জাওহারির ভিডিও আপলোড করা অপরাধ কিন্তু আল্লাহর রাসূলকে গালিগালাজ করা অপরাধ না
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ০৭ মার্চ, ২০১৪, ১১:২৮:০৪ সকাল
বেশ কিছুদিন আগে RAB আল কায়েদার নেতা জাওহারির ভিডিও কয়েকটা ওয়েবসাইটে আপলোড করার অপরাধে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাসেল বিন সাত্তার কে গ্রেফতার করেছে। লিংক এই রাসেল বিন সাত্তারের নামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি ও রাষ্ট্রদ্রোহি অপরাধে আরেকটি অর্থাৎ মোট ২ টি মামলা হয়েছে। দেখুন কি হাস্যকর কারবার ! জাওয়ারির ভিডিও আপলোড করার জন্য যদি কারো নামে মামলা হয় তাইলে তো আমরা যারা জাওহারির ভিডিও শেয়ার করেছি তাদের নামেও এই তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ও রাষ্ট্রদ্রোহি অপরাধে মামলা হওয়া উচিত। সারা বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ এই আল কায়েদারর নেতা জাওহারির ভিডিও আপলোড করেছে ও শেয়ার করেছে। তো সরকার এখন কয়জন কে ধরবে ? আচ্ছা জাওয়ারির ভিডিও আপলোড করা অপরাধ কিন্তু ধর্মকারী, ছুত্রাপাতা, স্যামহোয়ার ইন ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, আমার ব্লগ ও সচলায়তন ব্লগ ও ফেইসবুকে আসিফ মহিউদ্দীন, দাঁড়িপাল্লা ধমাধম, সাদিয়া সুমি উজ্জা, দিগম্বর পয়গম্বর, Omar Farooq Lux, আল্লামা শয়তান, আরিফুর রহমান, সবাক পাখি, তামান্না ঝুমু, এরকম বহু ব্যক্তি যে দীর্ঘদিন ধরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যাচ্ছে সেটা কি অপরাধ না ? RAB যেরকম রাসেল বিন সাত্তার কে গ্রেফতার করেছে RAB কিন্তু একটু চাইলেই পারে উপরে উল্লেখিত নাস্তিকদের আইপি এড্রেস গুলি ট্র্যাক করে তাদের কে গ্রেফতার করতে। রাসেল বিন সাত্তার কে গ্রেফতার করার জন্য RAB এর সে কি তোড়জোড় কিন্তু ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে যারা প্রকাশ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ব্লগে ও ফেইসবুকে গালিগালাজ করে যাচ্ছে তাদের কে RAB দেখেও দেখছে না। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে আইপি এড্রেস ট্র্যাক করে RAB খুব সহজেই উপরে উল্লেখিত নাস্তিক ব্লগারদের কে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু আমরা এটাও জানি যে এই আওয়ামী লীগ সরকার কখনই আর কোন নাস্তিক ব্লগারদের কে গ্রেফতার করবে না। নতুন কোন নাস্তিক ব্লগারদের কে গ্রেফতার করা তো দূরের কথা লোক দেখান যে ৪ জন নাস্তিক ব্লগারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ও তাদের নামে যে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়েছিল আইন মন্ত্রণালয় সেই মামলার কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছে। এরচেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে যে এক তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান Sir এখনো জেলে রয়েছেন আর ৪ নাস্তিক ব্লগারের নামে যে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছিল তা সরকার স্থগিত করে দিয়েছে। আমার মাথায় একটা জিনিস ঢুকে না বঙ্গবন্ধু যদি ১৯৭৪ সালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে অশ্লীল কবিতা লেখার দায়ে কবি দাউদ হায়দার কে বহিস্কার করতে পারে তাইলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সমস্যা কোথায় এইসব নব্য দাউদ হায়দার কে গ্রেফতার করতে। এই আওয়ামীলীগ সরকার তো খালি কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর কথা বলে। তাইলে বঙ্গবন্ধু যেরকম কবি দাউদ হায়দার কে দেশ থেকে বহিস্কার করেছিল আওয়ামী লীগ কি পারে না বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরন করে ব্লগে ও ফেইসবুকে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালিগালাজ করে যাচ্ছে তাদের কে গ্রেফতার করতে ?
এই বাংলাদেশের পুলিশ RAB এগুলি দ্বারা আর কখনই এই দেশের মানুষের কোন উপকার আসবে না। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলিতে যারা কাজ করে তারা যে কতটা জ্ঞানপাপী এর একটা উদাহরন আপনাদের কে আমি এখন দিচ্ছি। ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি অফিসে আমি মোট ১০ দিন ছিলাম। এর মাঝে ৭ দিনই ছিল আমার রিমান্ড দিবস। আমার রিমান্ডের ৫ম দিনে মার্চের ৩ তারিখ পুলিশের SB অর্থ্যাত্ স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে এক কর্মকর্তা আসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। উনি এসে নিজের পরিচয় দেয় যে উনি CCNA কোর্স করা একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। প্রথমেই উনি আমাকে জিজ্ঞাস করে তুমি যে তোমার গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন ব্লগ ও ফেইসবুকে থাবা বাবা ওরফে রাজীবের নাস্তিকতা বিষয়ক বিভিন্ন লেখার লিংক শেয়ার করেছ এগুলি যে রাজীব লিখেছে তার প্রমাণ কি। রাজীবের ID তো হ্যাকও হতে পারে। অন্য কেউ তো থাবা বাবা নামে এগুলি লিখতে পারে। তখন আমি উনাকে বলি - "আমি আজকে দীর্ঘ ৪ বছর যাবত থাবা বাবা/রাজীব, আসিফ মহীউদ্দীন এদের সাথে ব্লগিং করি। রাজীবের Facebook ID কেউ হ্যাক করলেও বেশীক্ষণ রাখতে পারবে না কারন মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল এড্রেস দিয়ে রাজীব খুব সহজেই তার ফেইসবুক আইডি পুনরুদ্ধার করে ফেলবে। আর রাজীব তার থাবা বাবার নামের ফেইসবুক আইডিতে তার ছবিও একবার দিয়েছিল। সেই ছবিতে রাজীব ছাড়াও আল্লামা শয়তান/মশিউর রহমান বিপ্লব ও আরো অনেকেই ছিল। আর ১৬ ফেব্রুয়ারী প্রথম আলো পত্রিকাতেও এটা ছাপা হয়েছিল যে রাজীব থাবা বাবা নামেই লিখত। আর তাছাড়া রাজীব মারা যাওয়ার পর রাজীবের থাবা বাবার ফেইসবুক আইডিতে যারা রাজীবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বান্ধবী ছিল তারা সবাই ফেইসবুক ও ব্লগে বলেছে যে আমাদের রাজীব হায়দারই হল থাবা বাবা। তারপর আমি SB থেকে আসা ঐ পুলিশ কর্মকর্তা কে আরো বললাম ধরলাম বিভিন্ন ব্লগ ও ফেইসবুকে থাবা বাবা নামে যে লিখত সে রাজীব না। কিন্তু রাজীব না লিখলেও কেউ না কেউ তো থাবা বাবা নামেই লেখা গুলি লিখেছে। IP এড্রেস ট্র্যাকের মাধ্যমে আপনারা তো খুব সহজেই এটা বের করতে পারবেন যে কে থাবা বাবার আইডিটা চালাত। তো সেই আসল থাবা বাবা কেই আপনারা খুজে বের করে আনুন না। আপনি হয়ত লক্ষ্য করেছেন যে রাজীবের মৃত্যুর পর আর থাবা বাবার সেই আইডি গুলি থেকে আর কোন পোষ্ট আসে নি। " আমার এত গুলি কথা বলার পর সেই SB এর পুলিশ কর্মকর্তা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল যে থাবা বাবার সেই আইডিটা রাজীবই চালাত। আপনারা একটু চিন্তা করে দেখুন যেখানে সারাদেশের মিডিয়া বলছিল যে রাজীবই ছিল থাবা বাবা কিন্তু CCNA কোর্স করা SB এর একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রথমে স্বীকারই করতে চায় নি যে এই রাজীবই ছিল সেই থাবা বাবা ! তাই এই দেশের পুলিশ RAB এরা আর কোন নাস্তিক ব্লগারদের কে গ্রেফতার করবে এই আশা করা ভুল। তাই আমাদের উচিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে ইসলামের বার্তা পৌছে দেওয়া। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আমার একান্ত অনুরোধ আমাদের সাধারন জনগনের হাতে তো অস্ত্র নেই কিন্তু আপনাদের সেনাবাহিনীর হাতে তো অস্ত্র আছে তো আপনারা কি পারেন না যারা প্রতিমূহূর্তে নেট জগতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলে যাচ্ছে তাদের কে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করতে ?
বিষয়: বিবিধ
১২০৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন