একটা অকরুণ পৃথিবীতে এসেছে গাজা তাক্বওয়ীম
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ০৬ আগস্ট, ২০১৪, ১১:৩৯:৪৫ রাত
একটা অকরুণ পৃথিবীতে এসেছে গাজা তাক্বওয়ীম (Gaza Tqawem) নামের এই কণ্যা শিশুটি। বর্বর ইসরাঈল বাহিনী গাজার হাসপাতালে হামলা চালানোর কারনে এই শিশুটির মা তাকে জন্ম দিয়েছে গাজায় অবস্থিত জাতিসংঘের একটি স্কুলে। শিশুটির বোনের মুখচ্ছবিই বলে দিচ্ছে সে তার ছোট বোনকে কতক্ষন এই বর্বর ইসরাঈল বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে এই বিষয় নিয়ে সে চিন্তিত। মুসলিম শিশুদের উপর আঘাত করা এটা অমুসলিমদের একটা চিরাচরিত অভ্যাস। আমাদের পাশের দেশ বার্মাতেও রোহিঙ্গা শিশুদের উপর গৌতম বুদ্ধের অনুসারীরা হামলা চালায়। ২০০২ সালে গুজরাটের গর্ভবতী মাদের পেট চিড়ে গর্ভস্থ শিশুদের কে টেনে হিচড়ে বের করে এনেছিল হিন্দু শিবসেনা বজরঙ্গী দলের সদস্যরা। এই শিশুদের দোষ কি ? এই শিশুদের একমাত্র দোষ তারা একটি মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েছে। তাই বার্মায় গৌতম বুদ্ধের অনুসারীরা যেমন রোহিঙ্গা শিশুদের কে হত্যা করে, ভারতে দূর্গা কালী শ্রী কৃষ্ণের অনুসারীরা যেমন গুজরাটের মুসলিম শিশুদের কে হত্যা করে ঠিক তেমনি বর্বর ইসরাঈলী বাহিনীও গাজার শিশুদের কে হত্যা করে। ছোট ছোট শিশুদের কে হত্যা করতে যাদের হাত কাপেনা তারা মানব গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারে না। তাই এই পৃথিবীর চিন্তাশীল ব্যক্তিরা বৌদ্ধ ভিক্ষু, হিন্দু বজরঙ্গী শিবসেনাদের কে মানুষের কাতারে ফালায় না। ২০০২ সালে গুজরাটে যখন মুসলিম নিধন চলছে তখন অরুন্ধতি রায় একাই ভারতের মুসলমানদের পক্ষে লড়ে গেছেন। নন্দিতা দাশ একাই “ফিরাক” ছবিটি তৈরি করে ভারতের হিন্দুদের বর্বরতা কে তুলে ধরেছিলেন। আমাদের তসলিমা নাসরিনও কিন্তু সেই সময় ভারতে অবস্থান করছিলেন। আপনি শুনলে অবাক হবেন তসলিমা নাসরিন ২০০২ সালে এই গুজরাটের মুসলিম নিধন নিয়ে একটি কথাও বলেন নি। যেখানে অরুন্ধতি রায় কলামের পর কলাম লিখে গেছেন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সেখানে আমাদের তসলিমা নাসরিন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একটা tweet ও করে নি। যারা ২০০২ সালের গুজরাটের দাঙ্গা নিয়ে পড়াশুনা করেছেন তারা জানেন যে অরুন্ধতি রায়, নন্দিতা দাশ উনারা একাই বজরঙ্গী শিবসেনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিল আর আমাদের তসলিমা নাসরিন সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করেছিল। আর এই তসলিমা নাসরিন ই কিনা পৃথিবীর মানুষের কাছে একজন প্রথম শ্রেণীর মুক্তমনা ! শিক্ষা দীক্ষা সাহিত্য চর্চার মানের দিক থেকে অরুন্ধতি রায় তসলিমা নাসরিনের থেকে বহু বহু গুন এগিয়ে। কিন্তু যেহেতু অরুন্ধতি রায় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালিগালাজ করেন না তাই অরুন্ধতি রায়ের কপালে সুইডেন আমেরিকায় বাড়ি জুটে নাই। সুইডেন আমেরিকায় বাড়ি জুটতে হলে আপনাকে অবশ্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে গালিগালাজ করতে হবে। তসলিমা নাসরিনের লজ্জা লেখার পর ভারতের মুসলমানদের অনেক সমস্যা হয়েছে। লজ্জায় তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের যের কাল্পনিক চিত্র চিত্রায়িত করছে তার কারনে ভারতে অনেক গুলি মুসলিম গণহত্যা হয়েছে। আমার কথা হইলো অরুন্ধতি রায় নন্দিতা দাশ উনারা যদি গুজরাট নিয়ে কথা বলতে পারেন তাইলে তসলিমা নাসরিন কেন গুজরাট নিয়ে কথা বলতে পারবে না ?
যায়নাবাদী ইহুদী এক অদ্ভুদ জাতি। সারা পৃথিবী ইহুদী দের কে ছি ছি করছে তাও ইহুদীদের মাঝে একটুও চক্ষু লজ্জা নাই। আরে যারা দীর্ঘ ১২ বছর কোন কাজকর্ম না করেই আকাশ থেকে মান্না সালাওয়া খেয়ে দিন পার করল, ফেরাউনের অত্যাচার থেকে হযরত মুসা আলাইহিস সাল্লাম তাদেরকে রক্ষা করলেও ইহুদীরা হযরত মুসা আলাইহিস সাল্লাম কে এত বিরক্ত করেছিল যে হযরত মুসা আলাইহিস সাল্লাম উনার শেষ জীবনটা পাহাড়ের গুহায় গুহায় একাকী কাটিয়ে দেন। ২৫০০০ হাজারের মত নবী রাসূলকে এই ইহুদীরা হত্যা করেছে। হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সাল্লামকে এই ইহুদীরাই হত্যা করেছে। হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম কে এই ইহুদীরাই হত্যা করতে চেয়েছিল। যখন যা চেয়েছে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা সাথে সাথেই তা ইহুদীদের জন্য প্রেরন করেছেন। ইহুদীদের কোন আকাঙ্খাই আল্লাহ সুবহানাতায়ালা অপূর্ন রাখেন নাই। কিন্তু দিনশেষে এই ইহুদীরাই হযরত উযাইর আলাইহিস সাল্লাম কে আল্লাহর ছেলে বানিয়ে ফেলল। কথা তো ছিল এটাই যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই পৃথিবীতে আসার পর ইহুদীরাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর সবার আগে ঈমান আনবে। ইহুদীরা তো মদীনায় প্রায়ই বলে বেড়াত শেষ নবী আসার পর আমরাই সারা পৃথিবী শাসন করব। কিন্তু কেন মুহাম্মদ আমাদের বংশে না এসে বনু হাশেম বংশে আসলে এই রাগের কারনেই ইহুদীরা আজ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর ঈমান আনল না। আরে যারা সামান্য ৩০টা রোপ্য মূদ্রার বিনিময়ে হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম কে শ্ত্রুর হাতে ধরিয়ে দেয় তাদের মন মানসিকতা কেমন হবে তা তো বুঝাই যাচ্ছে। এই পৃথিবীতে প্রথম পর্ণোগ্রাফি ব্যবসা ইহুদীরাই শুরু করেছে। ইহুদী ছেলে মেয়েদের কাছে পর্ণোগ্রাফি কোন দোষের কিছু না। যাদের কাছে পর্ণোগ্রাফি ডালভাত তাদের যে চক্ষু লজ্জা থাকবে না সেটা তো ভাল করেই বুঝা যাচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Islam will be victorious once again.
May Allah (swt) soften our hearts and accept us for HIS (swt) sake!
মন্তব্য করতে লগইন করুন