যাদু আর মুজেজার মাঝে পার্থক্য বুঝুন
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ০৬ জুলাই, ২০১৪, ১২:১০:০৭ রাত
আপনি যখনই রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজেজা গুলি নিয়ে আলোচনা করতে যাবেন ঠিক তখনই নাস্তিকরা বলা শুরু করবে যে মুজেজা নাকি যাদুর মতই। কিন্তু মুজেজা আর যাদু ২ টা ভিন্ন জিনিস। যাদু হচ্ছে মানুষকে ধোকা দেওয়া কিন্তু মুজেজা হচ্ছে কোন বস্তুর কার্যকারিতা বা উপাদানগত বৈশিষ্ট্য কে পরিবর্তন করা। যাদুর মাধ্যমে কোন বস্তুর উপাদানগত বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয় না কিন্তু মুজেজার মাধ্যমে ঐ বস্তুটির গুনগত পরিবর্তন সাধিত হয়। মুজেজা আর যাদুর মাঝের পার্থক্য গুলি আমি এখন আলোচনা করব। রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে অনেক গুলি মুজেজা সংঘটিত হয়েছিল। যেই মুজেজা গুলির সাক্ষী ছিল হাজার হাজার কাফের। রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজেজা গুলি দেখে অনেক কাফের মুসলমানও হয়েছিল। মুজেজা শুধু রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নয় সকল নবী রাসূলদের জীবনেই ছিল। যেমন হযরত মূসা আলাইহিস সাল্লামের মুজেজা দেখেই ফেরাউনের দরবারের অনেক যাদুকররাই মুসলমান হয়েছিল। একটু চিন্তা করে দেখুন ফেরাউনের দরবারের যাদুকররা কিন্তু অনেক যাদু জানত। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফেরাউনের দরবারের যাদুকররা যাদু আর মুজেজার মাঝে কি পার্থক্য ছিল তা বুঝতে পেরেছিল। শুধু ফেরাউনের দরবারের যাদুকররাই না মক্কার কাফেরদের মাঝেও অনেক যাদুকর ছিল। কিন্তু তারাও বুঝতে পেরেছিল যে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজেজা গুলি হচ্ছে সত্য আর আমাদের যাদু গুলি হচ্ছে মিথ্যা যা শুধু মানুষদের শুধু ধোকা দেয়। একটা উদাহরণ দেই একবার এক যুদ্ধক্ষেত্রে ওজু করার পানিতে ঘাটতি পরলে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আঙ্গুল থেকে নির্গত পানি দ্বারা হাজার হাজার সাহাবী ওযু করেছিল। রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আঙ্গুল থেকে পানি নির্গত হবার ঘটনাটা বুখারী শরীফেও বর্ণিত আছে। আবদুল্লাহ ইবনুূু ইউসুফ (রহঃ) আনাস ইবনুূু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলাম, তখন আসরের সালাত এর সময় হয়ে গিয়েছিল। আর লোকজন ওজুর পানি তালাশ করতে লাগল কিন্তু পেল না। তারপর রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু পানি আনা হল। রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই পানির পাত্রে তাঁর হাত রাখলেন এবং লোকজনকে সে পাত্র থেকে ওজু করতে বললেন। আনাস (রাঃ) বলেন, সে সময় আমি দেখলাম, তাঁর আঙ্গুলের নীচ থেকে পানি উথলে উঠছে। এমনকি তাঁদের শেষ ব্যাক্তি পর্যন্ত তা দিয়ে ওজু করল। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ৪/ উযূ | হাদিস নাম্বার: 170 ]
তারপর খন্দকের যুদ্ধে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বরকতে অল্প কিছু খাবারে হাজার হাজার লোকের পেট ভরেছিল। খন্দকের যুদ্ধে সাহাবী জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহুর বাসায় এই অল্প খাবার দিয়ে ১০০০ লোকের পেট পুরে খাবারের ঘটনাটা বুখারী শরীফেও বর্ণিত আছে। খাল্লাদ ইবনুূু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) আয়মান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-এর নিকট গেলে তিনি বললেন, খন্দক যুদ্ধের দিন আমরা পরিখা খনন করেছিলাম। এ সময় একখন্ড কঠিন পাথর বেরিয়ে আসলে (যা ভাঙ্গা যাচ্ছিল না) সকলেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বললেন, খন্দকের মাঝে একখন্ড শক্ত পাথর বেরিয়েছে (আমরা তা ভাংগতে পারছি না)। এ কথা শুনে তিনি বললেন, আমি নিজে খন্দকে অবতরণ করব। এরপর তিনি দাঁড়ালেন। এ সময় তাঁর পেটে একটি পাথর বাঁধা ছিল। আর আমরাও তিন দিন পর্যন্ত অনাহারী ছিলাম। কোনো কিছুর স্বাদও গ্রহণ করিনি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একখানা কোদাল হাতে নিয়ে প্রস্তরখন্ডে আঘাত করলেন। ফলে তৎক্ষণাৎ তা চূর্ণ হয়ে বালুকারাশিতে পরিণত হল। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য অনুমতি দিন। তিনি অনুমতি দিলে আমি বাড়ি পৌঁছে আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মধ্যে আমি এমন কিছু দেখলাম যা আমি আর সহ্য করতে পারছি না। তোমার নিকট কোনো খাবার আছে কি? সে বলল, আমার কাছে কিছু যব ও একটি বকরীর বাচ্চা আছে। তখন বকরীর বাচ্চাটি আমি যবেহ করলাম। এবং সে (আমার স্ত্রী) যব পিষে দিল। এরপর গোশত ডেকচিতে দিয়ে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে আসলাম। এ সময় আটা খামির হচ্ছিল এবং ডেকচি চুলার উপর ছিল ও গোশত প্রায় রান্না হয়ে আসছিল। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার (বাড়িতে) সামান্য কিছু খাবার আছে। আপনি একজন বা দুইজন সাথে নিয়ে চলুন। তিনি বললেন, কি পরিমাণ খাবার আছে? আমি তার নিকট সব খুলে বললে তিনি বললেন, এ তো অনেক উত্তম। এরপর তিনি আমাকে ডেকে বললেন, তুমি তোমার স্ত্রীকে গিয়ে বল, সে যেন আমি না আসা পর্যন্ত উনান থেকে ডেকচি ও রুটি না নামায়। এরপর তিনি বললেন, উঠ! (জাবির তোমাদের খাবার দাওয়াত দিয়েছে) মুহাজিরগণ উঠলেন (এবং চলতে লাগলেন)। জাবির (রাঃ) তার স্ত্রীর নিকট গিয়ে বললেন, তোমার সর্বনাশ হোক! (এখন কি হবে?) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো মুহাজির, আনসার এবং তাঁদের অন্য সাথীদের নিয়ে চলে আসছেন। তিনি (জাবিরের স্ত্রী) বললেন, তিনি কি আপনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উপস্থিত হয়ে) বললেন, তোমরা সকলেই প্রবেশ কর এবং ভিড় করোনা। এই বলে তিনি (রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুটি টুকরো করে এরপর গোশত তিনি সাহাবীগণের নিকট তা বিতরণ করতে শুরু করলেন। (এগুলো পরিবেশন করার সময়) তিনি ডেকচি এবং উনান ঢেকে রেখেছিলেন। এমনি করে তিনি রুটি টুকরো করে হাত ভরে বিতরণ করতে লাগলেন। এতে সকলে পেট ভরে খাবার পরেও কিছু বাকী রয়ে গেল। তাই তিনি (জাবিরের স্ত্রীকে) বললেন, এ তুমি খাও এবং অন্যকে হাদিয়া দাও। তাঁরা সংখ্যায় এক হাজার ছিলেন। জাবের বলেন, আমি আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি যে, ‘সকলেই খাবার খেলেন এমনকি শেষ পর্যন্ত তারা কিছু অবশিষ্ট রেখে চলে গেলেন। আর আমাদের ডেকচি আগের মত ফুটতেই থাকল এবং আমাদের আটা থেকে রুটি প্রস্তুত হতেই রইল।’ ইসলামিক ফাউন্ডেশন | [ সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) | হাদিস নাম্বার: 3801 ]
এখন এই পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা যাদুকর ডেভিড কপারফিল্ড কি পারবে ১০ জনের খাবার দিয়ে ১০০০ লোককে খাওয়াতে ? না ডেভিড কপারফিল্ড এটা পারবে না। ডেভিড কপারফিল্ডের যাদুগুলি হচ্ছে শুধু মানুষকে মোহগ্রস্থ করা। আমাদের মাঝে অনেকেই শখের বশে জাদু শিখে যারা যাদু শিখেন তারা জানেন যে যাদু বিদ্যা হল শুধুমাত্র হাতের কারসাজি আর কিছুটা বিজ্ঞানের সূত্র ব্যবহার করা যা শুধু মানুষ কে কিছুক্ষনের জন্য মোহগ্রস্থ করে যার কার্যকারিতা থাকে অল্প সময়ের জন্য যা কখনই স্থায়ী নয় কিন্তু মুজেজা হল একটা স্থায়ি ব্যাপার যার সাক্ষি আজো আছে।
আপনাদের কে এখন একটু সীরাত থেকে উদাহরণ দেই। সাহাবী কাতাদাহ ইবনে নুমানের কথা।
” উহুদ যুদ্ধের ভয়াবহ অবস্থায় এক পর্যায়ে একটি তীর সাহাবী কাতাদাহ ইবনে নুমানের চোখে এসে তাঁর চোখের কোটরে বিদ্ধ হয়। তীরের আঘাতে চোখটি কোটর থেকে বের হয়ে এসে চোখের নীচে ঝুলতে থাকে। তিনি এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চোখটি ফেলে দিতে উদ্দত হন। রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা দেখে আল্লাহর নামে চোখটি নিজের হাত দিয়ে আবার সাহাবী কাতাদাহ ইবনে নুমানের চোখের কোটরে বসিয়ে দেন। এরপর সাহাবী কাতাদাহ ইবনে নুমানের চোখের অবস্থা এমন মনে হচ্ছিলো যেন কিছুই হয়নি। এমনকি সাহাবী কাতাদাহ ইবনে নুমান সারা জীবনেও উনার ঐ চোখে আর কোন সমস্যা বোধ করেননি। পরবর্তী সময়ে সাহাবী কাতাদাহ ইবনে নুমানের ২ টি চোখের মাঝে সে চোখটিই বেশী সুন্দর দেখাত এবং সেই চোখটির দৃষ্টিই ছিল অধিক প্রখর। রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে যে সকল মুজিজা মানুষ প্রত্যক্ষ করেছিল সাহাবী কাতাদাহ ইবনে নুমানের এই নতুন চোখ প্রাপ্তিটা ছিলো তার মধ্যে একটি। কৃতজ্ঞ সাহাবী কাতাদাহ ইবনে নুমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই অনুগ্রহের কথা স্মরণ করতেন। এমনকি তাঁর বংশধররা পর্যন্ত এই বলে মানুষের কাছে পরিচয় দিত যে, “আমি হলাম সে ব্যক্তির সন্তান, যার কোটর থেকে বেরিয়ে যাওয়া চোখ রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার বসিয়ে দিয়েছিলেন”। (আর রাহিকুল মাখতুম, ওহুদ যুদ্ধ অধ্যায়)।” ওহুদ যুদ্ধে সাহাবী কাতাদাহ ইবনে নুমানের নতুন চোখ প্রাপ্তির এই মুজেজাটা অনেক কাফেরও প্রত্যক্ষ করেছিল। তো এখন এই পৃথিবীর সেরা যাদুকররা কি পারবে এরকম ভাবে কোন অন্ধ ব্যক্তির চোখ ফিরিয়ে দিতে ? না পারবে না। এটাই হচ্ছে যাদু আর মুজেজার পার্থক্য। যাদু হচ্ছে মানুষ কে মোহগ্রস্থ করা আর মুজেজার ফল হচ্ছে কোন বস্তুর কার্যকারিতাকে পরিবর্তন করা। যেমন হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতে পারতেন, খেলনা পাখিকে জীবন দিয়ে বাস্তব পাখিতে পরিণত করতে পারতেন। আবার রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়ে আসর থেকে মাগরিব এই ২ ওয়াক্তের সময়ের ব্যবধান পর্যন্ত চাঁদের এক অংশ আবু কুবাইস পর্বত বরাবর আর চাঁদের আরেক অংশ কাইকায়ান পর্বত বরাবর দেখা যাচ্ছিল। দুনিয়ার জীবনে সংঘটিত রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনেক মুজেজারই কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নাই। কারন মুজেজা তো সেটাকেই বলা হয় যেটা মানুষের সাধ্যের বাইরে। মানুষের সাধ্যের মাঝে থাকলে তো আর সেটা মুজেজা থাকবে না। মুজেজা অর্থ এমন কোন কাজ হওয়া বা ঘটনা ঘটা যা মানুষের আয়ত্তাধীন সামর্থ ও জ্ঞান-বুদ্ধির দ্বারা ঘটানো সম্ভব নয়। আর রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল মুজেজাই হাদীসের কিতাবে সংরক্ষিত এবং অনেক কাফেরও রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেই সকল মুজেজা দেখেছিল। যেমন রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাবার ঘটনাটা শুধু মক্কার কাফেররাই নয় কাফেরদের এক বাণিজ্যিক কাফেলা সিরিয়া থেকে মক্কায় ফেরার পথে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাবার ঘটনাটা প্রত্যক্ষ করেছিল। ইতিহাস গ্রন্থ তারিখে ফেরেশতায় বলা আছে তৎকালীন কেরালার রাজা রাজা চেরুমল পেরুমল কেরালায় বসে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাবার ঘটনাটা প্রত্যক্ষ করেছিল এবং পরবর্তীতে উনি মদীনায় এসে মুসলমানও হয়েছিলেন।
আল্লাহর রাসূলের মুজেজার মাধ্যমে অল্প খাবার অল্প পানির মাধ্যমে হাজার হাজার লোকের প্রয়োজন মিটেছে। তাই এগুলিকে যাদু বলাটা মূর্খামী। ডেভিড কপারফিল্ডকে বলুন এমন একটা জাদু দেখাতে যে ১০ জনের খাবার দিয়ে সে ১০০০ জন লোককে খাওয়াইছে। হুমায়ন আহমেদ Sir এর উপন্যাস যারা পড়ছেন তারা জানেন যে যাদু বিদ্যা পামিং ছাড়া আর কিছইু নয়। যেই বুখারী শরীফ থেকে নাস্তিকরা রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হযরত আয়েশার বিয়ের বয়স, হযরত যয়নবের বিয়ের রেফারেন্স দেয় সেই বুখারীতেই বর্ণিত রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজেজা গুলি নাস্তিকরা কি চমত্কার ভাবেই না অস্বীকার করে। আমি নাস্তিকদের কে বলছি বুখারী শরীফে বর্ণিত হযরত আয়েশার বিয়ের বয়স কে যদি আপনারা অকাট্য ভাবে বিশ্বাস করতে পারেন তাইলে এই একই বুখারি শরীফে বর্ণিত রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজেজা গুলিকে আপনারা কোন যুক্তিতে অস্বীকার করছেন ?
বিষয়: বিবিধ
১৬১৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুযোগ বুঝে সত্যকে সত্য বলবে আবার অন্য সুযোগে সত্যকে মিথ্যা বলে ঘুরে বেড়াবে এই হল নাস্তিক কুলাঙ্গারদের কাজ।
_________________________
ইসলামপন্থী ব্লগারদের জয় হোক
মন্তব্য করতে লগইন করুন