মদীনার ইহুদীদের প্রতি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহানুভবতা

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৬ মার্চ, ২০১৪, ০৯:২৭:১৩ রাত

islamic_277_facebook_cover

নিজ স্বার্থে ইতিহাসকে বিকৃত করার প্রবণতা চলে আসছে সেই আদিকাল থেকেই। পরবর্তী প্রজন্মের উপর মিথ্যা ইতিহাসকে চাপিয়ে দেওয়া এবং সত্য ইতিহাসকে চাপা দেওয়ার প্রবণতার কারনে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষদেরকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়ে বহু মিথ্যা ধ্যান ধারনার জন্ম দিয়েছে। সত্যকে ঢেকে ফেলার কারণে অনেক সময়ই মানুষের কাছে সঠিক ইতিহাস পরিষ্কারভাবে ধরা পড়ে না। অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা বর্ণনার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে সূত্রের পাহাড়। সূত্রগুলো বিপক্ষে গেলে বলা হয়- এইগুলো বিজয়ী শক্তির লেখা ! ঐতিহাসিক ঘটনা গুলিকে পক্ষে-বিপক্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার না করে নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করলেই আমদের কাছে বেরিয়ে আসবে মূল সত্য। আর এইভাবেই চাপিয়ে দেওয়া এবং চাপা দেওয়া ইতিহাস দূরীভূত হয়ে সত্য প্রকাশিত হবে, কারণ সত্যের জয় অবধারিত।

দীর্ঘদিন ধরে বাংলা অন্তর্জালে মুক্তমনারুপী নাস্তিকরা অভিযোগ করে আসছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাকি মদীনার ইহুদীদের উপর অনেক অত্যাচার করেছেন ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাকি দলে দলে মদীনার পুরুষ ইহুদীদের কে হত্যা করেছেন আর মহিলা ইহুদীদের কে দাসী বানিয়েছেন ! সীরাত সম্পর্কে সঠিক পড়াশুনা না থাকায় শার্ট প্যান্ট পড়া অনেক মুসলমান ছেলেই নাস্তিকদের এইসব কথায় বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মদীনার ইহুদীদের কে নিয়ে মুক্তমনাদের এই ভণ্ডামি গুলি আপনাদের সামনে প্রকাশ করব।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনায় আসেন তখন মদীনায় ২০ টার মত ইহুদী গোত্র ছিল। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল বনু কোরায়জা, বনু নাদীরা, বনু কায়নুকা, বনু মোস্তালাক, বনু যানবা, বনু আওফ, বনু আন-নাজ্জার, বনু ছালাবা ইত্যাদি। ইসলাম পূর্ব যুগে মদীনার ইহুদীরা আওস ও খাযরায গোত্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল। তারপর আওস ও খাযরায গোত্রের লোকেরা যখন ১ম বায়াতে আকাবা ও ২য় বায়াতে আকাবার মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে মদীনার নিরুংকুশ ক্ষমতা দিল তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় আগমন করলেন একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতে আসার পরে মুসলিম, ইহুদী ও পৌত্তলিকদের নিয়ে এক অভিনব সাধারণতন্ত্র গড়ে তোলেন। বিপরীত চিন্তা, রুচি ও ধর্মাভাব সম্পন্ন মুসলিম, ইহুদী ও পৌত্তলিকদের দেশের সাধারণ স্বার্থরক্ষা ও মঙ্গলের জন্যে একটি রাজনৈতিক জাতিতে পরিণত করার জন্যে তিনি একটি সনদ তৈরী করেন। সনদে তিন পক্ষই স্বাক্ষর করেন। এই অভিনব ও অশ্রুতপূর্ব চুক্তি বা সনদ যেটা ইতিহাসে মদীনা সনদ নামে পরিচিত এর কিছু ধারা নীচে দেয়া হলো-

১। ইহুদী ও মুসলিম ও পৌত্তলিকরা এক জাতি (রাষ্ট্রীক কাঠামোর মধ্যে বসবাসকারী ‘জাতি’)।

২। এই সনদের অন্তর্ভূক্ত কোন গোত্র শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে সবার সমবেত শক্তি নিয়ে তা প্রতিহত করতেহবে।

৩। কেউ কোরাইশদের সাথে কোনো রকমের গোপন সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হতে পারবে না ও কোরাইশদের কে কোন সামরিক দিক দিয়ে সাহায্য করবে না।

৪। মদিনা আক্রান্ত হলে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যে সবাই মিলে যুদ্ধ করবে এবং সম্প্রদায়গুলো নিজেদের যুদ্ধব্যয় নিজেরা বহন করবে।

৫। ইহুদী-মুসলিম সহ চুক্তিবদ্ধ সকল সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্মকর্ম পালন করবে, কেউ কারুর ধর্ম-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবে না।

… ইত্যাদি।

মদিনার সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে চুক্তি/সন্ধি অনুসারে সব ইহুদী গোত্র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল যে তারা মুসলমানদের কোন শত্রুকে কোনরকম সাহায্য সহযোগিতা করবেনা। কোন বহিঃশত্রু মদিনা আক্রমণ করলে তারাও মুসলমানদের মতো স্বদেশ রক্ষার্থে নিজেদের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করবে। কিন্তু সন্ধির শর্ত ও মদীনার স্বাধীনতা ও সম্মানকে উপেক্ষা করে বনু কুরাইযা সহ বাকী ইহুদী গোত্র একাধিকবার কোরাইশদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

তার আগে ইহুদীদের এক গুয়েমি আচরণ সম্পর্কে আপনাদের কে আগে একটু ধারনা দেই। সীরাতে ইবনে ইসহাকে হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদীনায় আগমন করেন তখন হযরত সাফিয়ার পিতা হুয়াই ইবনে আখতার এবং চাচা আবু ইয়াসের রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে একদিন সকালে হাজির হন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত উনারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে থাকেন। উনারা বাসায় আসার পর আমি যখন উনাদের কাছে গেলাম তখন আমার চাচা আবু ইয়াসের আমার পিতাকে বলছেন-

এ কি তিনি ?

- হ্যা, আল্লাহ্‌র শপথ।

-আপনি তাকে ভালোভাবে চিনেছেন তো ?

-হ্যা।

-তাহলে এখন আপনি তাঁর সম্পর্কে কি মনোভাব পোষণ করছেন ?

-আজীবন শত্রুতা। আল্লাহ্‌র শপথ, যতদিন বেঁচে থাকি আমরা। [ সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, আর রাহীকুল মাখতুম ] অর্থাৎ ইহুদীরা জানত যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন সত্য রাসূল কিন্তু তাও তারা সারাজীবন আল্লাহ্‌র রাসূলের সাথে শত্রুতা করে গেছে। ইহুদীদের এই কূপমুণ্ডকতার কথা আল কোরআনেও বর্ণিত আছে।

আচ্ছা আমরা এখন একটু দেখি তো মুসলমানদের সাথে সম্পাদিত এই চুক্তির ব্যাপারে মদীনার ইহুদীরা ঠিক কতটুকু শ্রদ্ধাশীল ছিল। ইহুদীদের বনু কাইনুকা এই গোত্রটি পেশায় ছিলো কর্মকার, স্বর্ণকার ও থালা বাটি নির্মাতা। বদর যুদ্ধের কিছুদিন পরেই তাদের বাজারে এক মুসলিম মেয়ে এক ইহুদী স্বর্নের দোকানে একটি কাজে গিয়েছিল। ঐ মুসলিম মহিলা যখন বনু কায়নুকা গোত্রের ঐ স্বর্ণের দোকানে গিয়েছিলেন তখন ঐ ইহুদী কর্মচারী ঐ মুসলিম মহিলার মুখ খুলতে বলে। কিন্তু ঐ মুসলিম মহিলা উনার মুখ খুলতে রাজী না হওয়ায় ঐ মুসলিম মহিলাটি যখন ঐ ইহুদী স্বর্নের দোকানের একটি চেয়ারে বসে তারপর ঐ ইহুদী কর্মচারী ঐ মুসলিম মেয়েটির পোশাকে পেরেক মেরে চেয়ারের সাথে আটকে দিলে, উঠতে গিয়ে ঐ মুসলিম মেয়েটির জামা ছিঁড়ে উনার সারা শরীর অনাবৃত হয়ে যায়। মুসলিম মেয়েটির আর্তনাদ শুনে এক মুসলিম পথচারী এটা দেখে খেপে গিয়ে ঐ ইহুদী কর্মচারীকে কতল করলে, তারপর ইহুদী কর্মচারীর পক্ষের লোকেরা সবাই মিলে ঐ মুসলমানকে হত্যা করে ফেলে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু কাইনুকা গোত্র কে অবরোধ করলে তারা ১৫ দিন পর মুসলমানদের নিকট আত্মসমর্পন করে। ইহুদীদের ধর্ম গ্রন্থ তাওরাতের বিধান অনুসারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিন্তু চাইলেই পারতেন চুক্তিভংগকারী বনু কাইনুকা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদীদের কে হত্যা করতে আর সকল ইহুদী নারীদের কে দাসি বানাতে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা না করে বনু কাইনুকা গোত্রের সকল ইহুদীকে এই শর্তে ক্ষমা করে দেন যে তারা মদীনা থেকে বের হয়ে অন্যত্র চলে যাবে। যদিও বনু কায়নুকা গোত্র তাদের বিদ্রোহ ও প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারনে মৃত্যুদন্ডের অপেক্ষা করছিল কিন্তু শুধুমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহানুভবতার কারনেই বনু কায়নুকা গোত্র নিরাপদে ইয়াছরিব/মদীনা ত্যাগ করতে পারে। মদীনার আগের নাম ছিল ইয়াছরিব। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় আসার পর মদীনার নাম হয় মদীনাতুর রাসূল বা রাসূলের শহর মদীনা।

বনু নাদের ছিলো মদীনার ইহুদীদের মাঝে সবচেয়ে বড় গোত্র। তাদের মূল ব্যবসা ছিলো খেজুর উৎপাদন। একটা সংঘর্ষে মুসলমান এবং ইহুদি বনু নাদের গোত্রের উভয়পক্ষের লোকজনের দ্বারা বনু কেলাব গোত্রের দুইজনের নিহত হবার ঘটনায় ক্ষতিপূরণের একটা অংশ বনু নাদেরেরও বহন করা উচিৎ এই দাবী নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু নাদির গোত্রের গোত্রপতিদের কাছে আলোচনা করার জন্য গেলে বনু নাদের গোত্রের লোকজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলে আপনি কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন, আমরা নিজেরা আলোচনা করে তারপর আপনাকে জানাচ্ছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন তাদের একটি ঘরের দেওয়াল সংলগ্ন জায়গায় বসে ছিলেন। সেই সময় বনু নাদির গোত্রের ইহুদীরা ঐ ঘরের ছাদ থেকে একটি বড় পাথর ফেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। ঠিক সেই সময় হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বনু নাদীর গোত্রের এই পরিকল্পনা জানিয়ে দেয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাথে সাথে সেখান থেকে উঠে গিয়ে পরে মদীনায় চলে যান। তারপর একটানা ৬ দিন ৬ রাত অবরোধ করে রাখার পর বনু নাদিরা গোত্রের ইহুদীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ক্ষমা চায়। বনু কায়নুকা গোত্রের মত বনু নাদিরা গোত্রের সকল ইহুদীদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই শর্তে ক্ষমা করে দেন যে তারা মদীনা থেকে বের হয়ে অন্যত্র চলে যাবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিন্তু চাইলেই পারতেন উনাকে হত্যা চেষ্টা করার অপরাধে ইহুদীদের ধর্ম গ্রন্থ তাওরাতের বিধান মতে বনু নাদিরা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদীদের কে হত্যা করতে ও বনু নাদিরা গোত্রের সকল ইহুদী নারীদের কে দাসী বানাতে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা করেননি। বনু নাদিরের এই ঘটনাটি ৪র্থ হিজরির রবিউল আউয়াল মাস মোতাবেক ৬২৫ খৃষ্টাব্দের ৪ আগস্ট সংঘটিত হয়েছিল। বনু নাদিরার ঘটনার পুরা বর্ননা সূরা হাশরে রয়েছে।

Khaybar_Citadel_Khaybar

এরপর আসল খন্দকের যুদ্ধের সময়। খন্দকের যুদ্ধের সময় যখন মুসলমানরা মদীনা নগরী ত্যাগ করে কাফেরদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত তখন বনু কোরায়জা গোত্রের ইহুদীরা চুক্তিভংগ করে মক্কার কাফেরদের সাথে হাত মিলিয়ে পিছন দিক থেকে মদীনা আক্রমন করার চেষ্টা চালায়। যদিও ইহুদী গোত্র বনু কোরাইজা গোত্রের সেই চেষ্টাটা সফল হয়নি। খন্দকের যুদ্ধের পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু কোরায়জা গোত্রকে অবরোধ করেন। যেহেতু বনু কোরায়জা গোত্র কাফেরদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ চলার সময় চুক্তি ভংগ করেছে তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু কোরায়জা গোত্রকে বলেন তোমাদের ব্যাপারে আমার ফয়সালা কি হবে ? তখন বনু কোরায়জা গোত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেন তাদের মিত্র আওস গোত্রের হযরত সাদ ইবনে মুয়ায রাযিয়াল্লাহু আনহু যে ফয়সালা করবেন তাতেই তারা সম্মত আছে। হযরত সাদ ইবনে মুয়ায রাযিয়াল্লাহু আনহু ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বিধান মতে যুদ্ধকালীন চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে বনু কোরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদিকে হত্যা করা এবং ইহুদি নারীদের কে দাসী হিসাবে বিক্রি করে দেয়া হোক এই রায় দেন। এরপরে বনু কোরাইজা গোত্রের ৪০০ পুরুষ ব্যক্তিকে একই দিনে হত্যা করা হয় এবং বনু কোরায়জা গোত্রের প্রত্যেকটা যুদ্ধবন্দী নারীকে সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়েছিল যেন তারা Public Property তে পরিনত না হয়ে যায়। পরবর্তীতে সাহাবীরা তাদের কে বিয়ে করে তাদের কে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন।

বনু কোরায়জা গোত্রের ইহুদীরা যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলত যে আপনি আপনার ইচ্ছামত আমাদের প্রতি আচরণ করেন তাইলে কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঠিকই বনু কোরায়জা গোত্রের সকল ইহুদীদেরকেই ক্ষমা করে দিতেন। ঠিক যেরকম টা আমরা দেখি মক্কা বিজয়ের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মক্কার কাফেরদের কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তোমরা আমার কাছে কিরকম আচরন প্রত্যাশা করছ তখন মক্কার কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলেছিল- “ আপনি হচ্ছেন আমাদের সম্মানিত ভ্রাতা ও সম্মানিত ভ্রাতুষ্পুত্র। আমরা আপনার কাছে ভাইয়ের মতই আচরণ প্রত্যাশা করি। “ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কার কাফেরদের কে বলেছিলেন- “ আজ আমি তোমাদের কে সেই কথাই বলব যেই কথা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সাল্লাম তার ভাইদের কে বলেছিলেন, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। তোমরা সবাই স্বাধীন মুক্ত। “

একটু চিন্তা করে দেখুন যেই মক্কার কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে শত সহস্রবার আঘাত করেছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে উনার পিতৃভুমি থেকে বহিস্কার করেছিল, বারবার মদীনা আক্রমণ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হত্যা করতে চেয়েছিল কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সকল কেই ক্ষমা করে দেন। এরকম ক্ষমার দৃষ্টান্ত এই পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই। যুদ্ধকালীন চুক্তি ভঙ্গের দায়ে অপরাধী বনু কোরায়জা গোত্রের ইহুদীরাও যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ক্ষমা চাইত তাইলে কিন্তু ঠিকই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও মক্কার কাফেরদের ন্যায় বনু কোরাইজা গোত্রের সকল ইহুদীদের কে ক্ষমা করে দিতেন। ঠিক যেরকম ভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মদীনার অন্যান্য ইহুদী গোত্র যেমন বনু নাদিরা, বনু কায়নুকাদের কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। আর বনু কোরায়জা গোত্রের উপর এই ফয়সালা ছিল ইসরাঈলী শরীয়তের সামরিক বিধি মুতাবেক। তাওরাতের ১১-১৩ আয়াতে বলা আছে: "যখন তুমি কোন নগরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে তাহার নিকটে উপস্থিত হবে, তখন তাহার কাছে সন্ধির কথা ঘোষনা করিবে। তাহাতে যদি সে সন্ধি করিতে সম্মত হইয়া তোমার জন্য দ্বার খুলিয়া দেয় তবে সেই নগরে যে সমস্ত লোক পাওয়া যাবে তাহারা তোমাকে কর দিবে ও তোমার দাস হইবে। কিন্তু যদি সে সন্ধি না করিয়ে তোমার সহিত যুদ্ধ করে, তবে তুমি সেই নগর অবরোধ করিবে। পরে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তাহা তোমার হস্তগত করিলে তুমি তাহার সমস্ত পুরুষদের কে খড়গধারে আঘাত করিবে; কিন্তু স্ত্রীলোক, বালক-বালিকা ও পশু প্রভূতি নগরের সর্বস্ব, সমস্ত লুট দ্রব্য আপনার জন্য লুটস্বরুপ গ্রহন করিবে আর তোমার ঈশ্বর প্রদত্ত শত্রুদের লুট ভোগ করিবে" (দ্বিতীয় বিবরণ, অধ্যায় ২০, আয়াত ১০-১৪, পবিত্র বাইবেল, বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি, ঢাকা) বাইবেলের ২টা ভাগ একটা হল অল্ট টেস্টমেন আরেকটা হল নিউ টেস্টমেন। বাইবেলের অল্ড টেস্টমেনকেই তাওরাত বলা হয়। বনী কুরায়জা গোত্রের সাথে মুসলমানদের এই আচরন করার কারন গুলির বিস্তারিত বর্ননা আপনারা এই লিংকে পাবেন

আর যে উইকিপিডিয়ার কথা বলে নাস্তিকরা মুখে ফেনা উঠিয়ে ফেলে সেই উইকিপিডিয়াতেই ইহুদি ঐতিহাসিকদের রেফারেন্স সহকরে বলা আছে বনু কুরাইজা গোত্র যুদ্ধকালীন চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। নাস্তিকরা কি এখন বলবে যে উইকিপিডিয়ার এই লেখাটাও আমরা মুসলমানরা লিখে এসেছি? উইকিপিডিয়াতেও বলা আছে যে বনু কোরাইজা গোত্রের উপর তালমুদীয় শাস্তি প্রয়োগ হয়েছিল। http://en.wikipedia.org/wiki/Invasion_of_Banu_Qurayza

এরপরে হিজরি ৫ম সনে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন খবর পেলেন যে বনু মোস্তালাক গোত্রের নেতা হারিস ইবনে দিরার মক্কার কুরাইশদের প্ররোচনায় নিজের ও অন্যান্য আরব গোত্রের লোকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনী নিয়ে মদীনা আক্রমণের তোড়জোড় শুরু করেছে তখন রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খবরটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বুরাইদা ইবনে আল হুসাইবকে বনু মোস্তালাক গোত্রের কাছে পাঠালেন। তিনি সেখানে পৌঁছে খোঁজখবর নিয়ে বুঝলেন ঘটনা সত্য। তিনি সাথে সাথে ফিরে এসে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বনু মোস্তালাক গোত্র যে মদীনা আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিয়েছে তা জানালেন। কাল বিলম্ব না করে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহুদী গোত্র বনু মোস্তালাক কে আক্রমন করে বনু মোস্তালাক গোত্র কে পরাজিত করেন।

বনু মোস্তালাক গোত্রের ৬০০ জন যুদ্ধবন্দীকে দাসদাসী ঘোষণা করে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈনিকদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয়। বনু মোস্তালাক গোত্রের গোত্রপতি হারিস ইবনে দিরারের কন্যা জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস হযরত সাবিত ইবনে কায়েসের ভাগে পড়েন। কিন্তু জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস ৯ উকিয়া স্বর্ণের বিনিময়ে হযরত সাবিত ইবনে কায়েসের সাথে মুকাতাবা বা চুক্তি করলেন যে এই ৯ উকিয়া স্বর্ন উনি সাবিত ইবনে কায়েস কে দিলে সাবিত ইবনে কায়েস উনাকে মুক্ত করে দিবে। কিন্তু এই ৯ উকিয়া স্বর্ন জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস যোগাড় করতে পারছিলেন না। পরিশেষে যখন জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে সাহায্য চাইলেন তখন রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ থেকে উনার মুক্তিপন আদায় করে জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস কে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রস্তাবে রাজী হলে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে সাবিত ইবনে কায়েস কে ৯ উকিয়া স্বর্ণ পরিশোধ করে দিয়ে জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস কে একজন স্বাধীন নারী ঘোষণা করে তারপর জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস কে বিয়ে করেন। এরপর সাহাবীরা বনু মোস্তালাক গোত্রের সেই ৬০০ বন্দীকেও মুক্ত করে দেন। কারন সাহাবীরা তখন বলেন রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কখনো আমাদের দাসদাসী হতে পারে না। বনু মুস্তালাক গোত্রের প্রতিটা বন্দীর মুক্তি হযরত জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিসের দেন মোহর হিসাবে ধার্য হয়। [ তথ্যসূত্র, সুনানে আবু দাউদ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১০৫ ] অর্থ্যাৎ বনু মোস্তালাক গোত্রের কোন ব্যক্তিকেই সাহাবীরা দাসদাসীতে রূপান্তরিত করেন নি।

66596182

এরপর ৭ম হিজরিতে মদীনা আক্রমন করার ব্যাপারে খায়বারের ইহুদীদের নতুন ষড়যন্ত্রের কারনে খায়বার যুদ্ধ হয়। খায়বার ছিল মদীনা থেকে ৮০ মাইল দূরের একটি বড় শহর। এখানে ইহুদীদের অনেক গুলি দূর্গ ও ক্ষেত খামার ছিল। মূলত খায়বার ছিল ইহুদীদের একটি নয়া উপনিবেশ। এই খায়বারের ইহুদীরাই বনু কোরাইজা গোত্রের ইহুদীদের কে বিশ্বাসঘাতকায় উদ্দীপিত করেছিল। এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র এই খায়বার থেকেই হত। খায়বারের ইহুদীরা গাতফান গোত্র ও বেদুঈনদের সাথে মিলিত হয়ে মদীনা আক্রমন করার ব্যাপারে ষড়যন্ত্র করছিল। খায়বার যুদ্ধে পরাজিত ইহুদীদের কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন নির্বাসন দেন নি বা পরাজিত ইহুদীদের কে দাসদাসীও বানান নি। প্রতি বছর তাদের উৎপাদিত ফল ফসলের অর্ধেক ইহুদীরা মুসলমানদের কে দিবে এই শর্তে খায়বারের ইহুদীরা খায়বারেই থাকার অনুমতি পায়। কিন্তু এই খায়বার যুদ্ধের পর পরই এক ইহুদী মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দাওয়াত করে তারপর বকরীর মাংসের ভিতরে বিষ মিশিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনার পরেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খায়বারের সকল ইহুদীদের কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। একটু চিন্তা করে দেখুন আপনারা বনু নাদিরা গোত্রের পর এইবার ২য় বারের মতন খায়বারের ইহুদীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে হত্যা করার পরিকল্পনা করার পরেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খায়বারের সকল ইহুদীদের কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এরকম ক্ষমার দৃষ্টান্ত আর কি কখনো আছে ?

খায়বারের অভিযানের পর এর পার্শ্ববর্তী কোরা এলাকার ইহুদীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। যথারীতি কোরা এলাকার ইহুদীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোরা এলাকার সকল ইহুদীদেরকে ক্ষমা করে দেন। উৎপাদিত ফসল বন্টনের ব্যাপারে খায়বারের ইহুদীদের ন্যায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কোরা এলাকার ইহুদীদের একটা চুক্তি হয়। কিন্তু সেই সময়ের জাহেলিয়াতের রীতি অনুসারে যুদ্ধে পরাজিত নাগরিক হিসাবে খায়বার ও কোরার ইহুদীদের দাসত্বই ছিল একমাত্র নিয়তি। কিন্তু শুধুমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহানুভবতার কারনেই খায়বার ও কোরার ইহুদীরা জানে বেঁচে যায়।

যেই ২/১ টা ইহুদী গোত্রের নারীদের কে মুসলমানরা যুদ্ধবন্দী বানিয়েছিল তারা কিন্তু তাদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বিধানমতেই যুদ্ধবন্দী নারী হিসাবে মুসলমানদের কাছে নীত হয়েছিলেন। প্রত্যেকটা যুদ্ধবন্দী নারীকে সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়েছিল যেন তারা Public Property তে পরিনত না হয়ে যায়। পরবর্তীতে সাহাবীরা তাদের কে বিয়ে করে তাদের কে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। উম্মুল মুমেনীন জুহায়রিয়া, রায়হানা ও সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহারা কিন্তু প্রথমে যুদ্ধবন্দী নারী হিসাবেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসেছিলেন। পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেন। তাই আজকে আমরা হযরত জুহায়রিয়া, হযরত রায়হানা ও হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহাকে উম্মুল মুমেনীন বলি। কিন্তু মুক্তমনায় হযরত রায়হানা ও হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রক্ষিতা বলা হয়েছে, নাউযুবিল্লাহ। আর মুসলমানরা একমাত্র বনু কুরায়জা এই ১ টি ইহুদী গোত্রের নারীদের কেই যুদ্ধবন্দী বানিয়েছিল। এরপর আর কোন পরাজিত জাতিকেই মুসলমানরা দাস দাসী বানাইনি। প্রাচীন কালের দাস দাসী প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ কি আদৌ সমর্থন করে কিনা তা জানতে আপনারা আমার এই NOTE টি পড়ুন

খায়বার যুদ্ধের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহার এই বিয়ে নিয়ে নাস্তিকরা প্রচুর মিথ্যাচার করে। হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই বিয়েকে কেন্দ্র করে বুখারী শরীফের হাদীস বিকৃত করা থেকে শুরু করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে আরো অনেক মিথ্যাচার করে যাচ্ছে নাস্তিকরা।

হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিয়ে নিয়ে নাস্তিকদের সকল প্রশ্নের উত্তর এইখানে দেয়া হয়েছে

তাইলে আমরা এখন দেখতে পারি মদীনার আশপাশে ২০ টার মত ইহুদী গোত্র থাকলেও মাত্র ৪ টা ইহুদী গোত্রের সাথে মুসলমানদের ঝামেলা হয়েছিল। আচ্ছা আপনারাই বলুন বনু কোরায়জা গোত্র যদি খন্দকের যুদ্ধের সময় মুসলমানদের সাথে করা তাদের যুদ্ধকালীন চুক্তিটি ভংগ না করত তাইলে কি তাদের এই করুন পরিণতি বহন করতে হত ? ৭০ খ্রিষ্ট পূর্বে রোমানরা যখন জেরুজালেম জয় করে তখন জেরুজালেমে থাকা সকল ইহুদীদেরকে খৃস্টানরা হত্যা করে ফেলে। ইসলাম পূর্ব যুগ থেকেই খ্রিষ্টানরা ইহুদীদের কে হত্যা করত। এমনকি এক ইহুদী গোত্র আরেক ইহুদী গোত্রকে আক্রমন করে পরাজিত সকল ইহুদী পুরুষ ও নারীদের কে দাস-দাসি বানানোর নজিরও ইতিহাসে বহু আছে। আর ১৪০০ সালে স্পেন জয় করার পর তো রাজা ফার্ডিনান্ড ও রাণী ইসাবেলা স্পেনের সকল মুসলমানদেরকে হত্যা করে ফেলেছিল। নাস্তিকদের কিন্তু কখনই খৃষ্টানদের দ্বারা ইহুদী নিপীড়নের এই কাহিনীগুলি নিয়ে কোন আলোচনা করে না। গুরুতর অপরাধ থাকা সত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে বনু কাইনুকা, বনু নাদীরা, বনু মোস্তালাক আর খায়বারের ইহুদীদের কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন এই ব্যাপারটাও নাস্তিকরা কখনোই তাদের আলোচনায় আনবেনা।

আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে আরবের মানুষ জন খুবই নিষ্ঠুর ছিল। সেই সময় মক্কা ও মদীনার কাফেররা যে কতটুকু হিংস্র ছিল তা আপনাদের কে এখন একটু আমি বলি। জাহেলিয়াত যুগে যুদ্ধক্ষেত্রেও মহিলাদের কে হত্যা করা হত না। কিন্তু মক্কী জীবনে নরাধম আবু জেহেল হযরত সুমাইয়া রাযিয়াল্লাহু আনহা নামক একজন মহিলা সাহাবীকে হত্যা করেছিলেন শুধুমাত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহন করার অপরাধে। হযরত সুমাইয়া রাযিয়াল্লাহু আনহা এই মহিলা সাহাবীই কিন্তু ইসলামের ইতিহাসের প্রথম শহীদ। হযরত সুমাইয়া রাযিয়াল্লাহু আনহার জীবনী জানতে এই লিংকে যান

মক্কা ও মাদানী জীবনে প্রতি মুহূর্তে কাফেররা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবীদের কে হত্যা করতে চাইত। আপনাদের কে আমি এখন ২ টা উদাহরন দেই। হিজরতের ৩য় বছরের সফর মাসে আযল ও কারা গোত্রের লোকেরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ৬ জন সাহাবী কে চান তাদের এলাকায় গিয়ে তাদের কে দ্বীন ইসলাম শিখানোর জন্য। ঐ ৬ জন সাহাবী ঐ গোত্রের কাছে উপস্থিত হলে ঐ গোত্রপতিরা ঐ ৬ জন সাহাবীর মাঝে ৪ জন সাহাবীকে হত্যা করে আর ২ জন সাহাবীকে দাস হিসাবে বাজারে বিক্রি করে দেয়। ঐ ৪ জন সাহাবীকে রাবেতা ও জেদ্দার মধ্যবর্তী স্থান রাজী নামক এক ঝর্ণার সামনে হত্যা করা হয় তাই সীরাত সাহিত্যে এই ঘটনাটাকে রাজীর ঘটনা বলে অভিহিত করা হয়। আবার ঐ একই বছর বনু সুলায়ম, বনু উসাইয়া, বনু রিল ও বনু যাকওয়ান গোত্র অনেক বলে কয়ে আল্লাহ সুবহানাতায়ালার নামে প্রতিজ্ঞা করে নজদের অধিবাসীরা দ্বীন শিখবে বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছ থেকে ৭০ জন সাহাবীকে নিজেদের গোত্রে নিয়ে যায়। তারপর ঐ সকল সাহাবীর কাছ থেকে নজদের অধিবাসীরা দ্বীন শিখা তো দূরের কথা ৭০ জন সাহাবীকেই নজদের অধিবাসীরা নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে। এই ঘটনাটা বী’র মা’উনার ঘটনা নামে সীরাত সাহিত্যে পরিচিত। কারন নজদের অধিবাসীরা বী’র মা’উনা নামক স্থানে এই ৭০ জন সাহাবীকে হত্যা করেছিল। একটু চিন্তা করে দেখুন যে জাহেলিয়াতের যুগেও আরবের কাফেররা অতিথিপরায়ন ছিল। কিন্তু কি নিষ্ঠুরভাবেই না আরবের কাফেররা অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে ৭০ জন সাহাবীকে তারা হত্যা করল ! বী’র মা’উনা ও রাজীর ঘটনার মাঝে পার্থক্য ছিল অল্প কয়েকদিনের। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বী’র মা’উনা ও রাজীর ঘটনা দ্বারা নিহত সাহাবীদের জন্য দীর্ঘদিন বিষন্নগ্রস্থ ছিলেন। ইসলামে ওহুদ যুদ্ধে শহীদ ৭০ জন সাহাবীদের পরেই এই বী’র মা’উনা ও রাজীর ঘটনা দ্বারা নিহত সাহাবীদের মর্যাদা।

খায়বার যুদ্ধের পর তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরা আরব উপদ্বীপের একচ্ছত্র অধিপতি হন। নাস্তিকদের কথামত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি প্রতিহিংসাপরায়ন হতেন তাইলে তো তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাইলেই পারতেন বী’র মা’উনার ঘটনায় ৭০ জন সাহাবীকে হত্যাকারী বনু সুলায়ম, বনু উসাইয়া, বনু রিল ও বনু যাকওয়ান গোত্রপতিদের কে হত্যা করতে। কিন্তু তা না করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের সকল কেই ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।

সেই সময় জাহেলিয়াত যুগের পরিপ্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাফেরদের প্রতি দু একটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যেমন কাব ইবনে আশরাফ নামক এক কবি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে অনেক অশ্লীল কবিতা রচনা করত। তাকে বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে তার অশ্লীল কবিতা রচনা করা ত্যাগ করেনি। তাই মদীনা জীবনে যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পান তখন সেই অশ্লীল কবিতা রচনাকারী কাব ইবনুল আশরাফ কে হত্যা করেন। আর যুদ্ধকালীন চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে তাওরাতের বিধান অনুসারে বনু কোরাইজা গোত্রের সকল ইহুদী পুরুষদের কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ইসলাম বিদ্বেষীরা প্রায়ই কাফেরদের প্রতি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই দুই একটি কঠোর সিদ্ধান্তকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে বড় করে সবার সামনে প্রচার করে। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে উনার জীবনে হাজার হাজার কাফের/ইহুদীদের কে হত্যা না করে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন এই তথ্য কখনো নাস্তিকরা কাউকে বলে না। সেই যুগে যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয়ের পর পরাজিত যুদ্ধবন্দীদেরকে হয় হত্যা করা হত নতুবা দাস দাসী হিসাবে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হত। বদর যুদ্ধে ৭০ জন কাফের মুসলমানদের হাতে বন্দী হলেও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাম মাত্র মুক্তিপণের মাধ্যমে ঐ সকল কাফেরদের কে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। অনেক কাফের আবার মুক্তিপণও দিতেও পারছিল না। তাদের কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুক্তিপণ ছাড়াই মুক্ত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিন্তু চাইলেই পারতেন ঐ ৭০ জন কাফেরদের কে হত্যা করতে বা দাস হিসাবে বাজারে বিক্রি করে দিতে।

তারপর মক্কা বিজয়ের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক মক্কার সকল কাফেরদেরকে ক্ষমা করে দেয়ার ইতিহাস তো আমরা সবাই জানি। মক্কা বিজয়ের পরে আরবের প্রায় সব গোত্রই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বশ্যতা স্বীকার করে নেয়। কিন্তু হাওয়াযেন গোত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বশ্যতা স্বীকার করে নেয়নি। আরবে হাওয়াযেন গোত্রকে কুরাইশদের পর দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে গণ্য করা হত। হাওয়াযেন গোত্রের সাথে আরো বেশ কিছু উচ্ছৃংখল গোত্র যেমন সাকীফ, মোযার, জোশাম ও সাদ ইবনে বকর এর গোত্রসমূহ যোগ দেয়। তারা হাওয়াযেন গোত্রের অধিপতি মালিক ইবনে আওফ কে তাদের নেতা বানিয়ে মক্কা থেকে ১০ মাইল দূরে হোনায়ন নামক প্রান্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

157808

যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে এই সকল কাফের গোত্র তাদের পরিবার পরিজন কেও তাদের সাথে নিয়ে আসে যেন পরিবার পরিজনের মুখের দিকে তাকিয়ে তারা সবাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রানপণে যুদ্ধ করে। যথারীতি হুনায়নের যুদ্ধে মুসলমানরা জয়ী হয়। সেই সময়ের যুদ্ধরীতি অনুসারে হুনায়নের যুদ্ধ করতে আসা পরাজিত সকল গোত্রের নারী পুরুষ, তাদের উট বকরী ও ধন সম্পদ মুসলমানদের হস্তগত হয়। এবং যথরীতি তা গনীমতের মাল হিসাবে সাহাবীদের মাঝে বন্টনও করা হয়। কিন্তু গনীমতের মাল বন্টনের ৭ দিন পরেই হুনায়নের যুদ্ধ করতে আসা সকল কাফের গোত্রপতিরা মুসলমান হয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বন্টন হয়ে যাওয়া তাদের সকল পরিবার পরিজন ও তাদের সহায় সম্পত্তি সাহাবীদের কাছ থেকে নিয়ে তাদের মাঝে ফেরত দিয়ে দেন। নাস্তিকরা কিন্তু আপনাদের কে খালি এই হুনায়নের যুদ্ধের গনীমতের মাল বন্টনের কথাটাই বলবে কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে গনীমতের মাল বন্টন হবার ৭ দিন পরেই এই হুনায়নের যুদ্ধ করতে আসা সকল পরাজিত গোত্রপতিদের কে তাদের পরিবার পরিজন ও সহায় সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তা কিন্তু আপনাকে কখনই বলবে না। এখন আপনি হয়ত বলতে পারেন যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেন হুনায়নের যুদ্ধে পরাজিত গোত্রপতিদের পরিবার পরিজন ও সহায় সম্পত্তিকে গনীমতের মাল হিসাবে বন্টন করেছিলেন ? আচ্ছা হুনায়নের যুদ্ধে যদি কাফেররা বিজয়ী হত তাইলে কি তারা আমাদের কে কচুকাটা করত না ? অবশ্যই হুনায়নের যুদ্ধে মুসলমানরা পরাজিত হলে এখন আর পৃথিবীতে একটি মুসলমানও বেঁচে থাকত না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুনায়নের যুদ্ধে পরাজিত গোত্রপতিদের পরিবার পরিজন ও সহায় সম্পত্তিকে গনীমতের মাল হিসাবে সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে আরবের অন্যান্য কাফের গোত্রদের কে একটি শক্ত বার্তা দিয়েছিলেন যে ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ যুদ্ধ করতে আসলে তাদের পরিনতিও এই হুনায়নের যুদ্ধে পরাজিত এই গোত্রপতিদের ন্যায়ই হবে।

আপনি হয়ত এখন বলতে পারেন যে ঐ যুদ্ধবন্দী নারীদের কে সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেবার কারন কি ? কিন্তু এটা কি সম্ভব যে ঐ মহিলারা খাবে দাবে কিন্তু তাদের জৈবিক চাহিদা পূরন করতে পারবে না। আর ইসলমের পর্দা প্রথার কারনে এটাও সম্ভব ছিল না যে কোন সাহাবীর তত্ত্ববধানে ঐ সব যুদ্ধবন্দী নারীদের কে সার্বক্ষনিক ভাবে রাখা। কারন এতে আরো ফেতনা ফাসাদ সৃষ্টি হয়ে যাবে। আর আপনারা একটু লক্ষ্য করে দেখুন এই হুনাইনের যুদ্ধে যেইসব যুদ্ধবন্দী নারী মুসলমানদের হস্তগত হয়েছিল তা কিন্তু এই হুনাইনের যুদ্ধ করতে আসা কাফেররাই নিয়ে এসেছিল। হুনাইনের যুদ্ধের ময়দানে যদি এই মহিলারা তাদের স্বামীদের সাথে না থেকে তাদের বাড়িতে বসে থাকত তাইলে কিন্তু তারা কখনই মুসলমানদের হাতে বন্দী হত না। তাই হুনাইনের যুদ্ধবন্দী নারীদের হস্তগত করারা ব্যাপারে সাহাবীদের কোন ভূমিকা নেই। বনু কোরায়জা বা হুনাইনের যুদ্ধের পরে যে নারী গুলি মুসলমানদের হাতে হস্তগত হয়েছিল এদের মাঝে একটা নারীকেও ধর্ষন করা হয় নি। প্রত্যেক নারীকেই সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়েছিল। সাহাবীরা পরে মুতা বিয়ের মাধ্যমে তাদের সাথে মিলিত হয়েছিল। ইসলামের মুতা বিয়ের আইন তখনই নাযিল হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে ইসলাম মুতা বিয়েকে হারাম ঘোষনা করেছে। আর হুনাইনের যুদ্ধের পর তাদের কাফের স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের কে যুদ্ধক্ষেত্রে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল। এখন সাহাবীদের পক্ষে কি সম্ভব ঐ ৩০০/৪০০ মহিলাকে সারা জীবন দেখে শুনে রাখা ?

যুদ্ধবন্দী নারী নিয়ে আপনার সকল প্রশ্নের জবাব এখানে

আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে যে ইসলাম মানে শান্তি নয় ইসলাম অর্থ হল আত্মসমর্পন। আরব উপদ্বীপে শিশু ইসলাম কে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাঝে মাঝে ২/১ টি কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহানুভবতার কারনেই কঠিন কঠিন অপরাধ করা সত্ত্বেও বনু নাদীরা, বনু কায়নুকা, বনু মোস্তালাক, খায়বারের ইহুদিরা ও আরবের কাফেররা বারবার প্রানে বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু মুসলমানরা যদি একবারও কাফের বা ইহুদীদের কাছে হারত তাইলে আরবের কাফের ও ইহুদীরা সবাই মিলে মুসলমানদের কে কচুকাটা করত। এখানে একটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার যে মুসলমানরা কোন যুদ্ধেই কাফেরদের কাছে পরাজিত হয় নি। কিন্তু আল্লাহ না করুক মুসলমানরা যদি কোন যুদ্ধে কাফেরদের কাছে পরাজিত হত তাইলে আজ বাংলাদেশে ইসলাম আসত না। আর মাদানী জীবনে কাফেরদের কাছে মুসলমানদের পরাজয় মানে কাফেররা সবাই মিলে মুসলমানদের কে নিশ্চিহ্ন করে দিত। ঠিক যেমনটি স্পেনের মুসলমানদের ক্ষেত্রে হয়েছিল।

আর সেইসব ইহুদীরা ও কাফেররা যদি সাহাবীদের সাথে যুদ্ধে জিতে যেত তাইলে কিন্তু তারাও সাহাবীদের কে দাস দাসীতে রূপান্তরিত করত। যুদ্ধ কোন মিঠা জিনিস না। সাহাবীরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই ঐ ২/৩ টা গোত্রের লোকদের কে দাস দাসী বানিয়েছিলেন যেন কাফের ও ইহুদীরা মুসলমানদের কে ভয় পায়। আর এই দাস দাসী বানানো টা কিন্তু ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাতের বিধানমতেই হয়েছিল। একপেশে চিন্তা ভাবনা না করে আপনারা please উভয় দিকের ব্যাপারটাই চিন্তা করুন। তাইলেই আপনার সব প্রশ্নের উত্তর খুজে পাবেন ভাই। আর কোন মুসলমান কে কখনই দাস দাসী বানানো যায় না। আমরা হলাম মুসলমান তাইলে পাকিস্তানীরা আমাদের কে কিভাবে দাস দাসী বানাবে ? পাকিস্তানীরা ৭১ সালে আমাদের উপর যা করেছিল তা ছিল সুস্পষ্ট জুলুম। আর এই জুলুমের প্রতিদান এখন পাকিস্তানীরা নিজেরাই বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একজন আরেকজন কে বোমা মেরে হত্যা করে পাচ্ছে।

অনেকেই বলে থাকেন যে আল কোরআনে কেন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করল না। আচ্ছা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যদি সেই সময়ে দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করতেন তাইলে তো কাফের ও ইহুদীরা আরো বেশী করে মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে জড়িত হত কারন তারা ভাল করেই জানত যে আমরা যুদ্ধে পরাজিত হলেও মুসলমানরা আমাদের কে দাস দাসী বানাবে না। মাদানী যুগে ২৭ টা যুদ্ধ হয়েছিল আর আল কোরআনে দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করলে তো সেই মাদানী যুগেই মুসলমানদের সাথে কাফেরদের ২৭০০ টা যুদ্ধ হত। তাই মুসলমানদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই সেই সময়ে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করেন নি।

আপনাদের হয়ত মনে আছে যে বদর যুদ্ধের আগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে দোয়া করে বলেছিলেন যে আজ যুদ্ধে যদি মুসলমানরা হারে তাইলে এই দুনিয়ায় তোমার নাম নেবার মত আর কেউ থাকবে না। অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুব ভাল করেই জানতেন যে যে কোন একটা যুদ্ধে কাফেরদের কাছে আমাদের পরাজয় মানেই হল নিশ্চিত মৃত্যু। তাই ঘরের শ্ত্রু বিভীষণ ও আশপাশের শ্ত্রুদের কে শায়েস্তা করার জন্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাঝে মাঝে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা না হলে কাফের ও ইহুদীরা একটার পর একটা আক্রমন মুসলমানদের কে করেই যেত।

এই যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সারা জীবনে এত এত কাফের/ইহুদীদের কে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিন্তু চাইলেই পারতেন ঐ সকল কাফের/ইহুদীদের কে হত্যা করতে বা দাস দাসী হিসাবে বাজারে বিক্রি করে দিতে। ইহুদী ও কাফেরদের প্রতি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই মহানুভবতা গুলি কিন্তু নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীরা সব সময় পাশ কাটিয়ে যায়। নাস্তিকরা সারাদিন খালি বনু কোরায়জা গোত্র আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে অশ্লীল কবিতা রচনাকারী কাব ইবনে আশরাফের হত্যার ঘটনা গুলিই ফুলিয়ে ফাপিয়ে সবার কাছে প্রচার করে। আরে সেই সময়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি দুই একটা কঠোর সিদ্ধান্ত না নিতেন তাইলে কাফেররা ও ইহুদীরা মিলে সকল সাহবীদের কে হত্যা করে ফেলত। সীরাত সম্পর্কে সঠিক পড়াশুনা না থাকায় শার্ট প্যান্ট পড়া অনেক মুসলমান ছেলেই নাস্তিকদের কথায় এখন বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই মুক্তমনাদের ভণ্ডামি জানার জন্য যারা এখনো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী ভাল ভাবে পড়েননি তাদের কে সীরাতে ইবনে হিশাম/নবীয়ে রহমত/আর রাহিকুল মাখতুম পড়ার অনুরোধ করছি। সত্যিকথা বলতে কি আমরা আমাদের নিজেদের জীবন সম্পর্কে যতটুকু জানি এর চেয়েও বেশী আমাদের কে জানতে হবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন সম্পর্কে। তাইলেই আমরা মুক্তমনাদের ভণ্ডামি গুলি নিজেরাই ধরতে পারব। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সবাইকে সীরাত পড়ার তওফীক দান করুক।

তথ্যসুত্রঃ ১.সীরাতে ইবনে হিশাম,

২.আর রাহীকুল মাখতুম,

৩.আস সীরাতুন নাবাবিয়্যা/নবীয়ে রহমত [ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত]

ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব

আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান

আল কোরআনের ব্যাকরণগত সৌন্দর্য্যের কিছু অসাধারন দিক

বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা

ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল

আমাদের মুসলমানদের কেন একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত রাষ্ট্র প্রয়োজন ?

হাতের কাছে রাখার মত কয়েকটি চমৎকার ইসলামী বই

পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে

হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম ২য় পর্ব

মেসওয়াক করার ফযীলত

আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে" এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ?

সিজদায়ে সাহু সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েল

সহিহ শুদ্ধ ভাবে নামায পড়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় মাসলা

মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তার আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে

সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস রাম লক্ষন রাবন কিংবা রাম মন্দির যে ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া আর কিছুই না

বিষয়: বিবিধ

৬১৮৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

198452
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৪১

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : মোহাম্মদের মহানুভতা!!!!

Abu Dawud 38:4390 Narrated Atiyyah al-Qurazi: I was among the captives of Banu Qurayza. They (the Companions) examined us, and those who had begun to grow hair (pubes) were killed, and those who had not were not killed. I was among those who had not grown hair.
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৪৪
148382

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : মনের মাধুরী মিশিয়ে মোহাম্মদ বন্দনা করলেই ইসলামের চিড়া ভিজে না।
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৯
148486
শাফিউর রহমান ফারাবী লিখেছেন : মিশনারী সাইট থেকে আর কত কপি পেস্ট করবেন ? বাংলা ভাষায় নিজে থেকে কিছু লিখেন। আর বনু কোরাইজা নিয়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর ব্লগেই দেয়া হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
148494

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : Abu Dawud 38:4390 এই সহিহ হাদীসটি কি মিশনারী লোকরা লিখেছেন?
198454
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৪৮

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : Tabari VIII:38 "The Messenger of Allah commanded that all of the
ইতিহাস কথা বলে :

Jewish men and boys who had reached puberty should be beheaded. Then the Prophet divided the wealth, wives, and children of the Banu Qurayza Jews among the Muslims."
Tabari VIII:35/Ishaq:464 "The Jews were made to come down, and Allah's Messenger imprisoned them. Then the Prophet went out into the marketplace of Medina (it is still its marketplace today), and he had trenches dug in it. He sent for the Jewish men and had them beheaded in those trenches. They were brought out to him in batches. They numbered 800 to 900 boys and men."

Tabari VIII:40 "The Messenger of God commanded that furrows should be dug in the ground for the Qurayza. Then he sat down. Ali and Zubayr began cutting off their heads in his presence."

So Mohammed sat down to relax and enjoy the spectacle of innocent Jewish farm boys having their heads cut off in front of him. It's easy to see the model for Hitler's holocaust, but even Hitler didn't have the chutzpah to visit his own gas chambers.

Tabari VIII:35/Ishaq:464 "Huyayy, the enemy of Allah, was brought out. He was wearing a rose-colored suit of clothes that he had torn all over with fingertip-sized holes so that it would not be taken as booty. His hands were bound to his neck with a rope. When he looked at Muhammad he said, 'I do not regret opposing you. Whoever forsakes God will be damned.' He sat down and was beheaded."

The Jews knew who Yahweh really is, and they knew who to fear, and it wasn't Muhammed or his alter-ego "Allah".

(URL)

Bukhari:V5B59N459 Narrated Ibn Muhairiz: I entered the Mosque and saw Abu Said Al-Khudri and sat beside him and asked him about Al-Azl (i.e. coitus interruptus). Abu Said said, "We went out with Allah's Apostle for the Ghazwa of Banu Al-Mustaliq and we received captives from among the Arab captives and we desired women and celibacy became hard on us and we loved to do coitus interruptus."

Imagine being raped by the very men that had beheaded your husband, sons, brothers, father and/or grandfather.

Ishaq:465 "When their wrists were bound with cords, the Apostle was a sea of generosity to us."

Like a Mafia Don sprinkling bits of his ill gotten gains around the neighborhood, cheerfully accepted by those reprobate enough, to receive stolen property. Or like a politician being "generous" with the confiscated fruit, of the labor, of others.

Ishaq:465 "Then the Apostle divided the property, wives, and children of the Qurayza among the Muslims. Allah's Messenger took his fifth of the booty. He made known on that day the extra shares for horses and their riders - giving the horse two shares and the rider one. A Muslim without a horse got one share of the spoil. It was the first booty in which lots were cast."

Mohammed having received a prior "revelation" from his "Allah" (sura 8 Al-Anfal - Spoils of War, Booty), that lavished on him 1/5 of all of the property stolen from others, again, like a Mafia Don. Since lots were cast even though Mohammed's religion prohibits gambling, it's obvious how much interest Mohammed's fellow cutthroats had in his homemade "religion", beyond what they could personally gain from it.

Tabari VIII:39 "Then the Messenger of Allah sent Sa'd bin Zayd with some of the Qurayza captives to Najd, and in exchange for them he purchased horses and arms."

Property stolen from others is what financed the imperialistic conquest of the Islamic First Jihad, all way all the way up to Tours France, and Vienna Austria.

Tabari VIII:38 "The Prophet selected for himself from among the Jewish women of the Qurayza, Rayhanah bt. Amr. She became his concubine. When he predeceased her, she was still in his possession. When the Messenger of Allah took her as a captive, she showed herself averse to Islam and insisted on Judaism."

Would a woman desire to have sexual relations with the man responsible for beheading her husband and father? Let alone that Rayhanah was a Jew and Mohammed was a gentile that was still in the process of inventing his unique religion.

Ishaq:466 "The Apostle chose one of the Jewish women for himself. Her name was Rayhana. She remained with him until she died, in his power. The Apostle proposed to marry her and put the veil on her but she said, 'Leave me under your power, for that will be easier.' She showed a repugnance towards Islam when she was captured."

And so it went.

Ishaq:480 "The Qurayza met their misfortune. In humiliation they found no helper. A calamity worse than that which fell upon the Nadir befell them. On that day Allah's Apostle came to them like a brilliant moon. We left them with blood upon them like a pool. They lay prostrate with the vultures circling round."

Isn't that a blessed picture?

198463
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:০৭
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : মাশাল্লাহ বেশ ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ। রাসুলে পাক (স.) সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। বেশী বেশী লিখুন।
198471
২৬ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ এই পরিশ্রমি লিখাটির জন্য। আধুনিক যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক আইন বিবেচনা করলে মনে হবে রাসুল (সাঃ) ইহুদিদের কে তাদের প্রাপ্য শাস্তি থেকে অনেক কম শাস্তি দিয়েছিলেন। অভদ্র মন্তব্যকারিটির মন্তব্যগুলি মুছে দিলে ভাল হয়। পুরা পোষ্টটি পড়েও যদি তার উকত্থাপিত প্রশ্নের জবাব সে নাপায় তা হলে বুঝতে হবে এই জবাব বুঝার মত বুদ্ধিই তার নাই।
২৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:২৪
148433

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আরে বেকুব এটি আমার কথা না, সে সময়ের ইসলামী Commentator দের কে কি বলেছেন সেটাই তুলেধরা হল মাত্র। সেরাত রাসুলুল্লাহ থেকে নেয়া হয়েছে মাত্র, চোখে চশমা লাগিয়ে দেখেন আর গজগজ করে নাস্তিকদের গুষ্ঠি উদ্ধার করেন।:

Bukhari:V5B59N459 Narrated Ibn Muhairiz: I entered the Mosque and saw Abu Said Al-Khudri and sat beside him and asked him about Al-Azl (i.e. coitus interruptus). Abu Said said, "We went out with Allah's Apostle for the Ghazwa of Banu Al-Mustaliq and we received captives from among the Arab captives and we desired women and celibacy became hard on us and we loved to do coitus interruptus."

Imagine being raped by the very men that had beheaded your husband, sons, brothers, father and/or grandfather.

Ishaq:465 "When their wrists were bound with cords, the Apostle was a sea of generosity to us."

Like a Mafia Don sprinkling bits of his ill gotten gains around the neighborhood, cheerfully accepted by those reprobate enough, to receive stolen property. Or like a politician being "generous" with the confiscated fruit, of the labor, of others.

Ishaq:465 "Then the Apostle divided the property, wives, and children of the Qurayza among the Muslims. Allah's Messenger took his fifth of the booty. He made known on that day the extra shares for horses and their riders - giving the horse two shares and the rider one. A Muslim without a horse got one share of the spoil. It was the first booty in which lots were cast."

Mohammed having received a prior "revelation" from his "Allah" (sura 8 Al-Anfal - Spoils of War, Booty), that lavished on him 1/5 of all of the property stolen from others, again, like a Mafia Don. Since lots were cast even though Mohammed's religion prohibits gambling, it's obvious how much interest Mohammed's fellow cutthroats had in his homemade "religion", beyond what they could personally gain from it.

Tabari VIII:39 "Then the Messenger of Allah sent Sa'd bin Zayd with some of the Qurayza captives to Najd, and in exchange for them he purchased horses and arms."

Property stolen from others is what financed the imperialistic conquest of the Islamic First Jihad, all way all the way up to Tours France, and Vienna Austria.

Tabari VIII:38 "The Prophet selected for himself from among the Jewish women of the Qurayza, Rayhanah bt. Amr. She became his concubine. When he predeceased her, she was still in his possession. When the Messenger of Allah took her as a captive, she showed herself averse to Islam and insisted on Judaism."

Would a woman desire to have sexual relations with the man responsible for beheading her husband and father? Let alone that Rayhanah was a Jew and Mohammed was a gentile that was still in the process of inventing his unique religion.

Ishaq:466 "The Apostle chose one of the Jewish women for himself. Her name was Rayhana. She remained with him until she died, in his power. The Apostle proposed to marry her and put the veil on her but she said, 'Leave me under your power, for that will be easier.' She showed a repugnance towards Islam when she was captured."

And so it went.

Ishaq:480 "The Qurayza met their misfortune. In humiliation they found no helper. A calamity worse than that which fell upon the Nadir befell them. On that day Allah's Apostle came to them like a brilliant moon. We left them with blood upon them like a pool. They lay prostrate with the vultures circling round."

Isn't that a blessed picture?

Tabari VI:133 "We pledge our allegiance to you and we shall defend you as we would our womenfolk. Administer the oath of allegiance to us, Messenger of Allah, for we are men of war possessing arms and coats of mail."

"the religion of peace"

Ishaq:204/ Tabari VI:134 "'Men of the Khazraj, do you know what you are pledging yourselves to in swearing allegiance to this man.' 'Yes,' they answered. 'In swearing allegiance to him we are pledging ourselves to wage war against all mankind.'"

Then as Mohammed's imperialistic political movement began to mature....

Ishaq:472 "Muhammad's Companions are the best in war."

Ishaq:475 "Allah commanded that horses should be kept for His enemy in the fight so they might vex them. We obeyed our Prophet's orders when he called us to war. When he called for violent efforts we made them. The Prophet's command is obeyed for he is truly believed. He will give us victory, glory, and a life of ease. Those who call Muhammad a liar disbelieve and go astray. They attacked our religion and would not submit."

Men allured by the easy spoils of non-combatant innocents, as well as the promise of the chicken and wine serving bordello of Mohammed's imagination, that he called "paradise".

Sura 56:21 And the flesh of fowls, any that they may desire.
Surah 83:25 Their thirst will be slaked with Pure Wine sealed:
Sura 56:35 We have created (their Companions) of special creation. 36 And made them virgin - pure (and undefiled),

Quoting Craig Winn regarding the Massacre of the Qurayza, from whose book the above hadith verses were lifted,

"It's important for you to know that I have reported every Hadith collected by Tabari, Ishaq, and Bukhari regarding the assault on the Jews. There wasn't a single word written about Jewish combatants. Three settlements, three sieges, and yet the Jews never struck a blow - not one. There was no excuse. There was no claim of self defense. This was a grotesque act of racially inspired genocide. And the motivation was greed. The Jews embodied everything the Muslims had failed to achieve. They were productive, prosperous, moral, literate, peaceful, honest, discerning, and religious."

Noble Qur'an:2:190 Footnote: Jihad is holy fighting in Allah's Cause with full force of numbers and weaponry. It is given the utmost importance in Islam and is one of its pillars. By Jihad Islam is established, Allah's Word is made superior (which means only Allah has the right to be worshiped), and Islam is propagated. By abandoning Jihad Islam is destroyed and Muslims fall into an inferior position; their honor is lost, their lands are stolen, their rule and authority vanish. Jihad is an obligatory duty in Islam on every Muslim. He who tries to escape from this duty, or does not fulfill this duty, dies as a hypocrite. page 580 of Maktba Dar-us-Salam's Sahih Al-Bukhari

Sura 9.111 Allah hath purchased of the believers their persons and their goods; for theirs (in return) is the garden (of Paradise): they fight in His cause, and slay and are slain: a promise binding on Him in truth, through the Law, the Gospel, and the Qur'an: and who is more faithful to his covenant than Allah? then rejoice in the bargain which ye have concluded: that is the achievement supreme.

But that is of course a lie regarding the Gospel:

Matthew 5:44 But I say unto you, Love your enemies, bless them that curse you, do good to them that hate you, and pray for them which despitefully use you, and persecute you;

Sura 8:12 I will instill terror into the hearts of the unbelievers: smite ye above their necks and smite all their finger-tips off them

John 13:35 By this shall all [men] know that ye are my disciples, if ye have love one to another.
Galatians 5:14 For all the law is fulfilled in one word, [even] in this; Thou shalt love thy neighbour as thyself.

Nor is there an open ended call for Yahweh's people to engage in imperialistic conquest under the old covenant. Fifteen hundred years before Muhammad was ever born, the old covenant prophets had laid down their swords, and suggestion of the use of the sword in Yahweh's service.


Quoting AnsweringIslam.com on the above detailed massacre...

"Now it all comes down to this; are the Bani Quraytha Jews traitors or were they betrayed?

First of all, how do we know if a treaty is broken? We cannot simply assume that a treaty is broken because of mere rumors [Quran Surah 49:12 ...Avoid suspicion as much (as possible): for suspicion in some cases is a sin.] We can only assume that a treaty is broken if:-
1. The other side officially renounces the treaty
2. The other side does an action which is a direct violation of the treaty

Does any one of the former apply to the Bani Quraytha Jews?

I've searched the nine books of Hadeeth (Saheeh Bukhari, Saheeh Muslim, Sunan Al-Tarmithi, Sunan Al-Nasa'i, Sunan Abi Dawood, Sunan Ibn Majah, Musnad Ahmad, Muwatta' Malik, and Sunan Al-Darimi). In my search I did not find any single Hadeeth which indicates that Bani Quraytha either officially (or even unofficially) renounced the treaty, nor did I find a Hadeeth which indicates that Bani Quraytha violated the treaty in any way.

As a matter of fact, the only Hadeeth I found regarding Bani Quraytha's position was one Hadeeth [Musnad Ahmad - 22823] which says that Bani Quraytha actually refused to assist the Pagan Arabs in any way in their assault against Mohammed."

Discussion
"Prophet of Doom"
Audio book to download to your MP3 player
AnsweringIslam.com "The Bani Quraytha JewsTraitors or Betrayed?"
Here's a YouTube of a present day jihadist - that is a true follower of Mohammed - that wants to take your "wives as war booty"
YouTube on the leopard-bear-lion Islamic "beast" of Revelation 13

It is stunning that any literate person in this 21st century information age, would follow a self-proclaimed 7th century "prophet" - born hundreds of years into this new covenant era that was ushered in by the Messiah - whose own books reveal as being the exact opposite of Jesus Christ, the sinless Lamb of God, the Prince of Peace. A so-called "prophet" with no fulfilled prophecy, who not a single witness ever heard "Allah" or Gabriel give a revelation to, who never performed a single miracle, and whose own books reveal as a murdering, prisoner abusing, thief.

The next time a Muslim tries to tell you that Jihad is an internal struggle you will know that they are either an ignorant apostate, or practicing taqiyyah, or lying in the way of Allah. If one of those duped into Mohammed's stand-alone 7th century religion parrots there is "no compulsion in religion" why not send him a link and let him tilt against the truth?

Mohammed's followers must necessarily reject the actual historical record of scripture, penned by those that lived in the times and places about which they recorded, that is ever increasingly confirmed by archaeological evidence. At the same time there is not a shred of historical or archaeological evidence that suggests that Mecca ever even existed before about the 4th century AD, even though other ancient Arabian cities are very well attested in those records.
HistoryOfMecca.com

Mohammedans must reject all of the prophets and witnesses as revealed in the 1600 year progressive revelation of Yahweh to mankind, the divine inspiration of which is confirmed by the large volume of fulfilled prophecy, in order to follow 7th and 8th century AD created historical fiction that masquerades as thousands of years of prior historical record. Islamic so-called "tradition" that was put to the pen by ibn Ishak, who lived 1200 kilometers away from the Holy Land of the prophets and patriarchs, and thousands of years after the historical events he pretended to about, without reference to any actual historical record that preceded the 4th century AD. A man whose genealogy of Mohammed is so absurd that the math works out to 66 years per Arabian generation, from Ishmael to Mohammed, when 53 year old Mohammed himself was doing a 9 year old. A created historical fiction, that Muslims themselves can only label as "tradition", even while it is taught to them as if it were an actual historical record.
http://www.historyofmecca.com/geography_mecca.htm

From a Christian perspective, Walid Shoebat and Ellis Skolfield suggest Daniel prophesied of Mohammed in this passage....
"The False Prophet"

Daniel 11:37 Neither shall he regard the God of his fathers, nor the desire of women, nor regard any god: for he shall magnify himself above all. 38 But in his estate shall he honour the God of forces: and a god whom his fathers knew not...

Regarding Mohammed "magnifying himself above all" it's important to understand what he accomplished rather than what he declared. Additionally the God of forces is a reference to satanic influence in the occult. Mohammed adopted and then adapted the occult ritual of the Umrah, as just one example, from the pagan Quraish jinn-demon worshipers, in which idols of the most venerated priest and priestess of the Arabian jinn religion were worshiped on Al-Safa and Al-Marwah.
Hajj and Umrah

If you inquire on YouTube or in Internet forums you will actually find some of Mohammed's followers declaring they believe that the beheading of those innocent Jewish farm boys, and sexual enslavement of their sisters and mothers was justified and thus their prophet's behavior was acceptable and good, since claims are made that the Qurayza were accused of breaking a treaty.

To our Muslim friends, do you really think the path to a good and just God is paved by murdering, prisoner abusing, thieves? That God is revealed through 7th and 8th century historical fiction, that you have been deceived into believing is a historical record, through a man named ibn Ishak? By a self-proclaimed "prophet", that is revealed as the EXACT OPPOSITE of the Messiah, Jesus Christ, the Prince of Peace?

Because of Mohammed's own behavior, today we find his true followers responsible for over 16,000 deadly Islamic terror attacks around the world just since 9-11, as meticulously logged by the folks at TheReligionOfPeace.com. Mohammed's true followers that appreciate the Islamic Mufti of Jerusalem's partnership with Hitler in genocide of Jews, including two Islamic Panzer divisions serving in Hitler's army as well as events like the 1941 massacre of Iraqi Jews in the "Farhud", or "violent dispossession".

Mohammed's true followers today simply doing what they can, to be like their "prophet", and his fellow slave abusing, murdering, thieves, with over two million killed in the Sudan alone, by Islam.
Great Tribulation

"Eyewitness accounts detailing the militia attacks are horrifying.
Since last fall, women have reported more than 500 rapes. Three women said five militiamen beat and raped them last August. The women said, "After they abused us, they told us that now we would have Arab babies. And, if they would find any [more] women, they would rape them again to change the color of their children.""

In Indonesia 3 teenage girls were beheaded on their way to their Christian school and one of their heads left on the steps of a Church. The note left behind reads: "We will murder 100 more Christian teenagers and their heads will be presented as presents."

AP - December 06, 2006 MOGADISHU, Somalia - "Residents of a southern Somalia town who do not pray five times a day will be beheaded, an Islamic courts official said Wednesday, adding the edict will be implemented in three days."

In Saudi Arabia 15 girls were killed because Islamic religious police sent them back into a burning school, for their audacity of emerging from the burning building, without head coverings.

John 13:35 By this shall all [men] know that ye are my disciples, if ye have love one to another.

Sura 8:12 I will instill terror into the hearts of the unbelievers: smite ye above their necks and smite all their finger-tips off them

Galatians 5:14 For all the law is fulfilled in one word, [even] in this; Thou shalt love thy neighbour as thyself.

There is just one way, and it isn't Mohammed and his alter-ego "Allah".

John 14:6 Jesus saith unto him, I am the way, the truth, and the life: no man cometh unto the Father, but by me.

Why not prayerfully and contritely ask the Messiah, Jesus Christ Himself, to come into your life and give you and new heart, and a new spirit? He's been waiting for you all your life.

Matthew 7:7 Ask, and it shall be given you; seek, and ye shall find; knock, and it shall be opened unto you: 8 For every one that asketh receiveth; and he that seeketh findeth; and to him that knocketh it shall be opened.

1John 1:3 That which we have seen and heard declare we unto you, that ye also may have fellowship with us: and truly our fellowship [is] with the Father, and with his Son Jesus Christ.



198521
২৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:২৯

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আপনার গল্পে কোরাণ-হাদিস-সেরাতের একটি রেফারেন্সও নেই। সবই মনের মাধুরী মিশানো!!!!!!!!
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৭
148483
শাফিউর রহমান ফারাবী লিখেছেন : অনেকেই বলে থাকেন যে আল কোরআনে কেন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করল না। আচ্ছা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যদি সেই সময়ে দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করতেন তাইলে তো কাফের ও ইহুদীরা আরো বেশী করে মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে জড়িত হত কারন তারা ভাল করেই জানত যে আমরা যুদ্ধে পরাজিত হলেও মুসলমানরা আমাদের কে দাস দাসী বানাবে না। মাদানী যুগে ২৭ টা যুদ্ধ হয়েছিল আর আল কোরআনে দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করলে তো সেই মাদানী যুগেই মুসলমানদের সাথে কাফেরদের ২৭০০ টা যুদ্ধ হত। তাই মুসলমানদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই সেই সময়ে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা দাস দাসী প্রথা হারাম ঘোষণা করে কোন আয়াত নাযিল করেন নি।

আপনাদের হয়ত মনে আছে যে বদর যুদ্ধের আগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে দোয়া করে বলেছিলেন যে আজ যুদ্ধে যদি মুসলমানরা হারে তাইলে এই দুনিয়ায় তোমার নাম নেবার মত আর কেউ থাকবে না। অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুব ভাল করেই জানতেন যে যে কোন একটা যুদ্ধে কাফেরদের কাছে আমাদের পরাজয় মানেই হল নিশ্চিত মৃত্যু। তাই ঘরের শ্ত্রু বিভীষণ ও আশপাশের শ্ত্রুদের কে শায়েস্তা করার জন্যই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাঝে মাঝে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যা না হলে কাফের ও ইহুদীরা একটার পর একটা আক্রমন মুসলমানদের কে করেই যেত।
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
148495

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : তার মানে আপনার অসীম! শক্তিধর! দয়ার! সাগর আল্লা ইহুদী-নাসারা দের ভয়ে অসহায় অবলা দাসীদের জন্য ভাল কিছু করতে সাহস পান্নি?
199940
২৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২১
শাফিউর রহমান ফারাবী লিখেছেন : খায়বার যুদ্ধের পর ইহুদীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আবেদন করল যে তাদের তাওরাতের কপি গুলি তাদের কে ফেরত দিয়ে দেওয়া হোক তখন সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ সাহাবীদের কে নির্দেশ দেন তাওরাতের কপি গুলি যেন ইহুদীদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ইসলাম পূর্ব যুগে খ্রিষ্টানরা স্পেনের ইহুদীদের উপর আক্রমনের সময় তাওরাতের সহিফাগুলোকে আগুনে দগ্দ্ধ করে। খ্রীষ্টপূর্ব ৭০ সালেও রোমানরা জেরুজালেম জয় করার সময় তাওরাতের সহিফা গুলা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। কিন্তু আমরা মুসলমানরা কখনোই ইহুদীদের সাথে যুদ্ধের সময় তাওরাতের কোন ক্ষতি সাধন করি নাই।
200498
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:১১
শাফিউর রহমান ফারাবী লিখেছেন : ব্লগ লেখলাম বাংলা ভাষায় আর কমেন্ট আসে ইংরেজী ভাষায়। কেন রে ভাই বাংলায় কমেন্ট করলে সমস্যা কি হয় ?
201191
০১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৫২
রাফায়েল লিখেছেন : রায়হান ভাই কপি পেস্ট করে আর কত।নাস্তিক সবাই কি মগাচীপরে নকল মারে নাকি?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File