ব্লগার ভাইদের উদারতা দেখলাম, এবার বোনদের উদারতার পরিচয় চাই
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ২৯ মে, ২০১৪, ১০:৪৭:৩৩ সকাল
আমরা পুরুষ জাতি যথেষ্ট উদার মনোভাবসম্পন্ন। আমরা নারী জাতিকে সম্মান করি। তাঁদের কষ্ট হৃদয় দিয়ে অনুভব করি। নারী নির্যাতন নিয়ে আমরা সরব।
নারী পুরুষ মিলেইতো মানুষ, তাইনা?
কবি নজরুল ইসলামের ভাষায়,
পৃথিবীর যা সৃষ্টি চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
আমরা পুরুষজাতি সেটা স্বীকারও করি। এ ব্লগটাই তার প্রমাণ। নারী নির্যাতন এর বিরুদ্ধে আমরা লিখি। নারীদের প্রতি পুরুষদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত- এটা আমরা ফিল করি। বউদেরকে ঘরের কাজে সহযোগিতা করার জন্য স্বামীদের প্রতি আহবান জানিয়ে পোস্ট ও দিয়েছেন জনপ্রিয় ব্লগার সিটিজি৪বিডি(জামাল ভাই)।
বউরা আর কত কাজ করবে?...আসুন আমরাও তাদেরকে সাহায্য করি..............................
কিন্তু বিপরীতে ব্লগার বোনদের উদারতা পরিচয় পেলামনা। তাঁরা বরং পুরুষ জাতিকে খোঁচা দিয়েই আনন্দ পেয়ে থাকেন। যেমনঃ ব্লগার সাফওয়ানা জেরিন লিখেছেন-
ঘরের কাজে সাহায্য করা কি ছেলেদের জন্য মহাপাপ!
কই তিনি বা কোন আপুতো লিখলেননা যে,
স্বামীরা আর কত কাজ করবে, আসুন-----আমরাও তাঁদের সহায়তা করি।
ঘরে ঘরে যে পুরুষ নির্যাতন হয় তা নিয়ে কি নারীকূল কোন প্রতিবাদ করেছে আজ অবধি? কিন্তু নারী নির্যাতন এর প্রতিবাদে আমরা পুরুষ জাতি চিরকালই সোচ্চার। নারীরাও কিন্তু নারী নির্যাতনে এগিয়ে।
তো এবার ভাবুনতো, পুরুষ নারী নির্বিশেষে যদি শুধু পুরুষের সমালোচনা করে বেড়ায় আর নারীর প্রশংসা করে বেড়ায় তাহলে পুরুষজাতির অবস্থা কতটা শোচনীয়।
আমরা ব্লগার ভাইয়েরা পুরুষের প্রতি আমাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছি আমাদের লেখনীতে। কারণ আমরা নারীজাতিকে সম্মান করি।
এবার ব্লগার আপুদের পালা। আপনারা প্রমাণ করুন, আপনারাও পুরুষদের মত উদার, পুরুষদের সম্মান করেন, পুরুষদের সমস্যাগুলি হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন।
সকলকে ফুলের শুভেচ্ছা।
আপুরা রাগ করবেননা। চা বিস্কুট খেয়ে যাবেন।
বিষয়: বিবিধ
৩৬২৪ বার পঠিত, ১০৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিছু বুঝলেন?
যদি নারীদের বিষয়ে কিছু লিখি, আর তার মনপুত না হয়, তাহলে বাসায় অবস্থা....
আর যদি অন্যদিকে লিখি তাহলে বন্ধুরা তো আছেনই..........
সুতরাং......
আমরা চাই একটি সমাজ যেখানে কে বড় কে ছোট তার চাইতে দুজনের সমন্বয়ে একটি সুখী সমাজ দেখব। নিজেদের ভেতরের মানুষটির হিংসাকে মুছে দিয়ে আলিঙ্গনের সুর ভেসে আসবে। একে অন্যর উপর দোষারোপের চেয়ে সমাধানের দৃস্টিভঙ্গী নিয়ে মত প্রকাশ করবে। অন্যর সমস্যা নিজের মত করে দেখবো। সেটি সম্ভব বলেই আমরা আজ নারী পুরুষ পাশাপাশি ব্লগিং করি।
ধন্যবাদ।
এবার প্রিয় স্বামীকে নিয়ে ব্লগে প্রতিযোগিতায় আসা উচিত। মজুমদার ভাই এ দাবি তুলে ব্লগে পোস্ট দিন। আমরা সাথে আছি।
সুন্দর ভারসাম্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে আমি একটু অন্যরকম মেসেজ দিতে চেয়েছি।
সংসারী বউ
অসাধারন লিখছেন
ভাই
তয় এক্কাম কইরতে হারেন- হেইডা অইলো অন টেস্টে একবার বিয়া করে দেইখবার পারেন। মনে রাইখবেন একবার বিয়া করণের পর দু’খান ধইরা তওবা খাইবেন জীবনেও যেন আর বিয়ে শাদী করণের শখ না জাগে মনের মধ্য।
এটা নারী জাতি মানতে রাজি না যদিও নারী জাতিও পুরুষকে যথেষ্ট সম্মান করে পুরুষ জাতির প্রতি যথেষ্ট উদার মনোভাব আছে।
এটাই হচ্ছে নারী জাতির মূল সমস্যা!!!
নারী জাতির ধারনা হচ্ছে নারীরা-ই পুরুষ জাতির প্রতি যথেষ্ট উদার ও পুরুষকে যথেষ্ট সম্মান করে যা পুরুষরা নারীর প্রতি করেনা।
কোন সময়-ই নারীরা চিন্তা করে না যে একজন পুরুষ কত ত্যাগের বিনিময়ে একজন নরীকে তার প্রাপ্য সম্মান এবং সফলতায় পৌছে দেয়।যা কিনা একজন নারী অন্য একজন নারীর কাছে পাওয়াতো দুরের কথা আশাও করতে পাড়েনা।
আমি শত ভাগ শিউর যে আমার এই কথা কোন নারী মেনে নিবে না,কারন এই কথা মানতে গেলে পাঁজরের বাঁকা হাঁড় সোঁজা হয়ে যবে আর পাঁজরের বাঁকা হাঁড় ভাঙ্গা ছাড়া সোঁজা করা সম্ভব না কিন্তু ভাঙ্গা পাঁজরের হাড় নিয়ে কি আর জীবন চলবে?তাই সেটা বাঁকা রেখেই পুরুষ জাতিকে চলতে হবে। সোঁজা করার চেষ্টা করলেই ভেঙ্গে যাবে......
তবে চুপিচুপি।
বিশ্বের যত অনাসৃষ্টি চির অকল্যান কর
সবকিছু তার করিয়াছে... করেনাই কিছু নর।
সব তো ......
"ব্লগার ছেলে Vs ব্লগার মেয়ে"
দেখবেন দারুন জমবে।
আমি কিন্তু নারীবিদ্বেষী নই মোটেও। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভাল।
জ্বী, প্রকৃত অভাবীদের আমাদের সকলের দান করা উচিত। এটা করুনা নয়, তার প্রাপ্য হক। আমাদের বুঝা উচিত, আল্লাহ চাইলে আমাদেরও তেমন অসহায় বানাতে পারতেন।
ভিটামিন- এন.আর (নির্ঘূম রাত)
ভিটামিন- কে.এ. (খাজুরী আলাপ)
ভিটামিন- জে.ঝি. (ঝগড়া ঝাটি)
ভিটামিন- এম.এ. (মান অভিমান)
ভিটামিন- এস.ডি. (সুখ দুঃখ)
ভিটামিন- বি.টি.বি. (বাজারের থলে বহন)
সহ আরো অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে বিয়ে শাদীতে।
এত্তোগুলো ভিটামিনের ভারে চ্যাপ্টা হইবার আশংকা। হের লিগ্যা দু’খান ধইর্যা তৌবা কইরছি জীবনে আর কুনোদিন বিয়ে শাদী করুম না রে ভাই।
গ্যাঞ্জাম খান উপযুক্ত কমেন্টই করিয়াছেন বটে!
আরেক বিয়া করলে কি আর এতদিন গ্যাঞ্জাম পাকাইতে আস্ত থাকতেন? আপনারে আল্লাহ বাঁচাইছে ভ্রাতা।
উনারা সবসময়ই পেছনে থাকতে পছন্দ করেন , সামনে আসার সাহস তাদের নেই ।
দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করেন বিধায় উনারা '' যুক্তিতে না , কেঁদে জিততে চান''
আমি না ভাই, আমারে দোষ দিয়েন না, আমার একজন শ্রদ্ধেয় স্যার বলতেন, "আমি নারীদের শ্রদ্ধা করি, তারা যদি সেক্রিফাইস না করত, পুরুষরা একদিনও চলতে পারত না।"
আমার উনি যদি রান্নাবান্না আর অন্যান্য কাজ, বাচ্চাদের স্কুল-কোচিং আনা নেওয়া, তাদের সকালে, রাতে পড়ানো ইত্যাদি কাজ গুলো না করতেন, তাহলে ব্লগে যে মাঝে মধ্যে আসি তা আর আসা হতনা।
গৃহস্থালি কাজে সাহায্য করা সুন্নাত। যাদের পক্ষে সম্ভব, এই সুন্নাত আদায় করা উচিত। পেশাগত কারনে অনেকের পক্ষে হয়ত এটা সম্ভব হয় না। আর এটাও আপুদের বুঝতে হবে
তবে পড়ে গেলাম। আয়োজন ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ নিন।
সুতরাং আমরা যদি কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনকে পরিচালিত করি তাহলে পারিবারিক জীবন আভিশাপ না হয়ে আশীর্বাদ হবে। যে মোমেন নর-নারীর মধ্যে আল্লাহ্ ভীতি আছে এবং আল্লাহ্র সন্তুষ্টি যাদের কাম্য তারা অবশ্যই নিজের কর্মের জবাবদিহিতার জন্য সবসময়ই নিজেকে প্রস্তুত রাখবে। কারণ আসল সুখ ভোগে নয়, ত্যাগে। আর এজন্য প্রয়োজন পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, সহমর্মিতাবোধ, বিশ্বাস এবং ভালোবাসা। যা উভয়ের থাকা বাঞ্ছনীয়।
যা বলেছেন বা লিখেছেন তা মনে প্রানে বিশ্বাস করেন তো ? বাস্তবিকভাবে কাজে পরিনত করেন তো ?
আত্মবিশ্বাস তো আছে । সমস্যা তো নিজেকে নিয়ে নয় , নিজের সাথে তো কেউ বিট্রে করে না । যাকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করে সেই তো সমস্যা করে । যেমনটা সাঈদের জীবনে হয়েছিল ।
অন্যের উপর বিশ্বাস করাটাকে কি আত্মবিশ্বাস বলে ?
আপনাদেরকে বিশ্বাস করে যদি প্রতারিত হতে হয় তাহলে তাদেরকে হতভাগা বলেই
=======================
প্রমাণ করুন।
সর্বং সহা স্বামীদের একটু সহ্য করাই কর্তব্য।
ধন্যবাদ।
১। স্বামীরা আর কত কাজ করবে, আসুন-----আমরাও তাঁদের সহায়তা করি।- স্বামীদের কি কি কাজে স্ত্রীর সহযোগিতা প্রয়োজন?
২। পুরুষদের সমস্যাগুলি হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন।- পুরুষের কোন সমস্যাগুলো নারী হৃদয় দিয়ে অনুভব করে না বলে মনে হলো?
আমাদের একজন আপু ও তার হাজবেন্ডের ভিতর অলিখিত আইন- ঝগড়া, খুনসুটি হবে কিন্তু তা রুমের ভিতরেই থাকবে। আওয়াজ কম হবে। কোন ধরনের খাপার গালি দেয়া চলবে না, স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পিতা-মাতার ব্যাপারে কেউ কাউকে অভিযোগ করবে না। আর ঝগড়ার পর একবার আপু নিজ থেকে কথা বলে পরিবেশ স্বাভাবিক করে নেবে, আরেকবার আপুর হাজবেন্ড করবে (ঝগড়া যার কারণেই হোক না কেন)। এভাবে পালাবদল করে তারা ঠিকঠাক করে নেবে। এ পর্যন্ত তারা ওই নিয়ম মেনে চলছে। তাই মনে হচ্ছে দুজনের বুঝাপড়া যদি ঠিক মতো হয়, বুঝাপড়া করে নেয়া যায় তাহলে উভয়ে-উভয়কে সম্মান করবে, পারস্পরিক সমস্যাগুলো বুঝবে, একসাথে সমাধানের চেষ্ঠা করবে। অপ্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব পরায়নতা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে যদি না দেখায় তাহলে জীবন অনেক সহজ বলে মনে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন