মুক্তমনা পরিচয় দানকারী মহসিনা খাতুনের কট্টর হিন্দুত্ত্ববাদী রুপ সম্পর্কে জানুন

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৪ অক্টোবর, ২০১৩, ০৮:৩১:৩০ রাত



মহসিনা খাতুন তাকে আপনারা একনামে অনেকেই চিনেন। আগে উনার ফেইসবুক আইডির নাম ছিল কাফির মহাসিনা। এখন উনার ফেইসবুক আইডির নাম হল Mahasina khatun (কাফির মহসিনা) এই মহসিনা খাতুন মুক্তমনাতে সব সময় লিখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ব ধর্ম তত্ত্বে পড়াশুনা শেষ করে মহসিনা খাতুন এখন ভারতে আছেন।

নিজেকে মহসিনা খাতুন একজন নাস্তিক Blogger and Online Activist Network -BOAN এর একজন সক্রিয় কর্মী বলে পরিচয় দেয় কিন্তু আসলেই কি উনি একজন মুক্তমনা নাস্তিক।

আচ্ছা আসুন আমরা এখন উনার ফেইসবুক আইডিতে ঢুকি। মহসিনা খাতুনের ফেইসবুক আইডির লিংকটা হল এটা https://www.facebook.com/kafir.mahasina এখন আপনি যদি মহসিনা খাতুনের ফেইসবুক আইডিতে ঢুকেন তাইলে দেখবেন উনার কভার পিকচার এ দুর্গা পূজার শুভ মহাসপ্তমীর ছবি দেয়া। আর দুর্গা পূজার ষষ্ঠী, সপ্তমী, বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা দিয়ে উনার Time Line ভরা। উনার টাইমলাইন ঘুরে আসলে যে কেউ ভাববে এটা হয়ত কোন হিন্দু মেয়ের ফেইসবুক আইডি। অক্টোবর ১১ তারিখে উনার দেয়া status টা হল এটা -“অঞ্জলি দেওয়া হয়ে গেল সবার ? আমি তো নতুন ড্রেস পড়ে বসে আছি... অঞ্জলি দেওয়ার সময় মণ্ডপ গুলোতে অসম্ভব ভিড় হয়। ভিড় কমলেই মণ্ডপে আড্ডা মারব বান্ধবীদের সাথে ... ঘরে বসে হালুয়া আর সেমাই আর লাচ্ছা আমার আর পোষায় না... এর চেয়ে নাড়ু মিষ্টি অনেক অনেক ভাল...” আমার মাথায় ঢুকে না একজন মুসলিম ঘরের নাস্তিক মেয়ে যে কিনা নাস্তিকতা চর্চা করবে বলে মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে গেছে সে কিভাবে দূর্গা পূজার প্রশংসা করে status দেয়। মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা আসলেই এই মহসিনা খাতুনের চুলকানি বেড়ে যায়, দ্বীন ইসলাম কে কটাক্ষ করে একটার পর একটা ফেইসবুক Status ও ব্লগ লিখতে থাকে এই মহসিনা খাতুন কিন্তু হিন্দুদের দূর্গা পূজা শুরু হলেই তার ফেইসবুক Time Line দুর্গা পূজার অভিভাষণে ভরে যায়। শুধু এই মহসিনা খাতুনের কথা বললে ভুল হবে ২য় মুক্তিযুদ্ধার ১ম শহীদ থাবা বাবাও দূর্গা পূজা আসলে পূজা মন্ডপে দৌড় মারত। একবার দূর্গা পূজার সময় আনোয়ার হোসেন ফার্মার একটা status দিয়েছিল যে হিন্দুরা তাদের মা দূর্গার শাড়ি খুলে ল্যাংটা করে নদীতে বিসর্জন দেয়, আর আনোয়ার হোসেন ফার্মার সেই status দেয়ার পর থাবা বাবার সে কি চিল্লাচিল্লী যে আপনাকে কে বলেছে মা দূর্গার কাপড় খুলে তাকে নদীতে ফেলা হয়, আপনি কয়টা বিসর্জন দেখেছেন ? তখন আমি সাথে সাথে আনোয়ার হোসেন ফার্মার সেই status এ কমেন্ট করি -“ থাবা বাবা আপনি তো একজন নাস্তিক আপনি প্রতিদিন উম্মুল মুমেনীন অর্থ্যাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীদের কে নিয়ে অশ্লীল কথা বলেন তো সেই খানে হিন্দুদের মা দূর্গার কাপড় খুলে তাকে নদীতে ফেলে দেয়া হলে তাতে আপনার কি সমস্যা ? আপনার কেন এত বুক জ্বলে ? না কি তাইলে ঐ কথাই সত্য হল যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাস্তিকই ভারত সরকারের টাকায় চলে।” হ্যাঁ বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাস্তিকই ভারত সরকারের টাকায় চলে এর সবচেয়ে বড় প্রমান হল বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির এক নাম্বার শত্রু ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা RAW (Reaserch And Analysis Wing) এর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজটি মহসিনা খাতুন উনার ফেইসবুক টাইমলাইনে অনেকবারই শেয়ার করেছেন। যারা নিয়মিত এইসব কুলাঙ্গার নাস্তিকদের লেখা পড়েন তারা জানেন যে এই সব নাস্তিকভেকধারী ব্যক্তি গুলি যে প্রত্যেকটাই কট্টর হিন্দুত্ত্ববাদী। মুসলমানরা নামায রোযা হজ্জ করলেই এই মহসিনা খাতুনদের চুলকানী বেড়ে যায় কিন্তু হিন্দুরা যখন লাখ লাখ টাকা খরচ করে কিছু মাটির মূর্তি বানিয়ে ৩ দিন পর পানিতে ফেলে দেয় তখন সেটা মহসিনা খাতুনদের কাছে হয়ে যায় সার্বজনীন উৎসব।

এই মহসিনা খাতুন উনার এক ফেইসবুক নোটে এরকম একটা কাহিনী বর্ণনা করেছেন যে একবার পাত্রপক্ষ উনাকে দেখতে আসে। তখন উনি পাত্রপক্ষের পিতাকে বলে আমি কোন ধর্ম মানি না আমি একজন নাস্তিক। তখন পাত্রপক্ষের পিতা উনাকে জিজ্ঞাস করে আচ্ছা তাইলে কোন ধর্মটা তোমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগে ? তখন মহসিনা খাতুন উত্তর দেয় বৌদ্ধ ধর্মটা আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগে। হায়রে বার্মার বৌদ্ধরা যখন হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করে তখন বৌদ্ধদের কোন হিংস্রতা মহসিনা খাতুন দের চোখে ধরা পরে না, গৌতম বুদ্ধ সব সময়েই মুক্তমনাদের কাছে দেবতূল্য। আর আমরা মুসলমানরা কুরবানীর ঈদের দিন গরু কোরবানী দিলেই মহসিনা খাতুন দের চোখে আমরা হয়ে যায় সন্ত্রাসী। ভারতে হিন্দুরা যে হাজার হাজার মুসলমান মারে সেই বিষয় নিয়েও কখনই এই মহসিনা খাতুন রা কোন প্রতিবাদ করে নি। এই মহসিনা খাতুন দের চোখে সকল সমস্যা শুধুমাত্র দ্বীন ইসলাম কে কেন্দ্র করে। মুক্তমনা ওয়েবসাইটটির মালিক অভিজিৎ রায় আজ পর্যন্ত হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে একটা ব্লগও লিখে নাই। এই মহসিনা খাতুনরা মুক্তচিন্তার নাম দিয়ে মুসলমান থেকে শুধু হিন্দুই হতে পেরেছে কিন্তু কখনই রিচার্ড ডকিন্সের মত নাস্তিক হতে পারে নি। প্রত্যেকটা বাঙ্গালী নাস্তিক পরিচয়ধারীরাই আসলে ভিতরে ভিতরে প্রচন্ড হিন্দুত্ত্ববাদী। আর হ্যাঁ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বহু বিবাহ নিয়া যুক্তি তর্কে আমার সাথে না পারার কারনে মহসিনা খাতুন অনেক আগেই আমাকে ব্লক মারছে।

পুনশ্চঃ ২০ অক্টোবরে উনাকে নিয়ে আমার একটা ফেইসবুক status দেয়ার পর মহসিনা খাতুন তার Cover Picture টা Change করে ফেলেছে। তবে আপনারা মহসিনা খাতুনের ফেইসবুক আইডিতে যেয়ে Photos এর Album এ গিয়ে Cover Photos এ গেলে দূর্গা পূজার ঐ ছবিটা পাবেন।

ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব

আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান

আল কোরআনের ব্যাকরণগত সৌন্দর্য্যের কিছু অসাধারন দিক

বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা

ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল

আমাদের মুসলমানদের কেন একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত রাষ্ট্র প্রয়োজন ?

হাতের কাছে রাখার মত কয়েকটি চমৎকার ইসলামী বই

পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে

হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম ২য় পর্ব

মেসওয়াক করার ফযীলত

আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে" এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ?

সিজদায়ে সাহু সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েল

সহিহ শুদ্ধ ভাবে নামায পড়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় মাসলা

বিষয়: বিবিধ

৪০৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File