প্রায়শ্চিত্ত
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ০৭ আগস্ট, ২০১৬, ০৪:৫৫:২৯ বিকাল
‘ভাইয়া, স্লামালাইকুম’ সিঁড়ি বেয়ে দো’তলায় উঠার সময় অচেনা নারীকন্ঠের সালাম শুনে অবাক হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই হাসান জিজ্ঞাসিত হল, ‘কেমন আছেন?’
‘জী ভাল, কিন্তু আপনাকে তো ঠিক. . .’
‘চিনতে পারছেন না, এইতো? আমি রুমেনা, আমরা একমাস হল পাশের ফ্ল্যাটে উঠেছি। আপনাকে অবশ্য আমি চিনি। আপনার ওয়াইফ এখানকার কলেজের লেকচারার, আপনি ঢাকায় থাকেন।’
‘জী’
‘তা আপনাকে একটি বিষয় জানানোর প্রয়োজন মনে করছি।’
‘কী বিষয়টা?’ বিরক্তি ও কৌতুহল নিয়ে তাকাল হাসান।
‘আপনিতো ঢাকায় থাকেন। এখানে আপনার স্ত্রী কোথায় যায়, কার সাথে যায় খবর রাখেন?’
‘মানে?’ রাগত স্বর হাসানের।
‘গতকাল রায়পুরে একটি হুডতোলা রিক্সায় আপনার স্ত্রীকে একজন পুরুষলোকের সাথে দেখেছিতো, তাই বললাম।’
‘জী, সে একজন আমিই ছিলাম। এবার দয়া করে পথ ছাড়ুন। আর নিজেকে একটু সংশোধন করুন’ বেশ ঝাঁঝের সাথেই বলে হাসান।
রুমেনা একটু থতমত খায়।
হাসান বাসায় ঢুকে ফ্রেশ হয়ে স্ত্রী আফরাকে চা দিতে বলে। বারান্দায় বসে চা খেতে খেতে ঘটনাটা শেয়ার করে।
‘ঐ মহিলাকে আমি এভয়েড করে চলি। সে একটা Psychopath’.
‘হুম, এভয়েড করাই উচিত। আমারও মনে হয় সে একটা সাইকো।’
‘সেদিন কী হয়েছে জানো?’
‘কী?’
‘ছাদে কাপড় শুকোতে দিয়েছি । বিকেলে পিংকিকে কাপড় আনতে পাঠালাম। সে গিয়ে দেখে মহিলা আমাদের কাপড়গুলি তার হতে নীচে ছুঁড়ে ফেলছে আর রাগে গজরাতে গজরাতে বলছে, ‘সারা দেশ থুইয়া আইছে আমাগো দেশে মাস্টারনী করতে। খাওয়াইয়া দিমু....’
‘কিছু বল নি?’
‘কিছু বলতে গেলে পাছে আবার ঝগড়া বাধায় সেদিক চিন্তা করে মান সম্মানের ভয়ে কিছু বলি নি। তবে বাড়িওয়ালাকে জানিয়েছি।’
‘বাড়িওয়ালী কী বললেন?’
‘ধৈর্য ধরতে বললেন শুধু’।
‘এটাতো সমাধান হল না। মহিলাতো মানসিক বিকারগ্রস্ত। কখন কোন অঘটন ঘটিয়ে বসে! বাড়িওয়ালী বিষয়টি সিরিয়াসলী নিচ্ছেন না। কিন্তু খুব উদ্বেগের বিষয় এটা।’
কয়দিন পরের ঘটনা। একদিন সাতসকালে বাড়িওয়ালীর কাছে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গেল রুমেনা। খুবই উত্তেজিত সে। বাড়িওয়ালী চমকে জিজ্ঞেস করলেন- ‘কী ঘটেছে?’
‘আরে ঘটনার বাকি আছে কী তাই বলুন। খুবই সিরিয়াস বিষয়।’
‘কী হয়েছে, খুলেই বলুন’।
‘দোতলায় কলেজ এর এক ম্যাডাম থাকে না আপনার ভাড়াটিয়া।’
‘হ্যাঁ, কী হয়েছে’।
‘কাল রাত ১২:০০ টার দিকে তার বাসায় একজন পুরুষলোক ঢুকেছে। আমি বাসার বাইরের ছিটকিনি লাগিয়ে দিয়েছি। চলেন লোক ডাকি। কী অসভ্য মহিলারে বাবা!’
‘একদম চুপ করেন। ম্যাডামের হাজবেন্ড এসেছেন গতরাতে। আমার বড়ছেলে নিজে গিয়ে মেইনগেইট খুলেছে। এখন তাড়াতাড়ি গিয়ে বাসার বাইরের ছিটকিনি খুলে দিয়ে আসুন। তারা হয়তো কোথাও বাইরে বেড়াতে যাবেন। আর শুনুন, নিজের মাথায় তেল দিন। অন্যের পিছে লাগবেন না।’
ফোঁসফোঁস করতে করতে চলে গেল রুমেনা।
সপ্তাহদু’য়েক পরের কথা। রুমেনার স্বামী সাজিদ একটি ঔষধ কোম্পানীর জেলা কর্মকর্তা। এইচআর ম্যানেজারকে রিকোয়েস্ট করে নিজ জেলাতেই পোস্টিং নিয়েছিল। বাড়ির সামনে অফিসে যাওয়ার জন্য গাড়ির অপেক্ষা করছিল। কাকতালীয়ভাবে বাড়িওয়ালীও কোথাও যাওয়ার জন্য তার ৬ বছর বয়সী ছোট ছেলেকে নিয়ে গাড়ির অপেক্ষায় ছিল তখন। রুমেনা দোতলা হতে দেখে হন্তদন্ত হয়ে নেমে এল। বাড়িওয়ালীর মুখোমুখী হয়েই খিস্তি শুরু করলো। ‘নিজের লাংরে বিদেশ পাঠাইয়া আরেকজনেরটার দিকে চোখ দেস কেন? ..গী তোর চোখ খুইল্যা ফালামু। চিনস আমারে? তোর ...’ আরো সব অকথ্য ভাষা! এবার স্বামীপ্রবরের উপর হামলে পড়লো। একপাটি সেন্ডেল খুলে সাজিদ এর মুখে সপাটে মারলো। ‘কী! . .গী দেখলেই লোল পড়ে, না? বেহায়া কোথাকার। ..কির পোলা!’ অপমান হজম করেই চলে গেল সাজিদ। বউকে সে সাংঘাতিক ভয় পায়। আর এদিকে বাড়িওয়ালী কিছু বলতে গিয়েও রাগে ক্ষোভে অপমানে লজ্জায় কিছু বলতে পারলো না, শুধু থরথর করে কাঁপতে লাগলো।
বিকেল বেলায় সালিশ বসলো। বাড়িওয়ালীর বড়ভাই কলেজ গভর্নিং বডির প্রভাবশালী সদস্য। সবশুনে রায় হলো- এক সপ্তাহের মধ্যেই রুমেনাদেরকে বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে।
-----
রাত ১২ টা। সজীবের চোখে ঘুম নেই। লজ্জা, অপমান, নিয়মিত বউয়ের হাতে ডালঘুটনি আর ঝাড়–পেটা খাওয়া গা সওয়া হয়ে গেলেও দুই এক মাস পরপর বাধ্য হয়ে বাড়ি ছাড়ার যন্ত্রণাটা অসহ্য লাগে। তার স্ত্রী রুমেনার উগ্র ও ঝগড়াটে আচরণ প্রতিবেশি ও বাড়িওয়ালাদের কাছে চরম বিরক্তিকর, কেউ দুই মাসের বেশি সইতে পারে না। তাকে বাধ্য হয়ে সইতে হচ্ছে বছরের পর বছর। গত একবছরেই পাঁচবার বাসাবদল করতে হয়েছে। সেপারেশনের কথাও ভেবেছে অনেক। কিন্তু তিন বছরের একমাত্র মেয়ের কথা মাথায় এলে সে চিন্তা আর এগোয় না। এটা কি তবে তার নিকট অতীতের পাপের প্রায়শ্চিত্ত!
-----
মফস্বল শহর হতে দূরে নতুন একটি নির্জন কোলাহলমুক্ত স্থানে এসে পড়েছে সাজিদ। খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছে স্থানটি, কিন্তু ঠিক মনে পড়ছে না। পড়ন্ত বিকেল। ঐ যে সীমানা ছাড়িয়ে দূর দিগন্ত, গোধূলীর রাঙা আলোয় যেন হংসমিথুন ডানা মেলে আছে, চারিদিকে একটি স্বপ্নময় আবেশ। হৃদয়ের সব পঙ্কিলতা দূর হয়ে একটি রোমান্টিক মুডে মনপ্রাণ উদ্বেলিত। হঠাৎ ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা, হাস্নাহেনার গন্ধ। হ্যাঁ, ইউরেকা! ইউরেকা!! মনে পড়েছে। এটাতো সেই স্মৃতিময় উদ্যান যেখানে কেটেছে কত রোমান্টিক বিকেল যেখানে প্রিয়তমার হাত ধরে হেঁটেছে মুগ্ধ হয়ে। তার প্রিয়তমা, তার লাইলী, তার প্রথম স্ত্রী রওশন। বিয়ের পর প্রথম দিনগুলিতে সপ্তাহে অন্তত দুটো দিন আসতেই হতো এখানে। নিয়ম মেনে সংসার করার বাইরেও যে আলাদা একটা ভিন্নমাত্রার রোমান্স এর জগত আছে তার ফীলিংস পেত তারা এখানে এসেই। হাস্নাহেনা খুব প্রিয় ছিল রওশন এর। হঠাৎ রিনিঝিনি শব্দে খিলখিল হাসির তরঙ্গে রওশন এর আগমন। রওশন এখানে কীভাবে এল? তারতো আবার বিয়ে হয়েছে এক দুবাইপ্রবাসী ব্যবসায়ীর সাথে। নতুন স্বামী সন্তান নিয়ে দুবাইতেই সেটেল্ড। ভাবতে না ভাবতেই রওশন এর প্রশ্ন, ‘কেমন আছ সাজিদ?’ চমকে উঠলো সাজিদ। কিছুটা ভয়ও। স্রেফ প্রশ্ন নয়। রওশন এর কন্ঠে যেন করুণা, হুঙ্কার আর উপহাস এর সমন্বিত বহিঃপ্রকাশ।
‘ভাল নেই’ অস্ফূট ও ভয়বিহবল কন্ঠে উত্তর দেয় সাজিদ।
‘আমি জানতাম তুমি ভাল নেই। ভাল থাকতে পার না তুমি। পাপ করেছ আর তার প্রায়শ্চিত্ত করবে না’।
প্রায়শ্চিত্ত! এ শব্দটি যেন হাজারটি তীরের ফলা হয়ে সাজিদ এর হৃদপিন্ডকে ফালাফালা করে দিচ্ছে। শ্বাসপ্রশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসছে। অনেক কষ্টে অস্ফ’ট স্বরে আবারো বললো, ‘এসব বাদ দাও। তুমি কেমন আছ রওশন?’
‘শোকর আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভাল আছি। পরম করুণাময় যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেছেন। তোমার মত একজন লম্পট ও চরিত্রহীন এর কবল হতে মুক্তি পেয়েছি, একজন সৎ ও বিশ্বস্ত ভদ্রলোককে স্বামী হিসেবে পেয়েছি। এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে? নিজের ঘরে বিবাহিত স্ত্রী রেখে যার একজন পরস্ত্রীর ছলাকলায় ভুলে তার শয্যাসঙ্গী হয়েছ।...’
‘থাক না এসব’।
‘কেন? খুব লজ্জা হচ্ছে বুঝি। ঐ নষ্টা, কি যেন নাম? ও হ্যাঁ, রুমেনা। আমার বেডরুমেই তুমি ঐ রুমেনা নামের নষ্টাটিকে নিয়ে আদিম খেলায় মেতেছিলে। সেদিন মাকে দেখতে রওনা হয়েছিলাম বাবার বাড়িতে। তুমি অজুহাত দেখিয়ে যাও নি। হঠাৎ পথিমধ্যে অসুস্থবোধ করায় ফিরে এসেছিলাম। এসেই দেখলাম তোমাদের নোংরামী, দিনে দুপুরে একজন লম্পট আর একজন নষ্টা সম্পূর্ণ নিরাবরণ হয়ে আদিম খেলায় মেতেছ।’ একটু থামে রওশন। আবার শুরু করে, ‘সেদিন তোমার ভাগ্য খুব ভাল ছিল। হাতের কাছে একটি দা থাকলে দুজনের কারো কল্লাই থাকতো না। দু’দিন পরেই সে নষ্টা স্বামী আর দুই শি শু সন্তান এর কথা ভুলে বাড়ি হতে পালিয়ে তোমাকে বিয়ে করলো। আজ আমি মহাসুখী। কেন জানো? কারণ নতুন বউয়ের কাছে তুমি সুখেই আছ। হাহাহা। একজ নষ্টা আর একজন সাইকোর স্বামী হিসেবে একজন লম্পট খুব সুখেই আছে। হাহাহা।’ রুমেনার অট্টহাসি আর উপহাস সাজিদ এর বুকে যেন ধারালো ছুরির মত বিঁধছে। ধীরে ধীরে রওশন আড়াল হতে থাকে, অট্টহাসির শব্দও ক্ষীণ হতে ক্ষীণতর হয়ে আসে।
‘রওশন যেও না, প্লিজ যেও না। রওশন, রওশন।’ জোরে ডাকে সাজিদ।
‘পুরানা --গীর জন্য পিরিতি উথলাইয়া উঠছে বুঝি? ঘুমের মধ্যে রওশন, রওশন? ভীমরতি!’
বউয়ের কনুইয়ের গুঁতো খেয়ে সজীব বুঝতে পাওে এতক্ষণ স্বপ্নই দেখছিল। পাশে ফিরে আবার নাক ডাকতে থাকে রুমেনা।
সাজিদ এর চোখে আর ঘুম আসে না। বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে থাকে আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। প্রায়শ্চিত্ত তবে তাকে করতেই হবে।
এখন হতে নিয়মিতই দুঃস্বপ্নে এসে ধরা দিতে থাকে রওশন। প্রতিটি রাত সাজিদের কাছে বিভীষিকার নাম। রওশন প্রতিদিন রাতে এসে অট্টহাসিতে উপহাস করে আর বলতে থাকে প্রায়শ্চিত্ত কর সাজিদ, প্রায়শ্চিত্ত কর। চিৎকার করে ঘুম ভাঙ্গে প্রতিরাতে। সারাশরীরের লোমকূপগুলোতে ভয়ের চিহ্ন, সারা গা ঘামে ভিজে একাকার।
-----
অধ্যাপক (ডাঃ) মাসুম কামাল। দেশবিখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্ট। চেম্বারে বসে আছে সাজিদ, তার স্ত্রী এবং ডাক্তার স্বয়ং। গত ছয়মাসে ডাক্তারের চেম্বারে এ নিয়ে নবমবারের মত আগমন সাজিদ আর তার স্ত্রী রুমেনার। ডাক্তার মাসুম কামাল সাইকোথেরাপির সম্ভাব্য সকল কৌশল প্রয়োগ করলেন। কিন্তু কোন উন্নতি নেই। দিন দিন জটিল হচ্ছে। দুঃস্বপ্ন দেখা চলতেই থাকে। ডাক্তার চোখ বন্ধ করে আছেন, ভাবছেন তিনি। কক্ষে পিনপতন নীরবতা। দীর্ঘ ১৫ মিনিট পর চোখ খুললেন।
‘মিস্টার ও মিসেস সাজিদ’। নীরবতা ভেঙ্গে মুখ খুললেন অধ্যাপক মাসুম কামাল।
‘মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আমার পেশাগত জীবনে এটি প্রথম কেস যেখানে সমস্যা নিরুপণ করার পরও সমাধান করা যায় নি। তবে আমার কাছে ঘটনাটির ব্যাখ্যা হচ্ছে এরকম। আপনারা এখন যে মানসিক বৈকল্য আর দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন সেটি হচ্ছে আপনাদের হাতের কামাই।’
‘জী, আমাদের পাপের ফল।’ বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বলে সাজিদ।
‘আমাকে শেষ করতে দিন ব্যাখ্যাটি। তার আগে কিছু বলবেন না দয়া করে। পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা কিছু বিষয়ে মানুষকে স্বাধীনতা দেন বিশেষ করে ভাল মন্দ কাজ করার স্বাধীনতা তার থাকে। কারণ মানুষকে চিন্তাশক্তি দিয়েছেন তিনি। সে ভাল মন্দ কাজের উপর ভিত্তি করে তার কর্মের ফলাফল কয়েকভাবে নির্ধারিত হতে পারে। তার মধ্যে তিনটি আমি এখানে আলোচনা করবো। এক. পরবর্তী কোন ভাল কাজের মাধ্যমে পূর্ববর্তী মন্দ কাজের ইমপ্যাক্ট পরিবর্তন হওয়া। অর্থাৎ এটি সৃষ্টিকর্তা নির্ধারণ না করে পাপীকে অবকাশ দেন যাতে সে সংশোধন হতে পারে। দুই. তাকে স্বাধীনতা দেন, ভাল বা মন্দ কাজের উপর ভিত্তি করে তাকে দুনিয়াতে কোন পুরস্কার বা শাস্তি দেন না। তার পুরস্কার বা শাস্তি শুধুমাত্র আখিরাতের জন্য নির্ধারিত করে রাখেন। তিন. দুনিয়াতেই তার কৃতকর্মের কিছু ফল আল্লাহ নির্ধারণ করে দেন। স্রষ্টার নির্ধারিত সেই নিয়তি পরিবর্তন করা দুনিয়ার কোন মানবের পক্ষেই সম্ভব নয়। আপনাদের ক্ষেত্রে তৃতীয়টি ঘটেছে। আপনারা আপনাদের কর্ম দ্বারা দুইজন শিশুর জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছেন, দুটি বৈধ সংসার ভেঙ্গে নিজেরা অবৈধ নীড় রচনা করেছেন। এটি সৃষ্টিকর্তা পছন্দ করেন নি। আর একটি বিষয় হচ্ছে, একজন বিশ্বাসভঙ্গকারী অন্যকে সহজে বিশ্বাস করে না। আপনাদের পারস্পরিক যে অবিশ্বাস ও অনাস্থা তার কারণ হচ্ছে আপনারা নিজেরাই বিশ্বাসের সম্পর্কগুলো নষ্ট করেছেন ইতোপূর্বে। আপনারা এখন যেটি করতে পারেন সেটি হচ্ছে, বর্তমান অবস্থাকে নিয়তি হিসেবে মেনে নেয়ার মানসিক প্রস্তুতি রাখা আর অতীত পাপকাজের জন্য মহান স্রষ্টার কাছে বারবার ক্ষমা চাওয়া ও তাওবা করা। এরফলে হৃদয়ের ভার কিছুটা লাঘব হবে, মানসিক অস্থিরতা কমবে। এই হচ্ছে আমার ব্যাখ্যা। ভাল থাকুন, বিদায়।’
বিষয়: সাহিত্য
২৩৬১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর বাস্তবধর্মী গল্প!
শেষটা আরো সুন্দর!
জাযাকাল্লাহ..
বারাকামুল্লাহ ফিক। অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন