হিন্দুত্ত্ববাদী থাবা বাবা ওরফে রাজীব!

লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ৩১ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:৪৫:১৮ সন্ধ্যা



২৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যাবেলা আমাকে ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে প্রথমেই ডিবির ডিসি নজরুল ইসলাম মোল্লার কাছে উপস্থিত করা হয়। সেই সময় আমার চোখ ২ টা কাপড় দ্বারা বাঁধা ছিল ও আমার হাতের পিছন দিকে হ্যান্ডক্যাপ লাগানো ছিল। ডিবির ডিসি নজরুল ইসলাম মোল্লার কক্ষে যাওয়ার সাথে সাথে ডিসি নজরুল ইসলাম মোল্লা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। আমি তখন উনাকে বলি আপনি আমাকে মাত্র ১০ মিনিট কথা বলার সুযোগ দেন তারপর আমাকে যত ইচ্ছা গালিগালাজ করেন। উনি তখন আমাকে কথা বলার সুযোগ দিলে আমি বলি যেই থাবা বাবা ওরফে রাজীব কে নিয়ে সারা দেশে এত হইচই হচ্ছে সেই থাবা বাবা যে একটা কট্টর হিন্দুত্ববাদী ছিল, ভারত সরকারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে সে বাংলাদেশে বসে দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে লিখত এটা কি আপনারা জানেন ? তখন ডিবির ডিসি নজরুল ইসলাম মোল্লা আমাকে বলেন প্রমাণ দিতে। তখন আমি উনাকে বলি আমি গ্রেফতার হওয়ার আগে ১৯ ফেব্রুয়ারী আমার ফেইসবুকে একটা Status দিয়েছিলাম যে Anworhossain Farmer নামক এক ব্যক্তি ২৪ অক্টোবর ২০১২ সালে হিন্দুদের বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দুদের মা দূর্গা দেবীর বিসর্জন নিয়ে তার ১ টা Status এ এ কথা বলেছিল যে- " আজ হিন্দুরা দেবীর কাপড় খুলে নেবে, দীঘির জলে ভাসবে দেবীর নগ্ন দেহ, উপুর হয়ে ভাসলে দেখা যাবে দেবীর নিতম্ব; আর চিত হয়ে ভাসলে দেখা মিলবে দেবীর জোড়া স্তন।" Anworhossain Farmer এর এই status টা দেয়ার সাথে সাথে থাবা বাবা ঐ Status এ Comment করে - " আপনি কবে দেখলেন যে দেবীর কাপড় খুলে বিসর্জন দেয়া হয় ? কয়টা বিসর্জন দেখেছেন জীবনে আপনি ? " এখন আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন যেই থাবা বাবা প্রতিদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীগণ অর্থ্যাত্ আমাদের উম্মুল মুমেনীনগন সম্পর্কে চরম অশ্লীল কথা রচনা করত সেই থাবা বাবা এটা সহ্য করতে পারছেনা যে হিন্দুদের মা দূর্গার নদীতে বিসর্জনের সময় দেবীর কাপড় খুলে যাবে! কিন্তু থাবা বাবা যদি সত্যিকারের নাস্তিকই হত তাইলে তার কাছে নদীতে বিসর্জনের সময় দূর্গা দেবীর কাপড় খুলে যাওয়াটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপারই হত। কারন যে ব্যক্তি প্রতিদিন উম্মুল মুমেনীনদের চরিত্রহানী করছে তার কাছে বিসর্জনের সময় দূর্গার কাপড় খুললেই কি বা না খুললেই কি । কারন একজন প্রকৃত নাস্তিক একই একই সাথে সকল ধর্মের সমালোচনা করে। থাবা বাবা যদি সত্যিকারের নাস্তিক হত তাইলে Anworhossain Farmer এর ঐ status এ সে কখনোই দূর্গা দেবীর কাপড় খুলে যাবে এই কথাটার কোন প্রতিবাদ করত না। এর দ্বারা প্রমাণ হয় যে থাবা বাবা ওরফে রাজীব কোন প্রকৃত নাস্তিক ছিল না সে ছিল নাস্তিকতার আড়ালে একজন কট্টর হিন্দুত্ববাদী। তারপর আমি ডিবির ডিসি নজরুল ইসলাম মোল্লাকে বলি ১৯ ফেব্রুয়ারী রাতে Anworhossain Farmer এর ঐ Status এর কথা উল্লেখ করে আমার Status দেয়ার পর Anworhossain Farmer তার ঐ Status টা মুছে ফেলেছে। তাই আমি আপনাকে এখন শুধু Anworhossain Farmer এর ঐ Status এর স্ক্রীণশট দেখাতে পারবো লিংক দেখানো সম্ভব না। আমার ঐ স্ক্রীনশট দেখানোর পর আমি ডিবির ডিসি নজরুল ইসলাম মোল্লাকে আরো বলি বাংলাদেশের নাস্তিক ব্লগাররা যেমন আসিফ মহীউদ্দীন, আল্লামা শয়তান, সবাক পাখি, মুক্তমনার অভিজিত্ রায়, আকাশ মালিক, আবুল কাশেম, মহসিনা খাতুন এরা আজ পর্যন্ত একটা ব্লগও লিখে নাই হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে। এদের সকল সমালোচনা, রাগ, ক্ষোভ, বিদ্বেষ খালি ইসলাম ধর্মের প্রতি। আমার এই কথা গুলি বলার পর ডিবির ডিসি নজরুল ইসলাম মোল্লা স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে থাবা বাবা ওরফে রাজীব ভারত থেকে টাকা পেয়েই দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে লিখত। আর রাজীব কিন্তু কোন চাকরী বাকরী করত না তাও রাজীব খুব বিলাস বহুল জীবন যাপন করত, কয়েকটা মেয়ের সাথে সে একসাথে Group SEX করত। থাবা বাবার ব্যক্তিগত জীবন যে খুব বিশ্রী ছিল এটা ডিবি পুলিশ কর্মকর্তারাও আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। আর রাজীবের বাসা ছিল মিরপুরের পলাশনগরে এক তলা একটি বাসা। নালা ডাস্টবিন পার হয়েই রাজীবের বাসায় যেতে হত। যদিও রাজীবের মৃত্যুর পর পর দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বড় বড় মন্ত্রীরা একদম বেহুশের মত নালা ডাস্টবিন ময়লা আবর্জনা পারি দিয়েই রাজীবের বাসায় চলে গিয়েছিল। বাঙ্গালী জাতির আবার হুজুগ উঠলে মাথা ঠিক থাকে না। রাজীবের উঠাবসা চলাফেরা ছিল উচ্চবিত্তের মত যদিও রাজীবের পিতা কোন বড় ব্যবসায়ী ছিল না আর রাজীবও কোন চাকরী বাকরী করত না। পশ্চিমা বিশ্ব এখন ইসলামের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে না পেরে বিভিন্ন মুসলিম বিশ্বে এখন কিছু পাঁড় মাতাল নাস্তিক ব্লগার পোষছে। এইসব তথাকথিত নাস্তিক ব্লগাররা সারাদিন খালি দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধেই কুত্সা রটায়। আমার এই ব্লগের সাথে ঐ স্ক্রীনশট টা এটাচ করে দিলাম। স্ক্রীনশটের বাম দিকে রাজীবের দূর্গা নিয়ে কমেন্ট টা আছে। আর যারা মোবাইল দিয়ে আমার এই Status টা পড়ছেন তারা এই লিংকে https://www.facebook.com/photo.php?fbid=582541845107524&set=a.582527161775659.142828.544854355542940&type=1&relevant_count=1 যেয়ে এই ছবিটা জুম করে বা আগে নিজের মোবাইলে ছবিটা Save করে তারপর জুম করে স্ক্রীনশট টা পড়বেন। আর কালকে রাতের আমার Status এর ঐ কথাটা কবর থেকে রাজীবের হাড়গোড় উঠিয়ে আগুনে পুড়ানো হোক এটা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। যেহেতু রাজীব কোন প্রকৃত নাস্তিক ছিল না ভিতরে ভিতরে রাজীব ছিল নাস্তিকতার আড়ালে একটা কট্টর হিন্দুত্ববাদী তাই হিন্দু ধর্ম মতেই কবর থেকে উঠিয়ে রাজীবের হাড়গোড় আগুনে পুড়ানো হোক।

বিষয়: বিবিধ

২৮৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File