ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের নীচতা

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৪ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৩৫:২৪ রাত

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিশ্বের বৃহ্ত্তম তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের প্রাইমারী স্কুল গুলিতে স্কুল শিক্ষকরা মুসলিম শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুলের বাথরুম পরিস্কার করায়। তারা যে শুধু আমাদের ছোট ছোট ভাইবোনদের কে দিয়ে বাথরুম পরিস্কার করায় শুধু তাই নয় শিক্ষকরা এসব শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিভিন্ন ফরমায়েশি কাজ করিয়ে থাকে যেই কাজ গুলি দারোয়ান, দপ্তরীরা করে থাকে। অর্থাৎ ভারতের প্রাইমারী স্কুল গুলিতে আমাদের মুসলিম শিশু শিক্ষার্থীদের কে দিয়ে শিক্ষকরা বাথরুম পরিস্কার করায়, দারোয়ান, দপ্তরী, আয়াদের কাজগুলি করায়। শুধু তাই নয় পান থেকে চুন খসলেই ভারতের প্রাইমারী স্কুল গুলির শিক্ষকরা মুসলিম শিশু শিক্ষার্থীদের গায়ে হাতও তুলে। শিক্ষকদের এইসব অত্যাচারের কারনে প্রচুর মুসলিম শিশু শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত না করেই বিদ্যালয় ত্যাগ করছে। এই খবরটি কালকে আমাদের সময় পত্রিকাতে এসেছে। [তথ্যসূত্র] ভারতের দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও বিহারের উপর জরিপ চালিয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এনডিটিভি।

এ ৪টি রাজ্যেই বিপুলসংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ বসবাস করে।

একটু চিন্তা করে দেখুন কতটা নিচু মন মানসিকতার হলে হিন্দুরা ছোট ছোট মুসলিম শিশুদের কে দিয়ে বাথরুম পরিস্কার করায়। আমি যতটুকু জানি প্রতিটা প্রাইমারী স্কুলেই সরকার কর্তৃক কর্মচারী নিযুক্ত থাকে বাথরুম পরিস্কার করার জন্য। কিন্তু ভারতের মালাউন হিন্দু শিক্ষকগুলি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কর্মচারী দ্বারা বাথরুম পরিস্কার না করিয়ে মুসলিম শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে এই কাজটা করায়। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা হিন্দুদের কে ধ্বংস করুক। এই খবরটার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটা খবর এসেছে যে ভারতের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) সভাপতি প্রবীণ টোগাড়িয়া হিন্দু এলাকাগুলো থেকে মুসলমানদের তাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গুজরাটের রাজকোটে শনিবার রাতে তিনি এই উস্কানিমূলক বক্তৃতা করেন।



গুজরাটের চতুর্থ বৃহত্তম নগরী রাজকোটের মেঘানি সার্কেল এলাকায় জনৈক মুসলমান ব্যবসায়ীর একটি বাড়ি কেনার প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরেই ভিএইচপি ও বজরংগী দলের সদস্যরা ওই বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ করে আসছে। বাড়িটি কেনার বাকি প্রক্রিয়াগুলো বাধাগ্রস্ত করতেই ভিএইচপি ও বজরংগী দলের সদস্যরা বাড়ির আঙ্গিনায় নিয়মিতভাবে ‘রাম ধুন’ ও ‘রাম দরবার’ বসাচ্ছে। ভিএইচপি সভাপতি প্রবীণ টোগাড়িয়া তার বক্তৃতায় তার দলের সদস্যদের ওই বাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখানে ‘বজরংগী দলের’ সাইনবোর্ড টানিয়ে দিতেও বলেছেন। তিনি বাড়ির সেই মুসলিম ক্রেতাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাড়িটি খালি করে দিতে বলেন। তিনি বলেন, ‘যদি তিনি তা না করে, তবে তার বাড়িতে পাথর, টায়ার, টমোটো ছোঁড়ো হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি আগেও এমন কাজ করেছি, এতে মুসলমানরা সম্পত্তি ও অর্থ- দুই-ই হারিয়েছে।’ [তথ্যসূত্র]

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের VHP এর সভাপতি প্রবীণ টোগাড়িয়া যেখানে বক্তব্য দেয় সেখানেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেঁধে যায়। বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী নেতা হল এই Praveen Togadia।

ভবিষ্যতে হায়দারবাদ হয় আরেক গুজরাট অথবা অযোধ্যা হবে এই কথা খোলাখুলী প্রবীন তোগদিয়া তার বিভিন্ন জনসভায় বলেন। YouTube এর এই লিংক http://www.youtube.com/watch?v=_bNFN5j0dAU এ যেয়ে Praveen Togadia

এর এই ভিডিও টা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে মুসলমানদের কে হত্যা করার জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা কিভাবে সাধারন হিন্দুদের কে উৎসাহ দিচ্ছে।

অবস্থা দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বিশ্বের বৃহ্ত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত মুসলমানদের কে এখন আর তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করছে না। কারন সারা পৃথিবীর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এই গুজরাটের মুসলিম বাড়িওয়ালার বাড়ির সামনে মালাউন হিন্দুদের এই অত্যাচারের খবরটি এসেছে। কিন্তু কি নির্বাচন কমিশন আর কি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কেউই সেই গুজরাটের মুসলিম বাড়িওয়ালার দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে আসছে না। পারতপক্ষে মনে হচ্ছে ভারত সরকার এই মুসলমানদের কে ভারত থেকে তাড়িয়ে দিলেই বাঁচে। আর যদি সব মুসলমানদের কে তাড়াতে নাও পারে তবে ক্ষতি কি সেই ২০০২ সালের গুজরাটের মুসলিম নিধনের ন্যায় আবার ভারতের মুসলমানদের কে আগুনে পুড়িয়ে মারবে তারা। এই যে ২০০২ সালে গুজরাটের হাজার হাজার মুসলমান কে আগুনে পুড়িয়ে মারা হল আমাদের মুসলিম বোনদের কে ধর্ষন করে তারপর আগুনে পুড়ানো হল কই একটা হিন্দুরই কি বিচার হয়েছে ? উল্টো যেই মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই গুজরাটের মুসলিম নিধন হল সারা ভারতবাসী তাকেই এখন প্রধানমন্ত্রী বানাতে উঠে পড়ে লেগেছে। হিন্দুরা যে কতটা নিচু মন মানসিকতার আর কতটা ছোটলোক এটা নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর তোড়জোড় দেখেই বুঝা যাচ্ছে। শুধুমাত্র মুসলিম নিধন করবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই একটি প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এখন সারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাচ্ছে ! আমি সবচেয়ে অবাক হচ্ছি ফেইসবুকের মানবাতাবাদী ধর্মের অনুসারী নাস্তিকদের কাজ কারবার দেখে। এই যে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ভারতের প্রাইমারী স্কুল গুলিতে স্কুল শিক্ষকরা মুসলিম শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুলের বাথরুম পরিস্কার করায়, তারপর গুজরাটের অভিজাত এলাকায় কোন মুসলমান কে হিন্দুরা বাড়ি কিনতে দিবে না এইসব খবর গুলি কে উল্লেখ করে নাস্তিকরা একটা Status ও দিল না আর ব্লগ লিখা তো দূরের কথা। আজ পর্যন্ত আপনারা কেউ কি দেখেছন কোন নাস্তিককে নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে একটা status দিতে ? না দেখেন নি। আসলে বাংলাদেশের নাস্তিকরা এখন হিন্দু ধর্মকেই তাদের ধর্ম বানিয়ে নিয়েছে। এইজন্য গুজরাটের নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে তারা একটি কথাও বলছে না। নাস্তিকদের মুখে মুক্তচিন্তা, মানবতা কিন্তু অন্তরে মনুসংহিতা।

ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব

আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান

আল কোরআনের ব্যাকরণগত সৌন্দর্য্যের কিছু অসাধারন দিক

বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা

ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল

আমাদের মুসলমানদের কেন একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত রাষ্ট্র প্রয়োজন ?

হাতের কাছে রাখার মত কয়েকটি চমৎকার ইসলামী বই

পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে

হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম ২য় পর্ব

মেসওয়াক করার ফযীলত

আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে" এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ?

সিজদায়ে সাহু সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েল

সহিহ শুদ্ধ ভাবে নামায পড়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় মাসলা

মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তার আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে

সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস রাম লক্ষন রাবন কিংবা রাম মন্দির যে ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া আর কিছুই না

বিষয়: বিবিধ

১৫৫০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

212945
২৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:২৭
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : বাংলাদেশে মাদ্রাসাগুলোর টয়লেট, ওজুখানা কে পরিস্কার করে? ধর্মপ্রান মুসলিম বাংলাদেশে আলেম-ওলেমারা ৩০০০/টাকা মাস বেতনের ইমাম, মুয়াজ্জিনের কাজও খুঁজে পায় না, যে কারনে ওরা কোরাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করে। কোরবানী পশুচামড়ার টোকাইগিরী করাই বাংলাদেশি আমালেম, মুফতী, হাফেজদের সবচেয়ে সম্মানজনক! পেশা। নয় কি?
213008
২৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৪২
শাফিউর রহমান ফারাবী লিখেছেন : হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়েছে যে মুসলিম শিশু শিক্ষার্থীদের কে ক্লাসের একদম শেষ বেঞ্চে বসতে দেয়া হয়, তাদের টিফিন দেয়া হয় সবার শেষে আর তাদের নাম ব্যঙ্গ করে ডাকা হয়। তাদের প্রত্যেকের নাম ডাকার আগে মোল্লা শব্দটা শিক্ষকরা ব্যবহার করে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File