ঈদ শপিং

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ১৮ জুন, ২০১৭, ০২:৫২:৪৪ দুপুর

গিন্নী সেদিন বলছে হেসে চলো না আজ গাউছিয়া,

শাড়ি একটা দেখে আসলাম বরণ তাহার হলদিয়া।

কসমেটিক্সটা কিনবো এবার বসুন্ধরা সিটিতে

নতুন একটা ব্র্যান্ড এসেছে যাবে নাকি মোর সাথে।

গোটা পাঁচেক থ্রীপিস নেব সুবাস্তুতে পাওয়া যায় ভালো,

এখনোতো শেষ করি নি মুখটি কেন করছো কালো !

গত ঈদে দাওনি কিন্তু শখের একটা নেকলেস

এবার কিন্তু চাই-ই চাই করো না যেন হোপলেস।

জুতো নেব পলওয়েল হতে, বেশি নয় মাত্র তিন জোড়া,

ঈদ কি আর জমে বল নতুন একটা মোবাইল ছাড়া?

পাঁচটা নয় দশটা নয় তোমার, তিনটা শালা শালি,

তাদের কিছু না দিলে মুখে পড়বে কালি।

শ্বশুড় শ্বাশুড়িকে কী দেবে, সেটা তুমি ঠিক কর,

মনে শুধু রাখলেই হবে, টাকার চেয়ে মান বড়।

ছেলে মেয়েও ধরিয়ে দিল লম্বা লম্বা ফর্দ

বেতন বোনাসে কুলোবেনা আর পিএফ হতে নিই কর্জ।

পাঞ্জাবীর জন্য ছিল হাতে হাজার তিনেক টাকা,

শপিং শেষে চায়নীজ খেয়ে তাও হলো ফাঁকা।

রিপু করতে বের করি আমার গতবারের পাঞ্জাবিটা

তেলেবেগুনে জ্বলে গিন্নী বলে, আমি নাকি হাড়কিপ্টা !

মাকে ফোনে শুধুই, কী লাগবে তোমাদের বল?

বলার জন্য বলা শুধু আসলে ছিল ছল।

“কিছুই চাইনারে বাপ, আসবি কবে বাড়ি,

তোর বাপে কিনে রেখেছে তালের গুড়ের হাড়ি।

জেলেপাড়ায় বলেছি দিতে দুই কুড়ি কৈ,

ঘোষাল বাবু দিয়ে যাবে হাড়ি ভরা দৈ।

লাল মোরগটা খাসা হয়েছে খাসিটাও হয়েছে বেশ,

দিন গুণে যাচ্ছি মোরা অপেক্ষার কবে শেষ?”

বিষয়: সাহিত্য

১১৬৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383368
১৮ জুন ২০১৭ বিকাল ০৫:৫৯
হতভাগা লিখেছেন : এত দাবী দাওয়া করে কেন ভাই ? এরকম দাবী দাওয়া করলে তো ২ নং পথে আয় করতে হবে , ফলে দোজখ কনফার্ম ।

বাই দ্যা ওয়ে - দাবী দাওয়া পূরণ করতে পারলে তো স্ত্রীর কাছে উত্তম হওয়া যাবে ! সেই উসিলায় কি দোজখ থেকে নাজাত পাওয়া যাবে?
383382
১৯ জুন ২০১৭ রাত ১০:১৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কান্না করেন!!!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File