সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস রাম লক্ষন রাবন কিংবা রাম মন্দির ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া আর কিছুই না
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:৪৮:৩৯ রাত
হিন্দু ধর্ম মতে সময় বা যুগ ৪ টা ধাপে বিভক্ত। সত্য যুগ, ত্রেতা যুগ, দ্বাপর যুগ, কলি যুগ। হিন্দুরা বিশ্বাস করে রাম লক্ষন যখন এই পৃথিবীতে এসেছিলেন তখন ছিল ত্রেতা যুগ। হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস মতে ত্রেতা যুগের সময় টা ছিল আজ থেকে ১২ লাখ বছর আগে। তাইলে রাম লক্ষন উনারা আজ থেকে ১২ লাখ বছর আগে এই পৃথিবীতে অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু এই মানব সভ্যতার বয়স কখনই ১ লাখ বছরের বেশী হতে পারে না। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা দ্বারা আজ থেকে ৪০ হাজার পূর্বের কোন সভ্যতার চিহ্নও খুজে পাওয়া যায় নি। তাইলে কিভাবে ১২ লাখ বছর আগে অযোধ্যা শ্রীলংকায় মানব সভ্যতা থাকতে পারে ? তাইলে আপনারা ঠিকই বুঝতে পারছেন যে হিন্দুরা যে বিশ্বাস করে আজ থেকে ১২ লাখ বছর আগে লঙ্কায় লঙ্কাকান্ড ঘটেছিল এগুলি বাল্মিকীর লেখা কিছু কিচ্ছা কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না।
২০০৮ সালে তামিলনাড়ুর ডিএমকে দলের মুখ্যমন্ত্রী এস.করুণানিধি তামিলনাড়ু ও শ্রীলংকার মধ্যে অবস্থিত সমুদ্রগর্ভের একটি প্রবাল প্রাচীর খনন করে জাহাজ চালানোর জন্য রাস্তা হ্রাস ও সুগম করার জন্য টেন্ডার আহবান করলে বিজেপিরা চিল্লাচিল্লী শুরু করে যে এতে নাকি তথাকথিত রাম সেতুর ক্ষতি হবে। এই রাম সেতু নিয়ে বিতর্কটা তখন ভারতের সুপ্রীম কোর্টেও উঠেছিল। সেই সময় তামিলনাড়ুর মূখ্যমন্ত্রী এস.করুণানিধি বলেছিলেন- “সূর্য চন্দ্র যেরকম সত্য ঠিক তেমনি সত্য হল এই পৃথিবীতে রাম লক্ষন রাবন বলতে কিছু ছিল না। “
এটা শুধু তামিলনাড়ুর মূখ্যমন্ত্রী এস.করুণানিধির কথাই নয় সারা পৃথিবীর প্রত্নতত্ত্ববিদরা গবেষনা করেও শ্রীলঙ্কায় রাবন নামক কোন রাক্ষসের সন্ধান পাননি। রামের পিতা রাজা দশরথ ও রামের মা রানী কোশলয়া নামে অযোধ্যায় কোন রাজা রানী ছিল কিনা এরকম কোন তথ্যও আজ পর্যন্ত কোন Archaeologist সারা অযোধ্যার মাটি খনন করে পায় নি। আর পাবেও বা কিভাবে ? রামায়ন মহাভারত এগুলি হল বাল্মিকী কৃত্তিবাস ওঝার লেখা কিচ্ছা কাহিনী। এগুলির কোন ঐতিহাসিক সত্যতা নাই। হিন্দুদের দেবদেবীগুলির কারো ১০ টা হাত পা, কারো হাতির মত শূড়, কারো ৪ টা মুখ। আর সেই রামায়ন উল্লেখিত রাবনের নাকি যুদ্ধের সময় রাবন নাকি তার ১০টা মাথা বের করে যুদ্ধ করে।আচ্ছা আপনারাই বলেন এই পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো এরকম কোন জনগোষ্ঠী ছিল যে যাদের হাত পা মাথা ছিল অনেক গুলি। কিন্তু আপনারা দেখেন এই হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে বহু হাত পা চোখ কান মুখ গলা বিশিষ্ঠ দূর্গা কালী লক্ষী রামায়ন রাবন এরা নাকি এই পৃথিবীতে এক সময় রাজত্ব করেছে এবং নিজেদের ভিতরে মারামারিও করত। রামায়নের কয়েকটা সংস্করন পুরা ভারতে পড়ানো হয়। রামায়নের অনেক সংস্করনে বলা আছে যে রাম ও সীতা নাকি আপন ভাই বোন ছিল। আর অযোধ্যার যে জায়গায় বাবরী মসজিদ সেই জায়গায় ১১ শতক পর্যন্ত কখনো মানব সভ্যতা শুরুই হয়নি। ১১ শতকের পর বাবরী মসজিদের আশপাশের এলাকায় মানব সভ্যতা শুরু হয়। ১২ লাখ বছর আগের ত্রেতা যুগ তো দুরের কথা এমনকি গুপ্ত যুগেও অযোধ্যায় উল্লেখ করার মত কোন জনগোষ্ঠী ছিল না।
ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৭৫ সালে ‘রামায়ণ বর্ণিত স্থানগুলোর প্রত্নতত্ত্বিক নির্ণয়’ নামক এক প্রজেক্টের কাজ শুরু করে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাবেক ডাইরেক্টর বি বি লাল ছিলেন এই উদ্যোগের সূচনাকারী। বিশেষজ্ঞরা বাল্মীকির রামায়ণে উল্লিখিত পাঁচটি শহরে অনুসন্ধান চালান। বাবরি মসজিদের পেছনেই ১১ মিটার গভীর গরিখা খনন করা হয়। অনুসন্ধানের ফলাফল সংবলিত তিন খণ্ড জার্নাল প্রকাশিত হয়। সাংবাদিক নীলাগুন মুখোপাধ্যায় (সানডে মেইল, ২০ নভেম্বর ১৯৮৮) এবং পঙ্কজ পাচাউরি (ইন্ডিয়া টুডে, ১৫ জানুয়ারি ১৯৮৯) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অনুসন্ধানের ফলাফলের সারাংশ প্রকাশ করেন। নিবন্ধ দু’টির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, উল্লিখিত স্থানটি রামের জন্মস্থান নয়। অথচ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বক্তব্য হচ্ছে, বাবরের গভর্নর মির বাকি অযোধ্যায় একটি মন্দির ধ্বংস করে ১৫২৮ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণ করেন। তাদের ধারণা, এই মন্দিরটিকে গুপ্ত যুগের সম্রাট বিক্রমাদিত্য খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ অনুসন্ধান করে জানিয়েছে, গুপ্ত যুগে সেখানে কোনো বসতি ছিল না। অযোধ্যা ও তার আশপাশে খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দী থেকে শুরু করে একাদশ শতাব্দী পর্যন্ত কোন জনবসতি ছিল না। পঙ্কজ পাচাউরির রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, ‘যে অযোধ্যায় যে ১৪টি স্থানে খননকাজ চালানো হয়েছে সেখানে রামের কোন মূর্তি পাওয়া যায়নি।’ বিতর্কিত স্থানটিতে খননকাজের ফলাফল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে (Journal of Indian Archaeology, 1976-77)। ভারতের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় ৫ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে বিশিষ্ট লেখক গৌতম রায় ‘মন্দির না মসজিদ’ শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন, লঙ্কাকাণ্ড এ যুগে আর লঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয় না। সে জন্য রামভক্তরা বেছে নিয়েছে খোদ অযোধ্যাকেই। রামায়ণে যে অযোধ্যার বর্ণনা আছে, ‘বাস্তবের অযোধ্যায় ১২ লাখ বছর আগের ত্রেতা যুগ কেন, কোনো যুগেই সে ধরনের কোন নগর সভ্যতার অস্তিত্ব অযোধ্যায় ছিল না। এমনকি আজো নেই। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ পুঙ্খানুপুঙ্খ খননকার্য চালিয়ে দেখেছে, এমনকি গুপ্ত যুগেও এই অযোধ্যায় মনুষ্য বসতির কোনো অস্তিত্ব ছিল না। বস্তুত গোটা অযোধ্যা বা তার চার পাশে খ্রিষ্টীয় একাদশ শতক পর্যন্ত মানুষের পা-ই পড়েনি। মন্দির বা তার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া তো দূরের কথা, বাবরি মসজিদের পেছনে, ও বাবরী মসজিদের চার পাশেও বস্তুত পুরা অযোধ্যাজুড়ে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি করেও রামের কোনো মূর্তিরও হদিস মেলেনি। যদিও অযোধ্যা রাজ্যে বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের প্রসারের অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে কিন্তু পুরা অযোধ্যাতেও রামের কোন মূর্তি পাওয়া যায় নি। শুধু গৌতম রায়ই নয়, বহু হিন্দু লেখক অযোধ্যার বাবরি মসজিদটি যে রাম জন্মভূমির স্থান নয় এবং আগেও এখানে কোন মন্দির ছিল না, তা স্বীকার করেছেন। আর যেই রাম সেতু নিয়ে এত চিল্লাচিল্লী এটা একটা সামুদ্রিক প্রবাল রাস্তা ছাড়া আর কিছুই না। রাম সেতু বলতে যে কিছু নাই তা জানতে আপনারা এই লিংকে ক্লিক করুন http://www.boloji.com/index.cfm?md=Content&sd=Articles&ArticleID=339
তাইলে আপনারা এখন ভাল করেই বুঝতে পারছেন যে এই রাম লক্ষন রামায়ন রাবন এগুলি কিছু বুজরুকি ঘটনা ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু ইসলাম ধর্মের সব কিছুই সত্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই পৃথিবীতে এসেছিলেন, হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম, হযরত মুসা আলইহিস সাল্লাম, হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম উনারা সবাই আমাদের মতই মানুষ ছিলেন, উনারা এই পৃথিবীতে এসে রিসালতের মহান দায়িত্ব পালন করেছিলেন এতে কোন সন্দেহ নাই। হাজার হাজার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সাক্ষী যে ইসলামের প্রত্যেক নবী রাসুলরাই মানব জাতির সদস্য ছিলেন এবং এই মানব সমাজে বসবাস করেই দ্বীন ইসলামের কাজ করে গেছেন। এখন যেই রাম মন্দিরের কথা বলে আধুনিক লঙ্গাকান্ড ঘটিয়ে আমাদের বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা হল, বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার পর আমাদের ভারতের মুসলমান ভাইয়েরা প্রতিবাদ করার কারনে হিন্দুরা হাজার হাজার আমাদের ভারতীয় মুসলমান ভাইদের কে হত্যা করল, শত শত মুসলিম মেয়েদের কে এই হিন্দুরা রাজপথে প্রকাশ্যে ধর্ষন করল কিন্তু এই রাম লক্ষন রাবন হল বাল্মীকির লেখা কিচ্ছ কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না। এর চেয়ে দুঃখ জনক আর কি হতে পারে যে ১৯৯২ সালের দিকে প্রাগৌতাহাসিক একটা উপন্যাসের কথার উপর ভিত্তি করে একটা দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী একটা প্রাচীন মসজিদ কে ভেঙ্গে ফেলল, তারপর হাজার হাজার মানুষ কে হত্যা করল আর শত শত মানবীকে ধর্ষন করল। উগ্রবাদী হিন্দু দল বিজেপি কর্তৃক যখন ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয় তখন এই দেশের আলেম সমাজ রাস্তায় নেমে সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষা করতে উদ্যোগী ভুমিকা পালন করে। ফলশ্রুতিতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পরও বাংলাদেশে একটা হিন্দু ছেলেও কোন মুসলমান কর্তৃক নিহত হয় নি আর কোন হিন্দু নারীও কোন মুসলমান ছেলে কর্তৃক ধর্ষিত হওয়া তো দূরের কথা। কিন্তু ঠিক সেই সময়ে ভারতের ব্রাক্ষন পুরাহিতরা সাধারন হিন্দুদের কে ভারতের মুসলিম নিধনে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছিল। পরিসংখ্যান বলে যে ভারত স্বাধীন হবার পর কাশ্মিরের মুসলিম নারী সহ পুরা ভারতে প্রায় ৩ লাখ মুসলিম নারী ভারতের হিন্দু ধর্ষিত হয়েছে, তথাকথিত হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার ফলে প্রায় ৫ লাখ মুসলমান যুবক হিন্দু কর্তৃক নিহত হয়েছে। যদিও মিডিয়ায় এগুলিকে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বলে অভিহিত করা হয় কিন্তু আসলে এইসব দাঙ্গায় কখনোই কোন মুসলমান কর্তৃক কোন হিন্দু মারা গেছে তা শুনা যায় নি, আর কোন হিন্দু মেয়ে মুসলিম কর্তৃক ধর্ষন হওয়া তো দূরের কথা। তাইলে আপনারাই বলেন এগুলিকে কি আপনি দাঙ্গা বলবেন নাকি খুব ঠান্ডা মাথায় রাষ্ট্র যন্ত্রের সাহায্যে একটা সংখ্যা গরিষ্ঠ জাতি একটা সংখ্যালঘু জাতিকে আসতে আসতে নিঃশেষ করে দিচ্ছে সেটা বলবেন।
ভারতের এই মুসলিম নিধন আজ থেকে নয়। ব্রিটিশরা ভারত ত্যাগ করার পর পরই যখনই হিন্দুরা ভারতের শাসন ক্ষমতা পেয়েছে তখন থেকেই এই মুসলিম নিধন শুরু করেছে। সবচেয়ে কষ্ট লাগে যখন দেখি ভারতের ব্রাক্ষন পুরাহিতরাই এই মুসলিম নিধনে সাধারন হিন্দুদের কে উৎসাহ দেয়। বাংলাদেশের কোন মসজিদের ইমাম কে আপনারা কখনই কি দেখেছেন যে হিন্দুদের হত্যা করতে আমাদের মুসলমানদের কে উৎসাহ দিতে ? কিন্তু ভারতের মন্দিরের পুরাহিতরা সব সময় সাধারন হিন্দুদের কে মুসলিম নিধনে উৎসাহ দেয়।
বাংলাদেশে যে ইসলামী দল গুলি কাজ করে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, চরমোনাইর পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, হিযবুত তাহরীর এই সকল ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দরা কখনই তাদের কোন বক্তৃতা বা লেখনির মাধ্যমে কখনই হিন্দুদের প্রতি কোন বিদ্বেষ ছড়ায়নি। আর ভারতের হিন্দু ধর্মবাদী দল বিজেপি শিবসেনা বজরঙ্গী দলগুলির রুটিন মাফিক কাজ হল মুসলিম নিধনে সাধারন হিন্দুদের কে উৎসাহ দিয়ে যাওয়া।
ভারতের বিজেপি, শিবসেনা, বজরঙ্গী এইসব দল গুলি সব উচ্চ বর্ণের ব্রাক্ষণ দ্বারা পরিচালিত। বিজেপি, শিবসেনা, বজরঙ্গী কর্তৃকই সব সময় সাধারন হিন্দুদের কে এই মুসলিম নিধনে উৎসাহ দেয়া হয়। এই তো কিছুদিন আগেই ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর, লিসার, লঙ্ক, বাহাওয়াদি, হাসনাপুর, মুহম্মদপুর, ভগোপাতসহ এবং শামিলী ও পাতিপাত জেলায় তথাকথিত হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার নামে গণহারে মুসলিম মেয়েদের কে ধর্ষন করা হয়েছে এবং মুসলিম পুরুষদের কে কচুকাটার মত হত্যা করা হয়েছে আর উত্তর প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করেছেন। ২০০২ সালে গুজরাটে গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং মোদীর প্রত্যক্ষ ইন্ধনে গুজরাটের হিন্দুরা আমাদের মুসলিম মেয়েদের কে ধর্ষন করে তারপর আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। ভারতের এই উগ্রবাদী হিন্দু দল বিজেপী কর্তৃক মুসলিম নিধন এতই ভয়ংকর হয়েছিল যে পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়া গুলিতেও তা ব্যাপক প্রচার করা হয়। ভারতে অবস্থিত আমেরিকান দূতাবাস এখনো গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং মোদী কে তাদের কালো তালিকা ভুক্ত করে রেখেছে। গোটা ভারত যখন এই উত্তর প্রদেশের মুজাফফর নগরের দাঙ্গা নিয়ে অস্থির ঠিক সেইসময় জানা গেল যে ভারতের হায়দারবাদে সাদীয়া মুবীন নামে পলিটেকনিক কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক মুসলিম ছাত্রী সত্য প্রকাশ নামক এক কুলাঙ্গার হিন্দু কর্তৃক অপহৃত হয়ে একটানা ১৭ মাস ধর্ষিত হয়েছে। অপহৃত থাকার সময় সাদিয়া মুবিন কৌশলে সত্য প্রকাশের মোবাইল থেকে তার মা ও ভাই কে তার অপহরণের ঘটনাটা জানালেও পুলিশ সব কিছু জেনেও না জানার ভান করে। আর ভারতের হিন্দুত্ত্ববাদী মিডিয়া সত্য প্রকাশের ঘটনাট ধামাচাপা দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগছে। অবস্থাদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ভারতের মুসলমানদের কে আর ভারত সরকার সেই দেশের নাগরিক হিসাবে গন্য করতে চাচ্ছে না।
আসলে যেই ধর্মের অনুসারীরা শিবের লিঙ্গ/Penis (শিব লিঙ্গ) পূজা করে, যেই ধর্মের কালী দেবী সারাদিন তার কালো কুৎসিত জিহ্বা বের করে তার Husband মহাদেবের পেটের উপর দাঁড়িয়ে থাকে সেই ধর্মের লোকেরা তো আমাদের অসহায় মুসলিম মেয়েদের কে ধর্ষন করে তারপর আগুনে পুড়িয়ে ফেলবে এটাই স্বাভাবিক।
আমরা মুসলমানরা একটানা ১০০০ বছর ভারত শাসিন করেছি। যত বড় ঐতিহাসিক আসুক না কেন কখনোই প্রমান করতে পারবে না যে মুসলিম শাসনামালে একটা হিন্দু মেয়েকেও মুসলিমরা ধর্ষিন করেছিল, কোন হিন্দু যুবক কে মুসলমানরা হত্যা করেছিল। ভারতের মুসলিম শাসনাধীন সময়ে রাজপুত হিন্দুদের সাথে আমাদের মুসলমানদের সবচেয়ে বেশী সংঘর্ষ হয়েছিল। আমরা মুসলমানরা চাইলেই পারতাম সেই রাজপুত জাতটাকে সেই ১৫০০ সালেই শেষ করে দিতে। কিন্তু রাজপুত জাতটা এখনো ভারতে টিকে আছে।
বাংলাদেশের অনেক মুসলিম ঘরের ছেলে বর্তমানে মুক্তমনার পাল্লায় পরে নাস্তিক হচ্ছে। আচ্ছা মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা ও মডারেটর অভিজিৎ রায় কে কি আপনারা কখনই দেখেছেন ভারতের এই মুসলিম নিধনের প্রতিবাদ করে অথবা বিজেপি, শিবসেনা, বজরঙ্গী দলগুলির ধবংসাত্বক কাজ কারবার গুলির সমালোচনা করে কোন ব্লগ লিখতে ? মুক্তমনায় আজ পর্যন্ত একটি ব্লগও লেখা হয় নি ভারতের মুসলিম নির্যাতনের উপর। কিন্তু আমাদের মুসলিম ঘরের অনেক নাস্তিক ছেলেই এই মুক্তমনা বলতে পাগল। এই যে বাংলাদেশে যারা নাস্তিক্যতাবাদ প্রচার করছে তারা আসলে কেউই রিচার্ড ডকিন্সের মত নাস্তিক না। এরা হচ্ছে সব ভিতরে ভিতরে ভারতের দালাল। এরা যদি সত্যিই নাস্তিক হত তাইলে এরা ঠিকই ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে মুসলিম নিধনের প্রতিবাদ করে ব্লগ লিখত। উপন্যাসিক হুমায়ন আহমদ Sir এর “বাদশাহ নামদার” উপন্যাসটা যারা পড়েছেন তারা জানেন যে মোঘল বাদশাহ হুমায়ন এই হিন্দুদের কে একটা বর্বর জাতি বলে সম্বোধন করেছেন। খুশবন্ত সিং উনার “দিল্লী” উপন্যাসেও হিন্দুদের কে চোর, ডাকাত আর কাপুরুষের দল বলেছেন। আর হিন্দুরা যে এখনো নিচু জাত রয়েছে এর সবচেয়ে বড় প্রমান হল যে আপনি যদি Google এ মা লিখে Search দেন তাইলে দেখবেন এই হিন্দুরা মা কে উল্লেখ করে অনেক গুলি চটি লিখেছে। এমনকি হিন্দুদের ভাই ফোঁটা নিয়েও হিন্দুরা অনলাইনে অনেক গুলি চটি লিখেছে। প্রত্যেকটা চটি ওয়েবসাইট এই মালাউন হিন্দুরা চালায়। আর চটি ওয়েবসাইট গুলিতে হিন্দুরা তাদের মা বোনের সাথে করা তাদের Sex এর রগরগে কাহিনী গুলি নির্লজ্জের মত আমাদের কে লিখে জানায়। এই হিন্দুদের জন্য আমরা আজকে Google এ মা লিখে Search দিতে পারি না। আসলে মানব জাতিকে “কামসূত্র” বই উপহার দেয়া ছাড়া আর কোন কল্যানকর কিছু দেয়ার সামর্থ্য এই হিন্দু ধর্মের ভিতরে কখনোই ছিল না। তাই সময় এসেছে আইন করে এই হিন্দু ধর্ম টা নিষিদ্ধ করার।
বিষয়: রাজনীতি
৪৪৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন