শফিক রেহমান এর অসাধারণ একটি লেখা পড়লাম আজ
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৫৩:৫৫ সকাল
শফিক রেহমান! নিছক একটি নাম নয় শুধু, একজন জীবন্ত কিংবদন্তী। তাঁর মত ও বিশ্বাস এর সাথে আমার মত ও বিশ্বাসের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। ব্যক্তিজীবনে তাঁকে নাস্তিক বলেই জানি। তবে তাই বলে তাঁকে অশ্রদ্ধা করিনা। কারণ নাস্তিক হলেও তিনি সেটা জোর করে চাপাতে চাননি কারো উপর। তিনি গালি দেননি আমার মত কোটি কোটি বিশ্বাসী মানুষকে। হালের নাস্তিক নামের চরম ভন্ড অসভ্যদের মত বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের নয়নমনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে কোন কটু কথা বলেননি ।
তাঁকে আমি অশ্রদ্ধা করিনা, যদিও তিনি বাংলাদেশ এ ভ্যালেন্টাইনস ডে এর মত অপসংস্কৃতি চালু করেছেন। হয়তো তিনি ভালো অর্থেই ভালোবাসার বাণী প্রচার করতেই ভালোবাসা দিবস প্রচলন করেছেন। তবে বাঙ্গালী ভালোবাসা বলতে ফস্টিনস্টিকেই বুঝল।
সাংবাদিকতার পরিচয় এর আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে তাঁর আসল পরিচয়। একজন ডাকসাইটে চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট তিনি। এই পেশার একজন হয়ে আমি নিজেও গর্ববোধ করি। দেশের সবচেয়ে নামকরা সি এ ফার্ম, রহমান রহমান হক এর পার্টনারও ছিলেন তিনি, যে ফার্মের পার্টনার ছিলেন বাংলাদেশ এর সবচেয়ে সফল অর্থমন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমান।
যায় যায় দিন এর মাধ্যমে স্বৈরাচার এর বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন, অনেক ভুগতেও হয়েছিল এজন্য তাঁকে। একসময় যায় যায় দিন কে দৈনিকে পরিণত করেন কিন্তু শকুনিরা ফাঁদে ফেলে যায় যায় দিন এর মালিকানা কেড়ে নেয় শফিক রেহমান হতে। এখন মৌচাকে ঢিল নিয়েই আছেন। এই বৃদ্ধ বয়সেও ক্লান্তি নেই । লেখালেখি করে যাচ্ছেন। সাথে জনপ্রিয় টকশো লাল গোলাপ তো আছেই।
ধান ভানতে অনেক শীবের গীত হয়ে গেল। যা বলছিলাম, আজকে তাঁর লেখাটা নিয়ে। আমার মনে হল, একটি কালজয়ী অসাধারণ লেখা পড়েছি। যখন সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে ফ্যাসিজম ও ঘৃণার রাজনীতিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, গৃহযুদ্ধের উস্কানি দেয়া হচ্ছে এবং দলকানা মিডিয়াসমূহ সেখানে নির্লজ্জ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখন শান্তির ললিত বাণী নিয়ে শফিক রেহমান তাঁর অসাধারণ লেখাটি উপহার দিলেন। লেখাটিতে অসাধারণ যুক্তি আছে, শান্তির বার্তা আছে, ভালোবাসার পরশ আছে। আসুন সবাই পড়ি লেখাটি এবং শেয়ার করি।
মঞ্চে উপস্থিত গুণীজন এবং সামনে উপস্থিত সুধীজন, সাংবাদিকজন ও ক্যামেরাজন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিনের কয়েকদিন পরে হলেও, আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে গভীর ভালোবাসা এবং সেই সঙ্গে শ্রদ্ধা।
এখন বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সাম্প্রতিক বহিঃপ্রকাশে সমাজের একাংশের কালেকটিভ সহিংসতা, নির্মমতা ও রূঢ়তার প্রতিফলন ঘটছে।
কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে, ঘৃণার চাইতে ভালোবাসার বাণী ভালো। হিংসার চাইতে অহিংসার আন্দোলন কাম্য। নির্মমের চাইতে মমতাময় আচরণ কাঙ্ক্ষিত। রূঢ়তার চাইতে নম্র ব্যবহারই সভ্য। এবং আরও ইম্পোরট্যান্ট হলো প্রতিশোধের চাইতে ক্ষমা এবং প্রতিহিংসার চাইতে দয়া—মানব সভ্যতার এই দুটি ধাপ পেরুনো। আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, এই সভ্যতার অস্তিত্ব বজায় রাখতে এবং তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দরকার যুদ্ধ নয়, দরকার শান্তি। যুদ্ধের কুিসত হুঙ্কার-স্লোগান মানুষ শুনতে চায় না—মানুষ শুনতে চায় শান্তির ললিত বাণী।
বিষয়: বিবিধ
১৬১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন