নাস্তিকরা আর কত ব্যঙ্গ করবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ?

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:১২:৫৯ রাত



ইউরোপ আমেরিকার বড় বড় দার্শনিকরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে তাদের মাথার মনি করে রাখে। আপনাদের কে একটা উদাহরন দেই বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয়ের মৃত্যুর পরে তাঁর অভারকোটের পকেটে একটা বই পাওয়া যায়। বই টির নাম “The Sayings of prophet Muhammad ( PBUH). যার বাংলা অর্থ হলো রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী। ১৯০৫ সালে আল্লামা স্যার আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-সুহরাওয়ার্দী সংকলিত এই বই টিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ৪৫১ টি সুন্দরতম হাদীস স্থান পেয়েছে। এই সংকলনটিতে যেসব হাদীস স্থান পেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ইসলামের সার্বজনীন শিক্ষার মাহাত্ম্য, দ্বীন ইসলামের উদারতা, বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবাধিকার, মানবকল্যানের স্বভাবসঙ্গত দিকগুলি। সংকলনটি প্রকাশিত হওয়ার পর সারা বিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়। সেই বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে “ The Sayings of prophet Muhammad ( PBUH).” এই বইটি লিও তলস্তয় থেকে শুরু করে অনেকেই পড়তেন।

বাংলা ভাষায় এই গ্রন্থটি “ রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী ” নামে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর যে কোন শাখা থেকে বইটি কিনা যাবে।

কিন্তু বাংলাদেশের অনলাইনে তথাকথিত নাস্তিকরা তাদের জীবনের মূল লক্ষ্য উদ্দ্যেশই বানিয়ে নিয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে গালিগালাজ করা। তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ কোন ঘটনার সাথেও অনলাইনের নাস্তিক সমাজ সেই ঘটনার প্রসঙ্গ ধরে দ্বীন ইসলাম কে কটাক্ষ করা শুরু করে। আপনাদের একটা উদাহরন দেই। এই কিছুদিন আগে

রাজশাহীর ভাটাপাড়ার এক হোটেল কর্মচারী যার নাম ছিল রুবেল যার বয়স হল ২৫ বছর সে তার চেয়ে ১৫ বছরের বড় নিলুফাকে বিয়ে করেছে। নিলুফার বয়স হল ৪০ বছর। তাদের মধ্যে রুবেল হল হোটেল কর্মচারী আর নিলুফা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। ভাটাপাড়া এলাকার লোকদের অভিযোগ ছিল যে নিলুফা তার স্বামীর কাছ থেকে যথাযথ ভাবে তালাক না নিয়েই রুবেল কে বিয়ে করেছে। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসী রুবেল ও নিলুফার মুখে চুল কালী লাগিয়ে ও জুতাপেটা করে পুরা গ্রাম ঘুরিয়েছে। এই ঘটনাটা দেশের সব দৈনিক পত্রিকাতেই এসেছে। দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকাতে এই ঘটনাটি পড়তে এই লিংকে ক্লিক করুন http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2013/12/30/36251

এই সালিশটা করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুজ্জামান যিনি আওয়ামীলীগের একজন মাঝারি গোছের নেতা। এই সালিশের বিচারে ঐ গ্রামের কোন আলেম জড়িত ছিল না। গ্রামবাসীরা নিজেরাই মিলেই রুবেল ও নিলুফাকে লাঞ্জিত করেছে। অনলাইনের নাস্তিক সমাজ রাজশাহীর এই ঘটনাটাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহার বিয়ের সাথে তুলনা করে এই কয়েকদিন চরম চরম অশ্লীল সব Status ও Comment করেছে। নাস্তিকরা বলা শুরু করেছে যে মুহাম্মদ যদি উনার ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছরের খাদিজাকে বিয়ে করতে পারে তাইলে রুবেল ও নিলুফার কি দোষ হল ? এমনকি অনেক নাস্তিক এটাও বলা শুরু করেছে যে অসম বয়সী বিয়ের কারনে যদি রুবেল ও নিলুফাকে জুতাপেটা করা হয় তাইলে মুহাম্মদ ও খাদিজাকেও সেই সময়ে জুতাপেটা করা উচিত ছিল। নাউযুবিল্লাহ। এদের মাঝে পারভেজ আলম গত ৩০ ডিসেম্বর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহাকে চরম ভাবে কটাক্ষ করে একটি status দিয়েছে। পারভেজ আলমের সেই status এর কথাটা ছিল এরকম- “ ২৫ বছরের মুহাম্মদ যদি বাংলাদেশের কোন হোটেলের কর্মচারী হত এবং ৪০ বছরের খাদিজা যদি কারো বাসায় কাজ করতো তাইলে মুহাম্মদ ও খাদিজার এই বিয়ের কারনে কি বাঙালি মুসলমান সমাজ অসম বয়সী বিয়ের দায়ে মুহাম্মদ ও খাদিজার গলায় জুতার মালা ঝুলিয়ে রাখতো ? অথবা ৪০ বছরের খাদিজা যদি বাংলাদেশের কোন ফাইভ স্টার হোটেলের মালিক হত এবং মুহাম্মদ যদি খাদিজার সেই ফাইভ স্টার হোটেলের ২৫ বছরের জোয়ান কর্মচারী হত তাইলে মুহাম্মদ ও খাদিজার প্রেম এবং বিবাহে বাঙালি মুসলমান সমাজ কি তাদের প্রতি রুবেল ও নিলুফার ন্যায় প্রতিক্রিয়া দেখাতো ? “ নাউযুবিল্লাহ। আপনারা এই লিংক https://www.facebook.com/parvezalambd/posts/10152133871059134 এ যেয়ে কুলাঙ্গার নাস্তিক ব্লগার পারভেজ আলমের সেই status টা পড়তে পারবেন।

প্রাচীন কাল থেকেই জুনিয়র সিনিয়র বিয়ে চলে আসছে। সুবর্না মুস্তফাও উনার চেয়ে অনেক অনেক জুনিয়র এক নাট্য নির্মাতাকে বিয়ে করেছেন। সুবর্ণা মুস্তফা যাকে বিয়ে করেছেন উনার নাম হচ্ছে বদরুল আনাম সৌদ। উনি একজন নাট্যনির্মাতা ও সুবর্ণা মুস্তফা উনার Husband বদরুল আনাম সৌদ এর থেকে ১৫ বছরের বড়। তাই পারভেজ আলম রুবেল নিলুফার বিয়ের সাথে সুবর্ণা মোস্তফা আর সৌদের বিয়ের তুলনা করতে পারত। পারভেজ আলম এখানে জিজ্ঞেস করতে পারতেন যে সুবর্না মুস্তফা যদি নিজের চেয়ে ১৫ বছরের ছোট নাট্য নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ কে বিয়ে করে কোন বাধার সম্মুখীন না হয়েই দিব্যি সংসার করতে পারেন তাইলে রুবেল ও নিলুফার কি দোষ হল ? পারভেজ আলম এইখানে এও প্রশ্ন রাখতে পারতেন এক দেশে দুই বিচার কেন ? বাংলাদেশে এর আগে কি এই ধরনের বিয়ে হয়নি ? আর রুবেল ও নিলুফা বিয়ে করেছে পালিয়ে কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহার বিয়ে হয়েছে পারিবারিক সম্মতিতে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময়ে গোটা আরব সমাজে ঘোষণা দিয়ে খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহা কে বিয়ে করেছিলেন এবং সমাজ তা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এর বিপরীতে রুবেল আর নিলুফা সমাজের চোখ ফাঁকি দিয়ে কাজটা করেছে এবং তাদেরকে সামাজিক শাস্তির শিকার হতে হয়েছে। আর এখানে আরেকটা বিষয় হলো, এখানে রুবেল ও নিলুফা দুইজন নরনারী পরস্পরের প্রতি লোভাতুর হয়ে কাজটি করেছে। অভিভাবক বা অন্য কারো এখানে কোন ভূমিকা ছিলনা। কিন্তু এর বিপরীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চাচা আবু তালেব উনার বিয়েতে অভিভাবক ছিলেন।

রুবেল ও নিলুফার বিয়েতে কোন বিষয়টা হাইলাইট করা জরুরী ছিল ? ধর্ম না ন্যায়বিচার ? “একই কাজ ধনী ও ক্ষমতাবানরা করলে কোন দোষ নাই কিন্তু গরিবরা করলেই দোষ" এই বিষয়টাই কি এখানে প্রাধান্য পাওয়া উচিৎ ছিল না ? আর হ্যাঁ আরেকটা কথা রুবেল ও নিলুফার লাঞ্জনা করার ঘটনায় কোথাও দেখলামনা কোন ইসলামী নেতার আদেশে এই কাজটি করা হয়েছে বরং দেখলাম একজন আওয়ামী লীগ নেতাই এই কাজটি করেছেন সামাজিকতার দোহাই দিয়ে (ধর্মের কোন দোহাই এইখানে দেয়া হয়নি) , তাইলে কোন যুক্তিতে নাস্তিকরা এইখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহার বিয়ের উদাহরন নিয়ে আসে ? বরং সুবর্না মুস্তফার উদাহরন এইখানে একেবারে খাপে খাপে মিলত কারন সুবর্না মুস্তফাও একজন আওয়ামী লীগ সাপোর্টার । একজন আওয়ামী লীগ সাপোর্টারের জন্য এই কাজ করা জায়েজ আর নন-লীগারের জন্য নাজায়েজ ? আর রুবেল ও নিলুফার লাঞ্জনা করার এই ঘটনাটাও বিএনপি-জামাত জোটের ক্ষমতার সময় ঘটে নাই । রুবেল ও নিলুফার জুতাপেটার এই ঘটনার সাথে কোথাও ইসলামের নাম গন্ধও নাই । সামাজিকতার দোহাই দিয়ে এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা এই কাজটি করলো আর এইখানে তর্ক শুরু হইলো ইসলাম ধর্ম নিয়া । অথচ তর্ক হওয়া উচিৎ ছিল সমাজ নিয়ে যেখানে একই কাজ সুবর্না মুস্তফা আর নাট্য নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ করার পরেও শুধুমাত্র সামাজিক অবস্থানের ভিন্নতার জন্য দুইজনের দুইরকম পরিনতি হল ।

তাই রুবেল ও নিলুফার বিয়ের সাথে যদি কারো বিয়ে তুলনা করতেই হয় তাইলে নাস্তিকরা সুবর্না মুস্তফার সাথে বদরুল আনাম সৌদের বিয়ের তুলনা করুক। কিন্তু এইখানে শুধু মাত্র মুসলমানদের হৃদয়ে কষ্ট দেবার জন্যই নাস্তিকরা রুবেল নিলুফার বিয়ের সাথে সম্পূর্ন অপ্রসাঙ্গিকভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহার বিয়েকে তুলনা করেছে।

আর রুবেল হল একটা হোটেল কর্মচারী এই রুবেলের সাথে নাস্তিকরা কিভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তুলনা করল ? একটা হোটেলর কর্মচারীর কাজ হলো হোটেলে আসা লোকদের সেবা করা, কারো কাছ থেকে সেবা নেয়া কোন হোটেলর কর্মচারীর কাজ নয় কিন্তু গোটা সৃষ্টিকূল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেবায় নিয়োজিত। তাইলে আপনারা একটু চিন্তা করেন কি সূক্ষভাবে এই নাস্তিকরা হোটেলর কর্মচারী রুবেলের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তুলনা করে পুরা মুসলিম জাতিকে অপমান করছে। আর খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- “ আমি যখন দরিদ্র ছিলাম তখন সে আমাকে বিত্তবান করেছে, গোটা পৃথিবী যখন আমাকে পরিত্যাগ করেছিল তখন সে আমাকে আশ্রয় দিয়েছে, সারা আরবের কাফিররা যখন আমাকে মিথ্যবাদী বলেছে তখন সে আমাকে সত্যবাদী বলেছে। শাবি আবু তালেবের সেই ৩ বছর এই খাদিজাই আমাকে আগলিয়ে রেখেছে। ” আর এই খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহার সাথে নাস্তিকরা কোথাকার কোন নিলুফার তুলনা করেছে। ছি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহা কে চরমভাবে কটাক্ষ করা পারভেজ আলমের সেই status এ আসিফ মহিউদ্দীনও পারভেজ আলম কে উৎসাহ দিয়ে Comment করেছে। আসিফ মহিউদ্দীনের সেই Comment এর মুল কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহার বিয়ের সাথে হোটেল কর্মচারী রুবেলের সাথে নিলুফার বিয়ের তুলনা করাটা খুব চমৎকার হয়েছে। শুধু পারভেজ আলমই নয় এই কয়েকদিন অনেক হিন্দু ছেলেও হোটেল কর্মচারী রুবেলের সাথে নিলুফার বিয়ের প্রসঙ্গ ধরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহা কে নিয়ে চরম চরম অশ্লীল Comment ও Status লিখেছে। আচ্ছা ভারতে তো এখনো অনেক হিন্দু মা স্বপ্নে কার না কার নির্দেশ পেয়ে তার নিজের সন্তান কে হিন্দুদের মা কালীর সামনে বলী দেয়। ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে ছোট ছোট শিশু কে মা কালীর সামনে বলী দেবার ঘটনা গুলি বাংলাদেশের প্রথম আলো পত্রিকাতেও প্রায়ই আসে। আর দক্ষিন ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে এখনো নিম্ন বর্নের হিন্দু মেয়েদের কে তাদের বিয়ের পরে আগে উচ্চ বর্নের হিন্দু কোন পুরুষ বা মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিতের সাথে রাত কাটানোর পর তারপর সে তার স্বামীর বাড়িতে যাবার অনুমতি পায়। কই আপনারা কখনো কি দেখছেন এই ভারতে নিজের মা কর্তৃক সন্তান কে বলি দেবার ঘটনা অথবা হিন্দুদের বর্ন প্রথা কে কটাক্ষ করে কোন নাস্তিক কে Facebook এ কোন status দিতে ? কিন্তু আপনারা দেখুন কোথাকার কোন হোটেল কর্মচারী রুবেলের সাথে নিলুফার বিয়ের প্রসঙ্গ ধরে নাস্তিকরা কিভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহা কে চরমভাবে কটাক্ষ করে status লিখছে একটার পর একটা।

কোথাকার কোন রাজশাহীর ভাটাপাড়ায় কে না কে পালিয়ে বিয়ে করেছে তারপর গ্রামবাসী তাদের কে জুতাপেটা করেছে আর আবাল নাস্তিকরা এই ঘটনার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহা কে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা শুরু করেছে। আর এইখানে কিন্তু খুব চতুরতার সাথে আল্লাহর রাসূলকে অপমান করা হয়েছে। দিগম্বর পয়গম্বর সাদিয়া সুমি উজ্জা দাঁড়িপাল্লা দমাদমরা আল্লাহর রাসূলকে অপমান করে গালিগালাজ করে আর আসিফ মহিউদ্দীন, অভিজিৎ রায়, পারভেজ আলমরা আল্লাহর রাসূলকে অপমান করে খুব সূক্ষাতিসূক্ষ ভাবে। আর আল্লাহর রাসূল কে এই সূক্ষাতিসূক্ষ অপমান করাটাই হল সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার আমাদের জন্য। কারন নাস্তিকদের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্যই হল মুসলমানদের হৃদয় থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা উঠিয়ে নেয়া।

এই পারভেজ আলম গণজাগরণ মঞ্চের একজন প্রথম সারির নেতা। সেই সাথে পারভেজ আলম BOAN (Bloggers onlines Activities Network) এর একজন সক্রিয় কর্মী। আমি যে প্রথম থেকেই বলে আসছি যে গণজাগরণ মঞ্চের সকল নেতৃস্থানীয় নেতারা হল নাস্তিক তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহা কে চরমভাবে কটাক্ষ করে পারভেজ আলমের এই status টা দেয়ার মাধ্যমে তা আবার প্রমান হল। এই পারভেজ আলমের মত মূর্খ লোকেরা আহমক শরীর আর আহমক ছফাদের বই পড়ে ইন্টারনেটে এসে বাঙালি মুসলমানদেরকে নৈতিকতার প্রেসক্রিপশন দিতে আসে। অথচ এই বাঙালি মুসলমানই সুলতানি আমলে স্বাধীন বাঙলা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেছিল, এই বাঙ্গালী মুসলমান ঈশা খাঁ আর মজনু শাহ উনাদের প্রতিনিধিত্ব করে। এই বাঙ্গালি মুসলমানরাই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিল। উইলিয়াম হান্টারের দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস বইটিতে বারবার বাঙ্গালী মুসলমানদের প্রসঙ্গ এসেছে, কারণ বাঙালি মুসলমান কৃষক সন্তানদের নিয়েই গঠিত হয়েছিল ব্রিটিশবিরোধী মুজাহিদবাহিনী।

যাই হোক, ব্রিটিশ আমলে এজন্য বাঙ্গালী মুসলমানরাই ছিল কলকাতার সিফিলিস আক্রান্ত জারজ হিন্দুদের মূল টার্গেট। এদেরকে যদি তাদের এসব পারভেজ মার্কা দালালদের দ্বারা হীনম্মন্যতায় নিমজ্জিত করা যায়, তাহলেই তো কেল্লাফতে! ভারতবর্ষে হিন্দু রাজত্ব কায়েম করতে মূল কাঁটা সরানো গেল। পারভেজ আলমের মত নাস্তিকরা ছবির হাটে নিয়মিত বিচরণকারী, যাদের শরীরে রয়েছে এলকোহল, ড্রাগস, সিফিলিসের জীবাণু। বিপরীতে বাঙালি মুসলমানরা হলো বীর, বাঙালি মুসলমানদের দ্বারা বালাকোটের যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে এবং বাঙালি মুসলমানদের দ্বারাই গাযওয়ায়ে হিন্দের সূচনা হবে। বাঙালি মুসলমান সমাজে পারভেজের মতো এসব নোংরা কীটদের কোন ঠাঁই নেই। এদের তর্জনগর্জন ফেসবুকেই সার !

এই পারভেজ আলমের মত আরেকজন হল মহসিনা খাতুন। এই মহসিনা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে গালিগালাজ করে যাচ্ছে।

মহসিনা খাতুন যে RAW এর একটা পেইড এজেন্ট তার সব প্রমান এখানে। মোবাইল থেকে এই লেখাটা পড়তে চাইলে আগে স্যামহোয়ার ইন ব্লগের একদম নিচে গিয়ে full version এ ক্লিক করে তারপর আবার এই লিংকে ক্লিক করতে হবে

এই পারভেজ আলমের বাসা হচ্ছে শনির আখড়ায়। এই পারভেজ আলম প্রতিদিন বিকালবেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবির হাটে আড্ডা দেয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহা কে চরমভাবে কটাক্ষ করে status লেখার কারনে এই পারভেজ আলম কে হত্যা করা বাংলার মুসলমানদের জন্য এখন ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমি একটা জিনিস বুঝিনা নাস্তিকরা ভাল করেই জানে যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালিগালাজ করলে আমাদের মুসলমানদের হৃদয়ে লাগে তাও নাস্তিকরা প্রতিনিয়ত আমাদের মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত দিয়ে যাচ্ছেই। এরপর যখন একটা দুর্ঘটনা ঘটে তখন নাস্তিকরা বলা শুরু করে যে মুসলমানরা খারাপ মুসলমানরা সন্ত্রাসী। কিন্তু এই নাস্তিকরাই কিন্তু আমাদের কে বাধ্য করছে তাদের কে শারিরীকভাবে আঘাত করতে।

ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব

আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান

আল কোরআনের ব্যাকরণগত সৌন্দর্য্যের কিছু অসাধারন দিক

বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা

ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল

আমাদের মুসলমানদের কেন একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত রাষ্ট্র প্রয়োজন ?

হাতের কাছে রাখার মত কয়েকটি চমৎকার ইসলামী বই

পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে

হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম ২য় পর্ব

মেসওয়াক করার ফযীলত

আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে" এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ?

সিজদায়ে সাহু সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েল

সহিহ শুদ্ধ ভাবে নামায পড়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় মাসলা

মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তার আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে

সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস রাম লক্ষন রাবন কিংবা রাম মন্দির যে ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া আর কিছুই না

বিষয়: বিবিধ

২৪৪০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

160882
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৮
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ফারাবী ভাই ব্লগ থেকে মনে হয় ফেসবুকেই এখন মানুষের বেশি ঝোক তাই ব্লগগুলোতে আর আগের মত কমেন্ট দেখিনা। আর ব্লগাররা নিজেদের ব্লগীয় দক্ষতা দিয়ে ফেসবুকে লেখালেখিকে সম্ভবত বেশি জনপ্রিয় করে ফেলেছেন। নাস্তিকদের ছাড় দেয়ার কোন মানষিকতা রাখতে চাইনা। জাঝাক আল্লাহ।
১০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৯
115309

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7218

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> যমুনার চরে লিখেছেন : দুনিয়াটা মোহাউন্মাদের মগের মুল্লুক না ভাই। নাস্তিকদের ড্রোন আছে, আপনাদের তো বদরযুদ্ধের উট-গাধা ছাড়া আর কিছু নেই...........
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
115352
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ড্রোন নিয়া ইরাক থিকা ভাগলা কেন? আফগান থেকেও ভাগার পথ খুঁজতাছ ভারত পায়ে ধইরা থামায়ে রাখছে। কয়েকলাখ সৈন্য আর ড্রোন দিয়াও মাত্র ৩০০০০ তালেবানের লগে পারোনা আবার ফুটানি দেহাও।তুমাগো পিরিতের ভারত ৫ লাখ সৈন্য দিয়াও কাশ্মিরের সামান্য কয়টা জঙ্গীর সাথে পারেনা। তুমরা তো খালি নিরীহ মানুষের উপ্রে ড্রোন ফেলায়া, নারীদের উপর নির্যাতন চালায়া ফুটানি দেহাও। তুমাগো বাপ আম্রিকার ইরাক প্রসঙ্গে সর্বশেষ লুল বক্তব্য শুনো নাই?? "আমরা জানি জঙ্গিরা নতুন করে ইরাকের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। আম্রিকা জঙ্গীদের দেখে নিবে....। কিন্তু এইডা ইরাকের নিজস্ব ব্যাপার তাই ইরাক সরকারকেই তা সমাধান করতে হবে।" হাউ লুল বক্তব্য। সিরিয়াতে খুব লাফাইছইলা আসাদরে ফেলায়া FSA দিয়া নিজেকো হাবিবী সরকার আনবা। ঢুইকাই গেছইলা সিরিয়াতে বাট যখন দেখছ জাবহাত আন নূসরাহ আসাদের বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করছে তখন তুমরা চুপ মাইরা গেছ। এখন FSA দিয়া জাবহাত আন নূসরাহ রে কন্ট্রোল করাতে চাইতেছ। তুমাগো চোখের সামনে জঙ্গীরা ISIS(Islamic state of iraq and sham)গঠন কইরা ফালাইলো। তুমাগো আম্রিকার সাহসিকতা ফলাতে পারে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে আর ধর্ষন করে। মাইর কেবল শুরু হল। মুসলমান মরলেও লস নাই তারা আল্লাহর মেহমান হয়েই যায় সেখানে। তুমরা যে কয়দিন বাঁচো খায়া যাও। তুমারে আমি চিনি তুমি নাস্তিক না ছুপা উগ্র হিন্দু।
160883
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৮
সকাল সন্ধ্যা লিখেছেন : আপনি খুব বুদ্ধিমান এমন করে ঘোলা করে মাছ ধরলেন ওনেক বড় মাছ আপনার বুদ্ধির কাছে হার মানতে বাধ্য -- এগিয়ে যান তবে সতর্কতা অবশ্যম্ভাবি -- মনে রেখে ---
১০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৩৩
115295
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সকাল সন্ধা উনি ফারাবী ভাই ৭মাস নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কথা বলার অপরাধে জেল খেটেছএন। এখন ৬মাসের জামিনে। তবে এরপরেও দমে যাননি। আর কত সতর্কতা লাগবে?
160887
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৭
মনসুর লিখেছেন : মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
160930
১০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৫

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7218

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> যমুনার চরে লিখেছেন : আপনিও ব্যাঙ্গ ব্যাঙ্গ করে আহাম্মদ শরীফ, আহম্মদ সাফার মত বিশিষ্ট জনকে কে'আহমক' বলেছেন। আপনার নবী মোহাম্মদ তার প্রতিপক্ষ আমর ইবনে হিসাম কে আবু জেহেল বলেছেন।

কিন্তু ভাই, দুনিয়াটা মুসলমানদের মগের মুল্লুক না। যে কারনে পাল্টাপাল্টি অনেকেই অপনার নবীকে মহাউন্মাদ, লুচ্চা মোহাম্মদ অথবা যৌন-পাগলা মোহাম্মদ বলতেই পারে। Take it easy.

তাছাড়া আপনার আল্যা এতবড় কোরানের কোথাও বলেন্নি তিনি মানুষকে ভালবাসেন। তিনি শুধু বিয়েপাগলা নবীকে পছন্দ করেন আর তার সাঙ্গপাঙ্গ মুসলমানদের ভালবাসেন। তা হলে আপনিই বলুন- আল্যা-মোহাম্মদ কে নিয়ে সাধারন মানুষ ব্যাঙ্গ করবে না কে????????

অমুসলিম এবং সাধারন মানুষদের নিয়ে আপনার আল্যা এবং নবী কি বলেন দেখুন ;
Surah 9:29,:
Fight those who believe not in Allah nor the Last Day, nor hold that forbidden which hath been forbidden by Allah and His Messenger, nor acknowledge the Religion of Truth, from among the People of the Book, until they pay the Jizyah with willing submission, and feel themselves subdued.


Sahih al-Bukhari 6924—Muhammad said: "I have been ordered to fight the people till they say: La ilaha illallah (none has the right to be worshipped but Allah), and whoever said La ilaha illahllah, Allah will save his property and his life from me."

Surah 9:5 ;"Slay the idolaters wherever you find them"

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File