বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি নিয়ে আমার কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০২:৩৮:৩৯ দুপুর
ফেলানীর হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে বাংলাদেশীদের কতই না আগ্রহ ছিল আর এই সুযোগে ভারত সরকার আমাদের গালে কি চপোটাঘাতটাই না করল ? জাতি ভারত সরকারের কাছ থেকে এতবড় একটা চপোটাঘাত খেল কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে এসে একটা ভৎসর্ণা করার সাহস পেল না। আর আমরা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ভৎসর্ণা কিভাবে করব আমাদের বিদেশঘুরী পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি তো ফেলানী হত্যাকান্ডের বিচারের রায় দেবার সময় সুদূর আমেরিকার লাসভেগাসে প্রমোদবিহারে ব্যস্ত ছিল। আমেরিকার লাসভেগাস কে বলা হয় সিন সিটি। মদ জুয়া ক্যাসিনো আর লেসবিয়ানদের জন্য এই লাসভেগাস নগরী বিখ্যাত। এরচেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে যে যখন ভারতের BSF বাহিনী আমাদের দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার মেয়েদের কে ধর্ষন করছে, বিনা অপরাধে তাদের কে গুলি করে হত্যা করছে তারপর তাদের কে কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখে আর জাতির সেই ক্রান্তিলগ্নে একটি মুসলিম দেশের মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেসবিয়ান আর ক্যাসিনো নগরীখ্যাত আমেরিকার সিনসিটি লাসভেগাসে অবকাশ সময় কাটায়। জাতি আজ জানতে চায় ফেলানী হত্যাকান্ডের লোকদেখানো বিচার করার জন্য ঠিক কোনদিন ভারতের রাষ্ট্রদূত কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে এসে ভৎসর্ণা করা হবে ?
আমরা বাংলাদেশীরা কি আজকে এতটুকুই কাপুরুষ হয়ে গেলাম যে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে এসে ভৎসর্ণা করার সাহস হারিয়ে ফেললাম। আওয়ামী লীগ সরকারের ভারতপ্রীতি দেখে এখন আমার সিকিমের কথা মনে হচ্ছে। ১৯৭৫ সালে সিকিমের প্রধানমন্ত্রী লেনদুপ দর্জি নিজে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ডেকে নিয়ে এসে সিকিম কে ভারতের হাতে তুলে দেয়। সিকিমের মত দেখা যাবে ঠিক কোনদিন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়েছে যে এখন থেকে বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। সত্যিকথা বলতে কি বাংলাদেশীদের মনে এখন সিকিম ফোবিয়া কাজ করছে। আচ্ছা ফেলানীর হত্যাকান্ডের বিচার না হয় আমরা পেলাম না কিন্তু ফেলানীর পরিবার কে পুনর্বাসন তো আমরা করতে পারি। কেন দীপুমনি লাসভেগাসে লেসবিয়ানদের সাথে ফূর্তি করতে যে অর্থ খরচ করেছেন তা দিয়েই তো ফেলানীর পরিবারের পুনর্বাসন হয়ে যায়। শেখ হাসিনা আপনি কি সীমান্তে BSF এর বর্বরতা, ফেলানীর পরিবারদের কোন খোজখবর রাখেন নাকি সারাদিন খালি বিরোধীদল দমনেই ব্যস্ত ? আমরা এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যে দেশ স্বাধীন হবার পরও BSF আমাদের দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার মেয়েদের কে ধর্ষন করবে তারপর ধর্ষন করার পর হত্যা করে তাদের কে কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখবে?
আজকে বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ সরকার আর ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যায় না। আমরা কি তাইলে ভারত যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলতে পারবো না। রাষ্ট্রই যদি নাগরিকদের স্বাধীন মত প্রকাশ করতে বাধা দেয় তাইলে তো সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী।
বিষয়: রাজনীতি
১৬৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন