এবার তোরা মানুষ হ

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ০৮ জানুয়ারি, ২০১৩, ১০:১০:৩৯ সকাল



ছবিটি একটু ভালভাবে দেখুন। ০৬/০১/২০১৩ ইং এর হরতালে বাপের বয়সী এই ভদ্রলোককে মাটিতে শুইয়ে পিটাচ্ছে পুলিশ।

এরা নাকি জনগণের বন্ধু। কিন্তু আমি ভাবছি- এরা কি আসলেই মানুষ? পুলিশতো এত খারাপ কোনকালেই ছিলনা।

এইবার দেখুন ছাত্রলীগ নেতারা কত বড় ছ্যাচড়া।

মোবাইল চোর ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকে গণধোলাই, পুলিশে সোপর্দ-মোবাইল চুরির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়েছে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম শ্যামল। তিনি ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষা ও পাট চক্রবিষয়ক উপ-সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের ২৫২ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্র। গতকাল গণধোলাই শেষে শিক্ষার্থীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দু’মাস আগে হলের ২৫৯ নম্বর কক্ষের ছাত্র জাকিরের মোবাইল চুরি হয়। ওই ঘটনার পর সে থানায় জিডিসহ সিআইডি অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করে। সিআইডি গতকাল ফোন ট্র্যাক করে শ্যামলকে শনাক্ত করে। এরপর শ্যামল ওই মোবাইল ফেরত দেয়। তবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একাধিক মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে তাকে গণধোলাই দেয়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।


এইবার পড়ুন নিচের সংবাদটি। বিরোধী দলের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্র তৈরির জন্য এসএম হলের সামনে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তাঁর ছবি তুলতে গেলে ফটোসাংবাদিকদের পিটিয়ে পুলিশে দিল তাঁরা।

সাংবাদিকদের পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল ছাত্রলীগ : রয়টার্স, প্রথম আলো, নিউএজ ও বাংলা নিউজের ফটো সাংবাদিক শাহবাগ থানায়।



আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গুম আর হত্যা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি নেতাকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিয়ে হত্যা।

বিএনপি নেতাকে গুম করে খুন : র্যাবের অস্বীকার :হাতকড়া লাগানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার হাতকড়ায় ‘পুলিশ’ শব্দটি খোদাই করে লেখা ছিল।

এইবারের ঘটনা একেবারেই ন্যক্কারজনক। আওয়ামীলীগ নেতা হিন্দু গৃহবধুকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, জানাজানি হয়ে যাওয়ায় পরিবারটিকেই দেশছাড়া করে ছাড়লেন। কিন্তু আমাদের মিডিয়া এ ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চুপ। মানবাধিকার কমিশন এর চেয়ারম্যান ও কিছু বলেননা। আর নারীনেত্রীদের মুখেও রা নেই। আজ যদি এই ঘটনা বিএনপি সরকারের সময় ঘটত তখন এদের ভূমিকা কি হত একবার ভেবে দেখুনতো?

ধর্ষণের পর পরিবারটিকে দেশছাড়া করলেন বাগেরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক শেখ মাহফুজুর রহমান। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শেখ মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর বিষয়টি যেন জানাজানি না হয় এ জন্য ওই গৃহবধূর পুরো পরিবারকে দেশছাড়া করেছেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী দাবি করেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য হওয়ায় তাদের মধ্য আতঙ্ক আরও বেশি। চেয়ারম্যানের হুমকিতে গৃহবধূর পুরো পরিবার ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গোটা বাগেরহাটে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ওই জনপ্রতিনিধির ভয়ে গোটা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এখন চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে প্রশাসন, মানবাধিকার সংগঠন, কমিউনিটি লিডার বা নারীবাদী সংগঠনের কোনো কর্তাব্যক্তি টুঁশব্দটিও উচ্চারণ করেননি। তবে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার খোন্দকার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তিনি জানতে পেয়ে কচুয়া থানার ওসিকে নির্যাতনের শিকার পরিবারটিকে খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। কচুয়া থানার ওসি জি জি বিশ্বাস জানান, তিনি পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়েছেন। পরিবারটিকে খুঁজে পাচ্ছেন না। পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
I Don't Want To See I Don't Want To See I Don't Want To See



আওয়ামীলীগ/ছাত্রলীগ/যুবলীগ এর প্রতি এইবার একটাই কথা। অনেক হয়েছে, আর নয়। এবার তোরা মানুষ হ।

বিষয়: বিবিধ

১২৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File