বিলাল ফিলিপ্স; আমরা আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৪ জুন, ২০১৪, ১২:১৫:৪৯ রাত
১. যাকাত কীভাবে সম্পদ পবিত্র করে।
২. মতভেদ উপেক্ষা করে কীভাবে উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করা যায়।
৩. তাওহিদের উপর বিশ্বাস থাকা কেন জরুরী।
এই ৩ টা বিষয়ের মাঝে কি আপনারা কোন জঙ্গীবাদ বা সরকার বিরোধীতার ইঙ্গিত পাচ্ছেন ? না এই ৩ টা বিষয় কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ডার সাথেও জড়িত না। বিলাল ফিলিপস ঠিক এই ৩ টা বিষয়ের উপর বক্তৃতা দিতেই বাংলাদেশে এসেছিল। ২১ তারিখে ডিপ্লোমা এনজিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দুটো এবং ২৪ তারিখে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে একটি বক্তৃতা দেবার কথা ছিল বিলাল ফিলিপ্সের। [তথ্যসূত্র]
তাইলে এই যে বিলাল ফিলিপ্স কে আওয়ামী লীগ সরকার এই বক্তৃতা গুলি দিতে দিল না এটা কি আওয়ামী লীগের ধর্ম নিরপেক্ষতার চিন্তা চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক নয়। ধর্ম নিরপেক্ষতা বলতে তো আমরা এটাই বুঝি ইসকন রামকৃষ্ণের নেতারা যদি বাংলাদেশে এসে হিন্দু মন্দির গুলিতে বক্তৃতা দিতে পারে, তথাকথিত তীর্থ দর্শনের নামে ভারত থেকে হিন্দু নেতারা এসে এই দেশের সহজ সরল হিন্দু গুলিকে ভুলভাল ভুলিয়ে গঙ্গায় স্নান করিয়ে নিয়ে আসতে পারে তাইলে বিলাল ফিলিপ্স কেন ইসলামের অরাজনৈতিক দিক গুলি নিয়ে বক্তৃতা দিতে পারবে না। আজ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আওয়ামী লীগের এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আওয়ামী নীতি নির্ধারকদের কাছে আমি এই প্রশ্নটা রাখলাম। আপনি যদি ঢাকার ইত্তেফাক মোড়ে অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনে যান বা সিলেটের ওসমানী মেডিক্যালের সামনে ইসকনের মন্দিরে যান তাইলে সেখানে দেখবেন অনেক বড় বড় পোস্টারে ভারত থেকে আগত অনেক বড় বড় হিন্দু সাধকের নাম ঝুলানো আছে যারা এইসব হিন্দু মন্দিরে নিয়মিত বক্তৃতা দেয়। তাইলে বিলাল ফিলিপ্স কি দোষটা করল যে সরকার উনাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বের করে দিলে ? বিলাল ফিলিপ্সের সাথে সরকারের এই অভদ্র আচরণটা যে বাঙ্গালী জাতিকে আরব বিশ্বের কাছে কতটুকু ছোট করল তা যারা প্রবাসে থাকেন তারাই বুঝবে। আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যেখানে ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশনের নেতারা ঠিকই বাংলাদেশে আসতে পারবে কিন্তু কোন বিদেশী মুসলমান বাংলাদেশে আসতে পারবে না। এর নামই কি ধর্ম নিরপেক্ষতা ?
বাংলাদেশ সরকার বলতাছে টুরিস্ট ভিসায় এসে কেউ বক্তৃতা দিতে পারবে না। তো আমি জানতে চাই বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস গুলিতে কি বক্তূতা ভিসা নামক কোন ভিসা চালু আছে যে সেই বক্তৃতা ভিসা নিয়ে কেউ বাংলাদেশে আসলে তারপরেই কোন বিদেশী বাংলাদেশের কোন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে পারবে ? বাংলাদেশের বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নিতে প্রায়ই অনেক বিদেশী প্রফেসর আসেন টুরিস্ট ভিসায়। তারা কিন্তু এই টুরিস্ট ভিসা নিয়েই বাংলাদেশের বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নেয়। তাইলে বিলাল ফিলিপ্স টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে কি দোষ করল ? বাংলাদেশ এমন কোন ধনী দেশ না যে এইখানে কেউ স্টুডেন্ট ভিসা বা বিসনেস ভিসা নিয়া আসবে। গোয়েন্দাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে প্রতি বছর লাখ লাখ ইমিগ্রেন্ট ভিসার আবেদন পরে। বাংলাদেশে যারা আসে তারা সব টুরিস্ট ভিসা নিয়েই আসে।
বিলাল ফিলিপস আপনি অনেক আশা করে বাংলাদেশে এসেছিলেন ঢাকা ও চট্রগ্রামের তরুণদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিবেন কিন্তু আজকে বাংলাদেশ সরকার আপনার সাথে চরম অভদ্র আচরণ করে আপনাকে জোরপূর্বক কাতারের একটি বিমানে করে আপনার অবস্থান স্থল কাতারে পাঠিয়ে দিল। নূন্যতম ভদ্রতা টুকুও আপনি এই বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে পেলেন না সে জন্য বাঙ্গালী জাতি আজ আপনার কাছে লজ্জিত। মূলত বাঙ্গালী জাতি এখন তার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের জনগণের কাঁধে এখন জগদ্দল পাথরের মত যেই মহিলা বসে আছে সে হল একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। এই মহিলা প্রকাশ্যে রাজীবের মত নাস্তিক ব্লগার যে কিনা উম্মুল মুমেনীনদের কে নিয়ে চটি লিখত তাকে ২য় মুক্তিযুদ্ধার ১ম শহীদ বলে আখ্যায়িত করেছে। শুধু তাই নয় ধর্ম দ্রোহী রাজীবের বাসায়েও এই শেখ হাসিনা নালা ডাস্টবিন পার হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ লোক মুসলমান হলেও এই দেশের সরকার প্রধান একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। তাই এই নাস্তিক সরকার আপনাকে কোন প্রোগ্রাম করতে দিবে না সেটাই স্বাভাবিক। বাঙ্গালী জাতি আপনার কাছে খুবই লজ্জিত যে আপনার মত একজন দায়ীকে আমরা কোন সম্মানও দিতে পারি নাই। জ্যামাইকার একটা খৃস্টান পরিবারে জন্ম নিয়ে আপনি নিজে পড়াশুনা করে সেই ১৯৭২ সালে মুসলমান হয়েছিলেন। তারপর ইসলাম শেখার জন্য আপনি চলে গেলেন সূদূর মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ছাত্রাবাস ছিল না। সৈন্যদের পরিত্যক্ত ব্যারাকে কাকড়া বিছার কামড় খেয়ে আপনি দ্বীন ইসলাম শিক্ষা করেছেন। বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র আপনাকে দূরশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার কাতার ভিত্তিক ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটির মাধ্যমেই বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের অনুমতি দিবে। নাকি কোনদিন আবার শেখ হাসিনা এই অনলাইন ইসলামী ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট টাও বন্ধ করে দেয় কে জানে। আজকে জানলাম জাকির নায়েকও বাংলাদেশে কয়েকবার উনার পিস টিভির অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিল কিন্তু নাস্তিক শেখ হাসিনা ডাক্তার জাকির নায়েককে সেই অনুমতি দেয় নাই।
যেইখানে শেখ হাসিনার দাদা অরণ্য কুমার চক্রবর্তীই ছিল একজন হিন্দু তাই শেখ হাসিনার কাজকারবার যে হিন্দু মেয়ের মত হবে সেটা তো এখন বুঝাই যাচ্ছে। শেখ হাসিনার উচিত উনার হিন্দু দাদার নামে বাংলাদেশে একটা স্মৃতিসৌধ করা। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এই বিশ্বসেরা দায়ী যাদের লেখা, বক্তৃতার মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে মুসলমানরা এই আলী সিনা, ফেইথ ফ্রীডম, আন্সারিং ইসলাম, উইকি ইসলামের মত ইসলাম বিদ্বেষী লেখাগুলি ডিফেন্ড করে, যারা কোন রাজনৈতিক দলের সাথেও যুক্ত না শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে সারা পৃথিবীতে যারা দ্বীন ইসলামের প্রচার করে তাদের কে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রোগ্রাম করতে দেয় না। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিদিন ঠিকই এই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, রামকৃষ্ণ, ইসকনের নেতারা প্রোগ্রাম করছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বহুত বড় বড় নেতা প্রতিদিন বাংলাদেশে আসে যারা অনেকেই ভারতের মুসলিম নিধনে জড়িত। শেখ হাসিনা কখনই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, রামকৃষ্ণ, ইসকনের নেতাদের বাংলাদেশে ঢুকতে বাধা দেয় না কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক, বিলাল ফিলিপসের এর মত বিশ্বসেরা দায়ীদের কে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ঢুকতে দেয় না। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এই নাস্তিক শেখ হাসিনা কে ধবংস করুক।
ডা. উইলিয়াম কেম্পবেল নামক এক আমেরিকান ডাক্তার একটি বই লিখেছে ‘বাইবেল কুরআন ইন দা লাইট অফ সাইন্স’, যে বইতে সে লিখেছে কুরআনের অনেক কথা আছে যে গুলি বিজ্ঞানের আলোকে ভুল আর বাইবেলে যে কথা বলা হয়েছে তা বিজ্ঞানের আলোকে সঠিক। তিনি এই বইতে কুরআনের একশোরও বেশি ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর ডা. জাকির নায়েক ২০০০ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে অনেক মানুষের উপস্থিতিতে ডা. উইলিয়াম কেম্পবেলের লিখিত বইয়ের উপর বিতর্কে অংশ নিয়ে প্রমাণ করে দেন কুরআন সঠিক এবং বাইবেলে ভুল। ডা. জাকির নায়েক উক্ত বিতর্কের সময় যে কুরআন বাইবেল এবং হাদীসের রেফারেন্স দেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। প্রতিটি রেফারেন্স তিনি মুখস্ত বলেছেন, কোন সূরার কত নং আয়াত, কোন হাদীস গ্রন্থের কত নং হাদীস, বাইবেলের কোন খন্ডের কত নং ভার্স বা আয়াত। কয়জন পারবে ডাক্তার জাকির নায়েকের মত এরকম বিতর্ক করতে ? আপনি যদি কাউকে সম্মান না দেন তাইলে আপনিও সম্মান পাবেন না। আমি ভাল করেই জানি জাকির নায়েক, বিলাল ফিলিপস উনারা সালাফী। তো কি হইছে উনারা কি মুসলমান নয় ? তাইলে আমরা কেন তাদের কে ঘৃণা করব ? তারা আমাদের দ্বীনি ভাই। আমি নিজেও একজন হানাফি মাযহাবের অনুসারী। আর আহলে হাদীস সালাফী উনারা অনেক আগে থেকেই এই পৃথিবীতে আছেন। আপনি চাইলেও সব আহলে হাদীসদের কে হানাফি মাযহাবে নিয়ে আসতে পারবেন না। তাই নিজেদের ভিতর এইসব কামড়াকামড়ি বন্ধ করেন। আহলে হাদীস সালাফি রাও আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত। আমরা সবাই মুসলমান। নিজেদের ভিতরেই যদি এইসব ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে আমরা এত তর্কবিতর্ক করি তাইলে আমরা বিধর্মীদের দাওয়া দিব কিভাবে ? আপনারা কি চান হিন্দু বৌদ্ধরাও এখন মুসলমানদের মাযহাব নিয়ে মাথা ঘামাক। ডাক্তার জাকির নায়েক বিলাল ফিলপসের মাসলা গত অনেক ফতোয়া নিয়েই আমাদের মাঝে অনেক আপত্তি আছে ঠিক যেমনটি আমরা হানাফীরা শাফেয়ী বা মালেকীদের ফতোয়া নিয়ে আপত্তি করে থাকি। কিন্তু এই সব ছোট খাট মতপার্থক্য বাদ দিয়েই আমরা সবাই একসাথে থাকতে পারি। আজকে বিলাল ফিলিপ্সকে সরকার বাংলাদেশে আসতে দিল না কাল শুনা যাবে তাবলীগ জামাতের এক পাকিস্তানী আমিরকেও সরকার বাংলাদেশে আসতে দিচ্ছে না। তাই আমাদের সবার উচিত এই ঘটনার প্রতিবাদ করা।
ডঃ আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস ১৯৪৭ সালে জ্যামাইকায় একটি খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কানাডায় বড় হন। ষাটের দশকের শেষ দিকে ভ্যানকুভারে সাইমন ফ্রেসার ইউনির্ভাসিটিতে পড়া অবস্থায় সেখানকার বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করেন। ধীরে ধীরে তাঁর কম্যুনিজমের প্রতি আগ্রহ জন্মায় এবং তিনি কম্যুনিস্ট আদর্শ গ্রহণ করেন। তিনি একবছর স্যান ফ্রান্সিস্কোতে কম্যুন্সিট পার্টির সাথে কাজ করার পর এই দলের কর্মকান্ডের আসল রূপ দেখতে পেয়ে পুনরায় কানাডায় ফিরে আসেন। কম্যুনিস্ট দর্শন তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারছিল না, এ দর্শন সমাজকে পরিবর্তনের কথা বললেও পরিবর্তন আনার মত বাস্তবধর্মী হাতিয়ার এর ছিল না, তাছাড়া কম্যুনিস্ট দর্শন প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ছিল ব্যর্থ, আর শ্রমজীবী শ্রেণীর স্বার্থের নামে পরিচালিত গণ নির্যাতনকে তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। তাছাড়া বহু বামপন্থী নেতাই ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন অত্যন্ত অসৎ ও অনৈতিক। অবশেষে তিনি কম্যুনিজম ত্যাগ করেন এবং হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম প্রভৃতি অন্যান্য ধর্ম ও দর্শন পরখ করে দেখেন। ১৯৭১ সালে তাঁর এক কম্যুনিস্ট বন্ধু ইসলাম গ্রহণ করলে তিনি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করেন। তিনি উপলব্ধি করেন যে ইসলামই মানবজাতির জন্য শ্রেষ্ঠ সমাধান উপস্থাপন করে, এতে রয়েছে সমাজবাদী এবং পুঁজিবাদী দর্শনের ভাল দিকগুলোর সমন্বয়। ছয়মাসের পড়াশুনা এবং আলোচনা-পর্যালোচনার পর তিনি ১৯৭২ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এর একবছর পর তিনি মদীনার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি মদীনার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুল আল দ্বীন অনুষদ থেকে আরবী ভাষায় ডিপ্লোমা এবং বি.এ. ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইসলামিক থিওলজি’ তে এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন। একই বিষয়ের ওপর তিনি ১৯৯৪ সালে ডক্টরেট ডিগ্রী নেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস এর ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ থেকে। উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ও এর ঠিক পরপর তিনি তাঁর কয়েকজন সঙ্গী সহ সৌদি আরবে অবস্থিত মার্কিন বাহিনীর কাছে ইসলামের বিশুদ্ধ শিক্ষাকে উপস্থাপন করার এক প্রোজেক্ট হাতে নেন, মার্কিন সেনাদের মাঝে বিদ্যমান ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করা ছিল তাঁদের এই প্রোজেক্টের লক্ষ্য। তাঁদের এই প্রচেষ্টায় তিন হাজারের ওপর মার্কিন সেনা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি আরব আমিরাতে বসবাসরত ছিলেন। সেখানে থেকে তিনি অধ্যাপনা, প্রকাশনা, খুতবা এবং বক্তৃতার মাধ্যমে ইসলামের বিশুদ্ধ শিক্ষাকে প্রচারের কাজ করে আসছিলেন। অল্প কিছুদিন আগে ইসলামের বাণী প্রচারে তাঁর স্পষ্টবাদিতার কারণে তাঁকে আরব আমিরাত ত্যাগ করতে হয়। উল্লেখ্য যে তাঁর ৩০টিরও বেশী প্রকাশনা রয়েছে এবং তিনি সারজাহতে দার আল ফাতাহ প্রেস, দুবাইতে ডিসকভার ইসলাম নামক ইসলাম প্রচার কেন্দ্র, সারজাহ টিভি চ্যানেল-২, স্যাটেলাইট (ইসলামী চ্যানেল), আজমান টিভি চ্যানেল-৪ এবং সৌদি টিভি চ্যানেল-২ এর সাথে ইসলাম প্রচারের কাজে জড়িত ছিলেন। ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটি প্রখ্যাত স্কলার ডক্টর আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপসের চিন্তা ও প্রচেষ্টার ফসল এক মহতী উদ্যোগ। তিনি বর্তমান বিশ্বের নামকরা ইসলামী পন্ডিত এবং চিন্তাবিদদের অন্যতম। বিলাল ফিলিপ্সের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজের লিংকটা হল এটা
বিষয়: বিবিধ
১৬৬০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আওয়ামীলীগ শুধু ইসলামের বেলায় ধর্মনিরপেক্ষ। প্রকৃতপক্ষে এরা মুশরিক প্রিয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন