রহস্যময় ইসকন !
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৩ জুলাই, ২০১৪, ১২:৪৪:৩২ রাত
বাংলাদেশে রথযাত্রা সাধারণত ১ দিনের জন্য হয় ৭ দিন ধরে কখনোই বাংলাদেশে রথযাত্রা হয় নাই। রথ যাত্রা হবে ১ দিনের জন্য কিন্তু রথযাত্রা যদি ৭ দিন ধরে চলে তাইলে বুঝতে হবে যে সেটা কোন রথযাত্রা না সেটা হচ্ছে রথযাত্রার ছদ্মবেশে একটা রাজনৈতিক কর্মসুচি। রথযাত্রা বাংলাদেশে অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। সাধারণত দুপুর বেলায় এই রথযাত্রা অনুষ্ঠান টা শুরু হয় আর শেষ হয় বিকালে। কিন্তু ঢাকার স্বামীবাগের এই রথযাত্রা টা চলে ৭ দিন ধরে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বুঝা যাচ্ছে যে পুরান ঢাকার স্বামীবাগে ইসকনের রথযাত্রাটা আসলে কোন রথযাত্রা না এটা হচ্ছে রথযাত্রার ছদ্মবেশে ইসকনের একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। আপনারা কি জানেন ইসকন হচ্ছে হিন্দু ধর্মের ভিতরে খৃস্টান মিশনারীদের একটা শাখা। ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রভুপাদ উনি কখনই ভারতের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করেন নাই। উনি পড়াশুনা করেছেন কলকাতার Scottish Church College এ। কলকাতার Scottish Church College টা খ্রিস্টান মিশনারিরা চালায়। স্বামী প্রভুপাদ পেশায় ছিলেন একজন ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী। ১৯৬৫ সালের দিকে স্বামী প্রভুপাদ স্থায়ী ভাবে আমেরিকায় চলে যান। তখনই স্বামী প্রভুপাদ ইসকন নামক এই সংগঠনটি গড়ে তুলেন। ইসকনের কথা হচ্ছে আমরা শুধু শ্রীকৃষ্ণের পূজা করব আর কোন দেবদেবীর পূজা করব না। কিন্তু হিন্দু ধর্মের প্রধান ৩ জন দেবতা হলেন ব্রক্ষা, বিষ্ণু ও শিব। হিন্দু ধর্ম কখনই শুধু শ্রীকৃষ্ণ নির্ভর নয়। তাই স্বামী প্রভুপাদের নতুন ধরনের এই হিন্দু সংগঠন চালু করাতে প্রথমেই উনাকে বাধা দিয়েছিলো মূল ধারার সনাতন হিন্দুরা। অধিকাংশ হিন্দু পণ্ডিতই উনার বিরুদ্ধচারণ শুরু করে। কিন্তু সেই সময় স্বামী প্রভুপাদের পাশে এসে দাড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স-এর মত ইহুদী-খ্রিস্টানদের চিহ্নিত এজেন্টরা। এটা আমার কথা না উইকিপিডিয়ায় স্বামী প্রভুপাদের জীবনি নিয়ে লেখা নিবন্ধে ই তা উল্লেখ আছে। দেখেন উইকিপিডিয়াতে কি বলছে Despite attacks from anti-cult groups, he received a favorable welcome from many religious scholars, such as J. Stillson Judah, Harvey Cox, Larry Shinn and Thomas Hopkins। অর্থাৎ সনাতন ধর্মীরা প্রথম থেকেই এই ইসকনের বিরোধিতা করে আসছে। এই দেখুন
http://en.wikipedia.org/wiki/A._C._Bhaktivedanta_Swami_Prabhupada
ইসকনিরা এমন অনেক কিছু চালু করেছে, যা মূল হিন্দু ধর্মে নেই এবং অনেকের মতে তা হিন্দু ধর্মকে ধ্বংস করার সামিল। যেমন ধরুন গীর্জার ফাদাররা যেরকম বিয়ে করতে পারে না ঠিক তেমনি ভাবে এই ইসকনের বৈষ্ণবরাও কখনোই বিয়ে করতে পারে না। কিন্তু অন্যান্য হিন্দু মন্দিরের পুরাহিতরা ঠিকই বিয়ে করে সংসার করে। আপনি যে কোন মন্দিরের পুরাহিতকেই দেখবেন যে উনি বিবাহিত। উনার স্ত্রী সন্তান থাকলেও মন্দিরের পুরাহিত গিরী করতে উনার কোন ধর্মীয় বাধা নেই। কিন্তু ইসকনের বৈষ্ণবরা কখনই বিয়ে করতে পারবে না। তাই ইসকন যে খৃষ্টান মিশনারীদের একটা শাখা এতে কোন সন্দেহ নাই। তারপর ইসকনের লোকেরা কিন্তু নতুন কোন হিন্দু মন্দির বানাচ্ছে না। তারা পুরানো হিন্দু মন্দির গুলিই দখল করছে। ইসকন যখন কোন মন্দির দখল করে তখন ঐ মন্দিরে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসা মন্দিরের পুরাহিত দের কে প্রথমে উচ্ছেদ করে। আপনারা যদি কোন হিন্দু মন্দিরের পিছনে যান তাইলে দেখবেন যে ঐ মন্দিরের পিছনের জায়গায় মন্দিরের পুরাহিতের পরিবার থেকে শুরু করে অনেক সাধারন হিন্দু বসবাস করে। ইসকন কিন্তু মন্দিরটা দখল করে প্রথমেই এই যুগ যুগ ধরে ঐ মন্দিরে পূজা অর্জনা করে আসা পুরাহিত শ্রেণীটাকে উচ্ছেদ করে। এইসব নিয়ে ইসকনের ভক্তদের সাথে দেশের সনাতন হিন্দুদের অনেক মারামারিও হয়েছে। এমনকি ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও জেলায় মূল ধারার হিন্দুদের মন্দির দখল করে নিতে যেয়ে ইসকনরা একজন হিন্দুকে খুনও করে। [ তথ্যসূত্রঃ]
শুধু তাই নয় ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর ইস্কন কর্তৃক ঠাকুরগাঁওয়ের আউলিয়াপুর গ্রামের শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দির দখলের প্রতিবাদে এবং মন্দিরে দূর্গা পূজা করতে না দেয়ায় কয়েক হাজার সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় অবরোধকারীরা দুর্গা প্রতিমা রাস্তায় রেখে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানায়।
পুরান ঢাকার স্বামীবাগে বর্তমানে যে ইসকন মন্দির রয়েছে,সেখানে কিন্তু আগে ইসকন মন্দির ছিলো না। সেখানে ছিলো মূল ধারার সনাতন হিন্দুদের আশ্রম-মন্দির ও বসতবাড়ি । কিন্তু সেখানেই চক্রান্ত করে মূল হিন্দুদের ঘরবাড়ি ছাড়া করে ইসকনরা এবং পুরাতন মন্দির দখল করে বিশাল এলাকায় নির্মাণ করে ইসকন মন্দির।
মূলত: উপর দিয়ে অতিধার্মিক সেজে থাকা ইসকনরা প্রকৃত অর্থেই হিন্দু ধর্মের এক নম্বর শত্রু। তাদের মূল টার্গেট সবগুলো হিন্দু মন্দির কৌশলে দখল করে নেওয়া এবং বর্তমান হিন্দু নেতাদের দেশ থেকে বিতারণ করা। দুঃখজনক হলেও সত্য দেশের সচেতন হিন্দুরা এখনো ইসকনের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে না।
১২ মাসে ১৩ পূজা এটাই হচ্ছে হিন্দু ধর্মের রীতি। কিন্তু ইসকনের কথা হল শুধু শ্রীকৃষ্ণের পূজা হবে যা সুস্পষ্ট হিন্দু ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। আমি বলছি না যে শ্রীকৃষ্ণ হিন্দু ধর্মের কেউ না। কিন্তু শুধু শ্রীকৃষ্ণ কেই আমরা মানব আর অন্য সব দেবদেবীকে অস্বীকার করব এটা কখনই হিন্দু ধর্মের রীতি হতে পারে না। যারা ইসকন করে তারা অন্য সব দেবদেবীদের কে চরম ভাবে ঘৃণা করে। আমি ইসকনের মন্দিরে কয়েকবার গেছি। আমি সেখানে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি ছাড়া শুধু জগন্নাথ দেবের মূর্তি দেখছি। আর জগন্নাথ দেব হলেন শ্রীকৃষ্ণের একটি রুপ। ঐ ঘুরায় ফিরায়ে খালি ঐ শুধু শ্রীকৃষ্ণ। আর মূর্তি পূজা এটা হিন্দু ধর্মেরই একটা অংশ। দূর্গা কালি লক্ষী শিব গণেশ স্বরসতীকে বাদ দিলে হিন্দু ধর্মের আর কি থাকে ? থাকবে। ইসকন প্রচন্ড রকমের শিব বিরোধী। কারন শিব ছিল অনার্যদের দেবতা।
ইসকন শিব দেবতাকে দেখতেই পারে না। ইসকনের বই পত্রে আত্মা, পরকাল, পুনজন্ম নিয়ে একটি আলাদা ধারনা দেয়া হয়েছে যেটা সনাতন ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। যেমন ইসকনিদের মতে যেই সব হিন্দু কালী ভক্ত বা লোকনাথ ভক্ত তারা কোনদিন ও স্বর্গে যেতে পারবে না। তারা বারবার খালি পুনজন্ম নিবে। আর ইসকনিরা বলে শুধু তারাই হল প্রকৃত হিন্দু। ইসকনিরা অন্য হিন্দুদের কে হিন্দু বলে স্বীকারই করে না। দেখেন এক হিন্দু পণ্ডিত ইসকন সম্পর্কে কি বলছে- " what a bunch of loosers! They say that THEY ONLY will go to paradise while others who pray to shiva/durga/kali will never go to heaven and they will come back to earth each time UNTIL they realise that krishna as per their iskCON idea is the ONLY way!! What fools they are....
অর্থ্যাৎ ইসকন যে খৃষ্টান মিশনারীদের একটা চাল এতে আমার আর কোন সন্দেহ নাই। ইসকনের নিজস্ব কোন টার্গেট নাই। এই খৃস্টান মিশনারীরা ইসকনের মাধ্যমে হিন্দুদের একটা বিশাল অংশ কে তাদের নিজেদের হাতে রাখবে। সবাই চায় তার দল ভারী হোক। খৃস্টানরা যেমন কাদিয়ানী বাহাই তৈরি করছে ইহুদীরা যেমন শিয়া মতবাদ তৈরি করছে ঠিক তেমনি এই ইসকনও পশ্চিমাদের তৈরি। মূল ধারার হিন্দুরা যত তাড়াতাড়ি এই জিনিসটা বুঝবে ততই মঙ্গল। তবে অর্থোডক্স খৃষ্টানরা ইসকন বিরোধী। রাশিয়ার অর্থোডক্স খৃষ্টানরা ইসকনের সব মন্দির ভেংগে ফেলেছে। অর্থোডক্সরা প্রচন্ড রকম ভাবে মূর্তিপূজা বিরোধী। এরপর ইসকনীদের মায়াকান্না দেখুন www.savetemple.com/
সনাতন ধর্মীদের সাথে ইসকনীদের এই ঝামেলা গুলি এই ওয়েবসাইটে খুব সুন্দর ভাবে বলা হইছে। http://sivapurana.blogspot.com/2013/05/why-iskcon-is-wrong.html
পশ্চিম বাংলার মায়াপুর শহরে এদের সবচে বড় আস্তানা। সেখনে ৩০০০ একর জায়গার উপর তাদের স্থাপনা। এবং আসে পাশের প্রায় সব জমি তারা কিনে নিয়েছে এবং সেখানে স্থায়িভাবে ২০০০ এর বেশি সাদা চামরার মানুষ স্থায়ি ভাবে থাকে আর প্রতিদিন অন্তত ১০০০ সাদা চামরা ভিজিট করতে আসে। এরা খুব বড় পরিসরে বিশাল বিশাল এবং আন্তর্জাতিকমান ঠিক রেখে ডিজাইন করে মন্দির তৈরি করে। ইউরোপ আমেরিকায় একটা মসজিদ বানাতে জমি কিনা মসজিদ তৈরি সহ সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মত লাগে। মুসলমানদের ক্ষেত্রে এই টাকাটা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ দেয়। তো ইসকন যে ইউরোপ আমেরিকায় বিশাল বিশাল সব মন্দির বানাচ্ছে ইসকনের এই টাকা টা আসে কোথা থেকে ? ভারত সরকার নিশ্চয়ই ইসকন কে কোন টাকা দেয় না ইউরোপ আমেরিকায় এইসব মন্দির বানাতে। ইসকনেরা সারাদিন বসে বসে খায় এরা কোন কাজকর্ম করে না। বিশাল এলাকা জুড়ে তাদের মন্দির। অনেক সচ্ছলতার সাথে তারা চলে। হিন্দুদের অন্য কোন গ্রুপ কখনই ইসকন্দের মত এত বিলাস বহুল ভাবে চলতে পারে না। জাতি জানতে চায় ইসকনের এই অর্থের উৎস কোথায় ? সারাদিন ঢোল বাদ্য বাজনা বাজানো এটা আবার কিরকম ধর্ম চর্চা ? তারপর বিবাহিত অবিবাহিত সব মেয়ে লোক মন্দিরে এসে বৈষ্ণবদের কে সিজদা করে। ছি। একটা মানুষ কি কখনো আরেক মানুষ কে সিজদা করতে পার ? ইসকনের মন্দিরে প্রচুর মেয়ে বৈষ্ণব থাকে। পুরুষ বৈষ্ণবরা রাধা কৃষ্ণের আদর্শ অনুসরণ করে সেখানেই বৃন্দাবন রচনা করে।
মায়াপুরে ইস্কনের যে হেড মন্দির আছে সেখানে অনেক রহস্যঘেরা। সেখানে যে সাদা চামড়ার লোকেরা থাকে তারা নাকি কেউই ইস্কনের না। তারা সেখানে ইস্কনের চাকরি করে। ইস্কন তাদের কে বেতন আর বিলাস বহুল জীবন যাপনের লোভ দেখিয়ে সেখানে রাখছে। উনারা কেউই হিন্দু না। তারপর মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরে অনেক কড়াকড়ি। আপনি তাদের গোশালায় ঢুকতে চাইলে বৈষ্ণবরা আপনাকে চেইন দিয়ে মারবে। মায়াপুর ইসকনের রহস্যময় কাজ কারবার নিয়ে Roomnee Sen এর ব্লগটি পড়ুন
http://roomnee.blogspot.com/2013/07/iskcon.html
তারপর ইসকন সারা দুনিয়া ঘুরে ঘুরে পঞ্চগব্যের ওপর লেকচার দিয়ে বেড়ায়। পঞ্চগব্য হলো দুধ, ঘি, মাখন, গোমূত্র ও গোবর। ইসকনিরা তাদের সব খাবারেই গরুর প্রস্রাব ও গোবর মিশায়। আপনি Google এ cow urine iskcon লিখে সার্চ দিলে এরকম ভুরি ভুরি ওয়েবসাইট বের হয়ে আসবে যেগুলোতে ইসকন ভারতে যে গোমূত্রের পণ্য বাজারজাত করছে তার বিবরণ রয়েছে। এরকম একটি ওয়েবসাইট www.goshala.com
অর্থ্যাৎ সারা পৃথিবীতে গরুর প্রস্রাব বিতরণে ইসকন সেরা। আর ইসকন যে সারা পৃথিবীতে গরুর প্রস্রাবের ব্যবসা করে তা তাদের ওয়েবসাইটেই বলা আছে। সেখানেই বলা হয়েছে স্বামী প্রভুপাদ সারা পৃথিবীর ষাঁড় ও গাভীর রক্ষাকর্তা। ইসকনের সদস্যরা ঘুম থেকে উঠেই প্রথম গরুর প্রস্রাব খায়। ছি। গোমূত্র ও গোবর নিয়ে তাদের যে মহাপরিকল্পনা তা শুনলে যে কারো চোখ কপালে উঠবে। আগ্রহীরা এই ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন।
http://www.youtube.com/watch?v=IVrEN32kUKk
আর সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হল ইসকনের মন্দির গুলিতে সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মাইকে উচ্চস্বরে হরে কৃষ্ণের জয়ধ্বনি করা হয়। ইসকনের মন্দির গুলির আশপাশে যারা থাকেন তারা জানেন যে ইসকনের লোকেরা আশপাশের মানুষদের কে কি পরিমানে বিরক্ত করে। বিশ্বাস না হলে আপনি সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পাশে ইসকনের মন্দিরে যেয়ে দেখতে পারেন। কিন্তু অন্যান্য হিন্দু মন্দির গুলিতে কিন্তু শুধু দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যেই মাত্র ৩ দিনের জন্য ঢোল বাদ্য বাজানো হয় যেখানে ইসকনের মন্দির গুলাতে সারাদিন ঢোল বাদ্য বাজনা বাজানো হয়। তাই ইসকন যে তাদের সারাদিন এই ঢোল বাদ্য বাজনা বাজানোর মাধ্যমে দেশে একটা সাম্প্রদায়িক দাংঙ্গা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে না এর নিশ্চয়তা কি ? যেখানে আমাদের ভারতের মুসলমান ভাইয়েরা মাইকে আজান দিতে পারে না সেখানে ইসকন সারাদিন তাদের ঢোল বাদ্য বাজনা বাজিয়ে আমাদের নামাযের ব্যাঘাত ঘটাবে তা তো মেনে নেয়া যায় না। আপনারা সারাদিন মূর্তিপূজা করেন তা তো আমরা মানা করছি না। কিন্তু আপনারা সেই সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রতিদিন মাইকে উচ্চস্বরে হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ করবেন তা তো মেনে নেওয়া যায় না। এখানেই ইসকনের ব্যাপারে আমাদের আপত্তি। ইসকন যদি মাইক না বাজিয়ে সারাদিন হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ করে তাইলে আমাদের কোন আপত্তি নাই। ইসকন কে অবশ্যই এইসব সারাদিন ঢোল বাদ্য বাজনা বাজানো বন্ধ করতে হবে তা না হলে এর পরিণতি হবে খুব বেদনাদায়ক।
বিষয়: বিবিধ
৮৮৪৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইসকন শ্রিকৃষ্নের উপর দেবত্ব আরোপ করে কিন্তু মহাভারত অনুসারে কৃষ্ন অবতার হলেও মানুষ। ইসকন মুলত সনাতন বৈষ্নব ধর্ম কে কেন্দ্র করে একটি নতুন ধর্ম উদ্ভাবন করেছে যার অন্যতম অনুষঙ্গ অবাধ যেীনাচার। সনাতন বৈষ্নব ধর্মেও কিছু ক্ষেত্রে যা প্রচলিত ছিল। টাঙ্গাইল এর গুপ্তবৃন্দাবন আশ্রম এর একটি আখড়া। প্রায় ৮০ বছর আগে এই ঘটনার বিবরন অন্নদাশংকর রায় তার আত্মজিবনি "জিবন-য়েীবন" এ দিয়েছেন। ইসকন অনেক আগে থেকেই ইহুদি দের দ্বারা আর্থিক সাহাজ্য প্রাপ্ত।
আর এই রথযাত্রা কতটুক হিন্দু ধর্মিয় উৎসব সেটাও চিন্তার বিষয়।
স্বয়ং রবিন্দ্রনাথ লিখেছেন
"রথযাত্রা লোকারান্য মহা ধুমধাম
সকলে লুটায় পরি করিছে প্রনাম
পথ ভাবে আমি দেব,রথভাবে আমি
মুর্তিভাবে আমি দে,হাসেন অর্ন্তযামি"
মন্তব্য করতে লগইন করুন