গৌতম বুদ্ধ কি কখনো মানব জাতির আদর্শ হতে পারে ?

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ২৪ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:৪৯:৫৬ সকাল



গভীর রাতে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও পুত্রকে ফেলে ঘরের কাউকে না জানিয়ে গৃহত্যাগ করলো। তথাকথিত সিদ্ধিলাভ করার পরও সে ব্যক্তি আর কোনদিন নিজ স্ত্রী পুত্রের কাছে ফিরে আসলো না। আর সারাজীবন নিজ স্ত্রী যশোধারা আর পুত্র রাহুলের কোন খোজ খবর না নেওয়া এই গৃহত্যাগী ব্যক্তিটিই এখন হয়ে গেছে নাস্তিকদের কাছে দেবতূল্য। আপনারা কি চিনতে পেরেছেন ঐ ব্যক্তি টি কে ? হ্যাঁ উনি হল নাস্তিকদের কাছে দেবতাতূল্য বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধ। এই গৌতম বুদ্ধ মাত্র ২ বছর সংসার জীবন যাপন করে তারপর সারা জীবনের জন্য নিজ গৃহত্যাগ করেছিলেন। এরপর তথাকথিত সিদ্ধিলাভ করার পরও গৌতম বুদ্ধ উনার দীর্ঘ ৮০ বছর বয়সে আর কোনদিন উনার স্ত্রী যশোধারা আর পুত্র রাহুলের কোন খোজ খবর নেন নি। যদিও গৌতম বুদ্ধের স্ত্রী যশোধারা অনেকবার গৌতম বুদ্ধকে অনুরোধ করেছিল তার সাথে সংসার করতে। Facebook এ বড় বড় নাস্তিকদের Time Line এ গৌতম বুদ্ধের ছবি ও বাণী দেখা যায়। আপনারাই বলেন যে ব্যক্তি সারাজীবন তার স্ত্রী পুত্রের আর কোন খোজ খবর রাখে নি সে কি কখনো মানব জাতির আদর্শ হতে পারে ? নাস্তিকরা গৌতম বুদ্ধকে এত ভালবাসে কেন জানেন ? কারন বুদ্ধ ধর্মের ভিতরে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে কোন concept নাই। গৌতম বুদ্ধ নিজেও কোনদিন কখনো এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে কিছু বলেন নি। যেহেতু গৌতম বুদ্ধ নিজেও একজন নাস্তিক ছিলেন তাই নাস্তিকদের কাছে এই যে গৌতম বুদ্ধ সারাজীবন উনার স্ত্রী যশোধারা আর পুত্র রাহুলের কোন খোজ খবর নেন নি এটা কোন অপরাধ বলেই গণ্য হয় না। কিন্তু আপনারা দেখবেন নাস্তিকরা প্রায়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বৈবাহিক জীবন নিয়ে অনেক আজে বাজে কথা বলে। মুক্তমনা ওয়েবসাইটটির মূল কাজটিই হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বৈবাহিক জীবন নিয়ে কুৎসা রটানো। মুক্তমনা ওয়েবসাইটটিতে গৌতম বুদ্ধের সব সময় উচ্ছসিত প্রশংসা করা হয়। কিন্তু এই গৌতম বুদ্ধ যে সারাজীবন উনার স্ত্রী যশোধারা আর পুত্র রাহুলের কোন খোজ খবর নেয় নি এটা মুক্তমনাদের কাজে কোন অপরাধই নয়।

শুধু গৌতম বুদ্ধের কথা বলা ভুল হবে। অহিংসা পরম ধর্মের প্রবক্তা এই মহাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিগত চরিত্রও ছিল খুব বাজে। মধ্য বয়সে এসে মহাত্মা গান্ধীর সাথে উনার স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর আর কোন সম্পর্ক ছিল না, এই মহাত্মা গান্ধী অষ্টাদশী তরুণীদের সাথে একসাথে বিছানায় ঘুমাইতেন, এমনকি মহাত্মা গান্ধী উভকামিও ছিলেন। মহাত্মা গান্ধীর এই কুরুচীপূর্ন চরিত্রের কারনে মহাত্মা গান্ধীর সাথে আর উনার স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধী ও ছেলে মেয়ের কোন সম্পর্ক ছিল না। [তথ্যসুত্রঃ Freedom at Midnight, Writter:Larry Collins and Dominique Lapierre ] নাস্তিকদের কাছে এই মহাত্মা গান্ধীও কিন্তু খুব প্রিয় একজন ব্যক্তি। কিন্তু নাস্তিকরা কোনদিনও এই মহাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিগত কুরুচীপূর্ণ চরিত্র নিয়ে একটা ব্লগও লিখল না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেন বহু বিবাহ করেছেন এটাই সারাদিন মুক্তমনাদের প্রশ্ন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বৈবাহিক জীবন নিয়ে অনেক আজে বাজে কথা বলে এই মুক্তমনা ওয়েবসাইট টি আর কুলাঙ্গার নাস্তিকরা শার্টপ্যান্ট পড়া কম জানা মুসলমানদের কে বিভ্রান্ত করছে। আমাদের সমাজের অর্ধেক অংশই হল নারী। হাদীস সংরক্ষন ও দ্বীনের ইলম শিক্ষার উদ্দেশ্যে ৭০ জন পুরুষ সাহাবী সার্বক্ষনিক ভাবে মসজিদে নব্বীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে থাকতেন। উনাদের কেই আসহাবে সুফফা বলা হত। কিন্তু এই সকল পুরুষ সাহাবীর পক্ষে ইসলামের পর্দা প্রথার কারনে সম্পর্কহীনা নারীদের মাঝে দ্বীন ইসলাম প্রচার করা সম্ভব ছিল না। যেহেতু মাদানী জীবনে ইসলামের প্রচুর বিধিবিধান নাযিল হয়েছিল তাই নারী সমাজের নিকট দ্বীন ইসলাম প্রচারের জন্যও অনুরুপ একদল মহিলা সাহাবীরও প্রয়োজন ছিল যাদেরকে সার্বক্ষনিক ভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহচর্যে থেকে দ্বীন ইসলাম শিখে নারী সমাজের নিকট প্রচার করার প্রয়োজনীয়তা ছিল। মেয়েদের এই মেয়েলী মাসলা গুলি মেয়েদের মাধ্যমেই আসা সম্ভব ছিল। পুরুষ সাহাবীদের মাধ্যমে এই মেয়েলী মাসলা গুলি আসা কখনই সম্ভব ছিল না আর এটা শোভনও ছিল না। আর মেয়েদের এই মাসলা গুলি বেশির ভাগ মাদানী জীবনেই নাযিল হয়েছিল। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বেশির ভাগ বিয়েই উনার মাদানী জীবনে সংঘটিত হয়েছিল।

আমরা জানি যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল কন্যাদের মধ্যে একমাত্র ফাতেমা রাযিয়াল্লাহু আনহা ছাড়া আর সকল কন্যাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবিত থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। আবার ফাতেমা রাযিয়াল্লাহু আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর ৬ মাস পরেই মারা যান। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী উম্মুল মুমেনীনরা (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীদের কে উম্মুল মুমেনীন বা মুমিনদের মাতা বলা হয়) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর অনেকদিন পরও বেচে ছিলেন। হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর প্রায় ৫০ বছর বেঁচে ছিলেন। খোদ হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা ২২০০ হাদিস বর্ননা করেন। ইলমে হাদিস প্রচারে হযরত আবু হুরাইয়াহ রাযিয়াল্লাহু আনহুর পরেই হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার স্থান। হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার মাধ্যমে ইসলামের ইলমে হাদিস ফিকাহ শাস্ত্রের ব্যাপক প্রচার হয়। অনেক তাবেঈন সাহাবীরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী/উম্মুল মুমেনিনদের কাছে কোন মাসলা জিজ্ঞাস করতে লজ্জা পেত তখন উম্মুল মুমেনীনরা ঐ সাহাবী, তাবেঈনদের কে বলত- “ তুমি ছোটবেলায় তোমার মার কাছে কোন কিছু জিজ্ঞাস করতে যেমন কোন লজ্জা পেতে না ঠিক তেমনি তুমি এখন নিঃসংকোচ ভাবে আমাকে তোমার মা মনে করে তোমার যে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাস করতে পারো। সুবহানাল্লাহ!

এখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি এই মেয়েদের এই মাসলা গুলি প্রচার করার লক্ষ্যে বৈবাহিক সম্পর্কহীনা ২/৪ জন স্ত্রীলোক কে উনার সাথে রাখতেন নাউযুবিল্লাহ তাইলে এর পথ ধরে মুসলিম সমাজের মাঝেও হিন্দুদের মন্দিরের মত সেবাদাসী প্রথা বা খ্রিষ্টানদের গীর্জার মত সন্নাসিনী বা Nun প্রথা চালু হয়ে যেত এবং যার পথ ধরে মুসলিম সমাজের ভিতর অনেক অনৈতিকতার পথ উন্মুক্ত হতে পারতো এবং ইসলামের ভিতর পর্দা প্রথা টি ধ্বংস হয়ে যেত। আর তাই একমাত্র উনার স্ত্রীদের মাধ্যমেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের কাছে এই মেয়েলী মাসলা গুলি পৌছিয়ে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি বৈবাহিক সম্পর্কবিহীন একটি মেয়েদের জামাত কে সার্বক্ষনিক ভাবে উনার সাথে রাখতেন নাউযুবিল্লাহ তাইলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাস্তিকদের কাছে খুবই চরিত্রবান ব্যক্তিতে পরিনত হয়ে যেতেন। তাই যারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ নিয়ে অশ্লীল কথা বলে তারা আসলে চেয়েছিল ইসলামের ভিতরেও যেন মন্দিরের সেবাদাসী প্রথা বা গীর্জার সন্ন্যাসিনী বা Nun প্রথা চালু হোক। যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র বৈবাহিক জীবনের কারনে ইসলামের ভিতর কখনই কোন ভাবেই মন্দিরের সেবাদাসী প্রথা বা গীর্জার সন্ন্যাসিনী বা Nun প্রথা চালু হতে পারবেনা তাই ইসলাম বিদ্বেষীদের এখন যত রাগ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র বৈবাহিক জীবনের উপর। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল সমালোচনার জবাব আমি এই লিংকে দিয়েছি http://www.facebook.com/note.php?note_id=496281307051769

একটু চিন্তা করে দেখুন যদি এরকম কোন ঘটনা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে হত যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সারা জীবন উনার কোন এক স্ত্রীর আর কোন খোজ খবর নেন নি তাইলে নাস্তিকরা সেই ঘটনাটা উল্লেখ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে কি পরিমানই না কটুকথা বলত। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় উনার স্ত্রী ও কন্যাদের খোজ খবর নিতেন। হাদিসের কিতাব গুলিতে আইলে বাইত অধ্যায় গুলি উল্টাইলেই বুঝা যায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্ত্রী ও কন্যাদের কি পরিমান ভালবাসতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর সকল খলিফা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীদের অর্থ্যাৎ আমাদের উম্মুল মুমেনীনদের খোজ খবর রাখতেন। যখনই সাহাবিরা কোন রাজ্য জয় করতেন তখন সেই যুদ্ধের গনীমতের একটা অংশ সর্বপ্রথম এই উম্মুল মুমেনীনদের কাছেই পৌছত। প্রত্যেক উম্মুল মুমেনীনদের মৃত্যুর পর সেই সময় যিনি খলিফা থাকতেন তার ইমামতিতেই উনাদের দাফন কাফন হত। এই সব কুলাঙ্গার নাস্তিকরা কোনদিনও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বৈবাহিক জীবন নিয়ে কোন পড়াশুনা করেনি। এরা সারাদিন খালি মুক্তমনা থেকে কপি পেস্ট করে সাধারন মুসলমানদের কে বিভ্রান্ত করছে।

যারা খালি দ্বীন ইসলাম কে জড়িয়ে প্রাচীনকালের দাস দাসী প্রথা নিয়ে আলোচনা করে তাদের কে আমি বলছি গৌতম বুদ্ধ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের ১২০০ বছর পূর্বে এই পৃথিবীতে এসেছিল। গৌতম বুদ্ধের সময়ে এই ভারতবর্ষে আরো ভয়াবহ রকমের দাস দাসী প্রথা ছিল। কিন্তু দাস দাসী প্রথা বন্ধের ব্যাপারে গৌতম বুদ্ধের কোন ভূমিকাই ছিল নাই। যেই নাস্তিকরা সারাদিন খালি প্রাচীন কালের দাস দাসী প্রথা নিয়া চিল্লাচিল্লী করে এই দাস দাসীদের মুক্তির ব্যাপারে গৌতম বুদ্ধের একটা বাণীও নাই। একটা সমাজ কিভাবে চলবে, একটা রাষ্ট্র কিভাবে চলবে, স্বামীর উপর স্ত্রীর কি অধিকার আছে এই সব ব্যাপারে গৌতম বুদ্ধ কিছুই বলে যান নি। কিন্তু দাস দাসীদের মুক্তির ব্যাপারে, নিজের অধীনস্থ দাসীকে বিয়ে করার উত্‍সাহ দেয়ার ব্যাপারে খোদ কোরআনেই বলা আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নাস্তিকরা দ্বীন ইসলাম কে একটুও দেখতে পারে না। কিন্তু এই ইসলাম আসার পরেই সাধারন মানুষেরা রাজা বাদশাহর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেয়েছে। মুসলমানরা যেই দেশটা জয় করেছে ঠিক সেই দেশেই ইনসাফ কায়েম করেছে। সবাইকে অনুরোধ করছি ইসলামের ইতিহাস টা ভাল করে পড়তে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় দাস মুক্ত করতে উত্‍সাহ দিয়েছেন। প্রাচীন কালের দাস দাসী প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ কি আদৌ সমর্থন করে কিনা তা জানতে আপনি আমার এই NOTE টা পড়ুন। https://www.facebook.com/note.php?note_id=484603724886194

বিষয়: বিবিধ

৪২৪৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

275805
১৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১১:২১
সজল আহমেদ লিখেছেন : প্রিয়তে...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File