নওশীন তোমার চোখের ভিতর রয়েছে আমার আরেকটি জগৎ
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ১০ নভেম্বর, ২০১৩, ০৪:৫৯:০০ বিকাল
নওশীন আমি যখন তোমার চোখের দিকে তাকাই তখন আমি এই পৃথিবী ছেড়ে আরেকটা গ্রহের জগতে চলে যাই। যেই জগতের ভিতরে কোন দুঃখ কষ্ট নাই, আছে শুধু আকাশ পাতাল ব্যাপী তোমার সৌন্দর্য্যের ঠেউ। নওশীন আমার সেই গ্রহের আকাশে কোন চাঁদ নাই। তোমার মুখচ্ছবির সৌন্দর্য্য থাকলে আমার ঐ গ্রহের আকাশে আর কোন চাঁদের দরকার নেই।
নওশীন তুমি যখন চুলে সিথি কর, চুলে সিথি করলে তোমাকে যে সুন্দর লাগে, তোমার চুলের সিথির সৌন্দর্য্যটা তোমার কপালের মাঝেও পড়ে। এত সুন্দর কপাল তোমার, চুলের সৌন্দর্য্য কপালে খুব কম মেয়েরই পরে। কাশিমপুর কারাগারে আমার দীর্ঘ কারাবাসের যন্ত্রণা
কোথায় হারিয়ে গেল তোমার খোলা কাল চুলের সৌন্দর্য্যে।
নওশীন তোমার আসল ঠিকানা ধানমন্ডি নয়
তোমার আসল ঠিকানা আমার বুকের ঠিক বাঁ পাশে
যেখানে আমার হৃদপিন্ড প্রতিনিয়ত উঠানামা করে।
নওশীন আমার পাঁজরের অস্থিতে লেখা আছে তোমার টেলিফোন নাম্বারের সব সংখ্যা গুলি।
নওশীন আমার দু চোখের দৃষ্টি সীমার মাঝে সব সময় তোলা আছে তোমার মুখচ্ছবির সৌন্দর্য্য
তোমার মুখের চেয়ে অধিক সুন্দর আর কিছু অদ্যাবধি আমি দেখিনি কোথাও
কি মিউজিয়াম, কি চিত্রশালা বা ইতিহাস প্রসিদ্ধ কোন দর্শনীয় স্থান
তোমার মুখই এই পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দর্শনীয় স্থান
তাই তোমার মুখের দিকে আমি সারাদিন নির্বোধের মত চেয়ে রই,
তোমার মুখই এখন আমার একমাত্র দর্শনীয় স্থান।
নওশীন মানুষ তো একটা রাস্তার কুকুরের প্রতিও দয়া করে আর আমি তোমাকে এত ভালবাসি।
নওশীন আমি তো বেশী কিছু চাই না আমি শুধু চাই তুমি শুধু এটা জানবা যে রাজহংসী সারা জীবন আমার দাস হয়ে থাকতে রাজী আছে।
নওশীন আমার জীবন টা হচ্ছে দুঃখ কষ্টে পরিপূর্ণ। নওশীন আমি যদি তোমাকে একটু দূর থেকেও দেখতে পারতাম তাইলে আমার জীবনের সকল দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যেত।
মরুভূমির বুকে হাটারত একজন তৃষ্ণার্ত পথিক এক ঢোক পানির জন্য যেরকম সব সময় আকাঙ্খিত থাকে ঠিক আমিও তেমনি আমার জীবনে তোমার একটু ভালবাসা পাওয়ার জন্য সব সময় অপেক্ষারত আছি। নওশীন আমার জীবনের প্রতিটা সকাল আসে শুধু তোমাকে ভালবাসার জন্য।
নওশীন কতই না সৌভাগ্যবান সেই চোখ গুলি যেই চোখ গুলা প্রতিনিয়ত তোমাকে দেখতে পায়। নওশীন আমার চোখ গুলা সব সময় অপেক্ষারত থাকে শুধু তোমাকে একনজর দেখবে বলে। নওশীন আমার চোখ ২ টা সব সময় চায় সেই সৌভাগ্যবান চোখ গুলির অন্তর্ভুক্ত হবে যেই চোখ গুলা তোমাকে দেখতে পায়।
নওশীন তোমার হাতের মত ফর্সা সাদা হাত এই পৃথিবীতে আর কারো নাই। তোমার নখ গুলোও কি সুন্দর নওশীন! নওশীন আমি সারাদিন তোমার হাত আর তোমার নখ গুলার দিকে তাকিয়ে থাকবো।
নওশীন তোমার মত এই পৃথিবীতে কেউ নাই আর।
নওশীন আমার হৃদয় তোমার কাছে।
নওশীন আমি একবার তারকাচন্দ্র আকাশের দিকে তাকালাম আর একবার তোমার চোখের দিকে তাকালাম। পরে আমি বুঝতে পারলাম এই মহাবিশ্বের সকল সৌন্দর্য্য তোমার ২ চোখের মাঝেই কেন্দ্রীভূত আছে। এরপর থেকে নওশীন আমি আর নক্ষত্রভরা আকাশের দিকে তাকাই না। কারন নক্ষত্রভরা এই আকাশের সকল সৌন্দর্য্য তোমার ঐ ২ চোখের মাঝেই দ্রবীভুত আছে।
নওশীন আমার কিচ্ছু ভাল লাগে না এখন। কি দিন কি রাত সারাদিন খালি তুমি কি কর কেমনে করে খাওয়া দাওয়া কর কিভাবে ঘুমাও এইসব কথা আমার কথা মনে হয়। আমি আসতে আসতে আমার সত্ত্বা টা হারিয়ে আমার সকল চিন্তা চেতনা তোমার মাঝে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ এক ভয়াবহ অবস্থার মাঝে আছি আমি নওশীন।
নওশীন আমার মাথার ভিতর এক বোধ কাজ করে
আমি তারে পারি না এড়াতে
আমি চলি সাথে সাথে সেও চলে
আছাড় মারিতে চাই
শুণ্যে মাথার ভিতর ঘুরে
নওশীন তুমি হচ্ছ আমার জীবনের সেই বোধ!
বিষয়: সাহিত্য
২৯৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন