তসলিমা নাসরিন কি সত্যিই একজন নারীবাদী ?

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ৩১ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৩৫:৩২ রাত



আচ্ছা আমাদের দেশের মেয়েদের মূল সমস্যা গুলা কি ? আমাদের দেশের মেয়েদের মূল সমস্যা গুলি হচ্ছে এই দেশে কালো মেয়ের বিয়ে হয় না, কোন মেয়ে যদি বিধবা হয় তাইলে তার ২য় বিয়ে হতে অনেক সমস্যা হয়, যৌতুক প্রথা বাংলাদেশে একটা বড় সমস্যা, শারিরীক ত্রুটির কারনে অনেক মেয়েই অন্ধ বোবা হয়ে জন্ম নেয়, সেইসব মেয়ের বিয়ে দিতে বাপ মার খুব সমস্যা হয়। আর তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভাইরা বোনদের কে সম্পত্তি দিতে চায় না অনেক সময় বোনরা সম্পত্তি নিলেও পরে ভাইদের সাথে বোনদের আর কোন সম্পর্ক থাকে না। অর্থ্যাৎ মোটা দাগে এগুলিই হচ্ছে আমাদের দেশের মেয়েদের মূল সামাজিক সমস্যা গুলি। এক্ষেত্রে তো আমরা সবাই একমত যে বাংলাদেশের মেয়েদের মূল সামাজিক সমস্যা অবশ্যই লিভ টুগেদার না। কিন্তু তসলিমা নাসরিন লন্ডনে কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রেখে যে বক্তৃতাটা দিলেন সেখানে উনি বারবার বলেছেন বাংলাদেশের মেয়েদের মূল সামাজিক সমস্যা হল লিভ টুগেদার করা। তসলিমার কথা হল হঠাৎ করে এক ছেলের সাথে সংসার না করে একটা মেয়ের উচিত ৫ টা ছেলের সাথে লিভ টুগেদার করা। তারপর যেই ছেলেটাকে তার ভাল লাগবে সে ঐ ছেলেটাকে বিয়ে করবে। বুঝলাম না বাংলাদেশের মেয়েদের এত সামাজিক সমস্যা থাকতে তসলিমা নাসরিন কেন লিভ টুগেদার করাকেই দেশের মেয়েদের মূল সামাজিক সমস্যা হিসাবে মনে করল। একজন নারীবাদী হিসাবে তসলিমার তো জানার কথা দেশের যৌতুক সমস্যা, বিধবা কালো মেয়েদের কে ছেলেদের বিয়ে করতে অনীহা। তসলিমা নাসরিনের তো উচিত ছিল এই ব্যাপার গুলি নিয়ে কথা বলা। কিন্তু তা না করে উনি বাংলাদেশের মেয়েদের লিভ টুগেদার না করতে পারাকেই সবচেয়ে বড় সামাজিক সমস্যা হিসাবে গন্য করেছেন। বাংলাদেশে বহু মেয়ে পেটের দায়ে দেহ ব্যবসা করে। বাংলাদেশের সংবিধানমতে পতিতাবৃত্তি একটা বৈধ পেশা। বাংলাদেশে সরকার অনুমোদিত ৭ টা Brothel আছে। কই তসলিমা নাসরিনকে তো কখনো দেখলাম না প্রতিদিন যে পুরুষরা Brothel এ যেয়ে মেয়েদের কে অপমান করছে সেই বিষয় নিয়ে কিছু লিখতে। কিভাবে এই মেয়েদের কে এই অন্ধকার জগত থেকে বের করে নিয়ে এসে আরো ৮/১০ টা মেয়ের মত স্বাভাবিক জীবন যাপন করানো যায় সেই বিষয় নিয়ে কিছু লিখতে। তসলিমার সাথে তো ইউরোপ আমেরিকার অনেক রথী মহারথীর সম্পর্ক আছে। তসলিমা চাইলেই তো পারে তাদের কাছ থেকে বাজেট নিয়ে এসে নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েদের কে পূনবার্সন করতে। কিন্তু কখনোই তো দেখলাম না তসলিমা নাসরিনকে নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েদের কে পূনর্বাসন নিয়ে কোন কাজ করতে। তাইলে তসলিমা নাসরিন কিসের একজন নারীবাদী ?

বিষয়: বিবিধ

১৪৭৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

260210
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:০৩
কাহাফ লিখেছেন : নারীবাদী নয় তসলিমা নাসরিন একটা যৌনবাদী নারী।
260291
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:১৭
হতভাগা লিখেছেন : যে সব সমস্যার কথা বলছেন তার সমাধান করা হয়েছে বা হচ্ছে । এমন আইন করা হয়েছে যার ফলে একজন মেয়ে ইচ্ছে করলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা করতে পারে নারী নির্যাতনের নামে।

আর বিভিন্ন শারিরীক সমস্যার জন্য যেটা মেয়েদের হয় সেরকম ছেলেদেরও হয় । বেঁটে বা মাথায় চুল কমে গেছে বলে অনেক কোয়ালিফাইড ছেলেও মেয়ে পায় না কারন কথা উঠে যে , তাকে মেয়েটির সামনে ক্ষ্যাত দেখাবে বলে ।

''কই তসলিমা নাসরিনকে তো কখনো দেখলাম না প্রতিদিন যে পুরুষরা Brothel এ যেয়ে মেয়েদের কে অপমান করছে সেই বিষয় নিয়ে কিছু লিখতে। ''

০ সেখানে মেয়েরা টাকার বিনিময়ে দেহ সাময়িকভাবে ভাড়া খাটায় এক একজনের কাছে । ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ঝগড়াকে/দরকষাকষিকে একপাক্ষিকভাবে শুধু ক্রেতাকেই দোষারোপ করা হয় এই একটা মাত্র পেশায় ।

মাছ বাজার বা ফলের দোকানে বা শপিং মলে যদি বিক্রেতা আপনাকে ঠকায় - তাহলে আমরা কাকে দোষ দেবো ?

আপনার থেকে ফিক্সড প্রাইস রেখেও যদি বিক্রেতা আপনাকে সঠিক জিনিস না দেয় / ভেজাল জিনিস দেয় তাহলে কে দোষী ?

ক্রয়-বিক্রয়ের এই বিকিকিনিতে একজন বিক্রেতা সবসময়ই চাইবে তার ক্রেতাকে ঠকাতে - যে কোন ব্যবসা ও পেশায় এটাই একজন বিক্রেতার আসল পূঁজি ।


একজন বিক্রেতা ক্রেতার চেয়ে ভাল জানে যে, সে যে জিনিসটি ক্রেতার কাছে বিক্রি করছে তা কতটা খাঁটি ক্রেতার দেওয়া দামের তুলনায় । এক্ষেত্রে সে সবসময়ই মূলদামের কমপক্ষে দ্বিগুন দাম নির্ধারন করে।

কেবল মাত্র অভিজ্ঞ ক্রেতারাই এদের সাথে পেরে ওঠে । সাধারন ক্রেতারা প্রায় সবাই ঠকে এবং অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে বিক্রেতার ওপর। যার ফলে কথা আসে ওঠে যে ,বিক্রেতাকে অপমান করা হচ্ছে। কেন ভাই , ক্রেতাকে যে প্রতি নিয়ত ঠকানো হয় বা অপমান করা হয় সেটা বললে কি স্ট্যাটাস ডাউন হয়ে যাবে ?

মেয়েদের যে সমস্যার কথা বললেন শুরুতেই তা তসলিমা বলে না , ঠিক । কারণ এসব বললে তো সে এসাইলাম হিসেবে ভাল দেশ পাবে না ।

তবে আসল সমস্যা হল - আমাদের মেয়েদেরকে তো কখনও দেখি না তসলিমার এসব ইসলাম ও পুরুষ বিদ্বেষী কথা গুলোকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের আসল সমস্যা গুলো বলার জন্য চাপ দিতে ? নাকি তারা ভেতরে ভেতরে এক একজন তসলিমা মনঃষ্কই ?

তসলিমার ব্যাপারে তাদের এই মৌনতা তসলিমার প্রতি তাদের সমর্থনকেই নির্দেশ করে ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৮
205792
শাফিউর রহমান ফারাবী লিখেছেন : েয়েরা লাজুক প্রকৃতির। তারা এইসব বলতে লজ্জা পায়।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৫
205925
হতভাগা লিখেছেন : এখনকাররা না

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File