ঠিক যে কারনে হেফাজতে ইসলাম শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৫ অক্টোবর, ২০১৩, ০৯:৫২:১২ রাত



একটা অভিযোগ প্রায়ই অনেকেই করেন যে যুদ্ধপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্যই হেফাজতে ইসলাম শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধীতা করেছে। আচ্ছা ২০০৯ সাল থেকেই তো ছাত্রলীগ যুবলীগ যুদ্ধপরাধীদের বিচার দাবি করে আসছে কই কখনই তো এই দেশের হক্কানী আলেম উলামাগন যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাওয়ার জন্য ছাত্রলীগ যুবলীগের কোন সমালোচনা করে নাই। যুদ্ধপরাধী বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম যখন স্কাইপি কেলেংকারির জন্য পদত্যাগ করেন কই তখনো তো হেফাজতে ইসলাম এই যুদ্ধপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম নিয়ে কোন কথা বলেনি। সাকা চৌধুরীর যখন রায়ের কপি ফাঁস হয়ে যায় তখনও তো হেফাজতে ইসলাম এই যুদ্ধপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম নিয়ে কোন কথা বলেনি। আর বেশ কিছু দিন আগে কাদের মোল্লার ও ফাঁসি হয়ে গেছে তখনও কিন্তু হেফাজতে ইসলাম কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে কোন কথা বলেনি।

তাইলে ঠিক কি কারনে এই শাহবাগীদের বিরুদ্ধে এত তীব্রভাবে হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন করেছে ? আমরা সবাই জানি যে এই শাহবাগ আন্দোলন টা শুরু হয়েছিল Blogger and Online Activist Network -BOAN

কর্তৃক এবং শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্ব্বটা পুরাপুরিই ছিল এই
Blogger and Online Activist Network -BOAN

এর হাতে।

আচ্ছা এই
Blogger and Online Activist Network -BOAN

এই সংগঠন টা কে কি আপনারা চিনতে পেরেছেন?

স্যামহোয়ার ইন ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, আমার ব্লগ, সচলায়তন ব্লগ, চতুর্মাত্রিক ব্লগ, ধর্মকারী এইসব ব্লগের মডারেটর ও ব্লগারদের কে নিয়েই কিন্তু
Blogger and Online Activist Network -BOAN

এই সংগঠনটি গঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের এই ব্লগ গুলিতে নামে বেনামে বিভিন্ন ছদ্মনামে আল্লাহ্‌র রাসুল কে নিয়ে ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহ ধর্মিনী উম্মুল মুমেনীন গন কে অনেক অশ্লীল ব্লগ লেখা হয়েছে। যারা আগে থেকেই এই ব্লগ গুলাতে Visit করেছেন তারা জানেন যে থাবা বাবা ওরফে ব্লগার রাজীব এই আমার ব্লগ, স্যামহোয়ার ইন ব্লগ ও নাগরিক ব্লগেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহ ধর্মিনী উম্মুল মুমেনীন গন কে নিয়ে চরম একটা চরম অশ্লীল ব্লগ “লাড়ায়ে দে” লিখেছিল। শুধু “লাড়ায়ে দে” এর কথা বললে ভুল হবে থাবা বাবা ওরফে ব্লগার রাজীব দ্বীন ইসলাম কে আক্রমন করে অশ্লীল থেকে চরম অশ্লীল অনেক কুরুচীপূর্ন ব্লগপোষ্ট এই স্যামহোয়ার ইন ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, আমার ব্লগে লিখেছিল। থাবা বাবা, আল্লামা শয়তান আসিফ মহিউদ্দীন, সাদিয়া সুমি উজ্জা, দাঁড়িপাল্লা ধমাধম, দিগম্বর পয়গম্বর এই জাতীয় কুলাঙ্গার নাস্তিক ব্লগারদের ইসলাম বিদ্বেষী সকল লেখা দিনের পর দিন এই স্যামহোয়ার ইন ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, আমার ব্লগ, সচলায়তন ব্লগ, চতুর্মাত্রিক ব্লগ, ধর্মকারী এই সব ব্লগের মডারেটররাই প্রকাশ করার সুযোগ করে দিয়েছে। স্যামহোয়ার ইন ব্লগের মালিক নরওয়ের নাগরিক অরিল তো বাংলাদেশে এসেছেই নাস্তিক্যবাদের প্রচার ও প্রসার করতে। আপনাদের হয়ত মনে আছে আজ থেকে ১ বছর আগে ইউটিউবে ইসলাম ধর্মকে বিকৃত করে স্যামবাসিলের "ইনোসেন্স অব মুসলিম" ঐ ভিডিও টা যখন আপলোড করা হয় তখন এর কয়েকদিন পরেই দাঁড়িপাল্লা ধমাধম বৃহস্পতিবার রাতের বেলায় স্যামহোয়ার ইন ব্লগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কিছু কাল্পনিক উদ্ভট ও অশ্লীল চিত্র একে একটি ব্লগপোষ্ট করে। আর স্যামহোয়ার ইন ব্লগের মডারেটর জানা, অরিল ও শরৎ চৌধুরী সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে ব্যঙ্গ করা দাঁড়িপাল্লা ধমাধমের ঐ ব্লগপোষ্ট টা স্যামহোয়ার ইন ব্লগের নির্বাচিত পাতায় স্থান করে দেয়। আর সামুর নির্বাচিত পাতায় থাকার কারনে সারারাত ধরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে দাঁড়িপাল্লা ধমাধমের ঐ বিতর্কিত ছবি সম্বলিত ব্লগ পোষ্ট টা সবাই পড়তে বাধ্য হয়। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে লক্ষ্য করে কুলাঙ্গার নাস্তিকদের কত অশ্লীল মন্তব্যই না দাঁড়িপাল্লা ধমাধমের ঐ ব্লগ পোষ্টটায় পোষ্ট হচ্ছিল। এখন আপনারাই বলেন এই যে দাঁড়িপাল্লা ধমাধম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে অশ্লীল ছবি সম্বলিত একটি ব্লগপোষ্ট তাও আবার ব্লগের নির্বাচিত পাতায় প্রকাশ করার সুযোগ পায় এইজন্য তো অবশ্যই স্যামহোয়ার ইন ব্লগের মডারেটর জানা, অরিল ও শরৎ চৌধুরী রাই দায়ী। আমার এখনো মনে আছে আজ থেকে ৩ বছর পূর্বে রাজীব যখন থাবা বাবা নামে ইসলাম ধর্ম কে কটাক্ষ করে অশ্লীল লেখা গুলি ব্লগে পোষ্ট করা শুরু করে তখন নাগরিক ব্লগ, স্যামহোয়ার ইন ব্লগ, আমার ব্লগের মডারেটররাই পিঠ চাপড়িয়ে রাজিব কে বাহবা দিয়েছিল। এমনকি দিনের পর দিন স্যামহোয়ার ইন ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, আমার ব্লগ, সচলায়তন ব্লগ, চতুর্মাত্রিক ব্লগ, ধর্মকারীতে উম্মুল মুমেনীনদের কে নিয়ে অনেক চটি ব্লগপোস্টও লেখা হয়েছিল। হাযার হাযার রিপোর্ট পরার পরও ঐসব ব্লগের মডারেটররা উম্মুল মুমেনীনদের কে নিয়ে ঐসব অশ্লীল ব্লগপোস্ট মুছে ফেলেনি।

আর হ্যা ঐসব ব্লগে কিন্তু আপনি কখনোই হিন্দু ধর্ম বা বৌদ্ধ ধর্ম কে কটাক্ষ করে কিছু লিখতে পারবেন না। হিন্দু ধর্মের শিবলিঙ্গ পৃজা বা হিন্দুদের মা কালীর জিহবা বের করা অবস্থায় তার স্বামী মহাদেবের পেটের উপর অবস্থান এই জাতীয় কোন ব্লগপোষ্ট যদি আপনি এইসব ব্লগে লিখেন তাইলে সাথে সাথে ঐসব ব্লগের মডারেটর রা আপনার ঐ লেখা মুছে দিবে। আপনারা জানেন যে গৌতম বুদ্ধ সারা জীবন উনার নিজ স্ত্রী যশোধরা ও পুত্র সিদ্ধার্থের কোন খোজ খবর নেয় নি তাই গৌতম বুদ্ধ কি কখনো মানব জাতির আদর্শ হতে পারে এই শিরোনামে আপনি কোন ব্লগ লিখলে সাথে সাথে স্যামহোয়ার ইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ তা মুছে দিবে। আমি নিজেই এর সাক্ষী। আমি স্যামহোয়ার ইন ব্লগে গৌতম বুদ্ধ কি কখনো মানব জাতির আদর্শ হতে পারে এই শিরোনামে একট ব্লগ লিখার সাথে সাথে স্যামহোয়ার ইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ তা মুছে দিয়েছিল এবং আমাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিল যে ভবিষ্যতে এই জাতীয় আর কোন ব্লগ লিখলে আমাকে সাথে সাথে ব্যান করা হবে । কিন্তু স্যামহোয়ার ইন ব্লগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সহ ধর্মিনী উম্মুল মুমেনীন গন কে নিয়ে অনেক অশ্লীল ব্লগ লেখা হয়েছে এবং এই ব্লগ গুলি এখনো স্যামহোয়ার ইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ যথারীতি রেখে দিয়েছে। পরবর্তীতে গৌতম বুদ্ধকে নিয়ে লেখা আমার ব্লগটি আমি বিডি টুমেরোতে লিখি।

আপনারা এই লিংকে ক্লিক করে গৌতম বুদ্ধকে নিয়ে লেখা আমার ব্লগটি পড়তে পারবেন

কিন্তু আসিফ মহীউদ্দীন, আল্লামা শয়তান, দাঁড়িপাল্লা ধমাধম রা স্যামহোয়ার ইন ব্লগ, আমার ব্লগ, সচলায়তন ব্লগে উম্মুল মুমেনীনদের কে নিয়ে যত অশ্লীল কথাই লিখুক না কেন ঐসব ব্লগের মডারেটর রা তাদের ইসলাম বিদ্বেষী লেখাগুলি কে নির্বাচিত পাতায় স্থান করে দিবে। ফেইসবুকে আসিফ মহিউদ্দীনের লেখা "মহাপবিত্র আহাম্মোকপিডিয়া ও একটি শান্তির ধর্ম" এই NOTE টির প্রতিবাদ করে স্যামহোয়ার ইন ব্লগে ১টি ব্লগপোষ্ট লেখার কারনে স্যামহোয়ার ইন ব্লগের মডারেটর রা আমাকে সাথে সাথেই ব্যান করে দেয়। থাবা বাবার মৃত্যুর পরের দিন অর্থ্যাত্‍ ১৬ ফেব্রুয়ারী আমি আমার ব্লগে "থাবা বাবার কুকীর্তি জানুন" এই শিরোনামে একটি ব্লগ পোষ্ট লেখার কারনে আমার ব্লগ কর্তৃপক্ষও আমাকে সাথে সাথে ব্যান করে দাও। স্যামহোয়ার ইন ব্লগে আসিফ মহীউদ্দীনের সমালোচনা করে কেউ কোন ব্লগ লিখলেই সামুর মডারেটর রা তাকে সাথে সাথে নিরাপদ ব্লগার থেকে সাধারন ব্লগার বানিয়ে দেয়। আসিফ মহীউদ্দীন আল্লামা শয়তান থাবা বাবা এরা দিনের পর দিন স্যামহোয়ার ইন ব্লগ, নাগরিক ব্লগ, আমার ব্লগ, সচলায়তন ব্লগে দ্বীন ইসলাম কে নিয়ে কত অশ্লীল লেখাই না লিখে তখন তাদের ইসলাম বিদ্বেষী ঐসব লেখা ঐসব ব্লগের মডারেটররা মুছেও ফেলে না আর তাদের কে ব্যান করা তো দূরের কথা আর আমি ফারাবী ঐসব ব্লগে নাস্তিকতা বিরোধী কোন কিছু লিখলেই সাথে সাথে তারা আমাকে ব্যান করে দেয়! স্যামহোয়ার ইন ব্লগে এই আসিফ মহীউদ্দীনের বিরুদ্ধে লেখার কারনে সামুতে যে কত জন ব্যান খেয়েছে তার ইয়াত্তা নেই।

BOAN এর একজন সক্রিয় কর্মী হল মহসিনা খাতুন। এই মহসিনা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে গালিগালাজ করে যাচ্ছে।

মহসিনা খাতুন যে RAW এর একটা পেইড এজেন্ট তার সব প্রমান এখানে। মোবাইল থেকে এই লেখাটা পড়তে চাইলে আগে স্যামহোয়ার ইন ব্লগের একদম নিচে গিয়ে full version এ ক্লিক করে তারপর আবার এই লিংকে ক্লিক করতে হবে

ইউরোপ আমেরিকার বড় বড় দার্শনিকরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে তাদের মাথার মনি করে রাখে। আপনাদের কে একটা উদাহরন দেই বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয়ের মৃত্যুর পরে তাঁর অভারকোটের পকেটে একটা বই পাওয়া যায়। বই টির নাম “The Sayings of prophet Muhammad ( PBUH). যার বাংলা অর্থ হলো রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী। ১৯০৫ সালে আল্লামা স্যার আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-সুহরাওয়ার্দী সংকলিত এই বই টিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ৪৫১ টি সুন্দরতম হাদীস স্থান পেয়েছে। এই সংকলনটিতে যেসব হাদীস স্থান পেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ইসলামের সার্বজনীন শিক্ষার মাহাত্ম্য, দ্বীন ইসলামের উদারতা, বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবাধিকার, মানবকল্যানের স্বভাবসঙ্গত দিকগুলি। সংকলনটি প্রকাশিত হওয়ার পর সারা বিশ্বে বিশেষ করে ইউরোপে বিপুল ভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়। সেই বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে “ The Sayings of prophet Muhammad ( PBUH).” এই বইটি লিও তলস্তয় থেকে শুরু করে অনেকেই পড়তেন।বাংলা ভাষায় এই গ্রন্থটি “ রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী ” নামে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর যে কোন শাখা থেকে বইটি কিনা যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের অনলাইনে তথাকথিত নাস্তিকরা তাদের জীবনের মূল লক্ষ্য উদ্দ্যেশই বানিয়ে নিয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে গালিগালাজ করা। তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ কোন ঘটনার সাথেও অনলাইনের নাস্তিক সমাজ সেই ঘটনার প্রসঙ্গ ধরে দ্বীন ইসলাম কে কটাক্ষ করা শুরু করে।

নাস্তিকরা যে কত তুচ্ছ ঘটনার সাথেও আল্লাহ্‌র রাসুলকে জড়িত করে ব্যঙ্গ করা শুরু করে তা জানতে আপনারা আমার লেখা এই ব্লগটটি পড়ুন

তাই শাহবাগ আন্দোলন টা যেহেতু এই সব ব্লগের কুলাঙ্গার মডারেটরদের নেতৃত্ত্বেই হয়েছিল তাই হেফাজতে ইসলাম শক্তভাবে এই শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধীতা করেছে। আর প্রথম দিকে শাহবাগ আন্দোলনটা শুধু যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাওয়ার জন্য হলেও পরবর্তীতে এই শাহবাগী নাস্তিকরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী জানায়। সেই সময় শাহবাগী নাস্তিকদের কথায় সারাদেশ চলেছে। এমনকি BPL খেলা বন্ধ করে শাহবাগী নাস্তিকদের নির্দেশ মত ৫ মিনিট মোমবাতি জ্বালানো হয়েছিল। এমনকি বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়ার রাও সেই শাহবাগ আন্দোলনে দৌড় মেরেছিল ক্রিকেট সভাপতি পাপন কে খুশী করতে। ইমরান এইচ সরকারের কথায় তখন দেশের জাতীয় পতাকা উঠত আর নামত। এমনকি শেখ হাসিনাও এই শাহবাগী নাস্তিকদের কে খুশী করতে নালা ডাস্টবিন অলী গলী পার হয়ে মিরপুরের পলাশ নগরে কুলাঙ্গার নাস্তিক ব্লগার রাজীবের বাসায় চলে গিয়েছিল। শুধু তাই নয় শাহবাগী নাস্তিকদের কে খুশী করতে শেখ হাসিনা তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কেও কুলাঙ্গার নাস্তিক ব্লগার রাজীবের জানাজায় পাঠিয়েছিল। ছি। এই শাহবাগী নাস্তিকদের কারনেই আমি ফারাবী একটানা ৬ মাস কাশিমপুর কারাগারে জেল খাটছি, মাত্র একটা মামলা নিয়ে জেলে আসলেও এই শাহবাগী নাস্তিকদের কে খুশী করতে কাশিমপুর জেল কর্তৃপক্ষ আমার পায়ে ডান্ডাবেড়ি পড়িয়েছিল। হেফাজতে ইসলাম যদি সেই সময় এই শাহবাগী নাস্তিকদের কে প্রতিহত না করত তাইলে এতদিন বাংলাদেশ একটা Atheist Republic State এ পরিনত হয়ে যেত।

২০০৮ সালে মুম্বাই তাজ হোটেল হামলায় অভিযুক্ত আজমল কাসাবের লাশ কিন্তু স্থানীয় মুম্বাই কবরস্থান কর্তৃপক্ষ গ্রহন করেনি। আজমল কাসাবের লাশ পরে জেল কর্তৃপক্ষ আগুনে পুড়িয়ে ফেলেছিল। এমনকি এই আজমল কাসাবের কোন জানাজাও হয়নি। মুম্বাইয়ের কোন ইমাম এই আজমল কাসাবের জানাজা পড়তে রাজি হননি। কিন্তু বাংলাদেশে কি হল ? যে রাজীব সারাজীবন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, মিথ্যা কাহিনী রচনা করে উম্মুল মুমেনীনদের সম্মানহানী করেছে আর সেই রাজীবের জানাজা হল বাংলার মাটিতে।

শুধু তাই নয় এই রাজীব/থাবা বাবা অযাচার কেও Support করত। রাজীব যে incest/অযাচার কে সমর্থন করত এর জ্বলজ্যান্ত প্রমান এখানে

যেই রাজীব/থাবা বাবা সারা জীবন প্রকাশ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে গালিগালাজ করে গেছে তারও জানাজা হল এই বাংলার মাটিতে।

বাঙ্গালী মুসলিম জাতির জন্য এরচেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে ? কবরাস্থানে শুধু মাত্র একজন মুসলমান সমাহিত হতে পারে কোন কুলাঙ্গার নাস্তিকের লাশ কখনোই কোন কবরাস্থানে সমাহিত হতে পারে না। গাজীপুরের কাপাসিয়া কবরাস্থান থেকে রাজীবের হাড়গোড় উঠিয়ে আগুনে পুড়ানো হোক।

ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব

আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান

আল কোরআনের ব্যাকরণগত সৌন্দর্য্যের কিছু অসাধারন দিক

বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা

ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল

আমাদের মুসলমানদের কেন একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত রাষ্ট্র প্রয়োজন ?

হাতের কাছে রাখার মত কয়েকটি চমৎকার ইসলামী বই

পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে

হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম ২য় পর্ব

মেসওয়াক করার ফযীলত

আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে" এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ?

সিজদায়ে সাহু সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েল

সহিহ শুদ্ধ ভাবে নামায পড়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় মাসলা

মার্ক জুকারবার্গ তো একজন নাস্তিক তাইলে তার আবিস্কৃত ফেইসবুক ব্যবহার করা কি আমাদের জন্য ঠিক হচ্ছে

সন্ত্রাসবাদী হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস রাম লক্ষন রাবন কিংবা রাম মন্দির যে ঠাকুরমার ঝুলি ছাড়া আর কিছুই না

বিষয়: বিবিধ

৩১৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File