মহাকবি ও দার্শনিক স্যার আল্লামা ইকবালঃ একজন ক্ষণজন্মা বিশ্বব্যক্তিত্ব
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১২:১২:৪৩ দুপুর
‘আরব আমার, ভারত আমার, চীনও আমার-
নহে তো পর-
মুসলিম আমি,- জাহান জুড়িয়া
ছড়ানো রয়েছে আমার ঘর।’
ভিনদেশী ইংরেজদের শোষনের মাঝে নির্ভীক চিত্তে এমন সাহসী উচ্চারণের হিম্মত আর কয়জনের আছে? এমন অসীম সাহসের পরাকাষ্ঠা যিনি দেখিয়েছেন তিনি জগদ্বিখ্যাত দার্শনিক, মহাকবি স্যার ড. আল্লামা মুহম্মদ ইকবাল। প্রকৃত অর্থে ড. আল্লামা ইকবাল ছিলেন একজন বহুমুখী প্রতিভার বিরল ব্যক্তিত্ব যিনি ছিলেন একাধারে মহাকবি, বিশ্বনন্দিত দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ও আইনজীবি (ব্যারিস্টার)।
“আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ত্বও ড. আল্লামা ইকবাল এর চিন্তার ফসল”-একথা বললে অত্যুক্তি হবে না। কারণ তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ।
১ ৯৩৭ সালের ২১শে জুন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে এক চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি যেভাবে প্রস্তাব করছি সেভাবে পুনর্গঠিত মুসলিম সংখ্যাগুরু প্রদেশসমূহের একটি পৃথক যুক্তরাষ্ট্রই হল একমাত্র উপায়, যদ্বারা একটি শান্তিপূর্ণ ভারত গড়ে উঠতে পারে এবং সাথে সাথে অমুসলিম আধিপত্য থেকে মুসলিম সম্প্রদায়কে রক্ষা করা যেতে পারে। উত্তর পশ্চিম ভারত এবং বাংলার মুসলমানদেরকে কেন একটি স্বতন্ত্র জাতিরূপে স্বীকৃতি দেয়া হবে না-যাতে তারা ভারতের এবং ভারতের বাইরের অন্যান্য জাতিসমূহের ন্যায় আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার পেতে পারে?’ এ উদ্ধৃতিতে তিনি যে বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্যও একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার কথা বলেছিলেন তা নিশ্চয় বুঝা যায়।
মুসলিম লীগের এলাহাবাদ অধিবেশনে ১৯৩০ সালের ২৯শে ডিসেম্বর সভাপতির ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চাই যে-পাঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু ও বেলুচিস্তান একটি রাষ্ট্রে পরিণত হউক। পৃথিবীর এই অংশে বৃটিশ সাম্রাজ্যের ভিতরে হোক বা বাইরে হউক-অন্ততপক্ষে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে একটি মুসলিম রাষ্ট্র সংগঠনই আমার মতে মুসলমানদের শেষ নিয়তি।’ এই মত অনুযায়ীই পরবর্তীকালে পাকিস্তান রাষ্ট্র জন্মলাভ করে। এ জন্য তাঁকে পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা ও রূপকার বলা হয়।
ইকবাল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোট নামক স্থানে ১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শেখ নুর মোহাম্মদ এবং মাতার নাম ইমাম বীবী। কবির পিতা মাতা উভয়ই অত্যন্ত দ্বীনদার ও পরহেজগার মানুষ ছিলেন। কবির পূর্বপুরুষগণ কাশ্মীরবাসী সাপ্রু গোত্রীয় ব্রাহ্মণ পন্ডিত ছিলেন। তাঁরা সুলতান জয়নুল আবেদীন ওরফে বুদ শাহ(১৪২১-১৪৭৩ খৃ) এর রাজত্বকালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁর দাদা শিয়ালকোটে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
কবির পিতা শেখ নূর মোহাম্মদ উচ্চশিক্ষিত কোন মানুষ ছিলেন না কিন্তু তিনি একজন স্বনামধন্য পন্ডিত ছিলেন। যার কারণে শামসুল উলামা সৈয়দ মীর হাসান তাঁকে(কবির পিতাকে) অশিক্ষিত দার্শনিক উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।
ছাত্র হিসেবে ইকবাল ছিলেন প্রচন্ড মেধাবী। ১৮৮৮, ১৮৯১ ও ১৮৯৩ সালে যথাক্রমে প্রাথমিক বৃত্তি, নিম্ন মাধ্যমিক বৃত্তি ও প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে তিনি স্বর্ণপদক ও মাসিক বৃত্তি লাভ করেন। ১৮৯৩ সালে স্কচ মিশন স্কুল কলেজে উন্নীত হলে ইকবাল এখানে এফ. এ. শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৮৯৫ সালে অনুষ্ঠিত এফ.এ. পরীক্ষাতেও তিনি প্রথম বিভাগে পাস করেন এবং যথারীতি বৃত্তিসহ স্বর্ণপদক লাভ করেন।
১৮৯৫ সালে তিনি শিয়ালকোট হতে লাহোরে এসে লাহোর সরকারী কলেজে বি.এ ভর্তি হন। ইকবাল যখন বি.এ পড়ার জন্য পিতার নিকট অনুমতি চাইলেন তখন তাঁর পিতা তাঁকে বলেছিলেন, ‘ছাত্র জীবন শেষ করার পর অবশিষ্ট জীবন ইসলামের খিদমতে ওয়াকফ করে দিতে হবে।’হ্যাঁ, তিনি তাতেই রাজী হয়েছিলেন। আর সত্যি সত্যিই তাঁর সারাটা জীবন ইসলামের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।
১৮৯৭ সালে তিনি আরবী ও ইংরেজিতে সমগ্র পাঞ্জাবে প্রথম স্থান নিয়ে বি.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। যে কারণে তিনি এবার দুটি স্বর্ণপদক লাভ করেন। এরপর ১৮৯৯ সালে দর্শনশাস্ত্রে এম.এ পাস করেন। সাথে সাথে তিনি লাহোর ওরিয়েন্টাল কলেজে ইতিহাস ও দর্শনশাস্ত্রের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। এর সামান্য কিছুকাল পরই তিনি লাহোর সরকারী কলেজ ও ইসলামিয়া কলেজের ইংরেজি ও দর্শনশাস্ত্রের খন্ডকালীন সহকারী অধ্যাপক নিযুক্ত হন। এ সময়ে উর্দু ভাষায় অর্থশাস্ত্র সম্বন্ধে তাঁর সর্বপ্রথম পুস্তক রচনা করেন। তাঁর জীবন ছিল ছকে বাঁধা। এ সম্বন্ধে ইসলামী বিশ্বকোষ লিখেছে, “তিনি ভোরে ওঠে ফজরের সালাত আদায় করতেন, অতঃপর উচ্চস্বরে কোরআন তিলাওয়াত করতেন। তারপর কিছুক্ষণ শরীরচর্চা করতেন এবং কিছু না খেয়ে কলেজে যেতেন। দুপুরে বাড়ি ফিরে আহার করতেন। অনেক সময় গভীর রাতে ওঠে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতেন। একবার তিনি একাধারে দুই মাস এই রাত্রিকালীন সালাত আদায় করেন।’
১৯০৫ সালে তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মানসে লন্ডন গমন করেন। কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি দর্শনশাস্ত্রে এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। এ সময় তিনি শিক্ষক হিসেবে পান বিশ্ব খ্যাত দার্শনিক ডঃ এম সি ট্যাগার্টকে। এরপর তিনি পশ্চিম ইউরোপ ভ্রমণে বের হন। শেষে জার্মানীর মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারস্যের দর্শন শাস্ত্র বিষয়ক ‘Development of Metaphysics in Persia’ শীর্ষক গবেষণার জন্য সন্দর্ভ লিখে ১৯০৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। এরপরের বছর লিংকন ইন হতে ব্যারিস্টারী পাস করেন। ১৯২২ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁর সাহিত্যকীর্তির জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ ‘নাইট’ খেতাবে ভূষিত করেন। এরপর থেকে তিনি স্যার মুহাম্মাদ ইকবাল নামেই সর্বত্র পরিচিত হন।
ছাত্রাবস্থায় ১৮৯৬ সালে শিয়ালকোটের এক কবিতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাঁর কবি প্রতিভার বিকাশ লাভ করতে শুরু করে। এরপর তিনি বেশ কিছু কবিতা লিখে হায়দারাবাদের প্রখ্যাত কবি দাগের নিকট পাঠিয়ে দেন সংশোধনের জন্য। কবি দাগ কিশোর কবির এ কবিতাগুলি পেয়ে মনোযোগ সহকারে পড়েন ও চমৎকার একটি মন্তব্য লিখে পাঠান। কবি দাগ লিখেছিলেন, ‘এ কবিতাগুলি সংশোধন করার কোন দরকার নেই। এগুলো কবির স্বচ্ছ মনের সার্থক, সুন্দর ও অনবদ্য ভাব প্রকাশের পরিচয় দিচ্ছে।’
১৯০১ সালে তিনি ছোটদের জন্য লেখেন-মাকড়সা ও মাছি, পর্বত ও কাঠবিড়ালি, শিশুর প্রার্থনা, সহানুভূতি, পাখীর নালিশ, মায়ের স্বপ্ন প্রভৃতি কবিতা।
এরপর তিনি দু’হাতে অসংখ্য কবিতা লিখেছেন। তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু ছিল, ‘স্বদেশপ্রেম, মুসলিম উম্মাহর প্রতি মমত্ববোধ, মুসলমানদের হারানো অতীত ঐশ্বর্য্য এবং ঐতিহ্যের স্মৃতি এবং বর্তমান হতোদ্যম মুসলমানের প্রতি নব জাগরণের উদাত্ত আহবান, ইসলামের শ্বাশত আদর্শে তাওহীদভিত্তিক বিশ্বরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, জাতির উত্থান-পতন, দলীয় কলহ ও অন্তর্দ্বন্ধ নিরসন প্রভৃতি বিষয় কবিতায় স্থান পেতো। স্বকীয় আদর্শের সন্ধানে যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।’
নানামুখি প্রতিভার অধিকারী এ মহান ব্যক্তিত্ব তাই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সর্বমহল হতে অকুন্ঠ সম্মান অর্জন করেন। মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের একজন হিন্দু অধ্যাপক বলেছিলেন, “মুসলমানগণ ইকবালকে লক্ষবার তাঁদের সম্পদ বলে দাবি করতে পারেন। কিন্তু তিনি কোন ধর্ম বা শ্রেণীবিশেষের সম্পদ নন-তিনি একান্তভাবে আমাদেরও।’’
লাহোর সরকারি কলেজে মুহাম্মাদ ইকবাল কিছুকাল অধ্যাপনা করেন। ১৯২৭ সালে তিনি পাঞ্জাব আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এ থেকে বুঝা যায় যে, তিনি কেবল জ্ঞান এবং গবেষণার ক্ষেত্রে নয়, সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবনেও বিশেষ সক্রিয় ছিলেন। ১৯৩০ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগ সংগঠনের বার্ষিক অধিবেশনে মুহাম্মদ ইকবাল সভাপতিত্ব করেন।
ইকবাল তাঁর সাধনা ও জ্ঞানচর্চা করেন প্রধানত উর্দূ ও ফারসী ভাষায়। তাঁকে মুসলিম পুনর্জাগরণের কবি বলে আখ্যায়িত করা হয়। মুসলমানের স্বাতন্ত্র্য, শক্তি ও স্বাধীনতার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ইকবালের ঐকান্তিক প্রয়াসের জন্য তাঁকে পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত ‘মুসলিম রাষ্ট্র’ পাকিস্তানের ভাবজনক বলে আখ্যায়িত করা হতো।
ইকবালের প্রধান দার্শনিক রচনা হিসাবে তাঁর ‘The Reconstruction of religious thought in Islams” গ্রন্থটি অনেক বিখ্যাত। এই গ্রন্থে কবি বলেছেন, সামাজিক ক্ষেত্রে মুক্তি এবং অগ্রগতির জন্য ইসলামকে অবশ্যই গোঁড়ামি এবং অতীতের অবাস্তক শেকল থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে।বর্তমানের মুসলমানকে অতীতের বিধান বিচার করে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতে অগ্রসর হওয়ার পথ নির্ণয় করতে হবে। ‘জাবিদনামাকে’ তাঁর প্রধান কাব্যিক সৃষ্টি বলে মনে করা হয়। স্যার মুহাম্মাদ ইকবাল ২১ এপ্রিল, ১৯৩৮ সালে লাহোরে পরলোকগমন করেন।
১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয় ফারসী ভাষায় রচিত ‘জাবীদ নামা’ বা অমর লিপি কাব্যগ্রন্থটি। এমনিভাবে একের পর এক তাঁর কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থগুলি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে অসংখ্য সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। সম্ভবত তিনি প্রাচ্যের সেই ভাগ্যবান কবি ব্যক্তিত্ব যার রচনা এত ব্যাপকভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত ও প্রকাশিত হয়েছে। সত্যিই যদি বিশ্বকবি বিশেষণে কাউকে বিশেষিত করতেই হয় তবে সে সম্মানের অধিকারী নিঃসন্দেহে কবি আল্লামা ইকবাল। কবি নিজেও ছিলেন বহু ভাষাবিদ পন্ডিত। তিনি উর্দু, ফারসী, ইংরেজি প্রভৃতি ভাষায় লেখনি চালিয়েছেন।
এ ক্ষণজন্মা বিশ্বব্যক্তিত্ব ১৯৩৮ সালের ২১শে এপ্রিল মহাপ্রভু সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান।
স্যার ড. আল্লামা ইকবাল একজন সারাবিশ্বে নন্দিত একজন বিশ্ববরেণ্য ক্ষণজন্মা মহাকবি, দার্শনিক, বহুভাষাবিদ পন্ডিত, আইনজীবি ও শিক্ষক। তাঁর দর্শন ও সাহিত্য পঠিত হয় বিশ্বের খ্যাতনামা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর জীবন, কর্ম, সাহিত্য ও দর্শনের ওপর গবেষণা হচ্ছে প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বের প্রথিতযশা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। অথচ আমাদের দেশ আজ অজ্ঞাত কারণে এ ক্ষণজন্মা মনীষী উপেক্ষিত আজ সর্বত্র। তার প্রমাণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের নাম পরিবর্তন করে জহুরুল হক নামকরণ করা, পাঠ্যতালিকা হতে তাঁর রচনা ও জীবনী বাদ দেয়া। এ হীনমন্যতা হতে বেরিয়ে আমাদেরও সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে, ইকবালের অসামান্য সাহিত্যকর্ম ও জীবনীর সাথে নতুন প্রজন্মের পরিচিতি ঘটাতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ
১। আল্লামা ইকবাল-মুহাম্মদ আবু তাহের সিদ্দিকী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ;
২। দর্শনকোষ-সরদার ফজলুল করীম;
৩। সেরা মুসলিম মনীষীদের জীবনকথা- নাসির হেলাল;
৪। উইকিপিডিয়া।
বিষয়: সাহিত্য
৩৫২৮ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুসলিম হ্যায় হাম,
সারা জাহানমে হামারা,
এর আরব হামারা চিন হামারা, পাকিস্থান হামারা।
হ মেরি দুনিয়াকোঁ গারিবকো জাগাদো-
কাঁখে উমারাকি দরো; দিউয়ার হিলাদো-
জিস ক্ষেত সে ময়সার নাহো রুজি
উস ক্ষেতসে হরগন্দম খোসাকো জ্বালাদো।
চীন ও আরব হামারা
হিন্দুস্থান হ্যায় হামারা,
মুসলিম হ্যায় হাম সব,
আওর ওয়াতান হায়
সারা জাহা হামারা
"ফেরেস্তা কি লিয়ে ফরমান"
"ফেরেস্তা কি লিয়ে ফরমান এ খোদা"
সারা জাহান হামারা’ সাইফুল্লাহ মানসুরের কণ্ঠে গাওয়া গানটি আমার আছে প্রায় সময় শোনা হয়।
করো ঈমানের আগুনে তপ্ত গোলামী খুন
বাজের সমুখে চটকের ভয় ভাঙিয়ে দাও।
ঐ দেখ আসে দুর্গত দীন দুখীর রাজ!
পাপের চিহ্ন মুছে যাও,ধরা রাঙিয়ে দাও।।
কিষান-মজুর পায় না যে মাঠে শ্রমের ফল
সে মাঠের সব শস্য কনায় আগুন লাগিয়ে দাও।
স্রষ্টা আর সৃষ্টির মাঝে কেন আড়াল?
মধ্যবর্তী মোল্লাকে আজ হাঁকিয়ে দাও...
(অনুবাদ ফররুখ আহমদ)
এই কবিতাটি বাংলায় গিতি রুপ দিয়ে জহির রায়হান এর "জিবন থেকে নেয়া" ছায়াছবিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
অনলাইন সাহিত্য পরিষদ
'শীতকালীন কবিতা উৎসব'।
কবির সাক্ষাৎকার নেবার সুবর্ণ সুযোগ পেলন এক সাংবাদিক৷ নিজেকে ধন্য মনেকরে যথা সময়ে উপস্থিত হলেন৷ সাংবাদিকের ধারণাছিল একজন বিখ্যাত দার্শনিক, তাঁর লাইব্রেরী ঘর, নিশ্চয়ই বিভিন্ন গ্রন্থে ভরা হবে৷ কিন্তু গিয়ে দেখলেন সেখানে তেমন কিছুই নেই৷ সাক্ষাতকার শুরু হল৷ এক পর্যায়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, আপনার দর্শণের উৎসকি যদি জানাতেন৷ আ্লামা সেলফ থেকে কোরআন আনতে বললেন৷ সাংবাদিক অবাক হলেন৷ একজন দার্শনীকের কোরআনে কি প্রয়োজন৷ যাইহোক৷ কোরআন এনে দিলেন৷ কোরআনের একটি আয়াত দেখিয়ে (সম্ভবতঃ সুরা হাশর, ঠিক মনে নেই) বললেন, এটিই আমার দর্শনের একমাত্র উৎস৷
জাযাকাল্লাহ খাইর ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন