বিন্দুর ছেলে-ছয়

লিখেছেন লিখেছেন ঝিঙেফুল ০৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:১২:৩৪ বিকাল

বিন্দু বাপের বাড়ি হইতে ফিরিয়া আসিবার দিন-দশেক পরে একদিন মধ্যাহ্নে অন্নর্পূণা তাহার ঘরে ঢুকিতে ঢুকিতে বলিলেন, ছোটবৌ?

ছোটবৌ একরাশ ময়লা কাপড়-জামার সুমুখে স্তব্ধ হইয়া বসিয়া ছিল।

অন্নর্পূণা বলিলেন, ধোপা এসেছে?

ছোটবৌ কথা কহিল না। অন্নর্পূণা এইবার তাহার মুখের ভাব লক্ষ্য করিয়া ভয় পাইলেন। উদ্বিগ্ন হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, কি হয়েছে রে?

বিন্দু আঙুল দিয়া ছোট ছোট দুই টুকরো পোড়া সিগারেট দেখাইয়া দিয়া বলিল, অমূল্যর জামার পকেট থেকে বেরুল।

অন্নর্পূণা নির্বাক হইয়া দাঁড়াইয়া রহিলেন।

বিন্দু সহসা কাঁদিয়া ফেলিয়া বলিল, তোমার দুটি পায়ে পড়ি দিদি, ওদের বিদেয় কর, না হয়, আমাদের কোথায় পাঠিয়ে দাও।

অন্নর্পূণা জবাব দিতে পারিলেন না। আরও কিছুক্ষণ নিঃশব্দে দাঁড়াইয়া থাকিয়া চলিয়া গেলেন।

অপরাহ্নে অমূল্য ইস্কুল হইতে ফিরিয়া খাবার খাইয়া খেলা করিতে গেল। বিন্দু একটি কথাও বলিল না। ভৈরব চাকর নালিশ করিতে আসিল, নরেনবাবু বিনা দোষে তাহাকে চপেটাঘাত করিয়াছে।

বিন্দু বিরক্ত হইয়া বলিল, দিদিকে বল গে।

আদালত হইতে ফিরিয়া আসিয়া মাধব কাপড় ছাড়িতে ছাড়িতে কি একটা ক্ষুদ্র পরিহাস করিতে গিয়া ধমক খাইয়া চুপ করিল। অদৃশ্যে যে কতবড় ঝড় ঘনাইয়া উঠিতেছে, বাড়ির মধ্যে তাহা কেবল অন্নপূর্ণাই টের পাইলেন। উৎকন্ঠায় সমস্ত সন্ধ্যাটা ছটফট করিয়া, এক সময়ে নির্জনে পাইয়া তিনি ছোটবৌয়ের হাতখানি ধরিয়া ফেলিয়া মিনতির স্বরে বলিলেন, হাজার হোক, সে তোরই ছেলে, এইবারটি মাপ কর।বরং আড়ালে ডেকে ধমক দে।

বিন্দু বলিল, আমার ছেলে নয়, সে কথা আমিও জানি, তুমিও জান। মিছামিছি কতকগুলো কথা বাড়িয়ে দরকার কি, দিদি?

অন্নপূর্ণা বলিলেন, আমি নয়, তুই তার মা—আমি তোকেই ত দিয়েচি!

যখন ছোট ছিল, খাইয়েছি পরিয়েছি। এখন বড় হয়েচে, তোমাদের ছেলে তোমরা নাও—আমাকে রেহাই দাও, বলিয়া বিন্দু চলিয়া গেল।

রাত্রে কাঁদ-কাঁদ মুখে অমূল্য অন্নপূর্ণার কাছে শুইতে আসিল।

অন্নপূর্ণা ব্যাপার বুঝিয়া বিরক্ত হইয়া বলিলেন, এখানে কেন? যা এখান থেকে—যা বলচি।

অমূল্য ফিরিয়া দেখিল, তাহার পিতা ঘুমাইতেছেন, সে কোন কথাটি না বলিয়া আস্তে আস্তে চলিয়া গেল।

সকালবেলা কদম রান্নাঘরে এঁটো বাসন তুলিতে আসিয়া দেখিল, বারান্দার এক কোণে কতগুলো কাঠ-ঘুঁটের উপর অমূল্য পড়িয়া ঘুমাইতেছে। সে ছুটিয়া গিয়া বিন্দুকে তুলিয়া আনিল। অন্নপূর্ণাও ঘুম ভাঙ্গিয়া বাহিরে আসিয়াছিলেন, কাছে আসিয়া দাঁড়াইলেন।

বিন্দু তীক্ষ্ণভাবে বলিল, রাত্রে বড়গিণ্ণী বুঝি তাড়িয়ে দিয়েছিলে? ও থাকলে ঘুমের ব্যাঘাত হয়, না?

ছেলের অবস্থা দেখিয়া ক্ষোভে দুঃখে তাঁহার নিজের চোখেও জল আসিতেছিল, কিন্তু বিন্দুর নিষ্ঠুর তিরস্কারে জ্বলিয়া উঠিয়া বলিলেন, নিজের দোষ তুই পরের ঘাড়ে তুলে দিতে পারলেই বাঁচিস।

বিন্দু ছেলেকে তুলিতে গিয়া দেখিল, তাহার গা গরম—জ্বর হইয়াছে। কহিল, সারারাত, কার্তিক মাসের হিমে-জ্বর হবেই ত। এখন ভাল হলে বাঁচি।

অন্নপূর্ণা ব্যগ্র হইয়া ঝুঁকিয়া পড়িয়া বলিলেন, জ্বর হয়েচে—কৈ দেখি!

বিন্দু সজোরে তাঁহার হাত ঠেলিয়া দিয়া বলিল, থাক, আর দেখে কাজ নেই। বলিয়া ঘুমন্ত ছেলেকে স্বচ্ছন্দে কোলে তুলিয়া লইয়া অন্নপূর্ণার প্রতি একবার বিষ-দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া নিজের ঘরে চলিয়া গেল।

পাঁচ-ছয় দিনেই অমূল্য আরোগ্য হইয়া উঠিল বটে, কিন্তু বড়জায়েব অপরাধটা বিন্দু মার্জনা করিল না। সেইদিন হইতে সে ভাল করিয়া কথা পর্যন্ত বলিত না।

অন্নপূর্ণা মনে মনে সমস্তই বুঝিলেন, অথচ তিনিও মৌন হইয়া রহিলেন। সকলের সম্মুখে সমস্ত অপরাধ বিন্দু যে তাহারি উপর তুলিয়া দিয়াছে, এ অন্যায় তিনিও ভুলিতে পারিলেন না। এইটিই একদিন কি একটা কথার পর তিনি এলোকেশীর কাছে বলিয়া ফেলিলেন, ওর জ্বর ত ছোটবৌয়ের জন্যেই। ও যে মরেনি, এই ওর ভাগ্যি।

কথাটা এলোকেশী বিন্দুর গোচর করিতে লেশমাত্র বিলম্ব করিলেন না। বিন্দু মন দিয়া শুনিল, কিন্তু কথা কহিল না। সে যে শুনিয়াছে, তাহাও এলোকেশী ভিন্ন আর কেহ জানিল না। বিন্দু বড়জায়ের সহিত একেবারে কথাবার্তা বন্ধ করিয়া দিল।

কয়েকদিন হইতে নূতন বাটীতে জিনিস-পত্র সরানো হইতেছিল, কাল সকালেই উঠিয়া যাইতে হইবে। যাদব ছেলেদের লইয়া সে বাড়িতে ছিলেন, মাধব মকদ্দমা উপলক্ষে অন্যত্র গিয়াছিলেন; তিনিও ছিলেন না। ইতিমধ্যে এ-বাড়িতে এক বিষম কান্ড ঘটিল। সন্ধ্যার সময় মাষ্টার পড়াইতে আসিয়াছিল, কি মনে করিয়া বিন্দু তাহাকে ডাকাইয়া পাঠাইল। বলিল, কাল থেকে ও-বাড়িতে গিয়ে পড়াবেন।

মাস্টার যে আজ্ঞা বলিয়া চলিয়া যাইতেছিল, বিন্দু প্রশ্ন করিল, আপনার ছাত্রটি আজকাল পড়ে কেমন?

মাস্টার বলিল, লেখাপড়ায় সে বরাবরই ভাল, প্রতিবারেই ত প্রথম হয়।

বিন্দু কহিল, তা হয়। কিন্তু আজকাল চুরুট খেতে শিখেচে যে!

মাস্টার বিস্মিত হইয়া বলিল, চুরুট খেতে শিখেচে?

পরক্ষণে নিজেই বলিল, আশ্চর্য নয়, ছেলেরা সমস্তই দেখাদেখি শেখে।

কার দেখে শিখেচে?

মাস্টার চুপ করিয়া রহিল। বিন্দু বলিল, ওর বাবাকে ও-কথা জানাবেন।

মাস্টার মাথা নাড়িয়া বলিল, এই দেখুন না, আজ পাঁচ-সাতদিনের কথা, ইস্কুলের পথে এক উড়ে মালীর বাগানে ঢুকে তার অসময়ের আম পেড়ে, গাছ ভেঙ্গে, তাকে মারধর করে এক কান্ড করেছে।

বিন্দু রুদ্ধ-নিশ্বাসে বলিল, তারপর?

উড়ে হেডমাস্টারকে বলে দেয়, তিনি দশ টাকা জরিমানা করিয়া তাকে তা দিয়ে শান্ত করেচেন।

বিন্দু বিশ্বাস করিতে পারিল না। বলিল, আমার অমূল্য ছিল? সে টাকা পাবে কোথায়?

মাস্টার কহিল, তা জানি না, কিন্তু সেও ছিল। এ-বাড়ির নরেনবাবুও ছিল, আরও তিন-চারজন ইস্কুলের বদমাস ছেলে ছিল। এই কথা আমি হেডমাস্টার মশায়ের কাছে শুনেচি।

বিন্দু বলিল, টাকাও আদায় হয়ে গেছে?

আজ্ঞে হাঁ, তাও শুনেচি।

আচ্ছা—আপনি যান। বলিয়া বিন্দু সেইখানেই বসিয়া রহিল। তার মুখ দিয়া শুধু অস্ফুটে বাহির হইল, আমাকে না জানিয়ে টাকা দিলে, এত সাহস এ বাড়িতে কার? একে তাহার মন খারাপ, তাহাতে দিদির সহিত কথাবার্তা বন্ধ, তাহার উপর এই সংবাদ বিন্দুকে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য করিয়া তুলিল।

সে উঠিয়া গিয়া রান্নাঘরে ঢুকিল। অন্নপূর্ণা রাত্রির জন্য তরকারি কুটিতেছিলেন, মুখ তুলিয়া ছোটবৌয়ের মেঘাচ্ছন্ন মুখের দিকে চাহিয়া দেখিলেন।

বিন্দু কহিল, দিদি, এর মধ্যে অমূল্যকে টাকা দিয়েচ?

অন্নপূর্ণা ঠিক এই আশঙ্কাই করিতেছিলেন, ভয়ে তাঁহার গলা কাঠ হইয়া গেল; মৃদুস্বরে বলিলেন, কে বললে?

বিন্দু বলিল, সেটা দরকারী কথা নয়—দরকারী কথা, সেই বা কি বলে নিলে, আর তুমিই বা কি বলে দিলে?

অন্নপূর্ণা নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন।

বিন্দু বলিল, তুমি চাও না যে, আমি তাকে শাসন করি, সেইজন্যই আমাকে লুকিয়েচ। অমূল্য আর যাই করুক, মিথ্যে কথা গুরুজনের কাছে বলবে না, তুমি জেনেশুনে দিয়েচ, সত্যি কি না?

অন্নপূর্ণা আস্তে আস্তে বলিলেন, সত্যি, কিন্তু এইবারটি তাকে মাপ কর বোন, আমি মাপ চাচ্ছি।

বিন্দুর বুকের ভিতর পুড়িয়া যাইতেছিল, বলিল, একটিবার! আজ থেকে চিরকালের জন্যই মাপ করলুম। আর বলব না। আর কথা ক’ব না। সে যে এমনি করে চোখের সামনে একটু একটু করে উচ্ছন্ন যাবে, তা সইতে পারব না—তার চেয়ে একেবারে যাক। কিন্তু তোমার কি আস্পর্ধা!

শেষ-কথাটা অন্নপূর্ণাকে তীক্ষ্ণভাবে বিঁধিল, তথাপি তিনি নিরুত্তরে বসিয়া রহিলেন। কিন্তু বিন্দু যত বকিতেছিল, তাঁহার ক্রোধ উত্তরোত্তর ততই বাড়িতেছিল। সে পুনরায় চেঁচাইয়া বলিল, সব কথায় তুমি ন্যাকা সেজে বল, এইবারটি মাপ কর, কিন্তু দোষ তার তত নয়, যত তোমার। তোমাকে আমি মাপ করব না।

বাটীর দাসী-চাকরেরাও আড়ালে দাঁড়াইয়া শুনিতেছিল।

অন্নপূর্ণার আর সহ্য হইল না, তিনি বলিলেন, কি করবি—ফাঁসি দিবি?

বহ্নিতে আহুতি পড়িল, বিন্দু বারুদের মত জ্বলিয়া উঠিয়া বলিল, সেই তোমার উপযুক্ত শাস্তি।

নিজের ছেলেকে দুটো টাকা দিয়েছি, এই ত অপরাধ?

কি কথায় কি কথা আসিয়া পড়িল, বিন্দু আসল কথা ভুলিয়া বলিয়া বসিল, তাই বা দেবে কেন? নষ্ট করবার টাকা আসে কোথা থেকে?

অন্নপূর্ণা বলিলেন, টাকা তুই নষ্ট করিস নে?

আমি করি আমার টাকা, তুমি নষ্ট কর কার টাকা শুনি?

অন্নপূর্ণা এবার ভয়ঙ্কর ক্রদ্ধ হইয়া উঠিলেন। তিনি নিঃস্ব ঘরের মেয়ে ছিলেন। মনে করিলেন, বিন্দু সেই ইঙ্গিতই করিয়াছে। দাঁড়াইয়া উঠিয়া বলিলেন, তুই না হয় মস্ত বড় লোকের মেয়ে, কিন্তু তাই বলে আর কেউ যে দুটো টাকাও দিতে পারে না, সে অহঙ্কার করিস নে।

বিন্দু বলিল, সে অহঙ্কার আমি করিনে, কিন্তু তুমিও ভেবে দেখো একটা পয়সাও দিতে গেলে তুমি কার পয়সা দাও।

অন্নপূর্ণা চেঁচাইয়া উঠিলেন, কার পয়সা দিই? তোর যা মুখে আসে তাই বলিস? যা, দূর হয়ে যা সামনে থেকে।

বিন্দু বলিল, দূর—আমি রাত পোহালেই হব, কিন্তু কার পয়সা খরচ কর, সেটা দেখতে পাও না? কার রোজগারে খাচ্চ-পরচ, সেটা জান না?

হঠাৎ কথাটা বলিয়া ফেলিয়া বিন্দু স্তব্ধ হইয়া থামিল।

অন্নপূর্ণার মুখ সাদা হইয়া গিয়াছিল। তিনি ক্ষণকাল নির্নিমেষ-চোখে ছোটবৌয়ের মুখের প্রতি চাহিয়া বলিলেন, তোমার স্বামীর রোজগারে খাচ্চি-পরচি। আমি তোমার দাসী-বাঁদী, উনি তোমার চাকর-বাকর। এই না তোর মনের কথা? তা এতদিন বলিস নি কেন?

তাঁহার ওষ্ঠাধর বারংবার কাঁপিয়া উঠিল। তিনি দাঁত দিয়া অধর চাপিয়া ধরিয়া এক-মুহূর্ত স্থির থাকিয়া বলিলেন, কোথা ছিলি ছোটোবৌ যখন ছোটভাইকে পড়াবার জন্যে ও দু’খানি কাপড় একসঙ্গে কিনে পরেনি। কোথা ছিলি তুই, যখন ঘড় পুড়ে গেলে গাছতলায় একবেলা রেঁধে খেয়ে এই পৈতৃক ভিটেটুকু খাড়া করেছিল?

বলিতে বলিতেই তাঁহার দুই চোখ দিয়া দরদর করিয়া জল ঝরিয়া পড়িল। আঁচল দিয়া মুছিয়া ফেলিয়া বলিলেন, ও যদি জানত তোদের মনের কথা, কখনো এমন আফিং খেয়ে চোখ বুজে হুঁকোর নল মুখে দিয়ে আরামে দিন কাটাতে পারত না—সে লোক ও নয়। ওকে জানে তোর স্বামী, ওকে জানে স্বর্গের দেবতারা। আজ আমার ছুতো করে তুই তাঁকে অপমান করলি?

স্বামী-অভিমানে অন্নপূর্ণার বুক ফুলিয়া ফুলিয়া উঠিতে লাগিল। বলিলেন, ভালই হল, জানিয়ে দিলি। সতী আত্মহত্যা করেছিল, আমিও দিব্যি কচ্চি, বরং পরের বাড়ি রেঁধে খাব, তবুও তোদের ভাত আর খাব না। তুই কি করলি—ওঁকে অপমান করলি!

ঠিক এই সময়ে যাদব প্রাঙ্গণে আসিয়া দাঁড়াইয়া ডাকিলেন, বড়বৌ!

স্বামীর কণ্ঠস্বরে তাঁহার অভিমান ঝটিকা-ক্ষুব্ধ সাগরের মত উত্তাল হইয়া উঠিল, ছুটিয়া বাহিরে আসিয়া বলিলেন, ছি ছি, যে লোক নিজের মাগ-ছেলেকে খেতে দিতে পারে না—তার গলায় দেবার দড়ি জোটে না কেন?

যাদব হতবুদ্ধি হইয়া গিয়া বলিলেন, কি হ’ল গো?

কি হ’ল? কিচ্ছু না। ছোটবৌ আজ স্পষ্ট করে বলে দিলে, আমি তার দাসী, তুমি তার চাকর।

ঘরের ভিতর বিন্দু জিভ কাটিয়া কানে আঙুল দিল।

অন্নপূর্ণা কাঁদিতে কাঁদিতে বলিলেন, আমার একটা পয়সা কাউকে হাত তুলে দেবার অধিকার নেই—তুমি বেঁচে থাকতেও আজ আমাকে এ কথা শুনতে হল। আজ তোমার সামনে দাঁড়িয়ে এই শপথ কচ্চি, ওদের ভাত খাবার আগে যেন আমাকে ব্যাটার মাথা খেতে হয়।

বিন্দুর অবরুদ্ধ কর্ণরন্ধ্রে এ কথা অস্পষ্ট হইয়া প্রবেশ করিল; সে অস্ফুটে ‘কি করলে দিদি’ বলিয়া সেইখানেই ঘাড় গুঁজিয়া আজ দ্বাদশ বর্ষ পরে অকস্মাৎ মূর্ছিত হইয়া পড়িল।

-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

বিষয়: বিবিধ

২০০১ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

159622
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২০
আহমদ মুসা লিখেছেন : ধন্যবাদ, তবে এতো লম্বা লেখা পড়ার ধর্য্য নেই। সম্ভব হলে ছোট ছোট পোস্ট দিন। নিজের থেকে কিছু লেখার চেষ্টা করুন।
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০২
114227
ঝিঙেফুল লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদHappy
159624
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আহারে শরৎচন্দ্রের নাম শুনিলেই স্কুল জীবনের কথা মনে পড়িয়া যায়! Day Dreaming Day Dreaming
ঝিঙেফুল কবে নিজে কিছু লিখিবে! Waiting Waiting
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৩
114228
ঝিঙেফুল লিখেছেন : সবরের ফল অতি মিষ্টিWinking
159637
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৭
মিশেল ওবামা বলছি লিখেছেন : ভালো লাগলো, ঝিঙেফুল আপু।
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৩
114229
ঝিঙেফুল লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
159638
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১২
ইমরান ভাই লিখেছেন : ইসলামিক যেকোনো একটা বই নিয়ে এভাবে লিখলে খুব ভাল হতো।

ভেবে দেখবেন কি??? প্লিজ
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৪
114230
ঝিঙেফুল লিখেছেন : হুমম... ভালো আইডিয়াHappy
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১১
114267
আফরা লিখেছেন : ইমরান ভাই জিন্দাবাদ......।
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৯
114342
ইমরান ভাই লিখেছেন : @আফরা, Crying Crying জিন্দাবাদের সহজ সরল অর্থ কি??Crying Crying

@ঝিঙে, ভাববার জন্য ধন্যবাদ Love Struck Love Struck Praying এইখানে অনেককককক বই আছে
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪০
114551
আফরা লিখেছেন : ইমরান ভাই আমি সত্যি জানিনা জিন্দাবাদের সহজ সরল অর্থ আপনার জানা থাকলে একটু বলে দিলে ভাল হয় ।
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৩১
114719
ইমরান ভাই লিখেছেন : @আফরা,
Crying Crying আমিও সঠিক জানি না Crying Crying তবে আমার মনে হয় "জিন্দাবাদ" অর্থঃ "আজীবন বেচা থাকা" এ রখম কিছু একটা হবে হয়তো। আমিও শিওর না।

কেউ জানলে একটু হেল্পু চাই।
159646
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫১
আলোর কাছে বাঁধা আমি লিখেছেন : লেখক শরৎচন্দ্র কে মনে করিয়ে দিয়ে লেখাটি পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ --
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৪
114231
ঝিঙেফুল লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদHappy
159657
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৪
শায়লা শারমিন কনিকা লিখেছেন : শরৎদার গল্পগুলো খুব ভালো লাগে। আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:১১
114343
ইমরান ভাই লিখেছেন : ভাইয়া।Crying Crying Crying না আপু Crying Crying Crying Angel Angel Surprised Surprised Tongue Tongue
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৩
114388
ঝিঙেফুল লিখেছেন : ভাইয়া না,আমি আপুHappy
159672
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
অজানা পথিক লিখেছেন : Happy Happy Happy
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৩
114389
ঝিঙেফুল লিখেছেন : Happy Happy Happy Happy Happy Happy
159699
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৪
আলোর আভা লিখেছেন : Rose Good Luck Rose
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৩
114390
ঝিঙেফুল লিখেছেন : Happy Good Luck Praying
159744
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১২
ধ্রুব নীল লিখেছেন : হাজিরা দিলাম
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৯
114397
ঝিঙেফুল লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১০
159784
০৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৩১
গন্ধসুধা লিখেছেন : পড়ছি আপু Happy
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
114398
ঝিঙেফুল লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১১
160123
০৭ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২৩
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : পিলাচ অনেক ধন্যবাদGood Luck
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
114789
ঝিঙেফুল লিখেছেন : ধন্যবাদGood Luck
১২
160216
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:১৩
ভিশু লিখেছেন : ভালো শেয়ার...Happy Good Luck
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩১
114790
ঝিঙেফুল লিখেছেন : ধন্যবাদGood Luck Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File