নেই কাজতো খই ভাজ, চটি গল্পে টাইম পাস!
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ ওহিদুল ইসলাম ২৩ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:২৯:৫৭ দুপুর
কথায় বলে, নেই কাজতো খৈ ভাজ। আমাদের মন্ত্রী এমপিরা(!)ও মূলত খৈ ভাজায় ব্যস্ত। কাজতো নেই, কাজ করবেনই বা কার জন্য? জনগণতো আর ভোট দেয়নি। তাই সংসদে তারা চটি গল্পে টাইম পাস করেন। সায়া, ব্লাউজ তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু। প্রকৃত বিরোধী দলবিহীন সংসদে গৃহপালিত একটি আজব কিসিমের বিরোধী দলকে সঙ্গী করে অশ্লীল খিস্তি খেউড় আওড়ান প্রতিনিয়ত। তুই তোকারিতে রূপ নিয়েছে সংসদের সভ্য(!!) সাংসদদের ভাষা। এমনকি সংসদের বাইরে ও তাদের অশ্লীল, নোংরা ও আক্রমণাত্মক বাক্যবাণ অব্যাহত আছে।
সম্প্রতি লন্ডনে তারেক রহমান এর কয়েকটি বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। কি বলেছিলেন তারেক রহমান? তিনি কি কাউকে আক্রমণ করেছিলেন? তিনি কি কাউকে গালি দিয়েছেন? তিনি কি অশ্লীল খিস্তি খেউড় বর্ষণ করেছেন কিংবা চটুল বা সস্তা জনপ্রিয় ধরনের কোনো কথা বলেছেন? এর কোনোটিরই জবাব হ্যা নয়। মূলত তারেক রহমান যা বলেছেন সেটা ছিল ধ্রুব সত্যি, ইতিহাস সমৃদ্ধ, যুক্তি ও প্রমাণসমৃদ্ধ। কিন্তু সেই যুক্তি প্রমাণ এর বিপরীতে পাল্টা যুক্তি প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াতো ‘পারলে তারেক এর বক্তব্য খন্ডন করুন’ বলে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। কিন্তু যুক্তি খন্ডন এর রসদ কি সরকারের আদৌ আছে? সহজ উত্তর নেই। কিন্তু সদাচরণ যে সরকার এর স্বভাববিরুদ্ধ। তাই স্বভাব ও অভ্যাসবশত অশ্লীলতা ছড়ানো হচ্ছে।
দৈনিক আমাদের নাঙ্গলকোট, একটি সুন্দর পৃথিবীর জন্য
একটি রাষ্ট্রের ‘ড্রাইভিং সিট’ এক মুহুর্তও খালি রাখার অবকাশ নেই। যুদ্ধ ও আপদকালীন সময়ে এটা আরো বেশি প্রযোজ্য। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন.এফ. কেনেডি নিহত হওয়ার পর লিন্ডন বি.জনসনকে এয়ার ফোর্স ওয়ানে থাকা অবস্থাতেই প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ পড়ানো হয়।
বলাবাহুল্য, যুক্তি দিয়ে তারেক রহমান এর বক্তব্য খন্ডন করার কোনো সুযোগ আদৌ নেই। কারণ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে অস্বীকার করলে ২৬ শে মার্চ হতে ১৭ ই এপ্রিল পর্য্ন্ত সময়কালে ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা হয়, গুরুত্বহীন হয়ে যায় জাতির গৌরবের মহান স্বাধীনতা দিবস-২৬ শে মার্চ।
কথায় বলে ‘বেয়ারা লোক যুক্তি মানেনা চিল্লাইয়া জিততে চায়’। সরকারের বিভিন্ন অশালীন আক্রমণাত্মক বক্তব্যে মনে হচ্ছে ‘সরকার ও যুক্তি মানেনা অশ্লীলতা, নোংরামি আর হৈ চৈ করে জিততে চায়’।
জনগণ অবশ্য যা বুঝার বুঝে গেছে। ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক এটা না হয় আমরা মেনেই নিলাম কিন্তু তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি এটা আমরা মেনে নেবনা’ সুরঞ্চিত বাবুর এ বক্তব্যের বেশ তাৎপর্য্ রয়েছে বৈকি! তারেক রহমান মোক্ষম দাওয়াই দিয়েছেন বটে। এমন বুদ্ধিদীপ্ত ও স্মার্ট বক্তব্য হতে তারেক রহমান এটাও প্রমাণ করেছেন তিনি দেশকে সমৃদ্ধির পথে সঠিক নেতৃত্ব দেয়ার মত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও সুযোগ্য । সরকার দলীয় নেতারা তারেক রহমান এর বক্তব্য পাল্টা যুক্তি দিয়ে খন্ডন করতে না পারলেও যুক্তিহীন, লাগামহীন, অশ্লীল আক্রমণাত্মক বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন।
সরকারী নেতাদের এমন কিছু চরম অশ্লীল বক্তব্য আছে যেগুলো এখানে উল্লেখ করলে এ লেখাটিও চটি লেখায় রূপ নেবে। সেগুলো বাদ দিয়েও আরো কিছু বক্তব্যের নমুনা দেখি আমরা।
‘বেগম জিয়ার ভয়ঙ্কর ছেলে ইতিহাসের পন্ডিত হতে চায়।’ শাহজাহান খান।
‘তারেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে সরকার’- কাদের।
‘গন্ডগলের পাঁয়তারা করছেন মা-ছেলে’- নুরুল ইসলাম নাহিদ।
‘খালেদা পাকিস্তানী বলেই বর্ষবরণে যোগ দেননা’-মায়া।
‘বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে বিএনপি জামায়াত’- নূর।
এ সকল যুক্তিহীন প্রতিক্রিয়া চেঁচামেচিতে জনগণ ভাবছে –ধরণী ফাঁক হও, কল্লাটা হান্ধাই! সত্য কথা বলা সত্যিই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিতর্কের মাঝেই বেশ তাৎপর্য্ময় ও আতঙ্কিত হওয়ার মতে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। খবরে প্রকাশ, ঢাকার বিমানবন্দরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘RAW’ এর হাতে জিয়াউর রহমান ওয়াক্কাস নামের একজন আইএসআই এজেন্ট আটক। আমাদের দেশের বিমানবন্দরে ‘র’ অভিযান চালায়, এর চেয়ে ভীতির আর কি আছে? এটা কি সার্বভৌমত্বের চূড়ান্ত লঙ্ঘন নয়?
তবে এর পেছনের খবর হিসেবে যেটা শোনা যাচ্ছে সেটা আরো আঁতকে উঠার মতো। শোনা যাচ্ছে- যে লোকটিকে ‘র’ ধরে নিয়ে গেছে সে আসলে কোন জিয়াউর রহমান বা ওয়াক্কাস নামের কেউ নয়। সে একজন বাংলাদেশী প্রযুক্তিবিদ। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পেছনে মূলত কাজ করেছে বিদেশে একটি দামি প্রযুক্তি ডিল। যে কাজটি পেতে ভারতীয়রা চেষ্টা করেছে, কিন্তু বাংলাদেশী ঐ প্রযুক্তিবিদ তার যোগ্যতায় অর্জন করেছিল। এই ডিলটি কয়েক বিলিয়ন ডলারের। তাই ‘র’ নিজেদের সম্পৃক্ত করেছে।
http://www.onbangladesh.org/newsdetail/detail/200/73818
আর এসবের প্রতিবাদ করলেই RAW কর্তৃক পরোক্ষভাবে পরিচালিত এ দেশের মিডিয়াজগতের স্বঘোষিত মোড়ল দুইটি পত্রিকার কাছে সেটা হয়ে যায় অন্ধ ভারত বিরোধিতা।
আরেকটি খবরও আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি বৈকি! ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সুব্রাহ্মণিয়াম স্বামী বাংলাদেশের কাছে এক তৃতীয়াংশ ভূখন্ড দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত সমান্তরাল রেখা টেনে এই জমি ভারতের হাতে ছেড়ে দিক
তা বাপু চাইবে যখন গোটা বাংলাদেশটাই চাইতে, এক তৃতীয়াংশ চাইলে কেন? পুরো আদ্ধেকটা ডিম খাওয়ার স্বভাবটা রয়েই গেল বুঝি! কিপ্টেমির স্বভাবটা আজো ছাড়তে পারেনি।
এক ভারতীয় গেছে তার বোনের বাসায়। গিয়ে দরজায় নক করল। প্রথমবার কেউ খুলল না। আবার নক………কোন সাড়া শব্দ নেই। তারপরেও সে আবার নক করল। কিন্তু না, এবার ও দরজা খোলার নাম নেই।
শেষমেশ আর না পেরে বলল….."দিদি, আমি খেয়ে এসেচি তো।"
দিদি : ওরে দুষ্টু, তা আগে বলবি নে?
এ নিয়ে অনেক সরেস গল্পের মাঝে আরেকটি উল্লেখ করছি। এক ভারতীয় গল্প করছে-“জানেন দাদা-গতকাল বাজারে গিয়ে ২৫০ গ্রাম মাংস কিনেছিলুম। আপনার বউদি তিনভাগের দুই ভাগ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। বাকি এক ভাগ রান্না করলো। খেতে গিয়ে দেখলুম-খালি মাংস আর মাংস।”
আজ ভারতের বিরোধিতা করা প্রতিটি স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিকের জন্য অবশ্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আমরা বাংলাদেশপ্রেমিক, ভারতপ্রেমিক নই।
বিষয়: রাজনীতি
২৫০১ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুব্রাহ্মনিয়ম স্বামী : জি বড় ভাই ভালো।
মোদি : তুমি নাকি বাংলাদেশের জমি চাইছো?
স্বামী : জি। সামান্য।
মোদি : কী করবা?
স্বামী : এমনি। একটা আওয়াজ দিলাম আরকী?
মোদি : কেন এমন করলা?
স্বামী : বাংলাদেশ সরকার জমি দিতাছে।
মোদি : কারে দিলো?
স্বামী : আল্লামা শফীরে।
মোদি : তাতে তোমার কী?
স্বামী : আমিও একটা ট্রাই দিলাম বস।
মোদি : কিন্তু ক্যান দিলা?
স্বামী : আমার স্ত্রীর ইচ্ছা আইপিএল এ একটা দল করবে। কিন্তু রাজ্য খালি নাই। তাই।
মোদি : তুমিইতো জেনুইন স্বামী।
স্বামী : জ্বি স্যার একটু দেখবেন।
মোদি : অবশ্যই। তোমাকে না তোমার স্ত্রীকে?
স্বামী : আমার জায়গা না হলে, আমার স্ত্রীর জন্য কিছু স্বর্ণালংকারের ব্যবস্থা কইরেন।
মোদি : নির্বাচনী খরচ বেশি। ফকির হয়ে যাচ্ছি। আমি বরং বাপ্পী লাহিড়ীকে বলে দেবো। ওর নাকি আঠারো কেজি আছে।
স্বামী : না স্যার ও দেবেনা। ও কৃপন আছে। আলমারী কিনতে পারেনা বলে সব গলায় নিয়ে ঘোরে...
collected
Abu Sayeed Ahamed
চায়ের টং দোকান।
চাচাঃ কথাটা কেঠা কইছে?
আমিঃ সুব্রামনিয়াম স্বামী।
চাচাঃ কি কইলা! এই ব্যাটা আবার কার স্বামী?
আমিঃ বি জে পি-এর স্বামী।
চাচাঃ কথা শুইনাতো মনে হয় ব্যাটা আমাগো ***রে বিয়া কইরা রাখছে। অহনে শ্বশুরের তাল্লুক থেকা যৌতুক বাবদ জমি চায়।
আমিঃ চাচা, এই স্বামী সে স্বামী না।
চাচাঃ মানে স্বামীতেও ভ্যাজাল! হিন্দী সিরিয়ালের স্বামী?
আমিঃ চাচা, এই স্বামী মানে হইলো..
চাচাঃ থামো ভাতিজা থামো, একবার চিন্তা করো ভ্যাজাল স্বামী হয়া তিন ভাগের এক ভাগ চায়া বইছে, হালায় খাটি স্বামী অইলে'তো পুরাটা দাবী করতো।
আমিঃ চাচা, চ্যাতেন ক্যান?
চাচাঃ আমার চেতাচেতির কিছু নাই, হালারে সামনে পাইলে ওর পশ্চাদ্দেশে তারাবাত্তি লাগায়া জালায়া দিয়া কৈতাম 'দে লৌড়... দে দে লৌড় ...'Abu Sayeed Ahamed
চায়ের টং দোকান।
চাচাঃ কথাটা কেঠা কইছে?
আমিঃ সুব্রামনিয়াম স্বামী।
চাচাঃ কি কইলা! এই ব্যাটা আবার কার স্বামী?
আমিঃ বি জে পি-এর স্বামী।
চাচাঃ কথা শুইনাতো মনে হয় ব্যাটা আমাগো ***রে বিয়া কইরা রাখছে। অহনে শ্বশুরের তাল্লুক থেকা যৌতুক বাবদ জমি চায়।
আমিঃ চাচা, এই স্বামী সে স্বামী না।
চাচাঃ মানে স্বামীতেও ভ্যাজাল! হিন্দী সিরিয়ালের স্বামী?
আমিঃ চাচা, এই স্বামী মানে হইলো..
চাচাঃ থামো ভাতিজা থামো, একবার চিন্তা করো ভ্যাজাল স্বামী হয়া তিন ভাগের এক ভাগ চায়া বইছে, হালায় খাটি স্বামী অইলে'তো পুরাটা দাবী করতো।
আমিঃ চাচা, চ্যাতেন ক্যান?
চাচাঃ আমার চেতাচেতির কিছু নাই, হালারে সামনে পাইলে ওর পশ্চাদ্দেশে তারাবাত্তি লাগায়া জালায়া দিয়া কৈতাম 'দে লৌড়... দে দে লৌড় ...'
রিপোর্ট করুন <:-P <:-P <:-P
মন্তব্য করতে লগইন করুন