরোপ ও ভারতে কাটিয়েছেন। দীর্ঘ দিন ধরে উনি একটানা ভারতে অবস্থান করছেন। কিন্তু তসলিমা নাসরিনের কোন লেখাতেই জানা যায় না যে কোন হিন্দু পুরুষের সাথে উনার বিয়ে বা লিভ টুগেদার হয়েছিল। কিন্তু এই সময়টাতে অনেক ইউরোপীয় ছেলের সাথে উনার লিভ টুগেদার হয়েছে এটা উনি নিজেই স্বীকার করেছেন। কিন্তু কোন হিন্দু ছেলের সাথে উনার কোন শারিরীক সম্পর্ক হয়েছিল কিনা তা কখনোই জানা যায় না। যেখানে তসলিমা নাসরিন সেক্স নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে লেসবিয়ান পর্যন্ত হয়ে গেছেন সেখানে তসলিমা নাসরিন কেন এখন পর্যন্ত ভারতের কোন হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করল না বা কোন হিন্দু ছেলের সাথে লিভ টুগেদার করল না এটা তো অবশ্যই একটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।
আমরা সবাই জানি ভারতে থাকতে তসলিমা নাসরিনের প্রায়ই অনেক সমস্যা হয়। যেহেতু তসলিমা নাসরিন ভারতের নাগরিক না তাই নাগরিকত্ব ছাড়া দীর্ঘদিন ভারতে থাকাটা আসলেই কষ্টকর। কিন্তু ভারতে এই থাকার সমস্যাটা তসলিমা নাসরিন খুব সহজেই সমাধান করতে পারেন। আর তা হল ভারতে বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব দেয়া হয়। তসলিমা নাসরিন যদি ভারতের কোন হিন্দু পুরুষকে বিয়ে করত তাইলে ভারত সরকার নিজেই গদগদ হয়ে তসলিমাকে ভারতের নাগরিকত্ব দিয়ে দিত। যেই ভারতে থাকা নিয়ে তসলিমাকে এত ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে এইসব ঝক্কি ঝামেলা আর কিছুই তসলিমাকে পোহাতে হত না যদি তসলিমা কোন ভারতীয় হিন্দুকে বিয়ে করত। যেই মহিলা জীবনে ৩ বার বিয়ে করতে পারে তার জন্য ৪র্থ বিয়ে করা কোন বিষয় না। অন্তত ভারতের নাগরিকত্ব পাবার জন্যও তসলিমা নাসরিন তো পারে লোক দেখানো ২/১ বছরের জন্য কোন ভারতীয় হিন্দু পুরুষকে বিয়ে করতে। কিন্তু ভাল করে বুঝা গেছে তসলিমা কখনোই তা করবে না। এর কারন কি এটাই যে হিন্দু ছেলেরা যেহেতু মুসলমানী করে না তাই তসলিমার হিন্দু ছেলেদের প্রতি কোন আকর্ষন নাই অথবা তসলিমা নাসরিন মনে মনে হিন্দু ছেলেদের কে খুব ঘৃণা করে। ২০০০ সালের দিকে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিত্ রায়ের স্ত্রী যখন আত্মহত্যা করে তখন অভিজিত্ রায় তসলিমা নাসরিন কে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তসলিমা নাসরিন ঘৃণা ভরে অভিজিত্ রায়ের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল। এরপরেও অভিজিত্ রায় ছ্যাচড়ার মত তসলিমা নাসরিনের পিছে বেশ কিছুদিন ঘুরেছিল। কিন্তু তসলিমা নাসরিন অভিজিত্ রায়কে একটু পাত্তাও দেয় নি। কিন্তু অভিজিত্ রায় একজন বুয়েট পাশ করা ইজ্ঞিনিয়ার যিনি দীর্ঘ ১ যুগ ধরে তসলিমার ন্যায় ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে লিখছে। সে হিসাবে তসলিমা নাসরিনের তো উচিত ছিল অভিজিত্ রায় কে জীবনসঙ্গী হিসাবে পছন্দ করা। এখন হিন্দুদের কাছে আমার প্রশ্ন ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি করার জন্য যেই মহিলাকে আপনারা সাক্ষাত্ দেবীর আসনে বসিয়ে দিয়েছেন সেই মহিলা ঠিক কি কারনে আজ পর্যন্ত কোন হিন্দু পুরুষকে স্বামী বা লিভ টুগেদারের সঙ্গী হিসাবে নির্বাচিত করল না। আপনাদের তো এখন তসলিমা কে বলা উচিত আমরা তো একজন দেবী পেয়েছি এখন আমাদের একজন দেবতা দরকার। আমরা হিন্দুরা দীর্ঘ বিশ বছর ধরে আপনাকে দেবীর ন্যায় শ্রদ্ধা করছি কিন্তু ঠিক কি কারনে আপনি আমাদের কে একজন দেবতা থেকে বঞ্ঝিত করছেন ? অন্তত আমাদের মুখ রক্ষার জন্য হলেও আপনার উচিত অতীশীঘ্র একজন হিন্দু পুরুষ কে বিয়ে করা অথবা লিভ টুগেদার করা। আসলে হিন্দুদের intellectual level খুব নীচু স্তরের। তাই আজ পর্যন্ত হিন্দুদের মনে একবারও এই প্রশ্ন আসল না যে আরে আমরা যে এই মহিলাকে নিয়ে এত হইচই করি তাকে একেবারে দেবীর আসনে আমরা বসিয়ে দিয়েছি এই মহিলা তো কখনোই আমাদের ধর্মের কোন পুরুষকে বিয়ে করল না। তাইলে আমরা কেন এই মহিলাকে নিয়ে এত লাফালাফি করি ? আশা করি আমার এই Status টা পড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখন তাদের দেবী তসলিমাকে অনুরোধ করবে একজন হিন্দু পুরুষকে বিয়ে করার।
বিষয়: বিবিধ
৩৭২৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন