মুসলমানদের পবিত্র কুরবানী ও হজ্জ সম্পর্কে নাস্তিকদের জঘণ্য মিথ্যাচারের দাতভাঙ্গা জবাব

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ১৭ অক্টোবর, ২০১৩, ০৯:২৬:০১ রাত



প্রতি বছর হজ্জের মৌসম আসলেই কোন মুসলমান হজ্জ করতে গেলে তখন নাস্তিকরা বলে আপনি যেই টাকা দিয়ে হজ্জ করছেন সেই টাকা দিয়ে তো আপনার আশ পাশের অভাবী ব্যক্তিদের কে সাহায্য করতে পারেন। আরে গাধা সমাজের অভাবী ব্যক্তিদের কে সাহায্য করার জন্য ইসলামে যাকাতের ব্যবস্থা রয়েছে। যাকাতের মাধ্যমে প্রতি বছর একজন ধনী মুসলমান বাধ্য তার আশপাশের অভাবী লোকদের কে সাহায্য করতে। ঠিকমত যাকাত দিলে বাংলাদেশে কোন গরীব ব্যক্তিই থাকবে না। আর হজ্জ করা তো একজন মুসলমানের জীবনে একবার ফরজ কিন্তু যাকাত প্রতিবছর দিতে হবে। আপনি নাস্তিকদের কে এই কথা বলার পর ঐ নাস্তিক এই বলে চিল্লাচিল্লী শুরু করবে যে সৌদি আরবে হজ্জ করতে গিয়ে নাকি মুসলমানরা অনেক অর্থ অপচয় করে। আমাদের হজ্জের টাকায় নাকি সৌদি আরবের রাজা বাদশাহরা খুব বিলাস বহুল জীবন যাপন করে। আচ্ছা আমরা এখন দেখি মুসলমানদের এই হজ্জের পিছনে অর্থ খরচ করাটা কি আসলেই অপচয় ? আপনারাই বলুন পৃথিবীর কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাজা বাদশাহরা বিলাস বহুল জীবন যাপন করে না ? ইংল্যান্ডের রাজ পরিবারের সদস্যরাও তো সাধারন ব্রিটিশ নাগরিকদের টাকায় খুব বিলাস বহুল জীবন যাপন করে। কই নাস্তিকদের তো কখনোই দেখলাম না ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিলাস বহুল জীবন যাপনের সমালোচনা করতে ? ইংল্যান্ড যাওয়ার দরকার নাই বাংলাদেশের হাসিনা খালেদারা যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের পরিবারের সদস্যরাও খুব বিলাস বহুল জীবন যাপন করে। আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডা মোজাম্বিকের মত গরীব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও খুব বিলাস বহুল জীবন যাপন করে। পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাজা বাদশাহরা বিলাস বহুল জীবন যাপন করে। তাইলে খালি সৌদি আরবের রাজা বাদশাহরা বিলাস বহুল জীবন যাপন করলেই নাস্তিকদের যত সমস্যা? আর হজ্জ করতে যেয়ে আমরা যে অর্থ খরচ করি তার বেশীর ভাগটাই ব্যয় হয় বিমান ভাড়া আর মক্কা মদীনায় বাড়িভাড়ার পিছনে।

আমাদের সৌদি আরবের আসা যাওয়ার বিমান ভাড়ার টাকা টা তো বিভিন্ন এয়ারলেন্স কোম্পানী পায় কিন্তু মক্কা মদীনায় যে বাড়ি গুলি আমরা ভাড়া নেই এগুলির মালিক কিন্তু সৌদি আরবের সাধারন জনগণ, কোন রাজপরিবারের সদস্য নয়। অর্থাৎ আমাদের হজ্জের টাকার ব্যয়িত একটা বিশাল অংশ পায় এই সৌদি আরবের সাধারন জনগণেরা, কোন রাজা বাদশাহরা না। সৌদি আরবের রাজা বাদশাহরা বিলাস বহুল জীবন যাপন করে তেল বিক্রির টাকায়, আমাদের হজ্জ করার টাকায় নয়। আর ইউরোপ আমেরিকায় যে বড় বড় মসজিদ গুলি হয় এর বেশীর ভাগ অর্থের জোগান দেয় কিন্তু এই সৌদি আরবের সরকার। তাই সৌদি আরবের রাজা বাদশাহরা খালি বিলাস বহুল জীবন যাপন করে এই কথাটা ঠিক নয়। সূদুর ব্রাজিল আর্জেন্টিনাতে দ্বীন ইসলামের কাজ হচ্ছে এই এই সৌদি আরব সরকারের টাকায়। কারো শুধু দোষ ত্রুটির সমালোচনা করা ঠিক না তার মাঝে যদি কোন গুন থাকে তাইলে সেটাও বলতে হবে। সৌদি আরবের সব ধণাঢ্য ব্যক্তিই কিন্তু খারাপ নয়। এই ওসামা বিন লাদেন উনার জন্ম কিন্তু সৌদি আরবে। শুধুমাত্র জিহাদ করার জন্য ওসামা বিন লাদেন বিলাসবহুল জীবন যাপন পরিত্যাগ করে সারা জীবন গুহায় গুহায় কাটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ওসামা বিন লাদেন চাইলেই পারতেন ইউরোপ আমেরিকায় কোন দ্বীপ কিনে সারা জীবন বিলাস বহুল ভাবে কাটিয়ে দিতে।

আচ্ছা এখন আমরা দেখি একজন মুসলমান হজ্জ করার মাধ্যমে তার ঈমানী সুফল কি পেতে পারে ? আমরা জানি জ্ঞান বা বিশ্বাস বা ইয়াক্বীন হচ্ছে ৩ প্রকার। ইলমুল ইয়াক্বীন, আইনুল ইয়াক্বীন ও হাক্কুল ইয়াক্বীন। যার বাংলা অর্থ করলে দাড়ায় আক্ষরিক জ্ঞান, প্রত্যক্ষ জ্ঞান ও বাস্তব জ্ঞান। ধরেন একজন ব্যক্তি ছোটবেলা থেকেই লোকমুখে শুনছে যে আগুনে কেউ হাত রাখলে তার হাতটা পুড়ে যাবে। কিন্তু ঐ ব্যক্তি কখনো কাউকে আগুণে পুড়তেও দেখে নাই বা নিজেও আগুনে পুড়ে নাই। তাইলে আগুণ সম্পর্কে ঐ ব্যক্তির ইলমটা হচ্ছে ইলমুল ইয়াকীন বা আক্ষরিক জ্ঞান। কিন্তু ঐ ব্যক্তি যেদিন কাউকে আগুনে পুড়তে দেখবে সেদিন আগুণ সম্পর্কে ঐ ব্যক্তির ইলমটা হবে আইনুল ইয়াক্বীন বা প্রত্যক্ষ জ্ঞান। আর কোনদিন যদি ঐ ব্যক্তি নিজে আগুনে পুড়ে তাইলে আগুণ সম্পর্কে ঐ ব্যক্তির ইলমটা হবে হাক্কুল ইয়াক্বীন বা বাস্তব জ্ঞান। সকল নবী রাসূলদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঈমান হল সবচেয়ে বেশী। এর কারন টা কি আপনারা জানেন ? এর কারন হচ্ছে সকল নবী রাসূলদের মধ্যে শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরই মিরাজ হয়েছিল। মিরাজ রজনীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ সুবহানাতায়ালার দীদার বা সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। মিরাজ রজনীতে জান্নাত জাহান্নাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ চোখে দেখেছিলেন যা অন্য কোন নবী দুনিয়ার জীবনে জীবিত থাকা অবস্থায় দেখতে পারেন নি। তাই আখিরাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঈমান টা ছিল হাক্কুল ইয়াক্বীন বা বাস্তব জ্ঞান।

একজন মুসলমান যখন হজ্জ করতে মক্কায় যায় তখন সে খানায়ে কাবা শরীফ, হেরা গুহা, আরাফার ময়দান, জমজম কূপ এগুলি নিজের চোখে দেখে। কিতাবের জ্ঞান টা কে সে তখন পরখ করে নিতে পারে। আবার হজ্জ করার পর যখন মদীনা নগরীতে যায় তখন সে নিজ চোখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওজা শরীফ জিয়ারত করতে পারে। জান্নাতুল বাকীতে যেয়ে উম্মুল মুমেনীন ও সাহাবীদের কবর জিয়ারত করতে পারে। ওহুদের ময়দান থেকে শুরু করে পবিত্র মদীনা নগরীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্মৃতি বিজড়িত প্রত্যেকটা স্থান সে তার নিজের চোখে দেখে। ফলে একজন হাজীর ঈমান টা ইলমুল ইয়াক্বীন থেকে আইনুল ইয়াক্বীনে রূপান্তরিত হয়। এইজন্যই ইসলাম ধনী ব্যক্তির জন্য হজ্জ করা ফরজ করে দিয়েছে যেন হজ্জ করার মাধ্যমে তার ঈমান টা ইলমুল ইয়াক্বীন থেকে আইনুল ইয়াক্বীনে রূপান্তরিত হয়। আর হজ্জ করতে যাওয়ার সময় যে অর্থ খরচ হয় তার একটাও অপচয় না। লাখ লাখ লোকের কর্ম সংস্থান হয় এই হজ্জের মৌসুমে। আর সাধারনত একজন মুসলমান অনেক বছর অল্প অল্প করে সঞ্চয় করে তার হজ্জের টাকা জোগাড় করে। ফলে প্রতিনিয়ত তার ঈমান টা কাবা মুখী হয়। আমি জীবনে এক সময় হজ্জ করব এই আকাঙ্ক্ষায় সে অনেক পাপ কাজ থেকেও নিজেকে বিরত রাখে।

আচ্ছা এখন আমি কোরবানী প্রথার বিরুদ্ধে নাস্তিকদের সমালোচনার জবাব দিব।

বাজারে বর্তমানে গরুর মাংসের কেজী ২৯০ টাকা। আমি আপনি কি কখনোই কোন সময় বাজার থেকে ৫ কেজি গরুর মাংস কিনে নিয়ে এসে গরীব মিসকিনদের কে দিয়েছি ? না কখনোই দেয় নি। কিন্তু কুরবানীর ঈদের দিনে একটা মধ্যবিত্ত পরিবার যারা কিনা প্রতিবেশী বা কোন আত্মীয় স্বজনের সাথে ১ ভাগ গরু দিয়েছে তারাও কিন্তু নিজ হাতে কম পক্ষে ৫ কেজী গরুর মাংস গরীব মিসকীন দের কে দিয়েছে খুশী মনে। এই যে একটা মধ্যবিত্ত পরিবার খুশী মনে ৫ কেজী গরুর মাংস দুঃস্থ মানুষ কে দান করল এটা কি কোন ছোট খাট ঘটনা ? চিন্তা করে দেখুন ঈদুল আযহার দিনে বাংলাদেশের একজন কৃপন গৃহ স্বামীও কিন্তু ৫ কেজী গরুর মাংস নিজের ঘর থেকে খুশী মনে দিবে দুঃস্থ গরীব ব্যক্তিদের কে। এই যে বাংলাদেশের মত ৩য় বিশ্বের একটা দেশের নাগরিক যারা কিনা প্রতিদিন দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করেও নিঃস্বার্থ ভাবে ঈদের দিন ৫ কেজী গরুর মাংস দান করার মত এতবড় একটা ঔদার্য্য দেখিয়েছে এটা কে কিছু আবাল নাস্তিক, তথাকথিত মুক্তমনা ও ইসলাম বিদ্বেষীরা পশু হত্যা নামে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।

নাস্তিকরা প্রায়ই একটা কথা বলতে চায় যে আমরা মুসলমানরা নাকি ঈদুল আযহার নামায পড়ে পশু হত্যার উৎসবে মেতে উঠি। তারা বলতে চাচ্ছে মুসলমানরা নাকি খুব নিষ্ঠুর। আচ্ছা বাজারে মুরগী কিনার পর মুরগীটাকে যখন যবাই করা হয় তখনও কিন্তু আমাদের সবার খারাপ লাগে। কিন্তু কি করবো ভাই আমাদের তো হাত পা বাধা। বেচে থাকতে হলে আমাদের কে মুরগীর মাংস খেতেই হবে। মুরগীর চেয়ে গরু মহিষের আকারটা অনেক বড় বলেই জবাই করার সময় গরু মহিষের ছটফটানীটা আমাদের চোখে একটু বেশীই পড়ে। কিন্তু জবাই করার সময় একটা মুরগীরও যে কষ্ট হয় গরু মহিষেরও ঠিক একই কষ্ট হয়। কসাই পেশা এটা কোন খারাপ পেশা নয়। সমাজের ৮-১০ টা হালাল পেশার মত কসাইও একটা হালাল পেশা। কুরবানীর ঈদের দিন আমরা আমাদের জীবনের স্বাভাবিক প্রয়োজনের তাগিদায় শুধু একদিনের জন্য কসাই হই। ব্যাস আর কিছু না। এর সাথে তথাকথিত পশু হত্যা বা নিষ্ঠুরতার কোন সম্পর্ক নাই। মুক্তমনা পরিচয় দানকারী নাস্তিকরা দয়া করে জ্ঞান পাপী হবেন না।

আচ্ছা ধরেন আপনার বোনের বিয়ে ঠিক হল। বোনের বিয়ের উপলক্ষ্যে আপনারা একটা গরু কিনলেন। তো আপনাদের পরিবারের সকলেই কিন্তু খুশী মনে আনন্দ সহকারে ঐ গরু টাকে জবাই করে রান্না করবেন যাতে আপনার বোনের বিয়েতে যারা আসবে তাদের কে এই গরুর মাংস দ্বারা আপ্যায়ন করতে পারেন। এই যে খুশী মনে গরুটিকে জবাই করা হবে এতে কি কোন অন্যায় থাকার কথা ? গ্রাম এলাকায় ঘরে কোন মেহমান আসলে মেহমানের সম্মানার্থে কিন্তু ঠিকই ঘরের বড় মোরগ টাকে জবাই করে। এই মোরগ টাকে জবাই কিন্তু আমরা সবাই আনন্দ সহকারেই করি কারন এর দ্বারা ঘরের মেহমান কে ভাল ভাবে আপ্যায়ন করা যাবে। এই যে বোনের বিয়ের উপলক্ষ্যে খুশি মনে একটা গরু জবাই দেয়া বা মেহমানের সম্মানার্থে ঘরের বড় মোরগ টাকে জবাই করা এই খুশী টা অবশ্যই মানব জীবনের একটা স্বাভাবিক দিক। ঠিক তেমনি দীর্ঘ ১ বছর পর আমরা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কে সন্তষ্ট করতে একটি গরু কুরবানী দিব তাতে কি কোন দোষ বা অন্যায় থাকার কথা ? আর এই কুরবানীর খুশিতে যদি কোন দোষ থাকে তাইলে এখন থেকে আমি আবাল নাস্তিকদের কে বলব আপনারা আপনাদের বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানেও আর কোন গরু জবাই দিবেন না।

এখন হয়ত নাস্তিকরা আমাকে বলতে পারে যে এক সাথে এত গরু কোরবানী দিলে মাংসের অপচয় হবে। তখন আমি নাস্তিকদের এই প্রশ্নের উত্তর দিব এই বলে যে যখন দেশে ফ্রীজ ছিল না তখনও কিন্তু আমাদের দাদী/নানীরা কুরবানীর মাংস চুলায় জাল করে করে অনায়াসেই ১ মাস ধরে খেয়েছে। কুরবানীর পর দেশের সব এলাকায় ঘরে গরুর মাংস দিয়ে নানা রকম খাবার যেমন গরুর মাংসের সমুচা ইত্যাদি তৈরী করা হয়। তাছাড়া সকাল বেলায় ভাতের বদলে মাংস ঝুড়ঝুড় করে খাওয়া হয়। অর্থ্যাৎ কুরবানীর মাংস যেটা গরীব লোকদের কে দান করে ঘরে থাকে তার এক টুকরা মাংসও অপচয় হয় না। এটা আমাদের দাদী/নানীর সময়েও হত না আর এখন তো ফ্রীজের যুগ। এখন তো আমরা সবাই কুরবানীর মাংস ফ্রীজে রেখে একটানা ২ মাস ধরে খাই।

বাংলাদেশের নাস্তিকদের আদি পিতা আরজ আলী মাতুব্বর উনার "সত্যের সন্ধান" নামক বইতে বলতে চেয়েছেন যে প্রতি বছর এত এত পশু কোরবানী দিলে নাকি কৃষি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পশুর অভাব পড়বে। আচ্ছা মুসলমানরা তো আর প্রতিদিন কোরবানী দেয় না, বছরে একবার দেয়। দেখা যায় কোরবানীর পর প্রায় ২ মাস কসাইখানায় আর তেমন একটা পশু জবাই হয় না। ফলে পশুর সংখ্যার মাঝে ঠিকই কিন্তু একটা ভারসাম্য বজায় থাকে। তাছাড়া ট্রাক্টর আবিস্কারের পূর্বে মুসলমানরা যে এত এত গরু কোরবানী দিল কই ইতিহাসে তো কখনো কোথায় লেখা নেই যে জমি চাষ করতে যেয়ে গরুর অভাব পড়েছে। কোরবানী ছাড়াইতো প্রতিদিন হাজার হাজার পশু জবাই হচ্ছে আমেরিকার শিকাগো শহরে কই তখন তো আরজ আলী মাতুব্বরের কোন সমস্যা হয় না ? হিন্দুরাও তো বিভিন্ন পূজায় পশু বলি দেয়, তখন কি পশুর সংখ্যা কমে না? আরজ আলী মাতুব্বরদের কাছে খালি মুসলমানরা তাদের ধর্ম পালন করলেই দোষ হয়। আপনারা জানেন বর্তমানে ভারতে গো খাদ্যের পিছনে অহেতুক প্রচুর অর্থ খরচ হচ্ছে। এই ট্রাক্টরের যুগে এত গরু দিয়ে ভারত কি করবে ?

কুরবানীর ২ দিন আগে দেশের প্রত্যেকটা শহুরে বাড়িই বলতে গেলে গৃহস্থের বাড়িতে পরিনত হয়। ঈদের ২ দিন আগে থেকেই গরু কে পালতে হয়, গরুকে খৈল ভুষি খাওয়াইতে হয়। অনেকটা গ্রামের গৃহস্থের বাড়ির মতন। শহরের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যারা জীবনে কখনোই ঐ রকম ভাবে গরু ছাগলের কাছে আসে নাই তারাও তখন গরু ছাগলের গায়ে হাত বুলিয়ে দেয়। ভাই এটাও কিন্তু জীবনের একটা সৌন্দর্য্য।

বাংলা সাহিত্যে একটা কথা প্রচলিত আছে "যাকে দেখতে পারি না তার চলন বাকা" ধরেন আপনি যদি কাউকে পছন্দ না করেন তাইলে তার ভাল কোন কিছুই আপনার কাছে ভাল লাগবে না। আপনি সব সময় ঐ ব্যক্তির খুত ধরতে যাবেন। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে শুধু বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করা। নাস্তিকতার নামে ক্রমাগত মিথ্যা চর্চা করতে করতে বর্তমানে বাংলাদেশের নাস্তিকরা এখন মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে ইসলামের বিরোধীতা করতে যেয়ে অদ্ভুদ অদ্ভুদ সব যুক্তি দিচ্ছে আর নিজেরা এইসব হাস্যকর কথা বার্তা বলে আমাদের কাছে সার্কাসের জোকারে পরিনত হচ্ছে।

ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব

আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান

আল কোরআনের ব্যাকরণগত সৌন্দর্য্যের কিছু অসাধারন দিক

বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা

ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল

আমাদের মুসলমানদের কেন একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত রাষ্ট্র প্রয়োজন ?

হাতের কাছে রাখার মত কয়েকটি চমৎকার ইসলামী বই

পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথা কে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে

হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম ২য় পর্ব

মেসওয়াক করার ফযীলত

আমার উম্মতের মাঝে ৭৩ টি দল হবে এদের মাঝে মাত্র একটি দল জান্নাতে যাবে" এই হাদীস টির মূল ব্যাখ্যা টি কি ?

সিজদায়ে সাহু সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েল

সহিহ শুদ্ধ ভাবে নামায পড়ার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় মাসলা

বিষয়: বিবিধ

২৪২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File