হলিউঠের The Twilight Saga মুভির সাথে কি এক অদ্ভুদ মিল শেখ হাসিনার !
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:২৮:৫৪ রাত
এই পৃথিবীর ইতিহাসে আপনারা কি কখনোই শুনেছেন যে একটি দেশের সরকার নিজে থেকে সেই দেশের রাজধানীর সাথে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ? যুদ্ধের সময়েও শত্রু পক্ষ রাজধানীর সাথে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে না। যেই কাজ টি এই পৃথিবীর ইতিহাসে কেউ কখনো করে নি ঠিক সেই কাজটি আমাদের দেশের এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার বারবার করছে। এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশের বিক্ষুব্ধ জনতাকে রাজধানী ঢাকাতে আসতে আপ্রান বাধা দিচ্ছে কারন সরকার জানে যে এই বিক্ষুব্ধ জনতার স্রোত রাজধানীতে আসলে এই সরকার আর ১ মুহূর্ত টিকতে পারবে না। পশ্চিম পাকিস্তানীরা যখন আমাদের উপর বঞ্চনা করত তখন আমরা যখন স্বায়ত্বশাসনের দাবী তুলতাম তখন এই মুসলিম লীগ, আইয়ুব খানরা বলত ইসলাম শুধুমাত্র এই দ্বীন ইসলাম কে টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের পশ্চিম পাকিস্তান কে আগে শক্তিশালী করতে হবে। এই পাকিস্তানীরা তাদের মত করে আমাদের দ্বীন ইসলামের ভয় দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশের লাখ লাখ মানুষ মেরেছে। যদিও পশ্চিম পাকিস্তানীর শাসকরা কখনই দ্বীন ইসলাম দ্বারা নিজেদের কে পরিচালিত করে নাই। কিন্তু খালি দ্বীন ইসলামের দোহাই দিয়ে তারা আমাদের উপর সকল শোষণ নির্যাতন চালিয়ে গেছে। পশ্চিম পাকিস্তানীরা যেমন খালি ইসলামের দোহাই দিয়ে আমাদের উপর তাদের সকল অনাচার কে বৈধ করতে চাইত ঠিক তেমনি শেখ হাসিনাও এখন খালি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে দেশবাসীর উপর তার সকল অন্যায় অত্যাচার কে বৈধ করতে চাচ্ছে। যেমন ধরেন এখন যদি আপনি শেখ হাসিনাকে বলেন কেন আপনি সারাদেশ কে রাজধানী ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন তাইলে শেখ হাসিনা আপনাকে উত্তর দিবে যে শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধার চেতনা টিকিয়ে রাখার জন্যই আমি রাজধানী ঢাকা কে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি।
আজকে সিলেট স্টেশন থেকে এক ব্যক্তি তার বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল স্টেশনেযাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠতে যাওয়ার সময় যে অভিজ্ঞতা পেল তা সে তার ফেইসবুকে status ঠিক এরকম ভাবে দিল- " বিকেলবেলা ষ্ট্যাশনে গিয়েছিলাম ট্র্যান ধরব বলে। গন্তব্ব ঢাকা নয়,আমার হোম টাউন- শ্রীমংগল। ট্র্যান এর জন্য আছি দাঁড়িয়ে, হঠাৎ একটা ট্র্যান আসলো।সবাই তাতে উটার প্রস্তুতি নিচ্ছে।এমন সময় পুলিশ আসলো কয়েকজন। ভদ্র ঘরের অভদ্র ছেলেটার মত করে খুব স্পষ্ট ভাষায় বলতে লাগলো, "শালার বেটারা ঢাকা যাবি, মার্চ করবি?" যেইনা হাতের লাঠি উঁচিয়ে আসলো,সবাই দিলো দৌড়,ওই সাদা দাড়িওয়ালা মুরব্বি লোকটা সহ।আমিও দৌড়াতে লাগলাম লাঠির আঘাতের ভয়ে। আমি দৌড়ে যাচ্ছিলাম সামনের দিকে,আর আমার জুতায় পিষ্ট হচ্ছিলো ডিজিটাল গণতন্ত্র। মুখ থুবড়ে পরেছিলো স্বাধিনতা।।আমি একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক,এটা জানতে হলে আমাকে ইতিহাস ঘাঁটতে হবে,বাস্তবে তার অস্তিত্ব বড়ই দুর্লভ। "
আজকে ঢাকার ভিতরেও সরকার সকল যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে। একটু চিন্তা করে দেখুন ঢাকার বাইরে থেকে যারা চিকিৎসা নিতে আসবে তারা আজকে কিভাবে ঢাকা আসবে ? এই আওয়ামী লীগ সরকারের কাজ কারবার দেখলে কি মনে হয় তারা আমাদের দেশের লোক ? আমার তো মনে হচ্ছে আমরা আবার সেই ১৯৭১ সালের টিক্কা খানের সরকারে ফিরে গেছি।
শেখ হাসিনা শুধু মুক্তিযুদ্ধার চেতনাকেই ব্যবহার করছেন না উনি বর্তমানে নূহ আলাইহিস সাল্লামের নৌকাকেও উনার দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সাথে তুলনা করেছেন। আমার খুব হাসি পায় এই শেখ হাসিনা থাবা বাবা/রাজীবের মৃত্যুর পর রাজীবের সকল কুকীর্তি জেনে শুনেও দৌড় মেরে অলি গলি পার হয়ে মিরপুরের পলাশ নগরে থাবা বাবার বাসায় চলে গিয়েছিল। আর এই শেখ হাসিনা নাকি এখন হযরত নূহ আলাইহিস সাল্লামের নাম মুখে নেয়। ছি। সারাদেশের মানুষের প্রানের দাবী ছিল সকল নাস্তিক ব্লগারদের কে গ্রেফতার করা।
কিন্তু দেশের সকল নাস্তিক ব্লগারদের কে গ্রেফতার করা তো দূরের কথা শেখ হাসিনা দেশের সকল নাস্তিক ব্লগারদের কে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে তাদের দ্বারা এখনো এই গনজাগরন মঞ্চ কে পরিচালিত করছেন। গনজাগরন মঞ্চ পরিচালিত হয় BOAN (Bloggers Onlines Activities Network)দ্বারা। আর BOAN এর সকল সদস্যরা ঘুম থেকে উঠে প্রথমে অনলাইনে আল্লাহ ও তার রাসূলকে গালিগালাজ করে তারপর তাদের দিন শুরু করে।
এই যে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে আপনারা কি জানেন গ্রামে গ্রামে রাতের বেলা এই যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় পল্লী বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। যৌথ বাহিনী তাদের অভিযানের নামে রাতের বেলা গ্রামে গ্রামে মানুষের বাসায় ঢুকে আমাদের মা বোনদের কে ধর্ষন করছে। এই ২ সপ্তাহের যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় ২০০০ এর মত মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযান গুলিতে পুলিশ বিডিআরের চেয়েও বেশী থাকে ছাত্রলীগ যুবলীগের সদস্যরা। সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে এখন ধর্ষনের উৎসব চলছে। ঠিক যেমনটি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা মুক্তিযুদ্ধা খোজার নামে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে আমাদের মা বোনদের কে ধর্ষন করত ঠিক তেমনি ভাবে জামাত শিবির বিএনপি ধরার নামে এই যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘরে ঘরে ঢুকে আমাদের মা বোনদের কে ধর্ষন করছে। শুধু তাই নয় জামাত বিএনপির অনেক মহিলা কর্মীকেও বিনা কারনে পুলিশ গ্রেফতার করে থানা হাজতে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের থানা গুলিতে মেয়েদের কে যে ধর্ষন করা হয় এটা তো মনে হয় আমরা সবাই জানি। আমি নিজে ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি অফিসে ১০ দিন ছিলাম। ডিবি অফিসে আটককৃত কত মেয়ে যে ডিবির ডিসি এডিসির রুমে ধর্ষিত হয়েছে তা আমি ফারাবী
ভাল করেই জানি। যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে পুলিশ জামাত বিএনপির যেই সকল মেয়েদের কে থানা হাজতে নিয়ে যাচ্ছে তাদের উপর যে কি পাশবিক নির্যাতন করা হচ্ছে তা ভাবতেই আমার গা শিউরে উঠছে। শেখ হাসিনা আসতে আসতে এই বাংলাদেশর সকল মেয়েদের কে এই যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা কর্মী দ্বারা ধর্ষিত করাবে।
আচ্ছা আপনারা কি জানেন এই যে সারা দেশে এত এত মানুষ মরছে এই লাশ গুলি কোথায় যায় ? সারাদেশের সব নিহত ব্যক্তিদের লাশ গুলি গনভবনে যায়।
বিষয়: রাজনীতি
৩১২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন