এক আজিব জাতি বাঙালি জাতি !

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ৩০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৩৫:২৪ রাত



বাঙালী মুসলিম জাতির মত এত আজব জাতি এই পৃথিবীতে আর কোথায় নেই। মুসলিম জাতির জন্য সবচেয়ে শোকাবহ দিন কোনটা ? অবশ্যই যেইদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মারা গেছেন সেই দিন টা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর দিনটি যে উম্মতের জন্য সবচেয়ে শোকাবহ এই কথাটা খোদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই বলে গেছেন। হাদীস গ্রন্থ সুনানে ইবনে মাজাহ এর ৪র্থ খন্ডে আস-সীরাতুন নাবাবিয়্যা অধ্যায়ে একটি হাদিস আছে যেখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন - “আমার উম্মতের উপর আমার মৃত্যুতে প্রাপ্ত শোকাবহ আঘাতের চেয়ে আর বড় কোন আঘাত আমার উম্মতের উপর আর আসবে না।” শুধু তাই নয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটাও বলেছেন যে তোমাদের মধ্যে কেউ যখন কারো মৃত্যুতে কষ্ট পাও তখন আমার মৃত্যুতে আঘাতপ্রাপ্ত লোকদের থেকে সান্তনা পেতে চেষ্টা করবে। অর্থ্যাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটাই বলতে চেয়েছেন যে আমাদের কোন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন মৃত্যুবরন করলে আমরা যেই কষ্ট টা পাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর সাহাবীদের উপর যে কষ্টের বোঝা নেমে এসেছিল সাহাবীদের সেই কষ্টের তুলনায় আমাদের সেই কষ্ট টা কিছুই না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেদিন মদীনায় এসেছিলেন সেদিন মদীনার প্রতিটা বস্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের কারনে ধন্য, পূত-পবিত্র ও আলোকপ্রভায় উজ্জ্বল হয়েছিল। কিন্তু ১২ রবিঊল আওয়াল যেই দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ধরনী থেকে বিদায় নেন সেইদিন সাহাবীরা শোকে মাতম করছিলেন যে ওহীর ধারাবাহিকতা আজ থেকে আমাদের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। যেহেতু ওহী শুধুমাত্র নবী রাসূলদের উপরেই অবতীর্ণ হয় আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যু পর এই পৃথিবীতে আর কোন নবী আসবে না তাই সাহাবীরা শোকে মাতম করছিলেন যে আমরা আর কখনোই ওহীর মাধ্যমে আর কোন দিকনির্দেশনা পাব না। হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু তো বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মারা গেছেন। হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু এই কথাও বলে ফেলেছিলেন যে - “ মুনাফিকদের কে পরিপূর্ণরুপে নির্মুল না করা পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকাল করবেন না। ” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাফন কাফন করার পর সাহবীরা যখন আবার ঘরে ফিরে আসছিল তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কন্যা হযরত ফাতেমা রাযিয়াল্লাহু আনহা হযরত আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু কে লক্ষ্য করে বলে উঠেন- “ হে আনাস ! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেহ মুবারক মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে তোমরা কিভাবে পারলে ? তোমাদের মন কিভাবে তা মেনে নিল ? ” [ সহীহ বুখারী ]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী উম্মুল মুমেনীন হযরত সালমা রাযিয়াল্লাহু আনহা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুদিবস ১২ রবিঊল আওয়াল দিনটি সম্পর্কে বলেন - “ এই দিনটি ছিল আমাদের জন্য এক নিদারুন কষ্টের ! আমাদের যখন সেদিনের কষ্টের কথা মনে হয় তখন আমাদের জীবনের সব কষ্টই সেই ১২ রবীউল আউয়াল কষ্টের তুলনায় নেহায়েত তুচ্ছ ও সহজ মনে হয়। ” [ সীরাতে ইবনে হিশাম ]

অর্থাৎ গোটা মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বিষাদময় দিনটি হল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুদিবস ১২ রবিঊল আওয়াল। আর এই দিনটিকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশের মাইজভান্ডারী, তরীকত ফেডারেশন, আটরশী, ভন্ড দেওয়ানবাগী আর পাকিস্তানে ভাত না পাওয়া সেই তথাকথিত আউলাদে রাসূল তাহের শাহ এরা সবাই মিলে জশনে জুলুস করে, মিস্টি খায় এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে কষ্টের দিন টাকে তারা ঈদে মিলাদুন্নবী নাম দিয়েছে। ছি। ভণ্ডামির তো একটা মাত্রা থাকা উচিত। নাস্তিকরা ব্লগে ও ফেইসবুকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে অপমান করে আর আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুদিবস কে ঈদ বানিয়ে আনন্দ উৎসব করে আল্লাহ্‌র রাসূলের শানে আঘাত করি। আর সবচেয়ে বড় কথা হল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও মৃত্যু একই দিনে অর্থাৎ সোমবার হলেও তারিখ টি এক নয়। অর্থ্যাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম হয়েছিল ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ই রবীউল আউয়াল যেটা সোমবার ছিল এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যু হয়েছিল ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবীউল আউয়াল এটাও সোমবার ছিল। অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও মৃত্যু দিবস সোমবারে হলেও তারিখ টি এক ছিল না। তাই যারা বলছেন যে ১২ রবীউল আউয়াল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম নিয়েছেন ও ১২ রবীউল আউয়াল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যু বরন করেছেন তারা অবশ্যই একটি বড় ধরনের ভুলের উপরে আছেন। প্রকৃত তথ্যটা হল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম নিয়েছেন ৯ই রবীউল আউয়াল ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যু বরন করেছেন ১২ রবীউল আউয়াল। আর সবচেয়ে বড় কথা হল সাহাবী, তাবেঈন ও তাবেঈন উনারা কেউই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করেন নি তাই নতুন করে যারাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করবে তারা অবশ্যই একটা গোমরাহীর মাঝে আছে। আর প্রত্যেক বিদআতীই গোমরাহী। আমি লক্ষ্য করেছি যে অনেকেই এই ১২ রবীউল আউয়ালে রোযা রাখা বাধ্যতামূলক মনে করে। এমনকি রমযানের তারাবীর মত করে অনেকেই এই ১২ রবীউল আউয়ালে ২০ রাকাত নামাযও পড়ে। ভাই আমরা আর কত ইসলাম কে বিকৃতি করব ? এই ১২ রবীউল আউয়াল কে কেন্দ্র করে ইসলামের কোন আলাদা ইবাদত নেই। সাহাবীরা, তাবেঈন ও তাবে-তাবেঈনরা কেউই এই ১২ রবীউল আউয়ালে কোন আলাদা ইবাদত করেন নাই। আর আজকে যারা মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে কষ্টের দিন টাকে ঈদে মিলাদুন্নবী নাম দিয়ে আনন্দ উৎসব করছে এই হেফাজতে ইসলাম যখন শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল তখন তারা কিন্তু কেউই হেফাযতের সাথে আন্দোলনে আসে নি। হেফাজতে ইসলাম কে সাহায্য করা তো দূরের কথা এই মাইজভান্ডার, তরীকত ফেডারেশন সেইদিন হেফাযতে ইসলাম কে নাস্তিক বলে অভিহিত করেছিল। তাই যারা আল্লাহ্‌র রাসুলের মৃত্যু দিবস কে নিজেদের আনন্দ উৎসবে পরিনত করে ফেলেছে তাদের কে আমার মুসলমান ভাবতেও ঘিন্না হয়। এরা হল সব এক একটা ইহুদীদের চর।

এই ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস করার জন্য বাঙালী জাতি সেই সুদূর পাকিস্তান থেকে তাহের শাহ কে ভাড়া করে নিয়ে আসে। পাকিস্তানের তাহের শাহ যে একটা ভন্ড এর একটা জ্বলজ্যান্ত প্রমান আপনাদের কে দেই। ২০০৯ সালে যখন প্রথম আলো পত্রিকার আলপিন সংখ্যায় আল্লাহর রাসূলের অপমান করে একটা ব্যঙ্গ চিত্র আকা হয় তখন তো সেই জরুরী অবস্থানকালীন হিযবুত তাহরীর সারাদেশে প্রতিবাদ করেছিল বিশেষ করে ঢাকা ও চট্রগ্রামে। তখন চট্রগ্রামের তাহের শাহের ভক্তদের কাছেও যাওয়া হয়েছিল যে তারা যেন আল্লাহর রাসূলকে যে ব্যঙ্গ করেছে এর প্রতিবাদ করে যেন রাস্তায় নামে। কিন্তু তারা সেই সময় রাস্তায় নামে নি। কিন্তু ঠিকই সেই বছর তথাকথিত মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে তারা জশনে জুলুস করেছে। আল্লাহর রাসূলকে অপমান করলেও তাহের শাহর ভক্তরা রাজপথে নামে না কিন্তু আল্লাহর রাসূলের মৃত্যু দিবস কে ঠিকই তারা ঈদ বানিয়ে আনন্দ উতসব শুরু করে দেয়।

খ্রিস্টানরা যেমন আন্দাজে ২৫শে ডিসেম্বর কে যীশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে) বলে পালন করে ঠিক তেমনি আমরা মুসলমানরাও আন্দাজের উপর ঠিল ছুড়ে ১২ রবিঊল আওয়াল কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম দিবস বলে পালন করছি। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কে সাবধান করে অনেক আগেই বলেছিলেন যে, “ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদেরই একজন।” (আবু দাঊদ শরীফ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে নতুন কিছু আবিষ্কার করে, সে ব্যক্তির সে কাজ প্রত্যাখ্যাত।” (বুখারী ও মুসলিম) “যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করে, যার উপর আমাদের কোন নির্দেশ নেই, সে ব্যক্তির সে কাজ প্রত্যাখ্যাত।”(মুসলিম) ইসলামে পালনীয় ঈদ হল মাত্র দুটি; ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। তৃতীয় কোন ঈদ ইসলামে নেই।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তের ২৩ বছর কাল নিজের জীবনে কোন বছর নিজের জন্মদিন পালন করে যাননি। কোন সাহাবীকেও তা পালন করার নির্দেশও দেননি। তাঁর পূর্ববর্তী নবীদের জন্ম মৃত্যু উপলক্ষে কোন আনন্দ অথবা শোকপালন করে যাননি। তাঁর পরবর্তীকালে তাঁর চারজন খলীফা তাদের খেলাফতকালে রাষ্ট্রীয়ভাবে অথবা এককভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম দিবস পালন করে যাননি। অন্য কোন সাহাবী বা আত্মীয়ও তাঁর প্রতি এত ভালবাসা ও শ্রদ্ধা থাকা সত্ত্বেও তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ উৎসব করেননি। তাঁদের পরেও কোন তাবেঈ অথবা তাঁদের কোন একনিষ্ঠ অনুসারী অথবা কোন ইমাম তাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যুদিবস পালন করার ইঙ্গিত দিয়ে যাননি। সুতরাং ঈদে মিলাদুন্নবী যে নব্য আবিষ্কৃত বিদয়াত, তা বলাই বাহুল্য।

তথাকথিত ঈদে মিলাদুন্নবী যারা পালন করে তাদের একটা আক্বীদা হল ‘নূরে মুহাম্মাদী’ এই ‘নূরে মুহাম্মাদী’র আক্বীদা মূলতঃ অগ্নি উপাসক ও হিন্দুদের অদ্বৈতবাদী ও সর্বেশ্বরবাদী আক্বীদার নামান্তর। যাদের দৃষ্টিতে স্রষ্টা ও সৃষ্টিতে কোন পার্থক্য নেই। এরা ‘আহাদ’ ও ‘আহমাদের’ মধ্যে ‘মীমের’ পর্দা ছাড়া আর কোন পার্থক্য দেখতে পায় না। তথাকথিত মা‘রেফাতী পীরদের মুরীদ হলে নাকি মীলাদের মজলিসে সরাসরি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন্ত চেহারা দেখা যায়। এই সব কুফরী দর্শন ও আক্বীদা প্রচারের মোক্ষম সুযোগ হ’ল মীলাদের মজলিসগুলো। বর্তমানে সরকারী রেডিও-টিভিতেও চলছে যার জয়জয়কার। আল্লাহ সুভানাতায়ালা আমাদেরকে রক্ষা করুন- আমীন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর জন্মদিন উপলক্ষে আজ যা করা হচ্ছে যেমন আনন্দ মিছিল , আলোক সজ্জা , গেইট ও তোরন নির্মাণ ,মীলাদ কিয়ামের আয়োজন এগুলো কোথা থেকে এলো ? এসবের তো কোন বর্ননা কোরআন হাদীসে নেই । সাহাবায়ে কেরাম তাবেয়ীগণ এরকম কোন অনুষ্ঠান করেছেন বলে তো কোন প্রমান পাওয়া যায়না। তাহলে আমরা কেন এইসব মনগড়া প্রথা পালন করতে যাব ? এইসকল বিদআতি আচার অনুষ্ঠানের দ্বারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো খুশি হবেন না বরং রাগান্বিত হবেন । কারন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদআতের ব্যপারে উম্মত কে সতর্ক করে গেছেন। সাহাবীরা বিদআতকে ঘৃনা করতেন । রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে হবে তাঁর আদর্শ ও সুন্নাত অনুসরনের মাধ্যমে । আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদেরকে হিদায়াতের পথে অটল রাখুন । আমীন

বিষয়: বিবিধ

২০৫৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

170584
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪৪
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আসলেই আমরা এক আজব জাতি।
170616
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩০
বিন হারুন লিখেছেন : প্রত্যেক বিদয়াত গুমরাহী বা পথভ্রষ্টতা. মহান রব আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন. অনেক ভাল লাগল.
170637
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৩
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানবজাতী, ২য় পরিচয় আমরা মুসলিম, এ ছাড়া আর কোন পরিচয় থাকতে পারে না, যারা বলে আমরা বংগালী সেটা আবার কোন ধর্ম।
170651
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : গরুর গোস্ত খাওয়া ছাড়া বাকি বিষয়গুলিতে তারাধর্মনিরপেক্ষতাই পালন করে থাকেন। এদের সম্পর্কে চট্টগ্রাম শাহী জামে মসজিদ এর মরহুম খতিব শায়খ আবদুল আহাদ মাদানী যিনি প্রকৃতই একজন সাইয়েদ বংশিয় মন্তব্য করেছিলেন মদিনা,আরব, দুনিয়া পার হয়ে সকল রাসুল প্রেমিক কি শুধু চট্টগ্রামে সমবেত। তিনি আরো বলেছিলেন ইসলাম বিরোধি রাই ১২ ই রবিউল আওয়াল উৎসব করতে পারে। এরা প্রায় সময় দাবি করে থাকেন যে ১২ রবিউল আউয়াল নাকি রাসুল(সাঃ)ওফাত এর দিন নয়। অথচ প্রায় সকল আধুনিক সীরাত গ্রন্থেই তার জন্ম তারিখ এর ব্যাপারে বিভিন্ন মত প্রকাশ করা হয়েছে। মনে রাখতে হবে রাসুল (সাঃ) যখন জন্ম নেন তখন তিনি একজন পিতৃহীন এতিম বালক। আর যখন ওফাত হয় তখন তিনি একটি রাষ্ট্রের প্রধান। তার মৃত্যর দিন ইতিহাসে সঠিকভাবে উ্ল্লেখ থাকাই স্বাভাবিক নয়কি?
170652
৩০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আল্লাহর রাসূলকে অপমান করলেও তাহের শাহর ভক্তরা রাজপথে নামে না কিন্তু আল্লাহর রাসূলের মৃত্যু দিবস কে ঠিকই তারা ঈদ বানিয়ে আনন্দ উতসব শুরু করে দেয়।

খ্রিস্টানরা যেমন আন্দাজে ২৫শে ডিসেম্বর কে যীশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে) বলে পালন করে ঠিক তেমনি আমরা মুসলমানরাও আন্দাজের উপর ঠিল ছুড়ে ১২ রবিঊল আওয়াল কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম দিবস বলে পালন করছি। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কে সাবধান করে অনেক আগেই বলেছিলেন যে, “ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদেরই একজন।” (আবু দাঊদ শরীফ)
170750
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:১৩
ইবনে হাসেম লিখেছেন : মুসলমানদের মাঝে রাসূলে পাকের জম্ম ও মৃত্যু দিবস নিয়ে ভ্রান্তির অবসান সবার আগে হওয়া উচিত।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
170752
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:১৯
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আপনার লিখাটি পাঠ করেই আমি আরো ভালো করে বুঝতে পারলাম যে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করাটা কতো বড় বিদআত। যদিও এটা যে বেদআত তা ছোটকাল থেকেই জেনে আসছি।
170877
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:১২
মুিজব িবন আদম লিখেছেন : Thanks for elaborate writing. Hopefully, many people will be benefited. May Allah help us.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File