সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াত নিয়ে নাস্তিকদের মিথ্যাচারের জবাব
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২১ মার্চ, ২০১৪, ১১:৩৯:৪৭ রাত
নাস্তিকরা প্রায়ই আল কোরআনের সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে অনেক মুসলমান কে বিভ্রান্ত করে। নাস্তিকরা বলতে চায় যে আল কোরআনে নাকি পুরুষদের কে বলছে তারা যেন ইচ্ছামত তাদের স্ত্রীদের গাঁয়ে হাত তুলে। আচ্ছা আসুন তো আমরা একটু দেখি সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আসলে কি বলেছেন ? ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনের যে বঙ্গানুবাদটা মাসিক মদীনা পত্রিকার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন খান করেছেন সেখানে সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের বঙ্গানুবাদ টা হল- “ পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্ত্বশীল এইজন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।” এই আয়াতের তাফসিরে বলা হয়েছে যে স্বামীরা যেহেতু সংসারের অর্থ যোগান দিবে তাই স্বাভাবিকভাবেই একটি সংসারের মাঝে স্বামীরাই কর্তৃত্ত্বশীল থাকবে। ব্যস সহজ একটা ব্যাপার এখানে কোন জটিলতা নাই। পৃথিবীর সব দেশেই একটা সংসার চালাতে স্ত্রী স্বামীর মতামত কে প্রাধান্য দেয়। তারপর এই আয়াতে বলা হয়েছে যে স্ত্রী যদি তোমার কথামত না চলে তাইলে প্রথমে তুমি তাকে সদুপদেশ দিবে এতেও যদি কোন কাজ না হয় তাইলে তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে আলাদা শুবে অর্থাৎ স্ত্রীর শয্যা পৃথক করে দিবে আর এতেও যদি কাজ না হয় তাইলে তুমি তোমার স্ত্রীকে মৃদুভাবে মারধোর করতে পারবে তবে এতটা আঘাত তোমার স্ত্রীকে করতে পারবে না যাতে তোমার স্ত্রীর গাঁয়ে কোন জখম হয় বা কোন দাগ পরে। আর এই আয়াতটিতে আঘাত করার ব্যাপারে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা দ্বারা মোটা লাঠির আঘাত বা সজোরে কিলঘুষির কথা বলা হয় নি বরং তাফসীর ও আরবী ব্যাকরণ অনুযায়ী এই আঘাত বলতে মেসওয়াক দ্বারা আঘাতের মত আঘাতকেই বুঝানো হয়েছে, বলা চলে বর্তমানের টুথব্রাসের আঘাতের মতই। আল কোরআনের এই আয়াতে কোন স্বামীকে স্ত্রীর গাঁয়ে আঘাত করতে বলা হয় নাই শুধু স্বামীর জন্য এটা জায়েজ করা হয়েছে যে স্ত্রী যদি একান্তই তোমার কোন কথা না শুনে তাইলে তুমি তাকে প্রথমে সদুপদেশ দিবে তাতে কাজ না হলে স্ত্রীর বিছানা আলাদা করে দিবে আর এতেও কাজ না হলে তুমি তোমার স্ত্রীকে এতটুকু মারধোর করতে পারবে যেন তার গাঁয়ে কোন জখম না হয়। আদেশ করা এক জিনিস আর শুধু অনুমতি দিয়ে রাখা আরেক জিনিস। ইসলামে তালাক দেবার অনুমতি আছে কিন্তু তার মানে এই নয় যে ইসলাম বলছে যে তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কে তালাক দিয়ে দাও। বরং স্বামী স্ত্রী কেউ যেন কাউকে তালাক দিতে বাধ্য না হয় ইসলাম ঠিক সেইভাবেই স্বামী স্ত্রীকে সংসার জীবন পরিচালনা করতে বলেছে। অর্থাৎ সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা স্ত্রীকে কোন মাইরধর করার নির্দেশ দেন নি স্ত্রী যদি কখনো স্বামীর চরম অবাধ্য হয়ে যায় তাইলে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা স্বামীকে শুধু স্ত্রীকে মৃদু আঘাত করার অনুমতি দিয়েছেন তাও এতটুকু যেন স্ত্রীর গাঁয়ে যেন কোন আঘাতের জখম না পরে। আর স্ত্রীর গাঁয়ে এই আঘাত টা করার আগে প্রথমে স্বামী তার স্ত্রীকে বুঝাবে তাতে কাজ না হলে শয্যা আলাদা করে দিবে আর এতেও কাজ না হলে সর্বশেষ তখন স্ত্রীকে মৃদু মারধোর করবে।
ঠিক কি কারনে ও কতটুকু পরিমান স্ত্রীকে আঘাত করা যাবে এই কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদায় হজ্জের ভাষণেই বলে গিয়েছেন। “ নারীদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর। তোমরা তাদেরকে আল্লাহ্র আমানত হিসাবে গ্রহণ করেছ এবং তাদের সতীত্ব- সম্ভ্রমকে আল্লাহর কালেমার বিনিময়ে তোমাদের জন্য হালাল করেছ। আর তোমাদের ব্যাপারে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল ( অর্থ্যাৎ নারীদের), কোন লোককে যেন তোমাদের শয্যাপাশে না আসতে দেয় যাকে তোমার অপছন্দ কর। তারা যদি তাও তা করে তবে তোমরা তাদেরকে প্রহার করতে পারবে, তবে এমনভাবে যেন তার চিহ্ন বাইরে ফুটে না উঠে। আর তাদের ব্যাপারে তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল, তোমরা ন্যায়সঙ্গত ভাবে তাদের খোরপোশের ব্যবস্থা করবে। ”
অর্থ্যাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই হাদীস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আপনার স্ত্রী যদি পরকীয়ায় লিপ্ত হয় তাইলেই শুধু আপনি আপনার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতে পারবেন। পরকীয়া ছাড়া অন্য কোন কারনে আপনার স্ত্রীর গায়ে হাত দেয়া জায়েজ নয়। নিছক সাংসারিক মতপার্থক্য বা তরকারীতে লবন কম হয়েছে এইসব কারনে যারা নিজ স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে তারা অবশ্যই শরীয়তের দৃষ্টিতে অপরাধী। আর ইসলাম তো মেয়েদেরকেও তালাক দেবার ক্ষমতা দিয়েছে। তাই কোন স্বামী যদি স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাইলে স্ত্রী চাইলেই পারবে সেই স্বামীকে তালাক দিয়ে দিতে।
আর সূরা নিসার এই আয়াতের তাফসীরে তাফসীরে মা আরেফুল কোরআনে এই কথা লেখা আছে যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রীর গাঁয়ে স্বামীর হাত দেয়াটা পছন্দ করতেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই কথাও বলেছেন যে ভাল লোক কখনোই এমন করে না। মুয়ায ইবনে কুশায়রা থেকে বর্নিত আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জিজ্ঞাস করলাম আমাদের স্ত্রীদের ব্যাপারে আপনি কি বলেন ? তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন- “ তুমি যা খাবে তাকে তাই খেতে দিবে তুমি যা পরবে তাকে তাই পরতে দিবে, কখনই তোমার স্ত্রীকে প্রহার করবে না এবং কখনই তোমার স্ত্রীকে গালিগালাজ করবে না। [সুনানে আবু দাউদ, বিবাহ অধ্যায়, হাদীস নং ২১৩৮ ]
একটা লোক কিভাবে তার স্ত্রীকে আস্তাবলের উটের ন্যায় মারধোর করে তারপর আবার রাতে তার সাথে বিছানায় শুয় ? [ বুখারী শরীফের বিবাহ অধ্যায় ]
আচ্ছা আপনারা কি কখনই কোন হাদিসে পেয়েছেন যে যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের কে বলেছে যে তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের কে মাইরধর কর ? বা এমন কি কোন বর্ননা পেয়েছন যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখন উম্মুল মুমেনীনদের গাঁয়ে হাত তুলেছেন ? বা এমন কি কোন বর্ননা পাওয়া যায় যে কোন মহিলা সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে অভিযোগ করেছে যে আমার স্বামী আমার গাঁয়ে হাত তুলেছে ? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ৪ কন্যা ছিল। হযরত যয়নব, হযরত রুকাইয়া, হযরত উমমে কুলসুম ও ফাতেমা রযিয়াল্লাহু আনহা। কই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই ৪ কন্যা তো কখনই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এমন কোন অভিযোগ করে নি যে উনাদের স্বামীরা কখনো উনাদের গায়ে হাত তুলেছে। ফিকাহ শাস্ত্রের কোথাও কি লেখা আছে যে ইসলামে বলেছে স্বামী যেন স্ত্রীর গাঁয়ে আঘাত করে ? তাইলে নাস্তিকদের এই স্ত্রীকে মাইরধর করার বিষয় টা নিয়ে এত আগ্রহ কেন ? আর আপনারা কখনই কি কোন নাস্তিককে দেখেছেন সূরা নিসার ১১,১২, ১৭৬ নং আয়াত নিয়ে আলোচনা করতে ? নাস্তিকরা কিন্তু কখনই সূরা নিসার ১১,১২, ১৭৬ নং আয়াতগুলি নিয়ে কোন আলোচনা করবে না কারন কোরআনের এইসব আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা মেয়েরা তার বাপ মা স্বামী পুত্রের কতটুকু সম্পত্তি পাবে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় মনে হয় একটা খবর এসেছে যে আফগানিস্তানে নাকি বউকে পিটানোর বৈধতা দিয়ে একটি আইন পাশ করা হবে। আর যথারীতি এটা নিয়ে নাস্তিকরা দ্বীন ইসলাম কে ছোট করা শুরু করেছে। আসলে নাস্তিকদের চোখে একমাত্র মুসলিম দেশ হল আফগানিস্তান। যেন আফগানিস্তান ছাড়া দুনিয়ায় আর কোন মুসলিম দেশ নাই। কেন কুয়েত কাতার সৌদিআরব এগুলি কি কোন মুসলিম দেশ না ? আর আফগানিস্তান দেশটাতে অনেক উপজাতি মুসলমান আছে। সেইসব উপজাতি মুসলমানরা কিছু নির্দিষ্ট সামাজিক প্রথাকে লালন পালন করে যার অনেক কিছুই ইসলামী শরীয়াহ support করে না।
পারভেজ মোশারফের “ইন দ্যা লাইন অফ ফায়ার” বইটা যারা পড়েছেন তারা জানেন যে আফগান সীমান্তবর্তী অনেক পাকিস্তানী উপজাতি গোত্র আছে যাদের উপর কেন্দ্রীয় সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। তারা তাদের মত করে চলে। শুধু পাকিস্তান নয় আফগানিস্তানেও এরকম বহু উপজাতি আছে যারা কখনই কোন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে ছিল না। আর আফগানিস্তানে একমাত্র তালেবান সরকার ছাড়া আর কখনই ঐরকম কোন কেন্দ্রীয় সরকার ছিল না। আর আফগানিস্তান দেশটাতে অনেক উপজাতি মুসলমান আছে। সেইসব উপজাতি মুসলমানরা কিছু নির্দিষ্ট সামাজিক প্রথাকে লালন পালন করে যার অনেক কিছুই ইসলামী শরীয়াহ support করে না।
কই যখন তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল তখন কি এমন কোন আইন আফগানিস্তানে পাশ হয়েছিল যে যে কোন স্বামী তার ইচ্ছামত তার স্ত্রীর গাঁয়ে আঘাত করতে পারবে ? আর এখন তো আফগানিস্তান দেশটা আমেরিকা চালায়। তাইলে আফগানিস্তানে যে এখন স্ত্রীকে পেটানোর যে আইনটা পাশ হয়েছে এর দায় অবশ্যই আমেরিকার। যেহেতু আফগানিস্তান দেশটা এখন আমরিকা চালায়। তাইলে আমরা মুসলমানরা কেন আফগানিস্তানের এই স্ত্রীকে পেটানো আইন পাশের দায় দায়িত্ব নিতে যাব ? আর আফগানিস্তানে যে প্রতিদিন মার্কিন সেনাবাহিনী আমাদের মা বোনদের কে ধর্ষন করছে কই এর প্রতিবাদ করে তো কখনই কোন নাস্তিককে কোন ব্লগ লিখতে দেখলাম না। কিন্তু আফগানিস্তানে আমেরিকার পুতুলমার্কা কারজাই সরকার কি না এক স্ত্রী কে পেটানোর আইন পাশ করেছে আর এই দোষ চেপেছে মুসলমানদের গাঁয়ে ! আর আসলেই কি এরকম কোন আইন আফগানিস্তানে সত্যিই পাশ হয়েছে কিনা তা নিয়ে আমার নিজের মনেই অনেক সন্দেহ আছে। কারন পশ্চিমা মিডিয়া গুলিতে আফগানিস্তান ইরাক নিয়ে এরকম অনেক ভুয়া বা অতিরঞ্জিত খবর ছাপায়।
আর আপনারা দেখবেন নাস্তিকরা খালি যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ও ইরাকের উদাহরন দেয়। আরে যেইসব দেশে সারাদিন খালি মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলে তারা কি কখনো আমাদের উদাহরণ হতে পারে ?
আসলে বাংলাদেশের অনলাইনের নাস্তিকগুলি হচ্ছে সব ভণ্ড। এই অনলাইনের নাস্তিকগুলি কে কি আপনি কখনই দেখেছেন যে হিন্দু মেয়েরা যে এখনও তাদের বাপ মা স্বামীর সম্পত্তি পায় না, হিন্দু মেয়েদের বিয়েতে যে রেজিস্ট্রেশন হয় না হিন্দু মেয়েরা যে তাদের স্বামীকে তালাক দিতে পারে না এই বিষয় গুলি নিয়ে কোন লেখালেখি করতে। এই অনলাইনের নাস্তিকগুলি সারাদিন খালি মুসলমান মেয়েদের কে নিয়ে পরে থাকে। আসলে এগুলি একটাও নাস্তিক না এগুলি হচ্ছে সব হিন্দু। এইজন্যই হাজার দোষ ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও এরা কখনই হিন্দু ধর্মের কোন সমালোচনা করে না। একটা মুসলমান মেয়ে বাপ মা স্বামী এই ৩ জনের সম্পত্তি পায়। আজ থেকে ১০০ বছর আগেও খৃস্টান, ইহুদী মেয়েরা বাপ মায়ের সম্পত্তিতে কোন ভাগ পেত না। কিন্তু আমাদের মুসলিম মেয়েরা সেই মাদানী যুগ থেকেই বাপ মা ও স্বামীর সম্পত্তিতে ভাগ পায়। আর ইউরোপ আমেরিকার মেয়েরা তাদের বাপ মার যে সম্পত্তি গুলি পায় তা তাদের রাষ্ট্রীয় আইনে পায়। বাইবেলে কোথাও লিখা নাই যে খৃস্টান ইহুদী মেয়েরা তাদের বাপ মার সম্পত্তি পাবে। ইসলাম কি অধিকার দিয়েছে মেয়েদের কে এটা এখন প্রত্যেকটা মুসলিম মেয়েই জানে। আল কোরআনের ৪র্থ সূরা সুরা নিসার মানেই হল স্ত্রীলোক। কই কখনো তো দেখলাম না বাংলাদেশের নাস্তিকরা কখনো নেটে লেখালেখি করেছে যে হিন্দু মেয়েরাও যেন তাদের বাপ মার সম্পত্তি পায়। এই ২০১৪ সালেও হিন্দু মেয়েদের বিয়েতে কোন সাক্ষী থাকে না। অগ্নিকে সাক্ষী কে রেখে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে হয়। হিন্দু ছেলেরা প্রায়ই হিন্দু মেয়েদের কে বলে যে আমি যে তোমাকে বিয়ে করেছি এর প্রমান কি ? হিন্দু মেয়েদের বিয়েতে কোন রেজিস্ট্রেশনও হয় না। হিন্দু মেয়েরা বিয়েতে কোন দেনমোহর পাওয়া তো দূরের কথা এমনকি হিন্দু মেয়েদের স্বামী কে তালাক দিবার ক্ষমতা পর্যন্ত নাই।
বিষয়: বিবিধ
২১০৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন