নাস্তিকতাঃ একটি জঙ্গি ও ভ্রান্ত বিশ্বাস (তৃতীয় পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ১৬ এপ্রিল, ২০১৬, ০৫:৩৯:১১ বিকাল
আমরা কতটা গাফেল হয়ে আছি! অথচ আমাদের সীমাবদ্ধতা, আমাদের ক্ষুদ্রতা যদি আমরা বুঝতাম। আমাদের দৃষ্টিশক্তির সীমাবদ্ধতার কথাই চিন্তা করি না কেন। পৃথিবী হতে আকাশে আমরা একই সমতলে দেখছি চাঁদ, তারা। অথচ এগুলি কোন কোনটি পরস্পর কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরেও অবস্থিত। চাঁদকে একটি রুটি বা থালার মতো দেখা যায়, আবার তারাগুলি বিন্দু বিন্দু। প্রকৃতপক্ষে থালাসদৃশ এই চাঁদের ব্যাস চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার, আয়তনে পৃথিবীর ৫০ ভাগের এক ভাগ। আবার অনেক তারকা পৃথিবীর চেয়ে অনেক অনেক গুণ বড়।
মানুষের মগজ! মানবমস্তিষ্কের মূল গঠন-উপাদান হল নিউরোন। ১০,০০০ কোটি স্নায়ুকোষ বা নার্ভ সেল। আর এগুলো একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত রয়েছে তেমনি শত শত কোটি স্নায়ুতন্তু দিয়ে। এই তন্ত্রীগুলো ঘন্টায় ৭০ মাইল বেগে সংবাদ গ্রহণ ও নির্দেশ প্রদান করে থাকে।
ছোট একটি মাথায় এরকম কোটি কোটি স্নায়ুকোষ ও স্নায়ুতন্তুর বিন্যাস করেছেন যে মহাবিজ্ঞানী তিনিই সর্বশক্তিমান আল্লাহ।
এ পর্বে আলোচনা করবো নাস্তিকতার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে।
নাস্তিকতার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশঃ
মূলত ইউরোপে বিশেষ করে ইতালীতে খৃস্টধর্মের বিকৃতি, যাজকদের বাড়াবাড়ি, বিজ্ঞানচর্চায় বাধাদান ও নানাবিদ জুলুম নির্যাতনের প্রতিবাদস্বরূপ একশ্রেণীর মানুষ খৃস্টধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং পরবর্তীতে এই অবস্থান ধর্মের বিরুদ্ধেই চলে যায়। ক্রমান্বয়ে নাস্তিকতার দুটি ধারা বিস্তার লাভ করে-একটি সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ অপরটি সোশ্যালিজম বা সমাজতন্ত্রবাদ তথা কম্যুনিজম।
খৃস্টধর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও বিদ্রোহের পটভূমি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা যাক।
ঈসা (আঃ)এর নাম “ঈসা ইবনে মারিয়াম” আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। খ্রিস্টবাদীরা তাঁর নাম বদলিয়ে রেখেছে Jesus Crist এবং আল্লাহর সাথে শিরক ও বেয়াদবীপূর্ণ কাহিনী রচনা করেছে। ঈসা (আঃ) এর উপর অবতীর্ণ আসমানী কিতাব ইনজিলকে বদলিয়ে বাইবেল নাম দিয়েছে। চারটি বাইবেল পাওয়া যায় যেগুলি পরস্পর বিরোধপূর্ণ। (১) মথি রচিত বাইবেল (২) লুক রচিত বাইবেল (৩) যোহন রচিত বাইবেল ও (৪) মারকাস রচিত বাইবেল। আল্লাহর কালামকে তারা বিকৃত করে নিজেদের খেয়ালখুশীমতো কথা ঢুকিয়েছে। এমনকি এই বাইবেলগুলি ঈসা(আঃ) এর ভাষাও নয়। এই বাইবেলগুলির ভাষা গ্রীক, অথচ ঈসা(আঃ) এর ভাষা ছিল সুরিয়ানী।
এই বাইবেলগুলি অজ্ঞাত লেখকরা লিখে উক্ত মনীষীদের নামে চালিয়ে দিয়েছে। মথি ঈসা(আঃ) এর সাথী ছিলেন। অথচ ঈসা(আ) এর তিরোধানের পর ৭০ সালে রচিত এই বাইবেল মথির নামে চালানো হয়েছে। লুক এবং মারকাস কখনো ঈসা(আঃ)কে দেখেননি। তাঁরা ছিলেন যথাক্রমে সেন্টপল ও সেন্টপিটার এর শিষ্য। এভাবে আসমানী গ্রন্থ ইঞ্চিলকে বিকৃত করার মাধ্যমে খৃস্টধর্মকেও চরমভাবে বিকৃত করে এটিকে শোষণের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়।
১২৩১ খৃস্টাব্দে পোপ ষষ্ঠ গ্রেগরি একটি অধ্যাদেশ জারি করেন ‘ইনকুইজিশন’ নামে। ইনকুইজিশন এর আওতায় খৃস্টধর্মের বিরোধীদের খুঁটিতে বেঁধে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হতো। এছাড়া ইনকুইজিশন এর আওতায় ডাইনী ও অপয়া আখ্যা দিয়ে নারী ও শিশুদেরকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে পঞ্চদশ শতকের শেষের দিকে এ কুখ্যাত ইনকুইজিশন প্রথা রাজা ২য় ফার্দিনান্দ এবং রানী ইসাবেলার শাসনামলে স্পেনেও চালু হয় যার শিকার হয় মুসলিম ও ইহুদীরা। ইনকুইজিশন এর আরো একটি অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো নিহত ব্যক্তির সম্পত্তি জবরদখল করা।
Encyclopaedia Britanica তে Inquisition এর একটি বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে এভাবেঃ “সমস্ত অখ্রিস্টীয় ধর্মবিশ্বাস ও মতবাদ উৎখাত করার জন্য শক্তি প্রয়োগের বর্বরোচিত পদ্ধতি খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা বৈধ করে নিয়েছিল। রোমের পোপের অধীনে প্রতিষ্ঠিত Inquisition আদালত সমূহ তার অন্যতম দৃষ্টান্ত। এসব আদালত নাস্তিকতা, খোদাদ্রোহীতা, ইহুদী ধর্ম পালন, ইসলাম গ্রহণ ও বহুবিবাহের ন্যায় অপরাধসমূহের শাস্তি বিধানের জন্য যে সব ফৌজদারি আইন চালু করে তার মধ্যে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা, জিহবা কেটে ফেলা, কবর খোঁড়ে হাড়গোড় বের করা অন্যতম। স্পেনের ধর্মীয় আদালতের রায়ে ৩ লক্ষ ২৪ হাজার লোককে বিভিন্ন পন্থায় হত্যা করা হয়। এছাড়া মেক্সিকো, কর্ডোভা, সিসিলি, সার্ডিনিয়া, নেপলস ও কালান্ডারাস অঞ্চলের ধর্মীয় আদালতসমূহের রায়ে অখ্রিস্টীয় ধর্ম বিশ্বাস পোষণ করার জন্য অন্তত দেড় লাখ লোককে হত্যা করা হয়।” মূলত এটাই ছিলো ইতিহাসের মধ্যযুগীয় বর্বরতা, যেটিকে অনেক জ্ঞানপাপী ও ইতিহাসবিমূখ অজ্ঞ লোক মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে। অথচ মধ্যযুগে মুসলিম অঞ্চলগুলি ছিল জ্ঞানবিজ্ঞান ও উৎকর্ষতার শীর্ষে। এ বিষয়ে পরে আলোচনা করবো।
Indulgence বা স্বর্গে যাওয়া তথা পাপমুক্তির সার্টিফিকেট ইস্যু ছিল যাজকশ্রেণীর আরেকটি বড় ধরনের আর্থিক প্রতারণা। গীর্জা ‘ইকিউম্যানিক্যাল কাউন্সিল’ হতে এ সার্টিফিকেট ইস্যুর অধিকার লাভ করে। বহু টাকার বিনিময়ে এ সার্টিফিকেট বিক্রয় করা হতো এবং ধনী লোকেরা অন্ধবিশ্বাসে এ সার্টিফিকেট ক্রয় করতো। তাদের মধ্যে তখন এ ধারণা বদ্ধমূল হতো যে, যেহেতু তারা স্বর্গে যাওয়ার সার্টিফিকেট পেয়েছেন সেহেতু তাদের কোন অপরাধের জন্য আর পাপ হবে না। ফলে সমাজ ধনী লোকদের পাপাচারে সয়লাব হয়ে যাচ্ছিলো। আবার গীর্জা সনদ বিক্রয় বাবদ প্রচুর অর্থ আয় করছিলো যেসব অর্থে যাজকশ্রেণী ভোগবিলাস ও পাপাচারে লিপ্ত হয়ে পড়লো। পরবর্তীতে জার্মানীর মার্টিন লুথার Protest(প্রতিবাদ) করে সংস্কার চেষ্টা করেন ও খৃস্টধর্মে Protestant নামক শ্রেণীর উদ্ভব হয়। প্রটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিকদের মধ্যে ৩০ বছর পর্য্ন্ত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে।
গীর্জাকে কেন্দ্র করে যাজকশ্রেণীর সীমাহীন দুর্নীতি ও পাপাচার সম্পর্কে খ্যাতিমান ইউরোপীয় বুদ্ধিজীবি ও ঐতিহাসিকদের কিছু মূল্যায়ণ এ বিষয়ে তুলে ধরা প্রাসঙ্গিক মনে করছি।
“পঞ্চদল শতাব্দীর বহু পুরোহিত তাদের পূর্বসুরীদের মত জীবনযাপন করত-একথা মেনে নিলেও এটা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই যে, হাজার হাজার পুরোহিত মঠবাসী সন্ন্যাসীর জীবন নৈতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কলঙ্কে ভরপুর ছিল। এমন কি যাজক শ্রেণীর লোকও উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার প্রয়োজনে ধর্মীয় মত পর্যন্ত বিশ্রীভাবে বিকৃত করতো। প্রকৃত অর্থে পোপ ছিলেন যীশু বিরোধী। তার হাতে ধর্মের অধঃপতন ঘটে। পোপের হাতে ধর্ম শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়। ধর্ম হয়ে পড়ে ইতালীয় রাজ কুমারদের লাম্পট্য, বিলাসিতা ও স্বার্থপরতা চরিতার্থ করার মাধ্যম।” (Edward Eyre:European Civilization IV P-139).
“একজন মঠ অধ্যক্ষ একবার রোমে গেলে পোপ ও কার্ডিনালদেরকে মোটা অঙ্কের দক্ষিণা দিতে হত। এর বিনিময়ে পরবর্তী নির্বাচনে তার মঠ অধ্যক্ষ পদ লাভ করা সুনিশ্চিত হত।” (James Hastings : Encyclopedia of Religion and Ethics).
“বহু মঠবাসী সন্ন্যাসী জুয়া খেলে, সরাইখানায় যাতায়াত করে, তলোয়ার সঙ্গে রাখে, টাকা পয়সা সঞ্চয় করে, যৌন অপরাধ করে, মদ পান করে এবং দুনিয়ায় আসক্ত ব্যক্তিদের চেয়ে বেশী পরিমাণ দুনিয়াদার হয়ে গেছে।” (Will Durant: The Story of Civilization).
“ক্রমাগতভাবে বিপুল অর্থ আদায়ের কারণে রোমের পোপকে অধস্তন যাজকগণ ঘৃণা করত। আবার স্থানীয় যাজকদেরকে একই কারণে জনগণ ঘৃণা করত। এ ঘৃণা এতই তীব্র ছিল যে, ১৫০২ সালে ইরেসমাস লিখেন যে, সাধারণ মানুষের অবস্থা এমন দাড়ায় যে, তাদেরকে কেউ মঠবাসী বলে ডাকলে তারা নিজেদেরকে অপমানিতবোধ করতো। এ সময় সাধারণ ও নিম্ন শ্রেণীর মানুষেরা ভীষণ দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করত, অথচ পাদ্রী জীবন ছিল প্রাচুর্যে ভরপুর। তাদের ছিল বহুসংখ্যক শিকারী বাজপাখী, কুকুর, জমকালো অনুচরবর্গ ও সুসজ্জিতা মহিলা সঙ্গিনী।”(The Cambridge Modern History).
Drapper তার Science and Religion গ্রন্থে লিখেন, “তাদের(যাজকদের) টেবিলগুলো ছিল স্বর্ণখচিত। রূপার বাসন-কোসন ছিল মণি-মুক্তা খচিত। তাদের চতুর্দিকে থাকত মূল্যবান পোষাক পরিচিত অনুচরবৃন্দ। যৌন ক্ষুধা উদ্রেকের জন্য পাশে থাকত অর্ধউলঙ্গ বালিকা দল। যে শহরগুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক যাজক বসবাস করত, সে শহরগুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক বেশ্যাদের আড্ডা দেখা যেত।”
বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার ও খৃস্টধর্মের বিকৃতবিশ্বাস সাংঘর্ষিক হয়ে পড়লো। বিজ্ঞানীরা ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করতে লাগলো। এতে গীর্জা ক্রুদ্ধ হয়ে পোপদের মাধ্যমে ইনকুইজিশন কোর্ট স্থাপন করে বিজ্ঞানী ও খৃস্টধর্মের সমালোচকদের নিষ্ঠুর পন্থায় মৃত্যুদন্ড দিয়ে হত্যা করতো লাগলো। প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী ব্রুনোকে তাঁর “বহু জগত” সম্পর্কিত মতবাদের জন্য একই কায়দায় জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। হত্যা করা হয়েছিল খ্যাতনামা বিজ্ঞানী গ্যালিলিওকে। এক হিসেব মতে জানা যায়, এসব কোর্টে দন্ড পেয়েছিলো তিন লক্ষ ব্যক্তি। এদের মধ্যে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয় ৩২ হাজার।
এদিকে গীর্জা আরোপিত নিত্য নতুন করভারে জনগণ অতীষ্ঠ হয়ে উঠলো। তাদের দুর্ভোগ বেড়েই চললো। আবার পাদ্রীদের গোপন পাপাচারের কাহিনী ফাঁস হতে লাগলো। পাদ্রীর পোশাকের আড়ালে যে লাম্পট্য চলছিলো তার নগ্নরূপ দেখে বিদ্রোহী হয়ে উঠলো জনগণ। একপর্যায়ে এসে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চাকারী শিক্ষিত সম্প্রদায় গীর্জার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলো। গীর্জার সাথে যা কিছু সংশ্লিষ্ট সবকিছু তারা বর্জন করতে লাগলো-গীর্জার ধর্মবিশ্বাস ও শিক্ষা, গীর্জার শিখানো বিকৃত বিজ্ঞান সব। খৃস্টবাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া এ শত্রুতা পরে ধর্মের বিরুদ্ধেই চলে গেল। বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদের নেতৃবৃন্দের সাথে খৃস্টবাদের তথা ‘সেন্টপলের’ ধর্মের নেতৃবৃন্দের লড়াই শেষ পর্যন্ত সাধারণভাবে বিজ্ঞান ও ধর্মের লড়াইতে পরিণত হলো।
দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে এসব বিপ্লবীরা তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের জ্ঞান ছিল না। খৃস্টধর্মের নামে যাজকদের বাড়াবাড়ি ও যথেচ্ছারকেই তারা ধর্ম ভেবেছিল এবং সার্বিকভাবে ধর্মের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিল। ধর্মযাজকদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ও অপরিণত চিন্তাশক্তি তাদেরকে ধর্মের প্রতি ন্যায়ানুগ মনোভাব প্রদর্শন করতে বাধাগ্রস্ত করেছে। এভাবেই ব্যাপকভাবে সৃষ্টি হয় ধর্মদ্রোহী শ্রেণী তথা নাস্তিকতাবাদের। এই নাস্তিকতাবাদ কখনো বস্তুবাদ, কখনো সেকুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ আবার কখনো বা সোশ্যালিজম বা কম্যুনিজম এর নামে যুগে যুগে পথভ্রষ্ট করেছে অসচেতন মানুষকে।
চলবে.......
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৩ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাজকবাদ এর বিরোধিতা মুক্তচিন্তা আখ্যা দিয়ে নাস্তিকতার সৃষ্টি ও একদল সুবিধাবাদিরাই করেছে।
আর
খ্রিষ্টান ধর্মের সাথে বিজ্ঞান সাংঘর্ষিক হলেও বা তারা মনে করলেও ইসলামের সাথে বিজ্ঞান কখনই সাংঘর্ষিক নয়। বরং বিজ্ঞানের যত অগ্রগতি হবে ইসলামকে বুঝতে-জানতে ততো সহজ হবে।
চালিয়ে যান। ভালো লাগছে ইতিহাস জানতে ভালো লাগে
মন্তব্য করতে লগইন করুন